Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার: ডিবি পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ডিবি পুলিশ।

এ বিষয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘আমরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের ওপর হামলা, পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়।

পরে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল আলমগীর ও মির্জা আব্বাস দুজনেই আমাদের ডিবি কার্যালয়ে আছেন। তাদেরকে কিছু বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।


আরও খবর



কলমের দাম না বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

চাঁদপুর প্রতিনিধি:শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাজেটে শিক্ষা উপকরণের মধ্যে বলপেনের (কলম) দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে আমাদের প্রস্তাব থাকবে- পেনের দাম যেন না বাড়ানো হয়।

আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বরাদ্দকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ। আরও যেটি দরকার, সেটি হচ্ছে গবেষণা। গবেষণায় এবারও থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত বছর এবং বিগত বছরে তাদের বরাদ্দ কাজে লাগাতে পারেনি। এ বছর তারা বরাদ্দ কাজে লাগাবে। আমরা গবেষণা ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটে শিক্ষা উপকরণের ক্ষেত্রে বলপেনের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনায় আমাদের প্রস্তাব থাকবে- পেনের দাম যেন না বাড়ানো হয়।

দীপু মনি বলেন, ‘বাজেট বরাদ্দ প্রতি বছরই বাড়ছে। একই সঙ্গে আমাদের জিডিপির আকার তুলনামূলক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে হিসেবে শিক্ষায় বরাদ্দ কিছুটা কমেছে। আমাদের বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট চলছে, এগুলো শেষ হয়ে গেলে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট। আমরা দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষ তৈরি করব, যারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা নুর, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য ডিসির আদেশে তানোরে ফসলী জমিতে পুকুর খনন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে জেলা প্রশাসক ডিসির আদেশে রাজশাহীর তানোরে কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খনন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বোরো ধান কাটা হয়েছে জমিগুলো থেকে। জমিতেই বাঁশের খুটি পুতে সাটানো হয়েছে সাইনবোর্ড। লিখা আছে রাজশাহী স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতি,  নিবন্ধন নম্বর ১৬০৭, পক্ষে জেলা প্রশাসক। এমন সাইনবোর্ড লিখে কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খননের খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, রক্ষক কেন নির্দেশ দাতা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা কি ভাবে আদেশ দিলেন, কিসের বিনিময়ে জেলা জুড়ে এমন ঘটনার জন্ম দিয়ে কেনই তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়লেন। কি এমন ক্ষমতার বলে সরকার প্রধানের নির্দেশ অমান্য করে  চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন( ইউপির) ব্রীজ ঘাটের উত্তরে বন্যা নিয়ন্ত্রিত বাঁধের পূর্বদিকে বিস্তৃর্ণ ফসলী জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছেন রাজশাহী স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতির সাইনবোর্ডে । সমিতির নিবন্ধন নং ১৬০৭, পক্ষে জেলা প্রশাসক। এতে করে ডিসির এমন কর্মকান্ডে চরম বিব্রত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ফলে দ্রুত বন্ধ করে কৃষি জমি রক্ষার দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে।

তবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামিম আহম্মেদের সাথে মোবাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে কথা বলা হলে তিনি বলেন, স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতি টি হচ্ছে জেলার বাগমারা উপজেলার চরম পন্থিদের।  সরকারের কাছে আত্ম সমর্পন করেছিল তারা। সরকার তাদের পুনর্বাসনের জন্য সমিতি করে দেয়। আর আমি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সমিতি দেখভাল করি। কিন্তু কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খননের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুকুর খননের জায়গাতে বা কৃষি জমিতে সমিতি যে সাইনবোর্ড মেরেছে সেখানে পক্ষে জেলা প্রশাসক লিখা আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনি কি সাইনবোর্ডের কাছে আছেন, না,  গত মঙ্গলবারে ছবি তুলে নিয়ে এসেছি। ঠিক আছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, চান্দুড়িয়া ইউপিতে প্রায় জমিতে পুকুর খনন হয়ে গেছে। কৃষি শ্রমিকরা কোন কাজ পাচ্ছে না। বিশেষ করে হাড়দহ বিল হলেও তিনটি করে ফসল হত এবং আশপাশের গ্রামের মানুষ প্রচুর গরু, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করে জীবন পরিচালনা করত। বর্তমানে ৪০-৪৫ বিঘা জমি ফাঁকা ছিল। এবার সেখানে শুরু হয়েছে পুকুর খনন। পুকুর হলে ইউপিতে তেমন ভাবে কৃষি জমি থাকবে না। আবার বর্ষা বন্যা মৌসুমে হড়দহ গ্রামের অনেক মৎস্যা জীবিরা মাছ মেরে জীবিকা নির্বাহ করত। সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে পুরাতন পুকুর সংস্কার করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। আর কৃষি ফসলী জমিতে চারটির মত ভেকু মেশিন দিয়ে দাপটের সাথে পুকুর খনন করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন রহস্য জনক কারনে নিরব।  কারন একটাই সাইন বোর্ডে পক্ষে জেলা প্রশাসক। মুলত এজন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনরা কিছুই করতে পারছেন না।
সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি চলছে। কিন্তু বাংলার পা ফাঁটা কৃষকদের জন্য দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই।

এছাড়াও এউপজেলাকে কৃষি ভান্ডার হিসেবে ধরা হয়। প্রধান চাষ ধান তারপর আলু এরপরেই রয়েছে মাছ উৎপাদন। কিন্তু বিগত ১৪-১৫ বছরে  মধ্যে ব্যাপকহারে কৃষি জমিতে পুকুর হয়েছে। কমেছে প্রচুর কৃষি জমি। এভাবে পুকুর হতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতির আশংকা করছেন কৃষি বিভাগ।সম্প্রতি বোরো ধান কাটা শেষের দিকে, বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। যা চাহিদার তুলনায় কয়েকগুন বেশি ধান উৎপাদন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষি দপ্তর।এবিষয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার রাজস্ব যুগ্ন সচিব ইমতিয়াজ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জায়গার লোকেসন নেন এবং সাইনবোর্ড ও কৃষি জমির ছবি হটসআপে চান।  ছবি লোকেসান দেওয়ার পর তিনি বলেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

আরও খবর



মানহানি মামলায় জবাব দাখিলে সময় পেলেন শাকিব খান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় জবাব দাখিলের জন্য চিত্রনায়ক শাকিব খানকে সময় দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার শাকিব খানের পক্ষে জবাব দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন শাকিব খানের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক সময় আবেদন মঞ্জুর করে জবাব দাখিলের জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।

এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এরপর গত ৮ মে শাকিব খানকে আদালত জবাব দাখিলের জন্য সমন জারি করেন। মামলায় মানহানির অভিযোগ এনে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রহমত উল্লাহর আইনজীবী।

গত ১৮ মার্চ রাতে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে গুলশান থানায় যান শাকিব খান। তবে, সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। পরদিন ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব খান।

পরে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২৬ এপ্রিল আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।

এরপর রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা করেন শাকিব খান। আদালত পিবিআইকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।


আরও খবর



দুর্নীতি মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:নোটিশ পেয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক আরাফাত হোসেন অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগ গঠনের সময় আসলাম চৌধুরীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি দোষী না নির্দোষ আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। পরে আদালত আগামী ১০ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১ জুন এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে আসলাম চৌধুরীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।আসামি পক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন। তিনি জানান, অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

তিনি আরও জানান, মামলাটিতে হাইকোর্ট আসলাম চৌধুরীকে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আমরা জামিন চাইলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। তারা এ আসামির বিরুদ্ধে মোট ৬৮টি মামলা আছে বলে জানান। যার মধ্যে ৩টি মামলায় তিনি জামিন না পাওয়ায় এখনো কারাগারে রয়েছেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি কারাগারেই আছেন।

২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীল চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা চলতি বছরের ১৩ মে আসলাম চৌধুরী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য দুদকে দাখিলের জন্য নোটিশ দেন। তিনি কারাবন্দি থাকায় কারাগারেও নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পেয়ে তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ২১ কর্মদিবস, এরপর আরও ১৫ কর্মদিবস সময় দেয় দুদক। কিন্তু তিনি ওই সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তিন মাস সময় চেয়ে ফের আবেদন করেন। কিন্তু সময় বৃদ্ধির সুযোগ নেই জানিয়ে তাকে নোটিশ দেয়ার পরও তিনি সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেননি। দুর্নীতি দমন কমিশনের আদেশ মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলাটি তদন্তের পর ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলামকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারার মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর এ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। ওই মামলায় সে বছর ৩১ মে ৭ দিন এবং ৬ জুন ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে সে বছর ১৩ জুন তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, আসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই মোসাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে আসছিলেন। ওই চেষ্টা সফল হয় ২০১৫ সালের জুন মাসে। সে সময় দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে পশ্চিমা একটি দেশে আসলাম চৌধুরীর প্রথম দফায় বৈঠক হয়। এরপর মোসাদ এজেন্টদের সঙ্গে আরও দুটি বৈঠক হয়েছে ভারতে। সর্বশেষ বৈঠকটি হয় ২০১৬ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে।

মোসাদের সঙ্গে ‘সরকার উৎখাতের’ গোপন আলোচনার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই বছরের ২৫ মে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। পরে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।


আরও খবর



চুম্বনদৃশ্যে অভিনয়ে আপত্তি, ছেড়েছেন অনেক ছবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:টলিউড অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপোধ্যায়। সিনেমায় অভিনয় করলেও টেলিভিশন ধারাবাহিকেই তাকে বেশি দেখা যায়। তার অভিনয় দক্ষতা যতটা, তার চেয়ে কম কাজে তাকে দেখা যায় বলে মনে করেন অনেকেই। এসব বিষয়েই তিনি কথা বলেছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।  

শুটিংয়ের সেটে কখনো রাগারাগি করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাসবদত্তা বলেন, ‘হ্যাঁ, বহুবার করেছি। আমার সামনে কোনো পরিচালক, প্রযোজক, প্রোগ্রামার আছে তাতে কোনো যায় আসে না। হয়তো বাজে ভাষা ব্যবহার করিনি। তবে ভুল দেখলে আমি আমি চুপ থাকি না। ভুলটা স্বীকার করলেই মিটে যায়। এ জন্য অনেকে মনে করেন আমি ঠোঁটকাটা, নাকউঁচু। সেই ভাবনা আমায় খুব একটা প্রভাবিত করে না।

তিনি বলেন, ‘আবার অনেক সময় যে দিন ছুটি চেয়েছি সে দিনই যদি আমার ডেট দরকার হয়, তখন কথা কাটাকাটি তো হবেই। আর আমি আগে থেকে ছুটি নিয়েছি, তার পর যদি শেষ মুহূর্তে আমাকে আসতে বলা হয়, আমি বাড়িতে বসে থাকব তবু ডেট দেব না।

কিন্তু ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে এত কম সিনেমা বা সিরিয়াল করেছেন। ধীর গতিতে এগোচ্ছেন বলে মনে হয়- এ প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘দোষ কিছুটা আমার। আমি বেছে কাজ করতেই পছন্দ করি। তিনটি সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছি। একটা সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর নিজের জন্য একটু সময় দরকার হয় আমার। আবার অনেক ক্ষেত্রে এমনও ঘটেছে কাজের কথা অনেক এগিয়ে যাওয়ার পরেও কাজটা আর হয়নি।

এমন ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে বাসবদত্তা বলেন, ‘আমার সঙ্গে এমন ঘটনা প্রচুর হয়েছে। বর্তমানে তারা প্রথম সারির পরিচালক। বড় ব্যানারে ছবি তৈরি করছেন। তারাই এমনটা করেছেন। একজনের নাম নিতে চাই না। আমি তখন ‘‘নেতাজি’’ সিরিয়াল করছি। তিনি দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন। শুটিংয়ে কত দিন আমাকে দরকার, সেটাও কথা হয়ে গেল। চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল যে চরিত্রটি আমিই করছি। সেটে আমি কথাও বলে রাখলাম।

তিনি বলেন, ‘দুইদিন পরে আমি পত্রিকায় পড়েছি সেই পরিচালক অন্য অভিনেত্রীকে নিয়ে ছবির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তারপর আমি তাকে মেসেজ করে লিখেছিলাম, আপনি যেটা করলেন, আমি আর কখনো আপনার সঙ্গে কাজ করব না। এখানে জানানোর ভদ্রতাটুকু মানুষের নেই।

সিরিয়াল, সিনেমায় তো কাজ করেছেন। ‘ওটিটি’ প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ এসেছে কি না, জানতে চাইলে বাসবদত্তা বলেন, ‘ওটিটির থেকে কাজের সুযোগ কম এসেছে। যখন ‘‘মন নিয়ে কাছাকাছি’’ সিরিয়ালটিতে অভিনয় করতাম তখন ‘‘হইচই’’ থেকে বেশ কিছু কাজের সুযোগ আসে। কিন্তু ওদের কনটেন্ট আমার জন্য ঠিক নয় বলে মনে হয়েছিল। তাই না করে দিয়েছিলাম।

চরিত্র বাছাইয়ে সময় আপনি কি অনেক শর্ত রাখেন? ছোট পোশাক পরা বা চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করতে নারাজ? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তা আপনি বলতেই পারেন। হাঁটুর উপরে পোশাক পরতে আমার তেমন সমস্যা নেই। তবে দৃশ্য নিয়ে সমস্যা আছে। যেমন উদাহরণ দিই। ‘‘উড়োজাহাজ’’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আমাকে ডেকেছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। দেখাও করেছিলাম। কিন্তু সেখানেও একটি দৃশ্য ছিল, যেটা শুনে বলেছিলাম আমি ওই দৃশ্যে অভিনয় করতে পারব না।

এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এমন আরও একটি কাজ এসেছিল, যেখানে একটি ‘‘লিপলক’’-এর দৃশ্য ছিল। তাই সেটাও না করে দিই। আমার নিজের কিছু নীতি আছে সেটা থেকে সরতে পারব না। এত কিছুর পরেও তো ভালো কাজ করছি।


আরও খবর