Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

কাবার গিলাফ বদলে যাচ্ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ২৪৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত পবিত্র মসজিদুল হারামে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সি কাবার গিলাফ পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিভাগের প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন গিলাফ প্রস্তুতকারক, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদরা। এ কাজে জড়িতদের দক্ষতা যাচাই করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ১৫ জনকে। 

কাবার গিলাফের জন্য কিং আব্দুল আজিজ কমপ্লেক্সের জেনারেল প্রেসিডেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি আমজাদ আল-হাজমি বলেন, নতুন হিজরি বছরের শুরুতে কাবার গিলাফ বদলানো হবে। এই কাজের জন্য এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, কাবার গিলাফ তৈরি ও সেলাইয়ের কাজে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। কাবার নতুন গিলাফের চেহারাও অত্যন্ত উচ্চমানের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার আগে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন পরিবর্তন করা হতো কাবার গিলাফ। তবে গত বছর থেকে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিজরি নববর্ষে পরিবর্তন করা হচ্ছে কাবার গিলাফ। গত বছরের মতো এবারও হজের সময়ে ঐতিহ্য অনুযায়ী ৯ জিলহজ গিলাফ পরিবর্তন করা হয়নি।


আরও খবর

হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



তানোরে ইউপি আ"লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার শেষ বিকেলের দিকে ইউপির ছাঐড় নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বর্ধিত সভা। কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান ইউপি সভাপতি আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মুনসেফ আলী, শিক্ষক আ"লীগ নেতা জিল্লুর রহমান, উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি শিক্ষক রাম কমল সাহা, কামারগাঁ ইউপি উত্তর শাখার সভাপতি প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক, সাবেক সম্পাদক সুফি কামাল মিন্টু, সাবেক ইউপি যুবলীগ সভাপতি মেম্বার তোফায়েল আহমেদ, উত্তর শাখার সম্পাদক নির্মল সরকার। কামারগাঁ ইউপির উত্তর শাখা যুবলীগের সম্পাদক হায়দার আলীর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে ছিলেন, উত্তর শাখা যুবলীগের সভাপতি সাফিউল ইসলাম, দক্ষিণ শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম, ওয়ার্ড আ"লীগ সভাপতি মেম্বার লুৎফর রহমান, আব্দুল মজিদ, মেম্বার বলু, মতিউর রহমান, মামুন, পিজুস প্রমুখ। এসময় ইউপির নয় ওয়ার্ডের আ"লীগের সভাপতি সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



তীব্র তাপদাহ থেকে কৃষকদের সুরক্ষায় উপকরণ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা ইউনিয়নের নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামের  মাঠে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার বিকেলে দরিদ্র ও অস্বচ্ছল কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কাস্তে, গামছা ও মাথাল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেণ মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। 

চলমান তীব্র তাপদাহের মধ্যে কৃষকদের কৃষিকাজের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসন, মাগুরা এ ভিন্নধর্মী আয়োজন করে। উক্ত কৃষি উপকরণসমূহের সাহায্যে বিরূপ আবহাওয়ার হাত থেকে কৃষকরা কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাবে।  অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক  ড. মো: ইয়াছিন আলী, মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমান, মাগুরা সদর,উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রতিবন্ধী কৃষক আক্কাচ খান প্রমূখ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন,  মাগুরা জেলা প্রশাসন সর্বদা কৃষকদের কল্যাণার্থে কাজ করে যাচ্ছে। মাগুরা জেলার কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে ও তা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন জেলা প্রশাসক।

আরও খবর



তানোরে সরকারি রাস্তা দখল ও গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে সরকারি রাস্তা দখল ও গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালের দিকে  উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপির)  ইলামদহী গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। এঘটনায় সোমবার সকালের দিকে পাচন্দর ইউপি এলাকার দুবইল গ্রামের আশরাফুল আলী বাদী হয়ে দখল দার ইলামদহী গ্রামের ইয়ামিন ও রোসদুলকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভূমি দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। তবে নির্মাণ কাজ বন্ধ হলেও রাতের আধারে বাড়ি নির্মাণ হবে বলে আশংকা অভিযোগ কারীর। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগে উল্লেখ, ইলামদহী মৌজার অন্তর্ভুক্ত এক নম্বর খাস খতিয়ানের নকশা মোতাবেক সরকারি রাস্তা রয়েছে। রাস্তার পিছনে অভিযোগ কারীর ধানী জমি রয়েছে। জমির সামনেই রাস্তা দখল ও একটি গাছ কেটে বাড়ি নির্মানের জন্য জায়গাটি দখলে নেন ইয়ামিন ও রোসদুল।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইলামদহী থেকে নোনা পুকুর যাওয়ার জন্য রয়েছে মাটির রাস্তা। সরকারি নকশায় জায়গাটি রাস্তা হলেও তার দক্ষিণে মাটির রাস্তা ব্যবহার করা হয়। বাড়ি নির্মানের পিলার তোলার জন্য পাঁচটি গর্ত খনন করা হয়েছে। কাজ বন্ধ হলেও মিস্ত্রিরা রোডের কাজ করছিলেন। জায়গাটির পশ্চিমে জলাশয় রয়েছে, সেটিও ভরাট হয়ে পড়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, অভিযোগ কারী আশরাফুল জানান, নকশায় রাস্তা এটি।পিছনে আমার ব্যক্তিগত জমি। জায়গাটি দীর্ঘ দিন ধরে ফাকা পড়ে ছিল। হঠাৎ করে সোমবার সকালের দিকে বাড়ি নির্মানের পিলার তোলার জন্য খনন করে। আমি নিষেধ করলে তারা সাব জানিয়ে দেয় সরকারি লোক জন নিষেধ করলে কাজ করব না। তাছাড়া কাজ চলবেই। শুধু জায়গা দখল না একটি ইউকালেকটর গাছ কেটেছেন। তারা এর আগেও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটেছে।তবে দখলদার ইয়ামিন ও রোসদুল বলেন, জায়গাটি রাস্তা হলেও ব্যবহার হয়না। জায়গাটি আমরা দীর্ঘ দিন ধরে পরিচর্যা সহ আমাদের দখলে রয়েছে। যিনি অভিযোগ করেছেন তার জমি রয়েছে পিছনে। এজায়গা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। আমাদের কে হয়রানির করার জন্য অভিযোগ করেছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



নিটারিয়ানদের ভাবনায় ঈদ-আনন্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন পালন করবেন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। তবে ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ক্লান্তিময় জীবনের শেষে সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে ঈদ পালনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসায় পৌছে গেছে । ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে  নিটার শিক্ষার্থীদের কেমন সময় কাটছে, কেমন উপভোগ করছেন ঈদের আমেজ তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                                                    ‘‘অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রেমে মগ্ন হয়ে ঈদের উৎসবে”
আমার ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এবং কাঁচা আমের সুগন্ধে। আম্মু দেখি এখনো বিভিন্ন রকম খাবার  তৈরিতে ব্যস্ত । আমার ছোট ভাই-বোনেরা এসে বলতে লাগল, “ভাইয়া, আজকে কিন্তু আপনাকেও সালামি দিতে হবে।” বললাম, “আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আগে গোসলটা করে আসি।” আমার নানুর বাড়ি আমাদের বাড়ির মোটামুটি পাশেই। গোসল করার পর কাপড়-চোপড় নিয়ে নানুর বাড়ি গিয়ে মামাদের ডাক দিলাম। বললাম, “চলেন, নদীতে গোসল করতে যাই।” সবাইকে নিয়ে মাতামুহুরি নদীতে একসাথে গোসল করলাম। অনেক মজা করলাম। আমার নানুর বাড়ি যেহেতু কাছে, তাই ঈদ মানে আমার দ্বিগুণ উৎসব দ্বিগুণ আনন্দ। গোসল করে বাসায় গিয়ে তৈরি হয়ে সবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে রওনা দিলাম । ঈদের নামাজ পড়ে সবার সাথে কোলাকুলি করলাম। ধনী-গরিব সবাই একসাথে নামাজ পড়ছে, কুশলবিনিময় করছে এরচেয়ে আর সুন্দর মুহূর্ত কি হতে পারে! পুরাতন বন্ধুদের সাথেও দেখা হয়ে গেল।  নামাজ পড়ে বের হতেই চারিদিকে শুধু  সুঘ্রাণ পাচ্ছি। তর সইছে না। বাড়ি গিয়ে  অবস্হা কাহিল, সালামি নেওয়ার জন্য সবাই ঘেরাও করছে ওদের সালামী দিতে গিয়ে আমার পকেট ফাঁকা।  এরপর  প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে যে  ভোজন শুরু করলাম, শেষ কিন্তু আর হয় না। এমন ভোজন করলাম যে, পেট ফেটে যাবে এমন অবস্হা, তবু ইচ্ছা করতেছে আরও খাই। কেন খাব না বলেন! খাবারে যদি থাকে পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, সেমাই ও বিভিন্ন রকমের পিঠা ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভোজনের সাথে কিন্তু আমিও সালামি নিতে ভুলিনি। এরপর বছরের সব জমানো কথা নিয়ে বিকালে স্কুলের মাঠে পুরাতন বন্ধুরা আড্ডা  দিতে বসলাম। এইভাবে অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং ঘুরে বেড়িয়ে আমার ঈদ কাটালাম।
কবির মোহাম্মদ গালিব তাসপি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                          ‘‘ছোটবেলার সেই চাঁদরাত আর আজকের চাঁদরাত”
ছোটবেলায় বিশ রোজার পর অপেক্ষায় থাকতাম কবে ২৯ রোজা আসবে, চাঁদ উঠবে। দোয়া করতাম যেন, কোন মতেই ঈদ ৩০ রোজায় না হয়। কারণ ২৯ রোজায় চাঁদ ওঠা একটা অনিশ্চয়তার ব্যাপার, আর তাই মজার। ইফতার করতে পারতাম না সেদিন, পানি আর দুই একটা জিনিস মুখে দিয়েই দৌড়। পিছন পিছন আম্মা হয়তো বলত, এই দাঁড়া, দাঁড়া। কে শোনে কার কথা? আমরা থাকতাম কলোনীতে, চাঁদ দেখতাম বড় মাঠে গিয়ে। আমরা এখন আর কলোনীতে থাকি না, সেই মাঠ এখনো আছে, কিন্ত আমরা ঢাকাবাসীরা কতদিন চাঁদ দেখি না। এখন চাঁদ দেখা যায় চুয়াডাংগা, পঞ্চগড় এ।আর দেখা যাবেই বা কেম নে ঢাকাতে এখন আকাশ দেখা যায় নাকি? চাঁদ উঠলে আমরা বাজি ফুটাতাম, তারাবাতি জালাতাম। আরেকটু বড় হলে ভাইরা ডেক সেটে গান ছাড়ত, মসজিদে মসজিদে আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, অসাধারাণ সেই সুর, কিছুক্ষন পর পর হুজুরের জানিয়ে দেয়া ঈদের জামাতের সময়। বাসা বাসা থেকে আসত রান্নার গন্ধ। সব মিলিয়ে আনন্দটা ছিল অনেক বেশি। এখন আর ছোট নেই, আমি বড় হয়েছি। এখন অনেক দায়িত্ব। তবুও মাঝে মাঝে খুব ছোট হতে ইচ্ছা করে আবারো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখনো ঈদে অনেক আনন্দ আছে, অন্যরকম এবং দায়িত্বের। ছোট বেলার সেই বল্গাহীন আনন্দটা নেই। তবে সেজন্য আমি দুঃখিত নই এতটুকুও, মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই এই আর কি! সবাইকে ঈদ মোবারক।
মোঃ আরাফাত হোসেন রাফি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                        ‘‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে পরিবার”
ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে সীমাহীন আনন্দ ও ভালোবাসা। ব্যস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবনে ঈদ নিয়ে আসে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বয়স ভেদে মানুষের কাছে ঈদের সংজ্ঞা বা ঈদের আনন্দের রঙ একটু আলাদা। কেউ সকালে শত আশা-প্রত্যাশা নিয়ে জেগে উঠে ঈদের দিন ভোরে সকলের দোয়া নেওয়ার আশায়, কেউবা শত ত্যাগ এর মাধ্যমে হাসি ফুটিয়ে দেয় পরিবারের ছোটোবড় সকলের মাঝে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়াই ঈদের সার্থকতা। আবার, সকল ছেলেদের কাছে ঈদ স্বপ্নের চেয়ে কোন অংশে কম নয়! কারণ, এই দিনে সে নিজের বাবার সাথে কোলাকুলি এবং সালাম করার মাধ্যমে জীবনের সকল হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে জীবন, যেমন করে ঈদের দিন ভোরে একটু একটু করে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হয় নতুন একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনের আশায়। আবার, শেষ রোজার সন্ধ্যায় সূর্য পশ্চিমে লুকিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে দেখা যায় ছোট্ট একফালি ঈদের চাঁদ। যা সকলের শত ক্লান্তি ও পরিশ্রমের পর স্নিগ্ধ এক হাসির কারণ। ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মোঃ সাদিয়াল হোসেন, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                  ‘‘ঈদ মানে ব্যস্ত জীবনে আনন্দের ছোয়া”
ঈদ হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ হতে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালনের পর ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে আনে। ঈদের আগমন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ে, ছোটবেলায় দাদুবাড়িতেই ঈদ কাটানো হতো। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের নামাজে ঈদগাহে যাওয়া কিংবা নামাজে না গিয়ে চাচাতো ভাইয়াদের সাথে সদাই খাওয়া, খেলনা কিনার দিনগুলো এখন শুধুই সোনালী অতীত। যতই বয়স বেড়েছে ঈদের আনন্দ আসতে আসতে কমে এসেছে। তবুও ঈদ যেন পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেওয়ার সু্যোগ করে দেয়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনা, খেলাধুলা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে সরে যাই। তবে ঈদের সময় বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষেরা খোঁজখবর নেয়। পুনরায় যোগাযোগ করার একটি সুন্দর সুযোগ হয়ে উঠে। এবারের ঈদটি কিছুটা বিশেষ কারন এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ঈদ। ঈদের দিন রাত থেকেই অন্য রকমের অনূভুতি হয়। সকালে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু। আব্বু-আম্মুর থেকে সালামি নিতে ভুল হয় না। তারপর কিছুটা মিষ্টিমুখ করে ঈদের নামাজ শেষ হয়। পেটুক হওয়াতে কিছুক্ষণ পর পরই মুখে কিছু দিতেই হয়। সারাদিন আব্বু-আম্মু আর বোনের সাথে অনেক মজায় সময়গুলো কাটে। বিকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুরতে যাওয়া ঈদ আনন্দের অন্যতম অংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সহপাঠী বন্ধুদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এই ঈদটি আরো বিশেষ হওয়ার অন্যতম কারন হলো এই রমজানের শেষের দিকে অর্থাৎ ঈদের আগ মুহূর্তে ঘটে গেছে সূর্যগ্রহণের মতো বিরল এক ঘটনা যা প্রায় ১২৫ বছরের ব্যবধানে হতে দেখা যায়। এই হলো আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একজনের ঈদ! হয়তো ঈদ উদযাপন খুবই সাধারণ, তবুও ছোটবেলার মতো খুবই জাকজমকপূর্ণ না হলেও এমন বিভিন্ন কারনে এই ঈদ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা ঈদের দিনের মতো বছরের অন্যান্য সময়গুলোও কিছুটা হলেও আনন্দময় করে দিক এবং মুছে দিক সকল বেদনা।
মোঃ আব্দুল হাশেম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর