
স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসি একবার নয়, একাধিকবার বলেছিলেন, তিনি তার ক্যারিয়ার বার্সেলোনায় শেষ করতে চান। তবে শেষ পর্যন্ত তেমনটি আর হয়নি। সমর্থকদের কাঁদিয়ে বার্সা ছাড়তে বাধ্য হন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
কাতালান জায়ান্টদের হয়ে মেসি ১০টি লিগ ও চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পাশাপাশি প্রচুর ব্যক্তিগত পুরস্কারও জিতেছেন। তবে মেসির বিদায়টা সুখকর হয়নি। ২০২১ মৌসুমে লা লিগার বেঁধে দেওয়া বেতনসীমার নীতির কারণে মেসিকে ধরে রাখতে পারেনি বার্সেলোনা। সে সময় ক্লাবটির পক্ষ থেকে এমন দাবিই করা হয়েছে।
সম্প্রতি মেসির সাবেক ক্লাব বার্সেলোনাকে নিয়ে চোটেছেন তারই ভাই মাতিয়াস মেসি। তার দাবি, মেসি বার্সায় যোগ দেওয়ার আগে দলটিকে কেউ চিনত না! মূলত তার ভাইকে বার্সা ভালোভাবে বিদায় দিতে পারেনি আর সে কারণেই ক্ষোভটা ঝেড়েছেন।
বর্তমানে পিএসজিতে খেলা মেসিরা দুই ভাই, এক বোন। লিওনেল মেসি, রদ্রিগো মেসি, মাতিয়াস মেসি ও মারিয়া সোল মেসি। যেখানে মাতিয়াসের ছেলে টমি ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘টুইচ’-এ নিজের বাবা ও অন্যদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আর সেখানে বার্সেলোনার প্রসঙ্গ উঠতেই কাতালান ক্লাবটিকে ধুয়ে দেন মাতিয়াস।
এ নিয়ে মাতিয়াস বলেন, ‘মেসির জন্যই সবার কাছে এতটা পরিচিতি পেয়েছে বার্সেলোনা। তার আগে তাদের কেউ চিনত না। বার্সেলোনায় গিয়ে কেউ জাদুঘর দেখে থাকলে দেখবেন সেটার পুরোটা মেসির।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা (মেসি) বার্সেলোনায় ফিরব না। আর যদি ফিরি তাহলে ভালোভাবে সবকিছু পরিষ্কার করেই ফিরব। তার মধ্যে (বার্সার বর্তমান প্রেসিডেন্ট) হোয়ান লাপোর্তাকে লাথি মেরে বের করব, তার কৃতজ্ঞতা বোধ নেই মেসি বার্সাকে যা যা দিয়েছে, সেসবের জন্য।’
সমর্থকদেরও দুষেছেন মাতিয়াস। বিশ্বাসঘাতক ভক্তরা বলেই মনে করেন মেসির ভাই, ‘কেউ তাকে (বার্সা ছাড়ার সময়) সাহায্য করেনি। ওদের (সমর্থক) উচিত ছিল রাস্তায় নেমে পড়া, লাপোর্তাকে বিদায় করে মেসিকে রেখে দেওয়া। কাতালানরা বিশ্বাসঘাতক। মা একবার লিওনেলকে বলেছিল, ওরা তোমাকে রোনালদিনিওর মতো ভোগাবে।’
মেসির ভাইয়ের এমন মন্তব্যে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় উঠেছে। যদিও পরে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ক্ষমাও চেয়েছেন মাতিয়াস, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা বলেছি, সে বিষয়ে আমি নিজের অবস্থার পরিষ্কার করতে চাই। ছেলে এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে মজা করেছি। বার্সার মতো এত বড় ক্লাবকে নিয়ে আমি কীভাবে এমন ভাবতে পারি, যারা লিও ও আমার পরিবারকে অনেক কিছুই দিয়েছে। কাতালুনিয়া আমাদের কাছে দ্বিতীয় ঘরের মতো। এটা সবাই জানে। আমি দুঃখিত ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বিশেষ করে বার্সার সমর্থকদের কাছে। শেষে শুধু এতটুকুই বলতে চাই, আমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুধু ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টই আছে।’