Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে ন্যাটো প্রধানের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৯৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:টানা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসন বন্ধের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।

কিয়েভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং এর মধ্যেই রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ সতর্ক করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত শেষ হবে না। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

জার্মানির ফাঙ্কে মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘বেশিরভাগ যুদ্ধ প্রথম শুরু হওয়ার সময় থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলে। সুতরাং আমাদের অবশ্যই ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এতে করে গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপে যুদ্ধ ফিরে আসে। তবে কিয়েভ গত বছরের জুনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে এবং দেশের দক্ষিণ ও পূর্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করে। যদিও পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনের অর্জন এখন পর্যন্ত খুবই সীমিত।

স্টলটেনবার্গ বলেন, আমরা সবাই দ্রুত শান্তি কামনা করছি। তবে একই সময়ে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে: যদি প্রেসিডেন্ট (ভলোদিমির) জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধ করা বন্ধ করে দেয়, তবে তাদের দেশ (ইউক্রেন) আর থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিন এবং রাশিয়া তাদের অস্ত্র ফেলে দেয়, তাহলে আমরা শান্তি অর্জন করতে পারব।

এদিকে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে স্টলটেনবার্গ বলেন: ‘এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, ইউক্রেন শেষ পর্যন্ত ন্যাটোতে (সদস্য হিসেবে) থাকবে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত জোটের শীর্ষ সম্মেলনে কিয়েভ ‘ন্যাটোর কাছাকাছি চলে এসেছে’। তার ভাষায়, ‘যখন এই যুদ্ধ শেষ হবে, তখন আমাদের ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। অন্যথায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।


আরও খবর



মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাবে চাপে আছে সরকার,বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন? আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারবো না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথাতো আমরা বলিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর

৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৬১৯৯

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয় ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd  -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।

মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের ১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।


আরও খবর

৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে সিমেন্ট ও কয়লা পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ কয়লা পাচাঁরসহ দেশীয় সিমেন্ট ভারতে পাচাঁর করা হয়েছে বলে খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী বাবুল মিয়া বিজিবির নাম ভাংগিয় প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে ৪০টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রায় ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে মজুত করে। এছাড়াও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ডালিম মিয়া, নজির মিয়া, মঙ্গল মিয়াসহ আরো একাধিক বাড়িতে আরো ২শ মেঃটন অবৈধ কয়লা মজুত করা হয়েছে। এদিকে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত দেড়টার সময় চারাগাঁও এলসি পয়েন্টে সংলগ্ন পাহাড়ী ছড়া দিয়ে একই ভাবে চাঁদা নিয়ে চোরাকারবারী সুহেল মিয়া ৬০বস্তা, আনোয়ার হোসেন বাবলু ৫০বস্তা ও নবু মিয়া ৪০বস্তা সিমেন্ট ভারতে পাচাঁর করে এবং রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ২শ মেঃটন কয়লা  তারা পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা সীমান্তের লাবিয়া বেগম, সুজন মিয়া ও সোহেল মিয়াসহ আারো একাধিক বাড়িতে মজুত করে। অন্যদিকে এই সীমান্তের কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া ও লেংড়া জামালগং ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, সুপারী, চিনি, পেয়াজ, গরু, ইয়াবা, মদ ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়না।

একারণে সোর্স ও তাদের গডফাদার তোতলা আজাদ গত ৩ বছরে হয়েগেছে কোটিপতি। তারা পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা কয়লা থেকে ৪০টাকা, প্রতিবস্তা পেয়াজ ও চিনি থেকে ১শ টাকা, ১টন চুনাপাথর থেকে ৫শ টাকা, প্রতি গরু থেকে ২হাজার টাকাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে বিজিবির নাম ভাংগিয়ে। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক ও পুলিশের নাম ভাংগিয়েও লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে সোর্স ও তাদের গডফাদার।

এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের ভিআইপির দায়িত্বে থাকা শামীম বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বলুন, এব্যাপারে আমি কিছু করতে পারবনা। এই ক্যাম্পের কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) নাম্বারে কয়েক বার ফোন করার পর, তিনি ফোন রিসিভ না করে ব্লক করে দেয়। এবিষয়ে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর তিনিও ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর



পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় সমন জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি: ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

 ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ নির্দেশ দেন। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল।

শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রেখেছিলেন। এদিন এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদনও গ্রহণ করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদীপক্ষ। এ বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানান আদালত। পরে তাকে আদালতে হাজির হতে আদেশ দেশ আদালত।

সম্প্রতি এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।

মামলায় নাসির উদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোটক্লাবে ঢোকেন এবং দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন।

এতে আরও বলা হয়, বাদী (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত ১টা ১৫ মিনিটে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাসিরকে ডাক দেন। তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসারও অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য চাপ দেন। নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। নাসির এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোটক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। এর আগে ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। এদের মধ্যে ছিলেন বোট ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৪ জন। তদন্তের পর ধর্ষণ বা হত্যাচেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১৫ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হাটবাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়াসহ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারী বাজারে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। মরিচের দাম কমে আসায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মরিচ চাষিরা।গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারী সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা প্রতি কেজি উচ্চ ফলনশীল জাতের (অগ্নি, মধুমতি, বিন্দু ও বিজলী ২০২০) কাঁচা মরিচ প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দাম আরও কমতে থাকে। সর্বশেষ সকাল ১০ টার দিকে পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।

পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পার্বতীপুরের ঢাকুলা গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী গোলাম রহমান, মধ্যপাড়ার আবুল হোসেন বলেন, গত পাঁচদিন আগেও পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১৫ টাকা কেজিদরে প্রয়োজনীয় মরিচ কিনেছেন। এগুলো নিজ নিজ এলাকায় প্রতিকেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের আমডুঙি গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের কাঁচা মরিচ চাষি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কলেজ শিক্ষার্থী নির্মল মার্ডি বলেন, চলতি মরিচ চাষ মৌসুমে ২৭ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল মধুমতি ও বিজলী ২০২০ জাতের মরিচ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি খেত থেকে প্রায় ৫০ মণ মরিচ তুলেছেন বিক্রির জন্য। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় মরিচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আশা করেছিলেন,পাইকারী বাজারে কমপক্ষে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় এখন উৎপাদন খরচও উঠবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।

পাইকারী মরিচ ব্যবসায়ী ব্যবসায়ি মিলন মিয়া ও আমজাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে হাটবাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রেতার অভাবে দাম পড়ে গেছে। তবে আগামীতে মরিচের দাম আরো কমে আসবে বলে তাদের ধারনা।

উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের মরিচ চাষি গোলাম মোস্তফা আকন্দ বলেন, এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল অগ্নি ও বিন্দু জাতের মরিচ চাষ করেছেন।এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই জমি থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০মণ মরিচ পাবেন। কিন্তু বর্তমানে মরিচের যে দাম, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে মরিচ বেঁচে উৎপাদন খরচ উঠলেও কোনো লাভ হবে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রাসরণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানুর ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পৌর এলাকাসহ ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬৫ মেট্রিক টন। এ বছর তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকাসহ রোগবালাই না ধরায় আশানুরুপ ফলন হয়েছে মরিচের।


আরও খবর