
আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে।এতে করে মিষ্টি কুমড়া চাষীদের মাঝে চলছে খুশির আমেজ। কুমড়া চাষাবাদে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্য পেশার মানুষও কুমড়া চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বর্তমানে ফলনকৃত কুমড়া বাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারলে চাষীদের স্বপ্ন পূরণ হবে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চাষিরা চলতি সপ্তাহে বাজারে বিক্রির জন্য মিষ্টি কুমড়া সরবরাহ করতে পারবেন ।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হোয়ানক, বড় মহেশখালী, শাপলাপুর, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে ১০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে মিষ্টি কুমড়া।সুইটি, মনিকা, ব্যাংকক, ত্রিপল-৭ ও সোহাগীসহ নানা জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করেছেন চাষিরা।উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চাষি আব্দুল গফুর জানান, ৩ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলে খরচ হয় ৫-৬ হাজার টাকা। এই বছর ৮ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া বীজ রোপণ করেছেন তিনি। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমির উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হবে ২০-২৫ হাজার টাকা।
কুমড়ার বীজ জমিতে রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যেই কুমড়া বিক্রি করা সম্ভব।মহেশখালী উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান , উপজেলায় এবার ২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে।মাঠপর্যায়েও চাষিদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এক একটি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।ফলন ভালো হওয়ায় মিষ্টি কুমড়া চাষীরা খুশি।