Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মেহেরপুরে নার্সিং কলেজ কাজের মেয়াদের সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ২০১৯ সালে নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফা। সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারের মতো বাড়ানো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকার পিয়াস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই নার্সিং কলেজটি নির্মাণের শুরুতে দেশে করোনা দেখা দেয়। ওই অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলতি বছরে শেষ করা হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স তৈরি করতে একটি নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ২০১৯ সালে ১৮০ আসন বিশিষ্ট নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থবারের মতো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো অনেক কাজ বাকি। প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গত ১০ এপ্রিল নির্মাণাধীন কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা কলেজ ভবনের ভেতরের প্লাস্টার করা হয়নি। জানালার ফ্রেম নেই। বাথরুমের কাজ এখনো হয়নি। মেঝেতে ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মাত্র পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন ঢিমেতালে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের দশা আরও করুন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষ করা হয়নি। বাথরুমের কাজও করা হয়নি। প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বরত আবদুল মালেক জানান, পিলার ও চারতলা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, গ্রিলের কাজ, মেঝেতে টাইলসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, একটি কলেজের নির্মাণকাজে যদি পাঁচ বছর লেগে যায়, তাহলে কীভাবে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। এত দিন এই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে কাজে যোগ দিতে পারতেন। জেনারেল হাসপাতাল আরও দক্ষ নার্স পেত।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেন। তাঁর আবারও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার তাগাদা দেবেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাচ্ছে না। দ্রুত কলেজের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন।


আরও খবর



দেবীগঞ্জে সোনাহার সরকার পাড়া প্রিমিয়াম লীগ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:“ক্রীড়াই শক্তি ক্রীড়াই বল’ মাদক ছেড়ে মাঠে চল” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সোনাহার সরকার পাড়া প্রিমিয়াম লীগ ২০২৪ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের তৃতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৩১ মার্চ) বিকালে উপজেলার সোনাহার মহাবিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসাবে টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল

আলম এমু। ধারাভার্ষকার ছলেমান আলীর সঞ্চালনায় দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আব্দুর রাজাজাক দুলাল এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসাবে সোনাহার মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, অধিনায়ক মাহাবুল ইসলাম, লিমন ইসলাম, সংগঠক নাজমুল আলম, আতিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মজিবুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

উক্ত টুর্ণামেন্ট মা ডিজিটাল স্কেল এবং আলোকিত সরকার পাড়া টিম অংশ গ্রহন করেন। ১শত ৩ রানের টার্গেট নিয়ে ৮ উইকেটে ১শত ৫ রান করে মা ডিজিটাল স্কেল টিম ম্যান অব দ্যা ম্যাচ শিরোপা লাভ করেন। শেষে সেরা খেলোয়ার ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



বিশ্ববাসীকে বাঙালি জাতি আলোর পথ দেখায়: মেয়র তাপস

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ রাতের বেলা ১২টা ১ মিনিটে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। আমরাই একমাত্র জাতি যারা নতুন সূর্যোদয়কে বরণের মাধ্যমে বর্ষবরণ করে থাকি।বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সুতরাং বাঙালি জাতি বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখায়। বাঙালি জাতি আলোর দিশারী।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

নতুন বর্ষকে বরণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচনা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে চায়। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে তিনি এ দেশকে একটি উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তার সে অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস ডি রুবেল এবং করপোরেশনের সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।


আরও খবর

হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




মোরেলগঞ্জে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসবে লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

শেফালী আক্তার রাখি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট):বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শ্রীধাম লক্ষীখালী গোপাল সাধু ঠাকুরের সেবাশ্রামে ১০২ তম বারুনী স্নানোৎসব ও গোপাল চাঁদ মেলায় নারী-পুরুষ পুজারী লাখ ভক্তের ঢল। ঢাক, ঢোল, নিশান বাদ্যযন্ত্র সহকারে “হরিবল, হরিবল” নামে মূখরিত ভক্তদের বসেছে যেন এক মিলন মেলা।

৩ দিনব্যাপী মেলা শনিবার সকাল থেকেই মেলায় স্ননোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, বেতাগী, বামনা, মির্জগঞ্জ, ঝালকাঠী, কাঠালিয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তের মতুয়া ভক্তরা সমবেত হয়েছেন। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেও এবারে এ উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজন প্রসাদ বিতরণ, ভক্তদের উৎসবে যেন কোন কমতি নেই। দলে দলে হাজার হাজার মতুয়া ভক্তরা পায়ে হেটে, নৌ ও সড়ক পথে পাড়ি জমিয়েছে লক্ষীখালী বারুনী স্ননোৎসবে।

এ দিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও শ্রী শ্রী হরিগুরু চাঁদ ঠাকুরের ২০১৩ তম শুভ জয়ন্তী জন্ম স্বরনে বাংলা ১৩২৮ সালে থেকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামে তারই ভক্ত গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুরের শ্রীধামে ৩দিন ব্যপি বারুনী ¯স্নানোৎসবে মতুয়া ভক্তদের মিলন মেলা বসেছে। দিনরাত অবিরাম প্রসাদ বিতরণ চলছে।

ত্রায়দশী তিথি অনুয়ায়ী সোমবার পর্যন্ত চলবে। এ অনুষ্ঠানে ভক্তদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগীতায় প্রশাসন কাজ করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও সহযোগীতা করছে।

এ মেলায় রবিবার সকাল ১০ টায় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, দুপুর ১২ টায় সহকারি হাই কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, বাংলাদেশ মতুয়া সংঘের কার্যকরী সভাপতি শ্রী সুব্রত ঠাকুর।

বারুণী স্নানউৎসবে মতুয়া মেলায় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন বলে শ্রীধাম লক্ষীখালীর গদীনশিন সেবাইত সাগর সাধু ঠাকুর জানিয়েছেন।


আরও খবর



মেহেরপুরে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী(মেহেরপুর:মেহেরপুরে লিচু বাগানগুলোতে মুকুলের সমারোহ। চারদিকে মুকুলের মিষ্টি মৌ মৌ গন্ধ। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে লিচুর মুকুল। গাছের প্রতিটি ডাল থেকে মুকুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে গুণ গুনিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ছুটছে মৌমাছিরা। লিচু চাষিরা যেমন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাছের পরিচর্যায়। অন্যদিকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহে শ্রম ব্যয় করছে দিনরাত। মধু সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন মৌচাষিরা। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন সুস্বাদু মধু।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুরে লিচুবাগানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হওয়ার মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও। মার্চ মাসের শুরু থেকে মধু সংগ্রহ করার ধুম পড়ে। দূর থেকে আসা মৌচাষিরা বিভিন্ন স্থানীয় বাগান মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মৌ চাষ শুরু করে। একটি বাগানে মধু সংগ্রহ করার কাজে ২-৩ জন শ্রমিক কাজ করে। দেখা যায়, লিচুর উৎপাদন বাড়াতে বাগানে বাগানে চাষিরা মৌমাছির ’মৌ বাক্স’ বসিয়েছে। পাশেই নিজেদের তৈরি ছোট কুঁড়েঘর থাকে বাক্সের তদারকি করছে মৌ চাষিরা।

লিচু গাছের নিচে সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন কাঠের তৈরি বাক্সগুলো। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছির ঝাঁক বসছে লিচুর মুকুলে। মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল নিজ নিজ বক্সে মৌচাকে মধু এনে জমা করছে। ৭-৮ দিন পর পর প্রতিটি বাক্স থেকে চাষিরা মধু সংগ্রহ করছেন। লিচুর বাগান থেকে সংগ্রহ করা মধু যেমন খাঁটি তেমনই সুস্বাদু। মানের দিক থেকে ভাল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছর দেশের নানান প্রান্ত থেকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করতে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগানে আসে। এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।

মধু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, মধু চাষিরা এখানে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আমরা বাজারে যে মধু কিনি, সেগুলোয় কেমিক্যাল বা ভেজাল থাকে। তবে এখানকার মধু খাঁটি। এক মাস সময় নিয়ে দিনাজপুর থেকে এখানে এসেছেন মৌ চাষি রনি হাসান ও তার দল। রনি হাসান দীর্ঘ ১৪ বছর এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, বছরে ৬ মাস আমাদের কাজ হয়। আমরা মাসে ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করতে পারি।

মৌ চাষি রনি হাসান আরো বলেন, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আরো বেশিও সংগ্রহ করা যায়। এখানে ১৫০টি বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্সে ৪টি-১৬টি ফ্রেম আছে। প্রতিটি ফ্রেম থেকে ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত মধু আমরা সংগ্রহ করে থাকি। ইতোমধ্যে আমরা ২’শ ৯০ কেজি মধু সংগ্রহ করেছি। আরও ২শ কেজি মধু সংগ্রহের সম্ভবনা রয়েছে। এখানে সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আবার অন্যত্র মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে প্রতি কেজি মধু ৬শ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। মধু সংগ্রহ করা শেষ হয়ে গেলে তারা সাথে করে মৌমাছিদের নিয়ে যায় বলে জানান মৌ চাষিরা। প্রতিটি বাক্সে একটি রানী মৌমাছি, একটি পুরুষ মৌমাছিসহ অসংখ্য এপিচ জাতের কর্মী মৌমাছি রয়েছে। কর্মী মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে লিচুর মুকুলে ছুটে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে।কৃষিবিদ শফিউল ইসলাম বলেন, মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলের পরাগায়ণ ঘটানোর মাধ্যমে লিচুর ফলন ভাল হয়।

ফলে যে গাছে মৌমাছির বেশি আগমন ঘটে সে গাছে লিচুর যেমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে, তেমনই মৌ চাষিরা বেশি মধু সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



তাহসান-মিথিলা বিচ্ছেদের পর ফের ‘একসঙ্গে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি: ২০০৭ সালে বিয়ের করেন শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আচমকা  বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ। তারপর দুজন দুদিকে। তবে সন্তানের কারণে দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এখনও অটুট।

অবশ্য বছর দুয়েক আগে একটি ই-কমার্স সাইটের লাইভ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। তবে কখনও পর্দা ভাগাভাগি করতে দেখা যায়নি। তবে তাহসান মিথিলা ভক্তদের জন্য সুখবর হল- সাত পর্বের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। ‘বাজি’ শিরোনামে এটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’ খ্যাত নির্মাতা আরিফুর রহমান।

জানা গেছে, ওয়েব সিরিজটির কিছু ধাপের শুটিং হয়ে গেছে। একটি ফোরস্টার মানের হোটেলে মাস দুয়েক আগে হয়েছে শুটিং। তাহসান মিথিলা ছাড়াও সিরিজে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয়শিল্পী। সিরিজটিতে তাহসান অভিনয় করছেন একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে। আর মিথিলাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের চরিত্রে।


আরও খবর