Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

কাজী নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

‘রাজনীতির কবি’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-১৯৭৫) চেতনায় ছিলেন ‘বিদ্রোহী কবি’ কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)। তাঁর সংগ্রামী জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন আবর্তিত হয়েছে নজরুলের কবিতা ও গানের আলোকে। তিনি সেই শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য থেকে আমৃত্যু ছিলন নজরুল-ভক্ত। বঙ্গবন্ধু নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করতেন, গুনগুন করে তাঁর গান গাইতেন। তিনি ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটি গ্রহণ করেছেন নজরুলের লেখা থেকে। নজরুলের লেখা ‘চল্ চল্ চল্’ গানকে তিনি করেছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় ‘রণসঙ্গীত’। বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক এবং বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত ছিল নজরুলকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে আনয়ন এবং নাগরিকত্ব ও ‘ডক্টরেট’ খেতাব প্রদান। বঙ্গবন্ধু ও নজরুল এবং বাংলাদেশ একই মাল্যে সৌরভে গৌরবে গ্রন্থিত। 

॥২॥

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, শৈশবে- কৈশোরে, ছাত্রজীবনেই বঙ্গবন্ধু বিদ্রোহী কবি নজরুলের জীবন ও সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে অবহিত হন। নজরুল আটবার বৃহত্তর ফরিদপুর সফর করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বয়স যখন পাঁচ বছর তখন নজরুল প্রথমবার (১৯২৫) ফরিদপুর সফর করেন। তখন গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার অংশ ছিল। বেবী মওদুদ সূত্রে জানা যায় যে, ১৯৩৭ সালে কিশোর মুজিব যখন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তখন তাঁর গৃহশিক্ষক কাজী আব্দুল হামিদ তাঁর মধ্যে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ, সাংস্কৃতিক চিন্তা-ভাবনা ও  রবীন্দ্র-নজরুলকে জানার আগ্রহ জাগিয়ে তোলেন।

॥৩॥

বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষভাবে নজরুলের সংস্পর্শে আসেন ১৯৪১ সালের আগস্ট মাসে। ওই সময় তিনি সরাসরি নজরুলের গান শোনেন এবং তাঁকে ও অন্যান্যকে নিয়ে আন্দোলনের জড়িত হন। জানা যায়, নজরুল ফরিদপুর জেলা মুসলিম ছাত্র সম্মিলনের অধিবেশনে অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং ওই বৎসর তাঁর সঙ্গে ছিলেন অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খাাঁ, মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ, মুহম্মদ শামসুল হুদা চৌধুরী ও আবদুর রউফ। কিন্তু প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় এই সমাবেশের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারী করা হলে সাহিত্যিক রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবীরের বাড়িতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মিলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তরুণ শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন: 

“.... ফরিদপুর ছাত্রলীগের জেলা কনফারেন্সে শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁরা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম, হুমায়ূন কবীর, ইব্রাহীম খাঁ সাহেব। সে সভা আমাদের করতে দিল না। ১৪৪ ধারা জারি করল। কনফারেন্স করলাম হুমায়ূন কবীর সাহেবের বাড়িতে। কাজী নজরুল ইসলাম সাহেব গান শোনালেন...”

॥৪॥

বঙ্গবন্ধুর চেতনায় সবসময় দীপ্র ছিলেন রবীন্দ্র-নজরুল। এমনকি তিনি পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছেও বাংলা ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন রচনা তুলে ধরতেন। ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের পরবর্তী বছর ১৯৫৩ সালে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানে যান প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে রাজনৈতিক বিষয় আলোচনার জন্য। ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে তিনি লিখেছেন:

“বিকাল নয়টা রওয়ানা করলাম। শহীদ সাহেব গাড়ি চালালেন, আমি তাঁর পাশেই বসলাম। পিছনে আরও কয়েকজন ও এডভোকেট বসলেন। ... এডভোকেট সাহেবরা আমাকে পূর্ব বাংলার অবস্থা জিজ্ঞাসা করলেন। বাংলা ভাষাকে কেন আমরা রাষ্ট্রভাষা করতে চাই। ... আমার কাছে তারা নজরুল ইসলামের কবিতা শুনতে চাইলেন। আমি তাঁদের ... ‘কে বলে তোমায় ডাকাত বন্ধু’, ‘নারী’, ‘সাম্য’, আরো কয়েকটি কবিতার কিছু কিছু অংশ শুনালাম। কবিগুরু রীবন্দ্রনাথের কবিতাও দু’একটার কয়েক লাইন শুনালাম। শহীদ সাহেব তাঁদের ইংরেজি করে বুঝিয়ে দিলেন।”

॥৫॥

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ উত্তর পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ববঙ্গ প্রদেশে ভাষা আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সংগ্রামে অংশগ্রহণ এবং রবীন্দ্র-নজরুলের সাহিত্য সম্পর্কে উচ্চকণ্ঠে সোচ্চার হন। ১৯৫৩ সালের ২৩ মে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ কর্তৃক রবীন্দ্র-নজরুল জন্মবার্ষিকী পালিত হয় ঢাকার মোগলটুলী প্রধান কার্যালয়ে। এসময় তরুণ রাজনীতিক শেখ মুজিবুর রহমান নজরুলের সংগ্রামী জীবন ও বিপ্লবী কবিতা এবং গান নিয়ে প্রবন্ধ রচনা করে নতুন ইতিহাস তৈরি করেন। এই অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক কাজী নজরুল ইসলামের ওপর লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ওই সময় রাজনৈতিক সফরে করাচী অবস্থান করায় প্রবন্ধটি পাঠ করেন মোশাররফ হোসেন চৌধুরী। ১৯৫৩ সালের ১৮ জ্যৈষ্ঠ তারিখে সাপ্তাহিক ‘ইত্তেফাক’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে লেখা হয়:

“পূর্ব পাকিস্তানে- পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাতা জনাব শেখ মুজিবুর রহমান এই সময় করাচী থাকায় তাঁর প্রেরিত এক প্রবন্ধ জনাব মোশাররফ হোসেন চৌধুরী পাঠ করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধটি কবি নজরুল ইসলামের বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিদ্রোহী জীবনযাত্রার এক নিখুঁত আলোচনা রূপ প্রত্যক্ষ হয়। প্রবন্ধের উপসংসহারে বর্তমান শোণিত লোলুপ জগতের অত্যাচার ও অবিচারের কণ্ঠরোধের জন্য কবির বৈপ্লবিক জীবনাদর্শ ছাত্র-যুবক ও জনগণের কতখানি প্রয়োজন আছে তাহাই প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়।’’

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের স্বকণ্ঠ অডিও (রেকর্ড) তাঁর ‘দরিদ্র’ কবিতা এবং নজরুলের ‘বিদ্রোহী’, ‘কূলি মজুর’ ও ‘সর্বহারা’ পাঠ করা হয়।

 ২৪ মে, ১৯৭২ ঢাকায় ‘কবি ভবনে’ বঙ্গবন্ধু কাজী নজরুল ইসলামকে পুষ্পমাল্যে বরণ করছেন

॥৬॥

বঙ্গবন্ধু কবি নজরুলকে ভালোবাসতেন ও শ্রদ্ধা করতেন তা জানা যায় নজুরুল গবেষক আসাদুল হক সূত্রে। তিনি লিখেছেন যে, ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু কলকাতায় গেলে তিনি কবি নজরুলকে দেখার ইচ্ছে পোষণ করেন। তখন আসাদুল হক ডেপুটি হাইকমিশনে চাকুরিরত। তিনি কলকাতাস্থ মনন্নথ দত্ত রোডে দোতলার ফ্ল্যাটে নজরুলের বাসগৃহে বঙ্গবন্ধুকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। আসাদুল হক লিখেছেন-

‘‘বঙ্গবন্ধু যখন নজরুলকে দেখতে যান তখন সঙ্গে নিয়ে যান একগুচ্ছ রজনীগন্ধা ও সন্দেশের একটি প্যাকেট। কবির বাসায় তিনি যখন যান তখন কবি শুয়ে বিশ্রাম করছিলেন। আগন্তুক প্রবেশ করতে দেখে কবি উঠে বসেন। বঙ্গবন্ধু তাঁকে হাত উঠিয়ে সালাম জানান এবং নজরুলের হাতে রজনীগন্ধার গুচ্ছ দেন। কবি হাত বাড়িয়ে তা গ্রহণ করেন।’

॥৭॥

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও সাংস্কৃতিক চেতনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুলের কবিতা ও গান প্রায় সমভাবে উচ্চারিত হতো। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি রমনা রেসকোর্স ময়দানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রদত্ত ভাষণেও তিনি এই দুই কবি সম্পর্কে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী ও একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের হীনমন্যতার নিন্দা করেন। তিনি বলেন-

‘কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ইসলামকে উপেক্ষা করিয়া বাংলা সাহিত্যের কথা চিন্তা করাও পাপ। অথচ এদেশে রবীন্দ্রনাথ অপাঙক্তেয় ও নজরুল সাহিত্যকে ‘মুসলমানী’ করার নামে বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছে।’

তাঁর একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায় অন্য একটি অনুষ্ঠানেও। বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭১ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘পূর্ব পাকিস্তান শিল্পী সমাজ’ সংবর্ধনা দেয় এবং এতে তাঁকে ‘বঙ্গ সংস্কৃতির অগ্রদূত’ খেতাব দেয়া হয়। প্রতি উত্তর ভাষণে বঙ্গবন্ধু দেশের গণমুখী সংস্কৃতি বিকাশের উপর জোর দেন। তিনি বলেন-
‘আপনারা ভালোবাসা এবং শান্তির অনেক গান গেয়েছেন। আজ সর্বহারা মানুষের জয়গান রচনার দিন এসেছে। রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের মতো বিপ্লবী গান গাইতে হবে।.... কোন বিশেষ মহল তথাকথিত ইসলামের নামে নজরুলের গান ও কবিতার শব্দ বদলেছে। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে বাদ দিলে বাংলা সাহিত্যের অস্তিত্বটা যাবে কোথায়।’

॥৮॥

স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও অবদান হচ্ছে নজরুলকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কালকাতা থেকে বাংলাদেশে এনে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করা। বঙ্গবন্ধু নজরুল ও তাঁর পরিবারের জন্য ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি বরাদ্দ করেন। এই বাড়িতেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিকে দেখতে যান। পরে কবির জন্য মাসিক ভাতা মঞ্জুর করা হয়। ঐ বছরই এক বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, নজরুল বাংলার বিদ্রোহী আস্থা ও বাঙালির স্বাধীন ঐতিহাসিক রূপকার...।

১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে কবি নজরুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডিগ্রি ‘ডিলিট’ প্রদান করেন। ১৯৭৫ সালের ২২ জুলাই নজরুলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য পিজি হাসপাতালে (১১৭ নং কেবিন) স্থানান্তরিত করা হয়। এই হাসপাতালেই কবির মৃত্যু ঘটে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (১৩৮৩ সালের ২ ভাদ্র।)

॥৯॥

বঙ্গবন্ধু নজরুলের রচনাবলী সুযোগ পেলেই পাঠ করতেন বলে জানা যায়। তাঁর প্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল নজরুলের ‘নম নম বাংলাদেশ মম’। নজরুল লিখেছেন ‘বাংলা বাঙালির হোক। বাংলার জয় হোক, বাঙালির জয় হোক আর বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়েছেন ‘জয় বাংলা’। নজরুল ‘পূর্ণ অভিনন্দন’ (ভান্ডার গান কাব্যের অন্তর্ভূক্ত) কবিতায় জয় বাংলা শব্দটি ব্যবহার করেছেন। গবেষক শামসুজ্জামান খান লিখেছেন, নজরুলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু (বিশেষভাবে ঋণী) তাঁর জয় বাংলা শ্লোগানের জন্য।১০ আজ দু’জনই শারিরীকভাবে বেঁচে নেই। কিন্তু নজরুলের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আছে, আছে বাঙালি। আর আছে সেই অমর শ্লোগান বাণী ‘জয় বাংলা’।

॥১০॥

বঙ্গবন্ধুর প্রিয় নজরুলের লেখা কবিতা ও গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
১। বিদ্রোহী
২। নারী
৩। সাম্য
৪। কে বলে তোমায় ডাকতে বন্ধু
৫। চল চল চল উর্ধ্বগগনে বাজে মাদল
৬। ‘নম: নম: বাংলদেশ নম:।

সূত্র লিপি
১. বেবী মওদুদ, (বঙ্গবন্ধু) মাধ্যমিক শিক্ষা, মুনতাসীর মামুন (স) বঙ্গবন্ধু কোষ, ঢাকা, ২০১২, পৃ: ২৮০-২৭১।
২. শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ঢাকা, ২০১২, পৃ: ১৬।
৩. গুক্ত, পৃ: ১৬।
৪. ফিদুল হক, তিন বসন্তের সুরাজ ও একটি নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠান, মুহম্মদ নূরূল হুদা (স), নজরুল ও বঙ্গবন্ধু, ঢাকা, ১৯৯৭, পৃ: ৭৩-৭৫।
৫. আসাদুল হক, কাজী নজরুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু, মুহম্মদ নূরুল হুদা (স:) প্রাগুক্ত, পৃ: ৪৭-৪৮।
৬. উদ্ধৃত, সেলিনা হোসেন, পূর্ববঙ্গ থেকে বাংলাদেশ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শেখ মুজিবুর রহমান, ঢাকা ২০২০, পৃ: ৭৪-৪৮। 
৭. উদ্ধৃত, প্রাগুক্ত, পৃ: ৪৮।
৮. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, নজরুল বাঙালির স্বাধীন স্বত্তার ঐতিহাসিক রূপকার’ মুহম্মদ নূরুল হুদা (স), প্রাগুক্ত, পৃ: ১৫-১৬।
৯. সাদতউল্লাহ খান, প্রাগুক্ত, পৃ: ৮৫।
১০. শামসুজ্জামান খান, কবি নজরুল, বঙ্গবন্ধু ও জয় বাংলা, মুহম্মদ নূরুল হুদা (স:) প্রাগুক্ত, পৃ: ৫৭-৫৮। 


আরও খবর



‘সরকার ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে’

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, সরকার ২০১৮ সালের মতো একটি প্রহসনের নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। সরকারকে বলব, ওই ধরনের নির্বাচন করার স্বপ্ন ভুলে যান। দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না,  জনগণ এ ধরনের নির্বাচন হতে দেবে না। তাই সময় থাকতে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় জনগণকে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ১০ দফা দাবি আদায়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে, আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

দেশে এখন ডিজিটাল কায়দায় একদলীয় শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক।

নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া আন্দোলন চলবে বলেও জানান ফরহাদ।

জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন শিল্পী, গণদলের মহাসচিব আবু সৈয়দ, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল কাদের চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, যুগ্ম মহাসচিব আবু মেহেদী প্রমুখ।


আরও খবর



আমিষ খাবারের স্বাদ বদলে দেয় যে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

গৃহস্থ বাড়ির প্রত্যেক রান্নাঘরেই রসুন মজুত থাকে। এটা যেকোনো আমিষ খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে দেয়। কিন্তু কিছু লোক উপকার পাওয়ার জন্য রসুন কাঁচাই খেয়ে থাকেন। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-সি, ফাইবার, প্রোটিন ও ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান। আপনি কি জানেন প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খেলে আপনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক উপকার পেতে পারেন। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনের কোয়ার প্রতিটি অংশকে লবঙ্গ বলা হয়। একটি রসুনে প্রায় ১০-২০টি লবঙ্গ থাকে। খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক কোয়া রসুন খেলে উপকার পাওয়া 

হজম শক্তি বাড়ায় ও অ্যাসিডিটি কমায়

প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খাওয়া গ্যাস্ট্রিক জুসের পিএইচ উন্নত করে এবং হজমের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুরনো রসুনের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক মিউকোসাল আস্তরণ নিরাময়ে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো অন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের পরজীবী ও মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণকে মেরে ফেলে। রসুনের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি কোলাইটিস, আলসার ও অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সংক্রান্ত রোগ কমাতে সাহায্য করে। 

রক্তচাপ ও রক্তজমাট বাঁধা কম করে 

রক্তচাপ কমাতে রসুন খুবই উপকারী কারণ এটি নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং এইচ২এস-এর মতো ভাসোডিলেটিং এজেন্ট উভয়ের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। উপরন্তু, এটি ভ্যাসকনস্ট্রিকশন এজেন্ট উৎপাদন হ্রাস করে।

কোলেস্টেরল কমায় 

রসুনের ঘনত্ব রক্তনালীতে এলডিএল কোলেস্টেরল অক্সিডেশন এবং প্লাক প্রতিরোধ করে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। 

কিডনি রোগে সহায়ক 

এলিসিন নামের যৌগিক পাওয়া যায় রসুনে। এটা কিডনির শিথিলতা, রক্তচাপ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। এটিতে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নেফ্রোপ্রোটেক্টিভ প্রভাব রয়েছে।

ইমিউনিটি ভালো করে 

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, যা অ্যালিসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফারযুক্ত যৌগগুলোর কারণে হতে পারে। 

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল 

বিভিন্ন সময়ে কয়েক শতাব্দী ধরে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়তে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত রসুন খাওয়া সাধারণ সর্দি, ফ্লু, পেটের সংক্রমণ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ও ইউটিআই প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।  

সতর্কতা 

রসুন ব্যবহার করার সময় মনে রাখবেন যে এটি খাওয়ার আগে, এটি কেটে থেঁতো করে অন্তত ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এটি করলে এতে উপস্থিত অ্যালিসিন বৈশিষ্ট্যগুলো আরও বাড়বে। এটি একটি যৌগ যা অনেক স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য দায়ী।


আরও খবর

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ

শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩

খেজুর খাবেন ইফতারে যে কারণে

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩




সরকারের ব্যর্থতায় চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিস্ফোরণ: ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের ব্যর্থতায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ও রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠক শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়কের মধ্যে ছিলেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম ও শাহজালাল মোল্লা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটছে। ভবন-কারখানাগুলো ঠিকভাবে চলছে কি না, নিয়ম মানছে কি না, সেগুলো দেখার দায়িত্ব যেসব সংস্থার, তাদের ব্যর্থতার কারণে এমন প্রাণহানি ঘটছে।

তিনি বলেন, আজ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণে তিনজন মারা গেছেন। এসব বিস্ফোরণ কেন ঘটছে? এর পেছনে কারণ কী? এগুলোর সঠিক অনুসন্ধান প্রয়োজন।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানা এবং রাজধানী ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

আহমদিয়া জামাতের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে চরম সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুইজন নিহত হয়েছে, দোকান-পাটসহ বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকলেন কেন? সেখানে সমাবেশ করা অনুমতিই বা দেওয়া হল কেন? পরবর্তীকালে যখন হামলা হয়েছে, তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন? আমরা মনে করি সরকার অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে এটা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে। জিনিসপত্রের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় রাজনৈতিক দলসহ দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। এর জন্য সম্পূর্ণ সরকার দায়ী। তাদের জবাবদিহি করতে হবে এবং দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, ‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়টাকে ঘুরানোর জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। এটা মানুষ এখন বলাবলি করছে। আপনারা দেখেছেন, কয়েকদিন আগে প্রাথমিক বৃত্তির ফল নিয়ে সরকার কিভাবে বিতর্কিত করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’


আরও খবর



মেহেদী হাসান মিরাজ হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী শনিবার সিলেটে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ড। এর আগের দিন দলীয় অনুশীলনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন টাইগাররা।

আজ শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনে গা গরমের জন্য ফুটবল খেলছিল তামিম ইকবালের দল। এ সময় বুকে আঘাত পেয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ। বুকের আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অনুশীলনের সময় পেসার হাসান মাহমুদের একটি শট হঠাৎ করে এসে মিরাজের বুকে লাগে। এরপর বুকে হাত দিয়ে মাঠেই বসে পড়েন এই অলরাউন্ডার। এ ঘটনায় টাইগার ক্যাম্পে প্রবেশ করে কিছুক্ষন মিরাজকে দেখাশোনা করেন ফিজিও বাইজিদুল ইসলাম। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

এর আগে বৃহস্পতিবার অনুশীলনের সময় বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চোট পেয়ে ওয়ানডে দল থেকে ছিটকে গেছেন জাকির হাসান। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রনি তালুকদার। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর পর ওয়ানডে দলে সুযোগ পেলেন এ ডানহাতি ব্যাটার। 

প্রসঙ্গত, আগামী ১৮, ২০ ও ২৩ মার্চ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে আইরিশদের তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুই ওয়ানডে শুরু হবে দুপুর দুইটায় এবং শেষ ওয়ানডে হবে আড়াইটায়। 

এরপর টি-২০ ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে ২৭, ২৯ ও ৩১ মার্চ। ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম, যা শুরু হবে দুপুর দুইটায়। 

এছাড়া আগামী ৪ এপ্রিল থেকে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি। 


আরও খবর

বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতল

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩

১০১ রানে শেষ আয়ারল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩




সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। দেশটিতে টানা ১০তম সপ্তাহের মতো চলছে এই বিক্ষোভ। গতকাল শনিবার দেশটির বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমেছে কয়েক লাখ প্রতিবাদকারী। অনেকে গতকালের এ বিক্ষোভকে দেশটির ইতিহাসে বৃহত্তম প্রতিবাদ বলছে। খবর আল-জাজিরা, বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিচার বিভাগ সংক্রান্ত আইনগুলোতে বড় রকমের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই চলছে এ বিক্ষোভ। 

বিক্ষোভের আয়োজকরা বলছেন, শনিবারের বিক্ষোভে রেকর্ড পাঁচ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এই সংখ্যা বলা হচ্ছে, আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ।

তেল আবিবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রান শাহর নামে এক প্রতিবাদকারী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমি প্রতিবাদ করছি কারণ নতুন সরকার যে পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছে তা ইসরায়েলের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।

তামির গাইয়সাব্রি (৫৮) নামে এক ব্যক্তি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এটা বিচার বিভাগের সংস্কার নয়। এটি আমূল পরিবর্তন যা ইসরায়েলকে পুরোপুরো একনায়কতন্ত্রে পরিণত করবে।

ইসরায়েলি মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল আবিবে অন্তত দুই লাখ মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে, অন্যদিকে হাফিয়া শহরে ৫০ হাজার এবং বীরশেবায় ১০ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। তবে বিক্ষোভে তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি যদিও পুলিশ তেল আবিবে রাস্তা অবরোধের অভিযোগে তিনজন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছেন।

বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড বীরশেবায় বিক্ষোভকারীদের বলেছেন, দেশ তার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সংকটের মুখোমুখি।

এর আগে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উগ্র ডানপন্থীদের সমর্থন নিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো ইসরায়েলের নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়া নেতানিয়াহু বিচার বিভাগের এমন কিছু সংস্কার করার পরিকল্পনা করেছেন যা তার বিরোধীরা বলছেন এতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট দুর্বল হয়ে পড়বে। 


আরও খবর