Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

মাথায় হাত তানোরের আলু চাষিদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ২২৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর, তানোরগত মৌসুমে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে লাভের আশায় আলু রোপন করেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা। কিন্তু সেই আশায় পড়েছে হতাশার মেঘ। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। যদিও বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোয়া। তাহলে কৃষকের কঠোর পরিশ্রম অধিক খরচের এবং ঝুকিপূর্ণ আলুর বাজার কেন এত কম এমন হাজারো প্রশ্ন চাষীদের। কারা এই সিন্ডিকেট করে কৃষকদের পথে বসাতে মরিয়া,কে নিয়ন্ত্রণ করছে বাজার, কারা দাম কমাচ্ছে বাড়াচ্ছে এধরনের প্রশ্নের কোন উত্তর খুজে পাচ্ছেনা কৃষকরা।


অথচ আগাম আলু ১৮-১৯ টাকা কেজি দরে জমি থেকই বিক্রি করেছেন কৃষকরা। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, কীটনাশক সারের সিন্ডিকেটের শেষ নেই। বিশেষ করে রোপনের সময় দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে পটাশ সার। এতে করে যে কোন বছরের তুলনায় বিঘায় ১৫-১৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, সেচের খরচও বাড়তি। অথচ আলু ১১ টাকা ৫০ পয়সা, ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। নেই বহিরাগত আলু কেনা ব্যবসায়ীরা। ফলে চরম হতাশায় ভুগছেন আলু চাষিরা, দাম কম থাকায় কপালে জমেছে চিন্তার ভাজ

আলু চাষি লুৎফর জানান, প্রতিবার ৯০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। গত মৌসুমে আগাম বিক্রির জন্য লোকসান কম হয়েছিল    লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে এবারও ৭৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলু তোলা শুরু হয়েছে। সবকিছুর বাড়তি দাম। প্রতি বিঘায় ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং লোকসান হবে বিঘায় ১৪-১৫ হাজার টাকা করে


চান্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ গ্রামের গোলাম রাব্বানী জানান  গত মৌসুমে  ১২০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে লাখ টাকা লোকসান হয়। এবারো একই পরিমান জমিতে লাভের আসায় আলু চাষ করি, বাজারে যে দাম  তাতে ২০-২৫  লাখ টাকা  লোকসান গুনতে হবে। তিনি পাচন্দর ইউপির বিনোদপুর মাঠে আলু চাষ করেছেন। আলু উত্তোলন চলছে। কীটনাশক সার সেচের অতিরিক্ত খরচ। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম দ্বিগুণ হলেও আলুর বাজারে চরম ধস। 


মাহবুর রহমান মিঠু নামের আরেক চাষি জানান গতবার ১৩৫  বিঘা জমিতে লোকসান হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। সেই লোকসান নিয়ে লাভের আসায় পুনরায় একই পরিমান জমিতে চাষ করি। কিন্তু এবার খরচের টাকাও উঠবেনা। তিনি পাচন্দর ইউপির কচুয়া মাঠে আলু চাষ করেছেন এবং উত্তোলন চলছে পাচন্দর ইউপির চিমনা গ্রামের কৃষক  শাপিউল জানান  গতবার বিঘা জমিতে আলু করে  লাখ টাকা লোকসান হয়। লাভের আসায় বিঘা জমিতে আলু চাষ করে খরচের টাকাও উঠছে না


একই গ্রামের ওমর জানান গতবার ২০ বিঘা জমিতে প্রচুর  লোকসান হয়েছিল। এবার কমিয়ে ১০ বিঘা জমিতে চাষ করে পুরোটায় লোকসান হবে মনে হচ্ছে।একাধিক আলু চাষিরা জানান, আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হিমাগার মালিক সমিতি। তারা ইচ্ছেমত দাম নির্ধারন করে। তাদের সিন্ডিকেটের কারনে পথে বসতে হচ্ছে আমাদের। 


প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অথচ আলুর দাম নাই। তিনমাস কঠোর পরিশ্রম করার পর আলু উঠে। লাভের জন্য চাষ করা হয়। একমাস আগে আলুর বাজার ছিল ১৮-১৯ টাকা কেজি। সেই বাজার কমে ১১-১২ টাকা কেজিতে নেমেছে। আলু রোপনের সময় দ্বিগুন দামে সার কীটনাশক কিনতে হয়েছে। যেখানে বিঘা জমিতে খরচ হত ৪০-৪৫ হাজার টাকা, আর এবার ৫৫-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।


সার কীটনাশকের বাড়তি দামের কারনে পর্যাপ্ত দিত না পারায় বিঘায় ১২-১৪ বস্তা ফলন কম হচ্ছে। আলুর বাড়তি দাম হলে কৃষি দপ্তরের বিপনণ বিভাগ হৈচৈ ফেলে দেয়। এখন দাম কম চাষিরা পথে বসছে আর তারা নিরবতা পালন করছে। এক কথায় কৃষক মরল কি বাচল সেটা কারো আসে যায় না। অথচ এই কৃষকরাই দেশে খাদ্য ঘাটতি ফেলতে দেয়নি। আর এদের নিয়েই মহা সিন্ডিকেট। কে শুনে কার কথা। আবার গভীর নলকূপ অপারেটরদের তো আছেই সেচ নিয়ে কারসাজি। বিদ্যুতের দাম বাড়তি বলে বিঘায় ১৫০০-২০০০ টাকা সেচ হার নিচ্ছে। যেখানে বিঘায় উর্ধ্বে ৪০০ টাকার বেশি সেচ হার লাগবেনা। এখানেও বেপরোয়া নৈরাজ্য


গাগরন্দ গ্রামের আলু চাষি মুসলেম জানান, গতবার ৩০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে লাখ ৭০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এবারও ৩০ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। কয়েকদিন পর তোলা শুরু করব। বর্তমান বাজার অনুযায়ি ৩০ বিঘাতে লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান হবে। এভাবে লোকসান হলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হিমাগার মালিক সমিতি। তাদের কাছে কৃষি বিপণন বিভাগ জিম্মি হয়ে আছে। তারাই যেটা করবে সেটাই সঠিক। তবে বিবিন্ন ভাবে খোজ নেওয়া হচ্ছে কোন অবস্থাতেই দাম বাড়বেনা, কিন্তু কমার সম্ভবনাই বেশি। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবারে উপজেলায় ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যা দেশের তৃতীয়। নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য রোগবালা কম ছিল। দাম তো নির্ধারন করা কৃষি অফিসের কাজ না। এজন্য বিপণন বিভাগ রয়েছে। তবে বাজারে যে দাম আছে হিমাগারে রাখলে পরে দাম পাবে বলে মনে করেন তিনি



আরও খবর



বিপাকে পরিক্ষার্থীরা থানা মোড় পার হতেই নাকাল

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:চলছে এসএসসি পরিক্ষা, তানোর পৌর সদর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। পরিক্ষায় প্রবেশের সময় ও বের হওয়ার সময় পড়তে হচ্ছে মানুষ ও ছোট বড় যানজটের কবলে। সামান্য কয়েক গজ রাস্তা পার হতেই নাকাল হয়ে পড়ছে পরিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে ছুটির সময় দুপুর একটার দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে পার হতে হচ্ছে। ফলে পরিক্ষা চলা অবস্থায় শুরু ও শেষের সময় ট্রাফিক ব্যবস্থার দাবি উঠেছে জোরালো ভাবে।

সরেজমিনে দেখা যায়,, রবিবার দুপুর একটার দিকে পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর অভিভাবকরা স্কুলের মুল গেটে ভিড় করে আছেন। ঠ্যালাঠেলি করে পার হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। দিনভর প্রচুর ভ্যাপসা গরম ছিল। পরিক্ষার্থীরা রাস্তার পশ্চিমে সরু সাইড দিয়ে মুক্তার, মিঠুন ও মাওলানা জয়নালের দোকান ঘেষে যাচ্ছেন। রাস্তার দু পাশে রাখা আছে অটোরিক্সা। একদিক থেকে বাস কিংবা ট্রাক আসলে পারাপারের কোন উপায় নেই। পরিক্ষা শেষের সময় মুন্ডমালা থেকে ট্রাক এসে তিন মাথায় আটকে যায়, উপজেলার দিক থেকে ভটভটি ও গোল্লাপাড়ার দিক থেকে বাস এসে তিন মাথায় আটকা পড়ে। বাইসাইকেল কিংবা বাইক নিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা নেই। দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে পরিক্ষার্থীদের।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, তানোরের প্রান কেন্দ্র থানা মোড়। প্রতি সময় মানুষের যেমন জট, তেমনি ভাবে যানবাহনের জট থাকে। পরিক্ষার সময় ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলে এত সমস্যাদি হত না। আবার সরু রাস্তা দুপাশে ঘন্টার পর ঘন্টা অটো রাখছে। যার কারনে পরিক্ষার্থীরা নানা ভাবে ইভটিজিং ও যৌন হয়রানির শিকার হন প্রতি নিয়তই। পরিক্ষা শুরুর পর, ছুটির সময়  অনেকে মোড়ে জটের কারনে গরমে পড়ে যাচ্ছেন। সহপাঠী রা মাথায় পানি দেওয়ার পর স্বাভাবিক হলে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রান কেন্দ্রের যদি এঅবস্থা হয় তাহলে কি বলার আছে। থানা মোড়ে গোল চত্বর ও ট্রাফিক ব্যবস্থা সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।

মেয়র ইমরুল হক জানান, থানা মোড়ে গোল চত্বর করার পরিকল্পন আছে, অনেকের সাথে কথা হয়েছে। আবার অনেকেই জায়গা ছাড়তে রাজি না। তবে যতই বাধা আসুক গোলচত্বর করা হবে।
ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, পরিক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রয়োজনে আরো পুলিশ মোতায়েন করে যাতে পরিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সে দিকে বেশি করে নজরদারি করা হবে।


আরও খবর



২০ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের ২০ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার ভোর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়া পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এ সময়ে সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কতা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 


আরও খবর



টেক্সাসে শপিংমলে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৯

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের উত্তর ডালাসের একটি শপিংমলে গুলি চালিয়ে ৯ জনকে হত্যা করেছে এক বন্দুকধারী। পরে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারীও নিহত হন। আজ রোববার বিবিসির অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলেন শহরের ওই শপিংমল থেকে কয়েকশ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক ব্যক্তি পথচারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালান।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তারা বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। সেই সঙ্গে পুলিশ এও জানিয়েছে, হামলা চালানোর সময় বন্দুকধারী একাই ছিলেন।

নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ আবর্ট গোলাগুলির এ ঘটনাকে ‘অবর্ণনীয়’ ট্রাজেডি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, রাজ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ফন্টেইন পেটন এপি নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, তিনি এইচ এন্ড এম-এ কেনাকাটা করার সময় হেডফোনে গুলির শব্দ শুনেছেন। তিনি বলেন, যখন লোকজনকে শপিংমল থেকে বের করে দেওয়া হয়, তখন তিনি বাইরে মৃতদেহ দেখেছেন।

বন্দুক সহিংসতা আর্কাইভ অনুসারে, চলতি বছরের এ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ১৯৮টি গণগুলির ঘটনা ঘটেছে-যার মধ্যে চার বা তার বেশি লোক নিহত বা আহত হয়েছেন৷


আরও খবর



লিভ টু আপিল খারিজ, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা বাতিলের বিষয়ে করা ‘লিভ টু আপিল’ খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আজ সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আদেশের পর ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আপিল বিভাগ মামলা বাতিলে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। আজকের আদেশে আমরা সন্তুষ্ট নই। বিচারিক আদালতে আমরা এই মামলার শুনানিতে আইনি যুক্তিতর্ক তুলে ধরব।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলা বাতিলের আবেদন হাইকোর্টে খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য ৮ মে দিন নির্ধারণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

গত বছরের ১৭ আগস্ট বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। সেই রুলের শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।


আরও খবর



তিতাস নদীতে সেতু চালু না হওয়ায় জনদুর্ভোগ-অবশেষে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে চেক হস্তান্তর,স্বপ্নের সেতু চালুর আশ্বাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছরেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাথে নবীনগর উপজেলার কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। উপজেলা থেকে রাজধানী বা অন্য কোনো শহরে যেতে হলে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা অথবা পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ঘুরে নারায়ণগঞ্জে ভূলতা-ধনবাড়িয়া হয়ে অতিরিক্ত ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এতে স্থানীয়দের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার বাসির দীর্ঘদিনের দাবী’র প্রেক্ষিতে সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল  সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য থাকার সুবাদে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশেষ বিবেচনায় মেগা প্রোজেক্টের আওতায় নবীনগর টু আশুগঞ্জ সড়ক নির্মাণে দুটি ব্রিজ সহ ২০১৮ সালে "একনেক" এর শেষ সভায় চারশত একুইশ কোটি টাকা ব্যায়ে এই মেগা প্রজেক্ট অনুমোদন করান।

বর্তমানে এই প্রকল্পের বাজেট বৃদ্ধি হয়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার দাঁড়াবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিস সূত্র জানায়। 

এই মেগা প্রজেক্ট এর আওতায় একটি সেতু তিতাস নদীর উপর মনতলা-সীতারামপুর সেতু নির্মানের কাজ শেষ হলেও গত এক বছরে চালু হয়নি সেতুটি। ওই মেগা প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের  তত্ত্বাবধানে ৭০ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিতাস নদীর উপর মনতলা - সীতারামপুর ঘাট থেকে নবীনগর সদরে সংযোগের জন্য ৫৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুর নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।

২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে তাঁরা কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্মান কাজের সময় বাড়ানোর পর সেতৃ নির্মান কাজ শেষ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার প্রায় ১ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুটি চালু হয়নি। ফলে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে দিনে ও রাতে খেয়া পাড়ি দিতে হয়। 

জানা যায়,ব্রীজের দুই পাশে সরকারের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় স্থানীয়দের বাড়ি ঘর থাকায়  দু’পাশে এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা যাচ্ছে না। ভূমি মালিকগণ অধিগ্রহণের টাকা না পেলে জমি ছাড়বেন, না তাই দীর্ঘদিন ধরে এপ্রোচ সড়কের কাজ বন্ধ ছিল। জনসাধারনের দুর্ভোগ বিবেচনায় অবশেষে স্থানীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুল জমি অধিগ্রহনের সরকারি বরাদ্ধের টাকা দ্রুত ছাড় করিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের কাছে চেক বিতরণ করেন। গত শুক্রবার ভূমি অধিগ্রহণকৃত ১২টি চেকের মাধ্যমে, ভূমি মালিকের হাতে ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার নয়শত ৬৬ টাকার চেক তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলে দেওয়া দেন। অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকরা হচ্ছেন,মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, ইয়াসিন মিয়া, জয়নালউদ্দিন,হাসান মিয়া, মকবুল হোসেন, আক্কাস আলী, মোজাম্মেল মিয়া, মাইনুদ্দিন, ওসমান গনি, আব্দুল মোতালিব, রিপন মিয়া, রাবিয়া খাতুন।

চেক হস্তান্তরের সময়,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামূল ছিদ্দিক, উপজেলা সহাকরি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ নাসির উদ্দিন,ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক ও স্থানীয় সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন। 

এবাদুল করিম বুলবুল এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলেই দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু চালু হয়ে যাবে।  

এ ব্যাপারে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত দু’পাশে এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে খুলে দেওয়া হবে। তিতাস নদীতে এই সেতুর চালু হলে স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ২১ কিলোমিটার দূরত্বের নবীনগর উপজেলা সদরের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর