Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

কক্সবাজারে সরকারের মেগা প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৩৫৭জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত পর্যটন নগরী হিসাবে পরিচিত। দেশ-বিদেশের লাখো পর্যটক ভ্রমণ করলেও জেলায় রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিলনা।শীঘ্রই  দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে চালু হচ্ছে রেললাইন।চলতি বছরের  সেপ্টেম্বরেই চালু হওয়ার হওয়ার কথা রয়েছে ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে ট্রেনের প্রথম ট্রায়াল রান।কক্সবাজারের উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প। প্রকল্পগুলো এই জেলায় হলেও এর সুফল পাবে পুরো দেশ। সাগরের বুকে বিমানবন্দরে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরই সমুদ্র ছুঁয়ে ওঠানামা করবে উড়োজাহাজ। পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে হচ্ছে তেল পরিবহনের জন্য ইনস্টলেশন অব সিংগেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্প। প্রকল্পটি চালু হলে জ্বালানি তেল খালাসে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।এদিকে দেশের গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে মাতারবাড়ীর কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এশিয়ান হাব হিসেবে জাহাজগুলোর জন্য যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে বন্দরটি পরিচিতি পাবে। এতে মহেশখালী দ্বীপ পরিণত হবে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক জোনে। এছাড়া বন্দরের উপকূল ঘেঁষেই মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১৪ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছে।।এর বাইরে খুরুশকুলে বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ল্যান্ড বেইজড এলএনজি টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কক্সবাজার, সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র, মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপনের মতো প্রকল্পের মধ্য দিয়ে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।২০১০ সালে ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচলের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু হবে। প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পথে রেলস্টেশন থাকছে ৯টি। পুরো প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৩৯১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় নির্মিত হচ্ছে আইকনিক রেলস্টেশন। সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক স্থাপন ও স্টেশনের কাজ এরই মধ্যে ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে যেখানে সময় লাগে সাড়ে ১১ ঘণ্টা, ট্রেনে পৌঁছাতে সেখানে লাগবে মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টা। কমে আসবে পরিবহন ব্যয়ও। চলতি বছরেই চালু হবে ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচল। আর এর মাধ্যমেই খুলতে যাচ্ছে রেলের দক্ষিণের দুয়ার।ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। ঢাকার সঙ্গে ট্রেনের যোগাযোগ ও দৃষ্টিনন্দন রেল স্টেশন নিয়ে উচ্ছ্বসিত কক্সবাজারবাসী।ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান জানান,  বাড়ির কাছেই আসবে চট্টগ্রাম-ঢাকা যাওয়ার ট্রেন। ফলে সকালে অথবা  রাতে যেকোনো সময় টিকিট কেটেই কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া চট্টগ্রাম - ঢাকায় চলে যেতে পারবো।কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতের তীর ঘেঁষে চলছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের নির্মাণকাজ। সমুদ্রের জলরাশির ওপর রানওয়ের এক প্রান্ত থাকবে। দিনরাত সাগরজল ছুঁয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠানামা করবে এই রানওয়েতে। রানওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হলে অনেকটা ভাসমান রানওয়েতে নামবেন বিমানে আসা যাত্রীরা। অবতরণের সময় যাত্রীদের মনে হবে, যেন সাগরেই নামতে যাচ্ছেন তারা। এমন ব্যতিক্রম অনুভূতি দেওয়ার পাশাপাশি কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরের তালিকায় স্থান পেতে যাচ্ছে এই বিমানবন্দর।প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে বিমানের রিফুয়েলিংয়ের জন্য সবাই দুবাইকে গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহার করে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও ২০০ ফুট বড় রানওয়ে সমৃদ্ধ কক্সবাজার বিমানবন্দর আগামীতে আন্তর্জাতিক আকাশপথের রিফুয়েলিং হাব হবে। রানওয়ে পরিষেবা চালু হলে বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৪৭-এর মতো বড় বিমানগুলো কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হবে।মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪১৪ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যেখানে প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছে। আরও ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কয়লা পরিবহনের জাহাজ জেটিতে আসার পরিকল্পনা থেকেই মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করে এশিয়ান হাব হিসেবে জাহাজগুলোর জন্য যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে বন্দরটি পরিচিতি পাবে। এতে মহেশখালী দ্বীপ পরিণত হবে দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক জোন।একসময় যেটি ছিল অনেকটা অসম্ভব কাজ, এখন তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। চলছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামোর কাজ। ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার বন্দর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এটি চালু হলে মাতারবাড়ীতে ১৬ মিটার গভীরতার জাহাজও ভিড়তে পারবে, যা এশিয়ার এ অঞ্চলে প্রথম।বর্তমান সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কক্সবাজারের জলবায়ু উদ্বাস্তু ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ গ্রহণ করে। ২০২০ সাল থেকে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বাসস্থান তৈরির কাজ শুরু করে সরকার। ২৫৩ দশমিক ৫৯ একর জমির এই প্রকল্পটিতে এক হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচতলা বিশিষ্ট ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ভবনে রয়েছে ৩২টি করে ফ্ল্যাট, প্রত্যেক ফ্ল্যাটে থাকবে একটি করে পরিবার। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন (মোট ব্যবহারযোগ্য) ৪০৬ দশমিক ৭ বর্গফুট, প্রতিটি তলায় রয়েছে কমন সার্ভিস সুবিধা।প্রকল্পের ১৩৯টি ভবনের মধ্যে এরই মধ্যে ২০টি ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে ১৯টি ভবনে ৬০০টি পরিবার প্রায় তিন বছর ধরে বসবাস করছে। কাজ চলমান থাকা বাকি ভবনগুলোরও কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসে এসব ভবনে উপকারভোগীরা উঠতে পারবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে পুনর্বাসন করা হবে চার হাজার ৪০৯টি পরিবারকে। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, সুয়ারেজ লাইন, সোলার প্যানেল, প্রতিটি ভবনে রয়েছে গেস্ট হাউজ, রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরসহ নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন সবকিছু। এছাড়া অভ্যন্তরীণ পাকা রাস্তা ২০ কিলোমিটার।উপকারভোগীদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য একটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রয়েছে ১৪টি খেলার মাঠ, তিনটি পুকুর, একটি মসজিদ ও একটি মন্দির। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ফাঁড়ি, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও বাফার জোন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।কক্সবাজারের এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাজধানী ঢাকার পর সবচেয়ে আধুনিক শহরে রূপ নেবে কক্সবাজার।গত এক যুগ ধরে চলা এসব উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, সরকারের নেয়া নানান উন্নয়নমূলক প্রকল্প বদলে দিয়েছে পুরো কক্সবাজারকে। সবচেয়ে বেশি মেগা প্রকল্প নেয়া হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। এরপরই নেয়া হয়েছে কক্সবাজারে। এসব প্রকল্প বদলে দিয়েছে পুরো কক্সবাজারকে। প্রকল্পগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার হবে একটি উন্নত ও পরিপূর্ণ পর্যটন নগর।তিনি আরও জানান, মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে দেশের সর্বপ্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর জাপানের দুটি ব্যস্ততম বন্দর নিগাতা এবং কাশিমারর আদলে নির্মাণ করা বন্দরটি হতে যাচ্ছে এশিয়ান হাব। বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে মেরিন অ্যাকুরিয়াম স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট। বঙ্গোপসাগরের অপার সম্ভাবনা ও সম্পদ কাজে লাগিয়ে খুলবে নতুন অর্থনীতির দুয়ার।


আরও খবর



ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা নিয়েছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার জোরালো ভূমিকা নিয়েছে,বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন । ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের মিটিং করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মন্ত্রী।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি জানিয়ে তিনি বলে, চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধের ঘাটতি যেন না থাকে তা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবার স্যালাইনের কোনো অভাব হবে না। পাশাপাশি কেউ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এসময় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল জনবল সংকটে ভুগছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জনবল সংকটের সমস্যা অতি দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ করা হবে। এতে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের চাপ কমবে।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় হচ্ছে সড়ক ও পার্ক

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালসী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এ দুটি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এই সম্পর্ক এবং আমিরের এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তার নামে পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

আতিক বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




"মুক্তিপণে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই"

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেছেন জলদস্যুরদের মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের উদ্ধারের তথ্য সরকারের কাছে নেই।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিন্টু রোডে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় জিম্মি অবস্থার অবসান বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (শনিবার) নাবিক মুক্ত হবার সময় জলদস্যুরা নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন নাবিককে জাহাজ থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের নিরাপদ রেখেছে। আমার ধারণা, নাবিকদের দেশে ফিরতে ২০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।

তিনি বলেন, এত কম সময়ে জলদূস্যদের থেকে জিম্মি মুক্তির ঘটনা নজিরবিহীন। নাবিকদের সবাই সুস্থ আছেন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেশের পতাকাবাহী জাহাজ যেখানে যায়, সেটি আমরা অবগত থাকি।

খালিদ মাহমুদ বলেন, জাহাজ দখলে নেওয়ার সময় ২০ জন জলদস্যু ছিল। যখন তারা জাহাজ ছেড়ে যায় তখন ৬০ জন জলদস্যু ছিল। তারা জাহাজ ত্যাগের সময় নিরাপত্তার জন্য ৫-৬ জন নাবিককে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের দৃঢ়তায় নাবিকদের মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত আট বসতবাড়ি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত গেছে ৮ বসতবাড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডে ওই গ্রামের রমজান আলী, মিঠুন কবিরাজ, বাবু কবিরাজ, সেলিম কবিরাজ, নুরজাহান বেওয়া, গুলজান বিবি, রশিদুল ইসলাম ও ছহির উদ্দিনের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে এসব পরিবারের অন্তত আট লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই রমজান আলীর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তে তা আশপাশের বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস ও আশপাশের লোকজন ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে যায় ৮টি বসতবাড়ি।

মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ শফিউর রহমান বলেন, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




নবীনগরে তীব্র গরমে বিনামূল্যে শরবত ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া  প্রতিনিধি:তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, অসহ্য গরমে বিপাকে পড়েছে মানুষ, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। আর সেই মুহূর্তে সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে পাশে দাড়িয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন ওয়ারুক ছাত্র-যুব ঐক্য উন্নয়ন পরিষদের , আর এই পরিষদের পক্ষ থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শ্রমিক জনতা ও পথচারীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শরবত ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে । 

শুক্রবার দুপুরে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে,ওয়ারুক গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গগণের  ও ওয়ারুক ছাত্র-যুব ঐক্য উন্নয়ন পরিষদের সকল সদস্যগণের উপস্থিথিতে, শিবপুর ঐতিহাসিক বিশাল  পশুর হাটের ব্যবসায় , শ্রমিক জনতা ও পথচারীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শরবত ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করাহয়েছে । 

বিনামূল্যে শরবত ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ কালে প্রভাষক আঃ রহিম সাগর বলেন, অসহ্য এই গরমে মানুষকে স্বস্তি দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। অনেকেই আছে যারা চাইলেও এই গরমে বিশুদ্ধ পানি, শরবত খেতে পারেন না। এ ছাড়া শ্রমজীবী মানুষ গরমে অস্বস্তিতে রয়েছে, পথচারী, রিকশা, ইজিবাইক, ভ্যান চালক, খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ প্রায় হাজারো হাজার  মানুষের মাঝে বিনামূল্যে শরবত ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ বিতরণ করা হয়েছে।

অসহ্য গরমে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। ঠান্ডা পানি আর শরবত বিতরণ করে মানুষকে একটি স্বস্তি দেওয়া চেষ্টা করছি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪