Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬০৩জন দেখেছেন

Image

বাসস: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষ ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুদ্ধ যত দ্রুত শেষ হবে ততই জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে। এই যুদ্ধের ফলে যারা বেশি লাভবান হচ্ছে তাদের উচিত, যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা।’

আজ শনিবার কাতারের স্থানীয় সময় বিকেলে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা-গুতেরেস। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন কাতারের রাজধানী দোহায়। শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার কিছু পরে তাকে বহনকারী বিমানটি সেখানকার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে নিরাপত্তা প্রহরা আর মোটর শোভাযাত্রায় হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

সব ঠিক থাকলে কাতারে রোববারসকালে এলডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দিয়ে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, শনিবার সফরের শুরুতেই স্থানীয় সময় বিকেলে ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।

বৈঠকে মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জোর দাবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এই যুদ্ধে পুরো দুনিয়া ভোগান্তিতে পড়েছে বলে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে সংকটগুলো তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের পক্ষে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, স্যাংশনের (যুদ্ধের) কারণে পণ্যের চালান সময়মতো না আসায় দেশে-দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। এতো মানুষের কষ্টে বা যুদ্ধে লাভবান দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এ সম্মেলনে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে সহজ উত্তরণের জন্য বৈশ্বিক সমর্থন চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ৫-৯ মার্চ দোহায় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে ‘এ’ গ্রুপের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এটি ঢাকার শেষ অংশগ্রহণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে ফোরাম থেকে উত্তরণ লাভ করতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি এলডিসি ৫ সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ ছাড়াও কাতারের আমিরসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

৮ মার্চ পর্যন্ত কাতারে অবস্থানকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। জ্বালানি খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে। খবর: বাসস


আরও খবর



রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং ভোটের অধিকার প্রয়োগসহ মুক্ত মত প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। আজকে সেই দেশে, মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হচ্ছে, হয়েছে। চলছে দুর্নীতি আর মিথ্যাচারের এক মহোৎসব।

দেশে বর্তমানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং চলছে। এর ফলে এসএসসি পরিক্ষার্থীরা অস্বাভাবিক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ না করে বিগত দিনের ন্যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের ওপর বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন নিপীড়নের যাত্রা শুরু করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী মতের দলগুলো এবং দেশবাসী এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, ঠিক সে সময় অবৈধ সরকারের মন্ত্রী এবং শাসকগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যাচার ও অলিক কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। জনগণ ইতিমধ্যে এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছে। অবৈধ সরকার আন্দোলন যখন দানা বেঁধে উঠছে, ঠিক সেই সময় মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করতে চায়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকার মামলা-হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। একতরফা বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। সিলেটে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার, বাসায় বাসায় তল্লাশি করছে; বিষয়টি সিলেট পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে।

এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এই অবৈধ সরকার দেশের মানুষের ওপরে অত্যাচার নির্যাতন চালানোর জন্য এবং অধিকার হরণের জন্য রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ যথা আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগ সর্বশেষ বিচার বিভাগকে এই সরকার দখল করে নিজেদের ইচ্ছামত বিরোধী মতের মানুষসহ দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপরে অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের জনগণের দ্বারা প্রত্যাক্ষিত বর্তমান সংসদকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যে মানুষের ভোটের অধিকার স্তব্ধ করে একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সব কালা কানুন তৈরি করেছে। শাসন বিভাগকে ব্যবহার করে যখন তখন যেকোনো মানুষকে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হত্যা ও খুন এখন নিত্যদিনের এই অবৈধ সরকারের রুটিনে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার প্রধানের ইচ্ছামতো মানুষকে কারাগারে বন্দী রাখা, নির্যাতন করা বিচার বিভাগের অবৈধ সরকারের নির্দেশে ফরমায়েশি রায় প্রদান করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মামলা-হামলায় কারাগারে প্রেরণ ও সাজা প্রদান করছে। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্চ আদালতের জামিনে থাকার পরেও নেতাকর্মীকে নিম্ন আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছেন, যা আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে জনগণ মনে করে।

এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ সাড়ে ১১ হাজার মামলায় বিএনপিসহ বিরোধী মতের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩টির অধিক মামলা এই অবৈধ সরকার দায়ের করেছেন। আসামির সংখ্যা প্রায় ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮১ অধিক। তার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ হাজার ৮৩০ এর অধিক ঢাকাতেই ১৫শ মামলা


আরও খবর



স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার আজকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকার আজকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান রয়েছে। এই সরকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ আজকের গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আজকে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত আছেন তাদের অধিকাংশই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এখন যারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হিসেবে আমাদের দিকে আঙুল তুলতে চান তাদের প্রশ্ন করতে চাই আপনারা কী বলতে পারবেন আপনাদের মধ্যে কারা কারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমাদের সঙ্গে যারা লড়াইয়ের সংগ্রাম করছেন কাজ করছেন, তাদের অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক মন্ত্রী সুনীল গুপ্তের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে সরকার মানুষের চোখের ভাষা বুঝতে পারে না, দেয়ালের লিখন বুঝতে পারে না, মানুষের প্রয়োজন বুঝতে পারে না তাকে আমরা গণশত্রু ছাড়া কী ভাবতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধে আমাদের যে আশা ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে সেটাকে ধ্বংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ। সম্পূর্ণভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে চলেছে। সেই পুরনো কায়দায় ১৯৭৫ সালে যে বাকশাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকের যুবক সমাজ তারা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারা দেখছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন সবকিছু হরণ করে নেওয়া হচ্ছে। মানুষকে স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে সংগ্রাম করছে তাদের চরম বিপর্যয়ের মধ্যে অতিক্রম করতে হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে। এদেশের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পতন ঘটিয়েছে, এদেশের মানুষ লড়াই করছে সংগ্রাম করেছে এ লড়াইয়ে অবশ্যই গণতন্ত্রের বিজয় হবে। এ লড়াইয়ে অবশ্যই যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করছেন তাদের বিজয় হবে। যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দানবীয় ফ্যাসিবাদ তারা পরাজিত হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান বিজুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ড প্রমুখ।


আরও খবর



মাগুরায় চলতি মৌমুমে ২৫ কেটি টাকার লিচু উৎপাদন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: মাগুরায় প্রচন্ড তাপদাহে লিচুর গুটি ঝরে গেলেও চাষিদের প্রচেষ্টায় মাগুরায় লিচুর ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে আকার হয়েছে ছোট। ইতোমধ্যে দেশী জাতের লিচু আগাম বাজারে উঠতে শুরু করেছে। চলতি বছর তাপদাহে লিচুর ফলন কম হলেও অন্তত 

২৫ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লিচু ব্যবসায়ী ও চাষিরা।

জানা গেছে , জেলার সদর উপজেণার হাজরাপুর , ইছাখাদা , রাউতড়া , খালিমপুর , হাজীপুর , রাঘবদাইড়, নড়িহাটি ,  শিবরামপর সহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর চাষ হয়ে আসছে । উল্লেখিত এলাকায় তিন  হাজারেও বেশি লিচুর বাগান রয়েছে। যেখানে দেশী জাতের পাশাাপাশি  বোম্বাই ও চায়না-৩ জাতের লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর, হাজীপুর ও রাঘবদাইড় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৫৮০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। বাগান গড়ে উঠেছে ২১০০টি। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নে আরো কয়েক হাজার বাগানে লক্ষাধিক গাছ রয়েছে। এ বছর লিচুর ফলন কম হলেও ২৫ কোটি টাকার লিচু পাওয়া যাবে বলে লিচু চাষিরা মনে করছেন।

ইতিমধ্যে এসব বাগানের স্থানীয় জাতের লিচু মাগুরা শহরের বিভিন্ন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। যেখানে প্রতি শত লিচু  দুই শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাকুরী করে প্যারিসে বসবাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান :-ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার  কাগজেপত্রে বাংলাদেশের নবীনগরে চাকুরী করলেও দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বাইরে থাকার অভিযোগ রয়েছে।নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক রয়েছেন ৭ জন।

এর  মাঝে  ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা  হিসেবে যোগদান করা সানজিদা আক্তার প্রভাব খাটিয়ে বেশিরভাগ সময়ই স্বামীর সঙ্গে ফ্রান্সে বসবাস করেন। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এক মাসের ছুটি নিয়ে ফ্রান্সে যান তিনি।এক মাসের  ছুটি শেষ হলেও ফ্রান্স থেকে দেশে না ফিরে পুনরায় দূতাবাসের মাধ্যমে ৭ মে পর্যন্ত আরো তিন  মাসের ছুটি বৃদ্ধি করেন তিনি। কিন্তু ৮ মে পর্যন্ত ও বিদ্যালয়ে  উপস্থিত হননি তিনি। 

এ ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় ২০২১ সালে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার ছুটিও কৌশলে মঞ্জুর করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে চলে যাওয়ায় ও সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার ফ্রান্সে থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। এতে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার মানও  নষ্ট হতর চলেছে।বিদ্যাকুট পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবব্রত ভট্টাচার্য্যবলেন, শিক্ষক স্বল্পতায় বিদ্যালয়ে পাঠদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদিও ছুটি সকলের অধিকার কিন্তু প্রধান শিক্ষক অবসরে চলে যাওয়ায় এমনিতেই শিক্ষকের ঘাটতি তার ওপর সহকারী শিক্ষিকা দীর্ঘদিন অনুপস্থিত।

নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল বলেন, সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার প্রথমে এক মাসের ছুটি নিয়ে প্রবাসে গিয়ে ৭ মে পর্যন্ত পুনরায় ৩ মাসের ছুটি নিয়েছেন। এরপর তার কোনো বৈধ ছুটি অথবা লিখিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ নেই। এমন কি তার কোনো জমানো ছুটিও নেই। এখন থেকে সে একদিন অনুপস্থিত থাকলেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন ওই শিক্ষিকার বেতন ও বিভিন্ন ভাতাদি বন্ধ রাখা হয়েছে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.খুরশেদ আলম বলেন, সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা আক্তার এক মাসের ছুটি নিয়ে বিদেশ যান। পরে দূতাবাসের মাধ্যমে এই ছুটি তিন মাস বৃদ্ধি করেন। এই ছুটিও শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি যোগদান না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওই কর্সকর্তা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মাগুরায় ককৃষকের ধান ককেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের   সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেলায় জেলায় চলছে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার কার্যক্রম।

এরই ধারাবাহিকতায় মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মাগুরা সদর উপজেলার বগিয়া ইউনিয়ন শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়ন ও   কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কুপুড়িয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক জয়ন্ত মন্ডলের ৫৫ শতাংশ ধানা কেটে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার‍ ৪ঠা মে সকাল ৯টায়  কর্মসূচির ধানকাটা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

ধান কাটায় অংশ গ্রহণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবুন্দ, কাদিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী রুবেল বিশ্বাস, রিয়াদ হোসেন, শিমুল রায়, সৌরভ মন্ডল, প্রন্ত রায়,সাকিল।
সব্দালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হাসান এলিট, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রাকিব, সোহান,সহ আরো অনেকে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম  বলেন, ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় বিপাকে পড়েছেন অসচ্ছল ও দরিদ্র কৃষকরা। তাঁরা শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে না পারায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা ওই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। 

তিনি আরও বলেন,  ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ভাইয়ের প্রতি। এ ধরনের জনমুখী কার্যক্রমের আহ্বান করায় শঙ্কামুক্ত হয়েছে হাজার হাজার কৃষক পরিবার। যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে ছাত্রলীগ সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। অতীতেও দাঁড়িয়েছিল, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে এবং কার্যক্রম অব্যাহত খাকবে বলে তিনি জানান। 


আরও খবর