Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

জয়পুরহাটে আবু হোসাইন হত্যা মামলায় মা ছেলে সহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৩০জন দেখেছেন

Image

এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ১৯ ফেব্রুয়ারি,২৪ জয়পুরহাটে আবু হোসাইন হত্যা মামলায় মা ছেলে সহ ৫ জনেরমৃত্যুদণ্ডর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

দ-প্রাপ্তরা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার কোকতাঁরা গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর স্ত্রী সহিদা বেগম তার ছেলে রব্বানী, নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন ও দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা ও তার ছেলে রাফিউল।মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ এ মার্চ সকালে পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের আবু হোসাইনের বাবা আবু তাহের নিজের খড়ের পালায় কাজ করছিলেন। সেসময় আসামিরা পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সেখানে এসে আবু তাহেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করেন। তখন তার ছেলে আবু হোসাইন বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করেন আসামীরা। এসময় মুমুর্ষ অবস্থায় আবু হোসাইনকে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আরও অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারপর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে পাঁচবিবি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



গাংনীতে অফিসে না গিয়েও হাজিরা খাতায় শতভাগ উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২৩জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ আমির হামজা অফিস করছেন স্বেচ্ছাচারিতার ভিত্তিতে। দুয়েক দিন অফিসে আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে অফিস ত্যাগ করেন। তবে রোগী পেলে বিভিন্ন পরীনিরীক্ষার জন্য লিখে দিয়ে চলে যান। এতে এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সরজমিনে সোমবার দুপুরে তার অফিসে গিয়ে দেখা মেলেনি। অফিসে কর্মরত এক নারী কর্মচারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ির কাজে তিনি ব্যস্ত আছেন। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছেন। রোববার তিনি অফিসে আসেননি। তবে কিছুক্ষণ পরেই ওই কর্মচারী কথা ঘুরিয়ে নেন। তিনি এবার দাবি করেন, তিনি (আমির হামজা) আজ অফিসে এসেছিলেন। তবে এর পরে তিনি কোথায় গেছেন তা আমি জানি না।

জানা গেছে, আকস্মিক কেউ অফিসে গেলে কর্মচারীরা তার উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির বিষয়ে এভাবেই তথ্য দিয়ে থাকেন। মিথ্যা ঢাকার জন্য নানা অপকৌশলের মধ্যেই কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন। ছুটি গ্রহণ বাদে হাজিরা খাতায় তার সাক্ষর শতভাগ। তাই দাপ্তরিকভাবে উপস্থিতি ঠিক রাখা হলেও বাস্তবতার সাথে মেলেনা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমির হামজা অফিস করেন ইচ্ছেমাফিক। সপ্তাহের প্রায় দিনই তিনি অফিসে থাকেন না। দুয়েকদিন সকালে অফিসে আসলেও তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পাননা এলাকার মানুষ। অফিসে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পরে বের হয়ে যান। তবে তিনি কোথায় যান সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি অফিসে কর্মরতরা।

জানা গেছে, গেল জুন মাস থেকে আমির হামজা অন্য জেলা থেকে বদলি হয়ে গাংনীতে আসেন। সাহারবাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) হিসেবে যোগদান করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল আরাফাত (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর আছে, তবে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তে তার অনুপস্থিতির বিষয়টি যদি প্রমান পাওয়া যায় তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ভোটের আগে পিটার হাসের আত্মগোপন নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতের চাপে ঢাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আত্মগোপন করেছিলেন- এমন ধারণা নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রসঙ্গে সাবেক ভারতীয় এক হাইকমিশনারের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রাক্কালে কথিত ভারতীয় চাপে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আত্মগোপন করেছিলেন-এটি কি সত্য? ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক, যিনি বাংলাদেশে একসময় ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন তিনি নয়াদিল্লিতে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেছেন।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, আমি নয়াদিল্লিতে সব বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের দিকে নজর রাখিনি। পিটার হাস প্রসঙ্গে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, না। এটি সঠিক তথ্য নয়। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক নির্বাচনের আগে কূটনৈতিক তৎপরতার কিছু তথ্য ওঠে আসে।

দিল্লির থিংক ট্যাংক ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে’ (ওআরএফ) নিজের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ঢাকায় সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ভারত যে মোটেই পছন্দ করছে না, বাইডেন প্রশাসনের কাছে দিল্লি এটা স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেই ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অনেকটা আত্মগোপনে চলে যেতে হয়েছিল।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃগ্রাম্য এলাকাগুলোতে নববর্ষ উপলক্ষে রংমাখানো, নদী বা পুকুরে মাছ ধরা, গোসল করার প্রচলন রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় কুলিক নদীতে দুই শিশু গোসল করতে যায়। গোসলের একপর্যায়ে দূজনে পাতিতে তলিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নববর্ষ উপলক্ষে কুলিক নদীতে রবিবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নে খঞ্জনা গ্রামের ইব্রাহিমের কন্যা ইয়াসমিন (১০) দিনাজপুর সদর উপজেলার রেল স্টেশন এলাকার ইউসুফ আলী’র কন্যা তসলিমা (৮) গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা তসলিমা ইয়াসমিনের সাথে দুপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে কুলিক নদী পানিতে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। 

এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, থানা পুলিশসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর



থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) অষ্টম অধিবেশনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন। এসকাপ সম্মেলনটি আগামী ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে।

এতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে একটি দ্বিপক্ষীয় উপাদান যুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যাতে অর্ধডজন দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নথি সই হতে পারে। আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আটতম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে এই অঞ্চলে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ তৈরি করবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে মিলিত করবে।

আয়োজকরা বলছেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করা এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পন্থাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে সক্ষম হবেন।


আরও খবর