Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
মলি আক্তার রিতার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

ছয়মাস আগেই জানা যাবে বন্যার আগাম পরিস্থিতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কুড়িগ্রামসহ উওর-পূর্বাচঞ্চলের জেলাগুলো গতবছরের মে-জুনে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার স্বীকার হয়। পাহাড়ি ঢল ও অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে সিলেট-সুনামগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সম্প্রতি, সেই বন্যা পরিস্থিতির আগাম সংবাদ ছয়মাস পূর্বেই জানার এক প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন সাভারে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বিত একটি দল।

ভয়াবহ এ বন্যার পিছনে বেশকিছু কারণকে দায়ী করা হয় এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো: অস্বাভাবিক জলবায়ু পরিবর্তন, ভারতের ইচ্ছেমতো বাধ ব্যবহার, পানি-পলি ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা,  অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, নদীদখল ও যত্রতত্র বালু উওোলন।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে ভারতের চেরাপুঞ্জি অঞ্চলে। বঙ্গোপসাগরে থেকে আসা জলীয় বাষ্প মেঘালয়ের পাহাড়ের সাথে ধাক্কা লেগে ওপরে উঠে যায় এবং পরবর্তীতে ভারী হয়ে বৃষ্টি আকারে পড়তে শুরু করে। অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্ত থেকেই ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এলাকার শুরু হয়েছে এবং সেখানকার বৃষ্টির পানি  সরাসরি ছয় থেকে আট ঘন্টার মধ্যে তাহিরপুর হয়ে হাওরে এসে মেশে। সিলেট-সুনামগঞ্জের এ ভয়াবহ বন্যার পেছনে চেরাপুঞ্জির এই প্রবল  বৃষ্টিপাতকে প্রধান কারন বলে ধারণা করা হয়। অপরদিকে, উজান থেকে আসা পলি-পাথর, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেষ্টনী পদ্ধতির ব্যবহার, অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, নদীদখল-নদীভরাট, যত্রতত্র বালু উওোলনের ফলে নদীগুলোর পানি বহনের ক্ষমতা কমে যায় এবং পানিবন্দি হয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া নদীর নাব্যতা নষ্টের জন্য ভারত অংশে অপরিকল্পিত পাথর উওোলনকে ও দায়ী করা হয়, উজানে পাথর উওোলনের ফলে মাটি আলগা হয়ে নদীতে চলে আসে এবং নদীর তলদেশ ভরে যায়। এই কারণেই মেঘালয়, আসাম বা চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টিপাত হলেই সিলেট, সুনামগঞ্জ বা কুড়িগ্রাম এলাকায় বন্যার তৈরি হয়।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী এসকল প্রভাবকের সমন্বয় করে মেশিন লার্নিং, এডভান্সড ডিপ লার্নিং এলগরিদম ব্যবহার করে কিভাবে ছয়মাস আগেই বন্যার আগাম সংকেত জানা যাবে সে সম্পর্কিত একটি গবেষণা পেপার পাবলিশ করেছে নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের একদল শিক্ষার্থীরা। "হাইড্রো-ইনফরমেটিক মডেলিং ফর ফ্লাড প্রেডিকশন থ্রো এক্সপ্লেইনেবল এআই টু ইন্টারপ্রেট ওয়াটার ডাইনামিকস ইন-বাংলাদেশ প্রার্সপ্রেক্টিভ" শীর্ষক গবেষণা পেপারটির অথর হিসেবে আছেন নিটারের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেইন মাহির, মোঃ তানজুম আন তাসরিফ, মোঃ আমির হামজা, তওফিকুল হক তামিম। শিক্ষকদের মধ্যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেকচারার দীপাঞ্জলি কুন্ডু এবং একই বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব আনিসুর রহমান।

সম্প্রতি, গবেষণা পেপারটি মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) কর্তৃক আয়োজিত ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিইইআইসিটি) এ প্রেজেন্টেশনের জন্য গৃহীত হয়।


আরও খবর



ঈদে এক কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে: ডিএমপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এক থেকে সোয়া কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে ঈদে।এসব ঈদযাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে ট্রাফিক পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এবারের ঈদ উপলক্ষে অন্তত এক থেকে সোয়া কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বাসের ট্রিপগুলো ঠিক সময়ে দিতে পারলে শিডিউল বিপর্যয় এড়ানো যায়। শিডিউল বিপর্যয় হলেই রাস্তায় অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে। তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়।

গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। পাশাপাশি টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বাসে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, ট্রাফিক বিষয়টা একটা সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে। ঈদে যখন ঢাকা মহানগর থেকে বাসগুলো বেরিয়ে যায়, তখন বেশি দেরি হচ্ছে না। কিন্তু যখন বের হয়ে যাচ্ছে, তখনই কিছু কিছু সড়কে জটিলতা দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশ অনেক উন্নত হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের যদি সমন্বয়টা ভালো করতে পারে, এন্ট্রি-এক্সিটে সমস্যা না হলে এবার খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।

রাস্তায় যাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বের হতে না পারে, সে জন্য গ্যারেজগুলোতে নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেন মুনিবুর রহমান। এ জন্য পার্শ্ববর্তী সব পুলিশ ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ডিএমপি ট্রাফিক–প্রধান বলেন, যেসব যানবাহনে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারটি যেন মেয়াদোত্তীর্ণ/ ঝুঁকিপূর্ণ না থাকে সে বিষয়টি যাত্রাপথের আগে নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চ, টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দরকেন্দ্রিক যাত্রীদের গমনাগমন সুষ্ঠু করার জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট থাকবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণার দাবী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’। আজ ৩০ মার্চ, ২০২৪ রোজ- শনিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন ঐতিহাসিক শাহবাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে অনুসন্ধিৎসু একদল তরুণের সংগঠন ‘শেকড় সন্ধানী’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।   সভায় আলোচকগণ হিজরী সনের ১৯ রমজানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা ও পালনের দাবী জানান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ শফিউর রহমান চৌধুরী এবং অতিথি সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ নিজামুদ্দিন।

শেকড় সন্ধানী’র আহবায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুহম্মদ আসাদুজ্জামান দিবসটির ঐতিহাসিক পটভূমি নিয়ে আলোচনায় বলেন, মধ্যযুগে বাংলা ছিলো এ অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা। কিন্তু ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন শাসকরা ক্ষমতা দখলের পর সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়, নিষিদ্ধ করে বাংলা ভাষাকে।   সেন শাসকরা প্রচার করে, “যে বাংলা ভাষায় কথা বলবে সে নরকে যাবে।  সাধারণ মানুষকে দেবতার ভাষা সংস্কৃতিতে কথা বলতে হবে। ” এর মাধ্যমে সেন রাজারা বাংলা ভাষাকে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করে।  কিন্তু ৬০১ হিজরী সনের ১৯ রমজান তারিখে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সেন শাসক লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলাকে মুক্ত করেন।  এর ফলে শুধু ‘বঙ্গ বিজয়’ হয় না, বরং সেন শাসকরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে যে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিলো, তাও উঠে যায়।  অর্থাৎ বাংলা ভাষা আযাদ বা মুক্তি লাভ করে, সাধারণ মানুষ আবারো বাংলা ভাষা ব্যবহার করার স্বাধীনতা পায়।  তাই এ দিনটি বাংলা ভাষার আজাদী’ দিবস, যা সকল বাংলাভাষী মানুষের জন্য স্মরণীয় একটি দিন। 

মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত একটি মধ্যযুগীয় স্বর্ণমুদ্রা থেকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি (রহমতুল্লাহি আলাইহি) কর্তৃক বাংলা বিজয়ের দিন ৬০১ হিজরীর ১৯ রমজান বলে জানা যায়। ঐ সময় এ অঞ্চলে মাস গণনায় হিজরী সন প্রচলিত ছিলো, বাংলা বা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার ছিলো না। তাই হিজরী সন অনুসারে দিবসটি পালন অধিক যৌক্তিক।

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট বাংলা ভাষা গবেষক ও গ্রন্থ প্রণেতা মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ যদি না আসতো, তবে হয়ত আমরা এখন বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না, নিজেদের বাঙালী বলে পরিচয় দিতে পারতাম না।  অনেক প্রাকৃত ভাষার মত বাংলা ভাষাও হয়ত হারিয়ে যেতো।  তাই এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।  দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাই আমরা এ দিনটি পালন করছি ।  আমরা চাই, আমাদের মত রাষ্ট্রীয়ভাবেও এ দিনটি পালন করা হোক।  ১৯ রমজান তারিখকে জাতীয়ভাবে ‘বাংলা ভাষার আজাদী দিবস’ ঘোষণা করা হোক।

আলোচনায় শেকড় সন্ধানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য, ঢাবির অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, বর্তমান নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা নেই বললেই চলে।  আমরা আমাদের সংগঠন শেকড় সন্ধানীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বাঙালী জাতির শেকড়ে নিয়ে যেতে চাই।  খুঁজে বের করতে চাই, আমাদের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে।   মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত বলেন, ঐতিহাসিক ১৯ রমজান দিনটি উদযাপন তাই আমরা কোন হল বা অডিটোরিয়ামে না করে বেছে নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত মুঘল স্থাপত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহাসিক নির্দশন হযরত হাজী খাজা  শাহবাজ রাহ: জামে মসজিদ প্রাঙ্গণকে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৪শ’ বছরের পুরাতন এমন একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে, তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানেন না।  আমরা চাই, নতুন প্রজন্ম এসব ঐতিহাসিক নির্দশনগুলো সম্পর্কে জেনে তাদের শেকড়ের সন্ধান লাভ করুক।

আলোচনা সভা শেষে প্রায় ৪শ’ অতিথিকে নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় দেশ, জাতি ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাজোর কাতিহার মন্দিরপাড়া এলাকায় নরেশ আমাসু রায়ের নির্মানাধীণ বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) পরিক্ষিত রায় (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিক্ষিত রায় উপজেলার চোপড়া উত্তর পাড়া এলাকার খিরেন্দ্র চন্দ্র রায়ের ছেলে। প্রতিদিনের ন্যায় স্থানীয় রাজমিস্ত্রী সুমনের সাথে কাজ করতে যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজোর মন্দির পাড়া এলাকায় নরেশ আমাসু রায়ের নির্মাণাধীন ভবনে ৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এসময় অসাবধানতাবশত পরিক্ষিত রায় রড কাটার জন্য ড্রিল মেশিনে বৈদ্যুাতিক সংযোগ দিতে গিয়ে ছেঁড়া তারের সঙ্গে জড়িয়ে গুরুতর আহত হন । পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

পীরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ আমাদের হেফাজতে রয়েছে এজন্য রাণীশংকৈল থানায় আমরা একটি বার্তা পাঠিয়েছি। যাচাই বাচাই শেষে বার্তার উত্তর পেলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত কমিটির আহবায়ক মনোনীত হয়েছেন মহিউদ্দিন নশু ও সদস্য সচিব মনোনীত হয়েছেন মনিরুজ্জামান মনির। ২০২২-২০২৩ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৩ মাসের জন্য মিরসরাই সমিতি সংযুক্ত আরব আমিরাত কার্যকরী কমিটির পৃষ্ঠপোষক, উপদেষ্ঠা, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সকল সদস্যের উপস্থিতিতে ১৮ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২০২২-২৩ কার্যকরী পরিষদের সভাপতি এমএ তাহের ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আজম স্বাক্ষরিত ঘোষিত কমিটির অন্যান্যরা হলেন যুগ্ম আহবায়ক আজিমুল বাহার, মুসলিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ইয়াছিন, আবু জাফর, নুরুল ইসলাম, নুরুল আমিন, নাসির হোসেন, সদস্য রাকিব উদ্দিন চৌধুরী কানন, আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম শামীম, সৌরভ মাজেদ ভূঁইয়া, মামুন মোরশেদ, হাশেম লিটন, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সেলিম ও নুরের নবী।


আরও খবর