Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

জামালপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানির মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

জামালপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাটহাটী মোড়ে  সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। নাদিম বাংলানিউজের জামালপুর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে মালিবাগ মোড় থেকে পাটহাটী মোড় হয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন নাদিম। পথিমধ্যে পাটহাটী মোড়ে কতিপয় কয়েকজন তার পথ রোধ করে এবং টেনে হেঁচড়ে মারধর করতে করতে টিএনটি রোডের দিকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর হাসপাতালে পাঠায়।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে পুলিশ।  অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



ঢাকায় মাদকবিরোধী অভিযান গ্রেপ্তার ৩৯

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

শনিবার (৪ মে) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (৫ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৬৮৯ পিস ইয়াবা, ৪ গ্রাম ২০ পুরিয়া হেরোইন ও ১১ কেজি ৪১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩০টি মামলা রুজু হয়েছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সব ধরনের যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়েছি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:থাইল্যান্ড সফরে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরে এবং ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য আমি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল খাইল্যান্ড সফর করি। কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ আমার সফরসঙ্গী ছিলেন। ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে পৌঁছালে বিমানবন্দরে আমাকে লালগালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও গানস্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

তিনি বলেন, গত ২২ থেকে ২৬ এপ্রিল ব্যাংককে ইউএন-এসক্যাপের ৮০তম বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের জন্য সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দেশে ব্যস্ত থাকায় আমি তাতে অংশ নিতে পারিনি। তবে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমার পূর্বধারণকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ২৫ এপ্রিল সকালে ইউএন-এসক্যাপের একটি অধিবেশনে আমি এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করি। আমি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন মডেল এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করার বিষয়ে আমাদের আগ্রহ ব্যক্ত করি।


আরও খবর



৬শ পিস ইয়াবা সহ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:১১মে ২০২৪ রোজ শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণ বাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার এসআই (নিরস্ত্র)/ মোঃ আবু ইসহাক সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ থানা এলাকায় ডিউটি চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক দক্ষিণপাড়া  অভিযান পরিচালনা করে মোঃ মোর্শেদ মিয়ার ছেলে মো: জসীম উদ্দিনকে ৬০০ পিস ইয়াবা সহ তার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে গ্রেপ্তার করে। 

নাসিরনগর থানার এস আই মোঃ আবু ইছহাক জানান,তার বিরোদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হামলা ও হুমকিতে প্রতিবন্ধকতা নিরপেক্ষ নির্বাচনের শঙ্কায় প্রার্থী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image
সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একাধিক হামলায় সমর্থকরা আহত ও নানা হুমকিতে নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের  চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ। এ অবস্থায় সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মৌচাক এলাকায় বাসমতি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে  এসব অভিযোগ তুলেছেন। এসময় প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরে আলম সিদ্দিকী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ও সাহাদাত হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকমী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলন ও হামলার শিকার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদের মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহব্বায়ক এবং চাপাইর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের উপর হামলা চালানো হয়। আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয়  চাপাইর  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতুর নেতৃত্বে ৪/৫ জন এ হামলা চালান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় তার ছেলে শহিদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সপ্তাহ খানেক আগে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক ও ছাত্রলীগ নেতা মৃদুলের হাত ভেঙ্গে দেয় আনারস প্রতীকের সমর্থকরা। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন দল ও দলীয় প্রাথী ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। দল থেকে এমন ঘোষণা দিলেও আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকরা দলের নাম, দলীয় অফিস ব্যবহার করছেন। তিনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অপপ্রচারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও আমার মোটরসাইকেল প্রতীকের গণজোয়ার দেখে আনারস প্রতীকের লোকজন নানা হুমকি-দমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন ওই প্রার্থী। 
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সেতুর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে অন্য কেউ ফোন তুলে বলেন চেয়ারম্যান এখানে নেই।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, একটা হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহম্মেদ জানান, হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।

আরও খবর