Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর



মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাবে চাপে আছে সরকার,বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন? আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



আমতলীতে সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব সমাবেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএসএস) এ সমাবেশের আয়োজন করে।

এনএসএস প্রশিক্ষন কেন্দ্রে প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. তানজিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া। সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মো. জাকির হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম , এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর অরিখ চক্রবর্তী ও তৃতীয় লিঙ্গের স্বপ্না বেগম প্রমুখ। সমাবেশে তৃতীয় লিঙ্গের ২জনসহ এবং বিভিন্ন ধর্মের মোট ৪৫ জন যুবরা অংশগ্রহন করেন।

আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া তার বক্তৃতায় বলেন, আমতলী উপজেলায় সম্প্রীতি কমিটি যদি গঠন করা না হয় তাহলে দ্রুতই এ কমিটি গঠন করা হবে এবং সেখানে যুব এবং ক্ষুদ্র নৃতাত্তিক গোঠির মানুষকে অন্তর্ভক্ত করা হবে।


আরও খবর

ভোলায় ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃআগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর গোদগাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে জেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক প্রতীক বরাদ্দ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। গোদাগাড়ী উপজেলায় থেকে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রতীক পেয়েছেন কাপ-পিরিচ। গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম এর প্রতিক-আনারস। উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগকৃত দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল এর প্রতিক- দোয়াত কলম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক সুনন্দন দাস এর প্রতিক- মোটরসাইকেল। রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান মার্কনি এর প্রতিক- ঘোড়া। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৪ জন। গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনের প্রতীক- চশমা। উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার এর প্রতীক- তালা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল এর প্রতীক- টিয়া পাখি, আদিবাসী নেতা হুরেন মুর্মু এর প্রতিক- টিবয়েল।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন ২ জন। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি এর প্রতক-প্রজাপতি। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমতি কৃষ্ণা দেবী এর প্রতিক- ফুটবল। প্রতীক পেয়েই গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি ৫টি বছর উপজেলার পরিষদ সুষ্ঠ ভাবে চালিয়ে সরকারের সকল উন্নয়ন করেছি। সকল মানুষের সুখে দু:খে পাশে ছিলাম এবং আগমীতে আবারও জয়ী হয়ে জনগণের জন্য যা যা করা দরকার সেসব সেবা করার কথা জানান। আনারস প্রতীকের প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম বলেন, আগামীকাল থেকে ভোট প্রার্থীনায় জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবো। এবারের নির্বাচনে সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আশাকরি দলীয় কোন প্রভাব থাকবে না। এতে আমাদের মধ্যে হিংসা বিবাদ থাকবে না। আমরা মনে করে সাধারণ মানুষকে ভোটমুখি করতে পারবো।

কোন প্রভাবশালী যদি বাধা-বিঘœ করে আমাদের তরফ থেকে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চাইনা। এক্ষেত্রে মিডিয়া ও প্রশাসন দেখবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে আর নির্বাচিত হতে পারলে সুষ্ঠভাবে উপজেলা পরিষদ চালানো ও সরকারি বরাদ্দ বিগত দিনে যা হয়েছে তার চেয়ে সুষ্ঠ ভাবে আমি করবো বলে জানান। দোয়াত কালি প্রতীকের প্রার্থী বেলাল উদ্দীন সোহেল জয়ে শতভাগ আশা ব্যক্ত করে বলেন, আমি স্মার্ট উপজেলা পরিষদ গড়ে তুলবো। এছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে অধিক গুরত্ব দেওয়ার কথা জানান এই প্রার্থী। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর খান মার্কনী বলেন, আমি সারা জীবন বিএনপি করে এসেছি এবং তা ভবিষ্যতেও করতে চাই। আমি জনগণের সেবার উদ্দেশ্যে ভোট করতে চাই।


আরও খবর



মধুপুরে ইউপি মেম্বার ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে মেম্বার ফোরাম এর আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী  অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ইউপি মেম্বার ফোরাম এর আয়োজনে  উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত জলই মহুয়া  কটেজে রবিবার (২১ এপ্রিল) দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেম্বার ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সোহেল। 

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ( মেম্বার) মৃতুবরণ করায় তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে  আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু, চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট ইয়াকুব আলী, চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ মীর ফরহাদুল আলম মনি। 

ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন, খন্দকার সামছুল আরেফিন শরিফ, সজীব আহমেদ, আবুল খায়ের মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যষ্ঠিনা নকরেক, নিগার সুলতানা রুবি, মিনারা বেগম,সন্ধা সিমসাং সহ আউশনারা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, বেরীবাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন।

উক্ত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মেম্বার ফোরামের  কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রোস্তম আলী, মিঃ প্রবীর বর্মন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক শরাফত আলী, আবুল হোসেন,  সাংগঠনিক সম্পাদক মিঃ তুষার রেমা সহ অন্যান্য কার্যকরী কমিটির সদস্য সহ ফোরামের সকল সদস্যগন উপস্হিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা  করেন মেম্বার ফোরামের সহ-সভাপতি মিঃ প্রবির বর্মন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার , স্টাফ রিপোর্টার:তীব্র গরমে পল্লবী থানা পুলিশের দেওয়া পানিতেই তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তীব্র তাপদাহে পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। এর আগে খেটে খাওয়া মানুষসহ সড়কে থাকা নারী-পুরুষ সবাইকে এ গরম থেকে কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় পল্লবী থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর উদ্যোগে  দিনভর রাজধানীর পল্লবী থানা  এলাকার বিভিন্ন সড়কে থাকা প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়। এ সময় পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপূর্ব হাসান  বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশক্রমে পল্লবী থানা এলাকায় পথচারী, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করানো হচ্ছে। এই প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা নিবারণ করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিশুদ্ধ পানি সাধারণত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পথচারী ও অন্যান্যদের মধ্যে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া নিয়েছি। তাপদহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ। 

সরেজমিন দেখা যায়, ভ্রাম্যমান গাড়ির উপরে তৈরি করা হয়েছে 'ওয়াটার বুথ'। আর এই বুথ থেকেই পথচারী, রিকশাচালক, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকসহ সব পেশার মানুষ বিনামূল্যে সুপেয় পানি পান করছেন সকলে। প্রয়োজনে দেওয়া হচ্ছে ওরস্যালাইনও। এ বুথেও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন পল্লবী থানার বিভিন্ন পুলিশ সদস্যরা।

আরও খবর