Logo
আজঃ রবিবার ১১ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ইউটিউব দেখে বাচ্চা প্রসব করল কিশোরী, এরপর নবজাতককে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুন ২০২৩ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজ বাড়িতে বাচ্চা প্রসব করেছেন ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। এরপর সেই নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ঘটেছে এই ঘটনা। গতকাল রোববার দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, ওই কিশোরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত এক ব্যক্তির যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ওই কিশোরী তার মায়ের কাছ থেকে বেবি বাম্প লুকিয়ে রেখেছিল এবং তার মাকে বলেছিল সে কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমবাজারি এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী প্রেগনেন্সির বিষয়টি গোপন রাখতে বাড়িতেই বাচ্চা প্রসবের চিন্তা-ভাবনা করেন এবং ইউটিউবে এই সংক্রান্ত ভিডিও দেখা শুরু করেন।

এরপর গত ২ মার্চ বাড়িতেই ওই কিশোরী মেয়ে বাচ্চা প্রসব করেন এবং তাকে তড়িঘড়ি করে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর বাড়ির এক বক্সে বাচ্চার লাশ লুকিয়ে রাখেন।

পরবর্তীতে ওই কিশোরীর মা বাড়িতে ফিরলে তিনি তার মেয়েকে শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এতে ওই কিশোরী তার মাকে সব খুলে বলে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নবজাতকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

শিশু হত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই হত্যার অভিযোগ আনা হবে। এই নিয়ে আরও তদন্ত চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দৃঢ় প্রতিশ্রুতির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে দৃঢ় প্রতিশ্রুতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।

গতকাল রোববার গণভবনে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠিয়ে তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং ওআইসি সদস্য দেশগুলো কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে এবং জনগণ শান্তিতে বসবাস করছে।

ওআইসি মহাসচিব রোহিঙ্গা সমস্যা ওআইসির জন্য একটি অগ্রাধিকার বিষয় উল্লেখ করে যোগ করেন, ‘রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত।’

ওআইসি মহাসচিব বলেন, ‘ওআইসির কাছে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ওআইসিতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’ তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান অবদানের কথাও স্মরণ করেন।

ওআইসি মহাসচিব বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর জুলিও-কুরি শান্তি পুরস্কার পাওয়ার ৫০তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর এমবাসেডর এটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক ইউনিট) রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

ওআইসির সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত আসকার মুসিনভও উপস্থিত ছিলেন।

ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা পাঁচ দিনের সফরে গত শনিবার ঢাকায় এসেছেন।

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে ওআইসি মহাসচিব আগামী ৩০ মে অনুষ্ঠ্যেয় আইইউটির ৩৫তম সমাবর্তনে যোগ দেবেন।

বাসস,


আরও খবর



তানোরে একদিকে বীজ বপন অন্য দিকে আলুর জমিত চলচে ধান কাটা মাড়ায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে একদিকে রোপা আমনের বীজ বপন শুরু হয়েছে, অপর দিকে আলুর জমিতে পুরোদমে চলছে ধান কাটা মাড়ায়। ধানের বাম্পার ফলন হলেও  দাম নিয়ে হতাশায় ভূগছেন কৃষকরা। প্রচন্ড খরতাপ থাকার পরও কোন কিছুই তোয়াক্কা না করে পুরোদমে চলছে ধান কাটা ও মাড়ায়ের কাজ। বিগত সময়ে আলুর জমির শুকনো ধান খড় কৃষকের ভাগ্যে জুটেনি। কিন্তু এবার ধান খড় শুকনো পাচ্ছেন কৃষকরা। এতে করে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। কারন এক বিঘায় নিম্মে হলেও ২০ মন ধান ফলন হচ্ছে। একমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। কিন্তু প্রতিদিন সিন্ডিকেটে কমছে একারনে এক প্রকার চিন্তিত কৃষকরা। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে জমি থেকে শ্রমিকরা ধান বহম করে রাখছেন কামারগাঁ ইউপির পাড়িশো মোড়ে। সেখানে ছিলেন কৃষক দূর্গাপুর গ্রামের মমিন নামের একজন। তিনি জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে ধানে কোন প্রকার রোগবালাই ছিল না। আলু তোলার পর ১০ বিঘা জমিতে ৭৬ জাতের ধান লাগিয়েছিলাম। পুরোটাই কাটা হয়ে গেছে। জমি থেকে মোড়ে আনা হচ্ছে। সেখান থেকে ট্রলি বা মোটা চাকার চার্জার ভ্যানে বাড়ির খৈলানে নেওয়া হবে। তবে ধানের এতই ভালো অবস্থা বিঘায় ২০ মন ফলন পার হয়ে যাবে। নিজের জমি, বর্তমান বাজার ১০১০-১০২০ টাকা করে। এমন দাম থাকলে বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা লাভ হবে এবং শুকনো খড় পাওয়া যাচ্ছে। মোড়েই ময়েজ নামের আরেক কৃষকের ধান শ্রমিকরা গাড়ীতে তুলছিলেন, তিনি জানান নিজের ৪ বিঘা জমিতে আলু তুলে ধান লাগিয়েছিলাম। শুকনো ধান খড় তুলতে পেরেছি, ফলন ভালো হবে। মতিন নামের আরেক কৃষক জানান ৭ বিঘা জমির ধান কাটা শেষ, কিছু বহন করে আনা হয়েছে, আর জমিতে রয়েছে শুক্রবারে পুরোটাই উঠে আসবে। আমাদের এলাকায় যারাই মাড়ায় করেছেন বিঘায় ২০ মন বা তার উপর ফলন হয়েছে।ভারে করে ধান বহন করছেন চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ কানসাট এলাকার শ্রমিক আলম, নুরুল। তারা জানান আমরা ১২ জন শ্রমিক ধান কাটছি। বিঘায় চার মন ধানের চুক্তি। তবে প্রচুর গরমের কারনে দিনে চার বিঘা জমির ধান কাটতে পারছি, গরম না হলে আট বিঘা জমির ধান কাটা যেত। 

এছাড়াও রোপা আমন রোপনের জন্য বীজ বহন শুরু হয়ে গেছে।গত বৃহস্পতিবার বীজ বপনের সময় বিহারইল মাঠে কথা হয় মাদারিপুর গ্রামের কৃষক সুফিয়ানের সাথে। তিনি জানান ১০ শতাংশের কিছু বেশি জমিতে স্বর্না জাতের ৪৫ কেজি বীজ বপন করছি। ৪৫ কেজি বীজ ভালো হলে ১০ বিঘা জমি রোপন করা যাবে। আমরা একটু আগাম বীজ বপন ও চাষ করে থাকি। তিনি আরো জানান বিঘায় ৪ কেজি বীজ লাগে। এক বিঘা জমিতে বীজ তৈরি থেকে উত্তোলন পর্যন্ত ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়।ওহিদুল নামের আরেক কৃষক সাড়ে তিন মন বীজ বপন করেছেন।সুফিয়ান, আব্দুল সহ একাধিক কৃষকরা জানান, এক মন বীজের ধান কিনতে হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকা দিয়ে। অথচ একমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১হাজার টাকায়।  কৃষক যাবে কোথায়, কেজি প্রতি সারের দাম ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আবার পটাশ সার ১২০০-১৩০০ টাকা ছাড়া মিলছে না। সব দিক থেকে মরছে কৃষক। কিভাবে একজন প্রান্তিক কৃষক পথে বসবে সেটাই করা হচ্ছে।উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, আরো এক সপ্তাহ বোরো ধান কাটা চলবে। তারপর থেকে যেটা কাটা হবে সেটা আউশ হিসেবে ধরা হবে। রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২২ হাজার ৪০০ হেক্টর। সে মোতাবেক ১১২০ হেক্টর জমিতে বীজের লক্ষমাত্রা, সে অনুপাতে ৮০০ মে:টন বীজের প্রয়োজন। তবে খরতাপের কারনে অবশ্য শ্রমিকদের মারাত্মক কষ্ট হলেও কৃষকরা শুকনো ঝরঝরে ধান ঘরে তুলতে পারছেন। এবার বোরোতে বাম্পার ফলন হয়েছে, তবে ফড়িয়া সিন্ডিকেটের কারনে দাম কমছে, সে বিষয়ে বিপনন বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে হাট বাজার, আড়ত ও চাতালে অভিযান পরিচালনা করবেন।

আরও খবর



আর্কটিক সাগর ২০৩০ সালের মধ্যে বরফ শূন্য হতে পারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :২০৩০ সালের মধ্যে আর্কটিক সাগর বরফ শূন্য হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ার গতি যে দ্রুত বাড়ছে এটি তার একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।

মঙ্গলবার জার্নাল নেচার কমিউনিকেসন্স নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০৩০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগেই আর্কটিক সাগরের বরফ সম্পূর্ণরূপে উধাও হয়ে যাবে।

যদি আজ থেকেই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করা হয় তবুও ২০৫০ সাল নাগাদ গ্রীষ্মকালে আর্কটিক সাগরে বরফ থাকবে না বলেও উল্লেখ করা হয় গবেষণা প্রতিবেদনে।

আর্কটিকের বরফ কত দ্রুত গলছে সে বিষয়ে ধারণা পেতে গবেষকেরা ১৯৭৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি ও তথ্যের ভিত্তিতে কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে ও ক্লাইমেট মডেল বিশ্লেষণ করে দেখেছেন।

গবেষকেরা দেখতে পান, মানব সৃষ্ট এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী দূষণের কারণেই আর্কটিক সাগরের বরফ কমছে। এ ছাড়া আগের ক্লাইমেট মডেলগুলোতে আর্কটিক সাগরে বরফ গলে যাওয়ার প্রবণতাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

গবেষণার প্রধান লেখক ও দক্ষিণ কোরিয়ার পোহাং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক সেউং-কি মিন সিএনএনকে বলেন, ‘গ্রীষ্মে আর্কটিক একদম বরফ শূন্য থাকবে এমনটা আবিষ্কার করে আমরা খুবই বিস্মিত হয়েছিলাম। কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

শীতকালে আর্কটিক সাগরে বরফ জমা হতে শুরু করে। গ্রীষ্মকালে আবার গলতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাসে বরফ সবচেয়ে কম থাকে সাধারণত এবং শীত আসলে পুনরায় নতুন করে বরফ জমতে শুরু করে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন গ্রীষ্মে আর্কটিক বরফ শূন্য হয়ে পড়বে, তখন শীতকালে বরফ জমার গতি ধীর হয়ে যাবে। প্রথম দিকে কেবল সেপ্টেম্বর মাসই বরফমুক্ত থাকবে। তবে পরবর্তীতে পুরো গ্রীষ্মকালের জন্যই এটি সাধারণ অবস্থায় পরিণত হবে। এমনকি ভবিষ্যতে শীতকালেও আর্কটিকে বরফ কম দেখা যাবে।


আরও খবর



নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করে নিতে হবে। বাইরে থেকে কেউ এসে দাবি পূরণ করে দেবে না।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাগপা।

সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদত হোসেন, এনপিপির অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, নবীউল্লাহ নবী চৌধুরী, তাঁতি দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

আওয়ামী লীগকে ওয়াদা ভঙ্গকারী দল আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করতে হবে। বাইরে থেকে কেউ এসে দাবি পূরণ করে দেবে না। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। অবশ্যই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না।

দেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শফিউল আলম প্রধান একটি সাম্য ও মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু আজও সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ এই সরকার দিচ্ছে না। কারণ, তারা তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা ক্রান্তিকালে এসে দাঁড়িয়েছি। তারা অন্যায়ভাবে র্যা ব, পুলিশ ও দলীয় গুণ্ডা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমাতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোনো ভালো মানুষ আওয়ামী লীগে থাকতে পারেনি। মওলানা ভাসানীকে তারা বের করে দিয়েছে। আ স ম আব্দুর রব, প্রয়াত শাহজাহান সিরাজ, প্রয়াত ওবায়দুর রহমান, প্রয়াত শাহ মোয়াজ্জেম,প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান, মাহমুদুর রহমান মান্না সবাই বেরিয়ে গেছেন। কারণ, ওই সময় তারা দুর্নীতিপরায়ণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। এখনকার আওয়ামী লীগ আরও বেশি খারাপ। তাদের বডি কেমিস্ট্রি হলো কাউকে সহ্য করতে পারে না। দুর্নীতি, চুরি তাদের বৈশিষ্ট্য।


আরও খবর



নৌকা ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে আসতে দেবেন না’ বলা আজিজুরের প্রার্থিতা বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আজিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার ভোটের আগের দিন ইসিতে শুনানির পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (লাটিম প্রতীক) মো. আজিজুর রহমা গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ওই ওয়ার্ডের পুবাইল এলাকার কলের বাজার নামক স্থানে বেআইনি মিছিল করেছেন। ওই জনসভায় ‘নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেবেন না’ মর্মে তাস সৃষ্টি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদান করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার তদন্ত করে গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্ণিত বেআইনি মিছিল, জনসভা, ত্রাস সৃষ্টি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি তিনি (আজিজুর) স্বীকার করেছেন এবং তৎসংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক স্বাক্ষ্য-প্রমাণাদি পাওয়া গেছে মর্মে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।

এতে বলা হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তাকে আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেয়। তিনি আজ নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য প্রদান করেন এবং লিখিতভাবে অভিযোগ স্বীকারপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ধারণকৃত ভিডিও শুনানিকালে তাকে প্রদর্শন করানো হয় এবং ওই বক্তব্য তারই, স্পষ্টরূপে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যম হতে প্রাপ্ত ভিডিও ক্লিপ, রিটার্নিং অফিসারের পাঠানো তদন্ত প্রতিবেদন, তার (আজিজুর) দোষ স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি পর্যালোচনাপূর্বক সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে তার ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন কমিশনের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। উপর্যুক্ত বিষয়াদি পর্যালোচনায় নির্বাচন কমিশনের কাছে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, তিনি বেআইনি মিছিল, জনসভা, ত্রাস সৃষ্টি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য প্রদান করে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ৭৩ এবং সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৭ ও বিধি ৩০ লঙ্ঘন করেছেন, যা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিপন্থী।

এতে বলা হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ১১-এর উপবিধি (২) এবং সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩২-এর উপবিধি (২) অনুসারে মো. আজিজুর রহমানের প্রার্থীতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর