Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর সত্য নয়!

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ আগস্ট 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৮০জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:সকালে ঘুম ভাঙতেই ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তী ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন মাত্র ৪৯ বছর বয়সে। তার মৃত্যুর খবর মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।

তবে ঘন্টা তিনেক পর স্ট্রিকের সতীর্থ হ্যানরি ওলঙ্গার টুইট, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর গুজবটি ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জিত হয়েছে। আমি শুধু তার কাছ থেকে শুনেছি। থার্ড আম্পায়ার তাকে ফেরত ডেকেছেন। তিনি এখনও জীবন্ত মানুষ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে শুরু করে ইংরেজী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান, কোথাও বাদ নেই হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর দিতে।

চলতি বছরের মে মাসে জানা গিয়েছিল তিনি মরণ ব্যাধি রোগে আক্রান্ত। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য স্ট্রিককে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ আফ্রিকাতে।

১৯৯৩ সালের ১০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় স্ট্রিকের। দেশের হয়ে খেলেছেন ১৮৯টি ওয়ানডে ম্যাচ এবং ৬৫টি টেস্ট । 

টেস্ট ক্রিকেটে ১ হাজার ৯৯০ রানের সঙ্গে নেন ২১৬টি উইকেট। সাদা বলের ক্রিকেটে ২ হাজার ৯৪৩ রান ছাড়াও নিয়েছেন ২৩৯টি উইকেট। স্ট্রিক সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ২০০৫। জিম্বাবুয়েকে ২১টি টেস্ট এবং ৬৮টি এক দিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে উত্থান আর পতনের সাক্ষী হিথ স্ট্রিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় আইসিসি তাকে ২০২১ সালে আট বছরের জন্যে নির্বাসিত করে। যদিও পরে ক্ষমা চান এবং জানান ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে কোনও দিনই তিনি যুক্ত ছিলেন না।

২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ ছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক তারকা পেসার হিথ স্ট্রিক। তার সময়ে তিনি যা করেছেন বাংলাদেশ দলের জন্য, এখনও তাকে ধরা হয় টাইগারদের সেরা বোলিং কোচ হিসেবে।

বাংলাদেশ দল ছাড়াও বেশ কয়েকটি দলের বোলিং কোচ ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এ তারকা। ২০১৬ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। ২০১৮ সালের আইপিএলে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা কান্ডে ২ জনের মৃত্যু: আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত সোর্স পরিচয়ধারী ও তার গডফাদার নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘদিন যাবত করছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। তাদের নেতৃত্বে সরকারের কোটিকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, পেয়াজ, চিনি, গরু, মহিষ, কসমেটিকস ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে একেরপর এক ঘটছে মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিন মোকাম, দশঘর, বারেকটিলা, কড়ইগড়া, রাজাই, নয়াছড়া, রজনী লাইন ও বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, ঘোড়া, নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, রুসমত আলী, নাজির মিয়া, নজরুল মিয়া, সাইকুল, আশরাফ, হাছান আলী, শাহিবুর মেম্বার, বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং।

এমতাবস্থায় সকাল ৬টায় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে নায়ছড়া এলাকার ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অন্যদিকে একই সময় বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি, লাকমা ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা ও সুন্দরবন এলাকা দিয়ে একই সময় ওই গডফাদারের নেতৃত্বে কয়লা, চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলা আসামী আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামাল, বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শামসুল মিয়া, শরাফত আলী, ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং।

এমতাবস্থায় লালঘাট সীমান্তে চোরাই কয়লা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।

এছাড়াও গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮), গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পাচাঁরকৃত ১টন অবৈধ চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচাঁরকৃত অন্যান্য অবৈধ মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদার উত্তোলন করলেও তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন দুই চোরাকারবারীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই, সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। মৃত দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



গ্রাহকের ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের স্বপ্ন পূরণ করলো রিয়েলমি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তরুণদের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রিয়েলমি ব্র্যান্ডটির রমজান মেগা ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া ভাগ্যবান বিজয়ী গ্রাহককে দুই লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের প‍ুরস্কার দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে ‘ঈদের খুশি, রিয়েলমিতে বেশি’- শীর্ষক বিশেষ এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।

রিয়েলমি স্মার্টফোন কিনে একটি আকর্ষণীয় লটারির মাধ্যমে দুই লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের এ অসাধারণ সুযোগ জিতে নিয়েছেন এমরান আলী। রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেন চেন ও ব্র্যান্ডিং ডিরেক্টর ড্যারেন ঝ্যাং সম্প্রতি বিজয়ীর হাতে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

বোনাস হিসেবে, ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় সি৫৫, সি৫৩, সি৫১, সি৬৭ ও নোট ৫০ সহ নির্দিষ্ট কিছু ডিভাইস কিনে গ্রাহকরা পেয়েছেন বিশেষ বোগো (একটি কিনলে একটি ফ্রি) অফার উপভোগের দারুণ সুযোগ। এছাড়া, তিন হাজারেরও বেশি ভাগ্যবান ফোন ব্যবহারকারী পেয়েছেন ভিডিও স্ট্রিমিং স্ট্যান্ড। পাশাপাশি, বিশ্বস্ত গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রিয়েলমি তাদের দিয়েছে ফ্রি গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক ডেটা প্যাকেজের অফার।

রিয়েলমি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেন চেন বলেন, “এমরান আলীকে আমাদের বিশেষ রমজান মেগা ক্যাম্পেইনের ভাগ্যবান বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। কেননা এতে সত্যিকার অর্থেই রিয়েলমি’র সঙ্গে তার ঈদের আনন্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের এমন সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ দিতে পেরে আমরাও খুবই আনন্দিত। এসব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে একটি অবিস্মরণীয় পারিবারিক ভ্রমণের সুযোগের পাশাপাশি রয়েছে আমাদের জনপ্রিয় ফোন মডেলগুলোতে একটি কিনলে একটি ফ্রি’র অবিশ্বাস্য অফার। রিয়েলমি বাংলাদেশে, আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা ভবিষ্যতে তাদের জন্য স্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করার জন্য উন্মুখ হয় আছি।”

দুই লাখ টাকার ভাগ্যবান বিজেতা এমরান আলী বলেন, “রিয়েলমি বাংলাদেশের বিশেষ রমজান মেগা ক্যাম্পেইনের ভাগ্যবান বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। পারিবারিক ভ্রমণের জন্য দুই লাখ টাকা জেতায় আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। এত চমৎকার একটি ক্যাম্পেইন আয়োজন করার জন্য এবং এই অসামান্য পুরস্কারের জন্য আমি রিয়েলমি বাংলাদেশকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই এই ঈদকে আমার জন্য আরও বিশেষ করে তুলেছে, এবং এই ভ্রমণের মাধ্যমে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে একটি অসাধারণ স্মৃতি তৈরি করার অপেক্ষায় আছি। আমার এই ইচ্ছে পূরণকে সম্ভব করে তোলার জন্য রিয়েলমি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ!”

শীর্ষমানের স্মার্টফোন সরবরাহের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে রিয়েলমি’র। ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য হলো স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের চাহিদা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে ব্র্যান্ডের পণ্য ও সেবার প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য পূরণে রিয়েলমি তার গ্রাহকদের জন্য ক্রমাগত উচ্চ-মানের স্মার্টফোন নিয়ে হাজির হচ্ছে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস ফের অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে বাতাসের কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু শহরটিতে বৃষ্টি বিদায় নিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৪৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৯৫। আর ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর, ১৬৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার স্কোর ১৬৮।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর



দীর্ঘদিন পর সিনিয়র সাংবাদিক বীরপুত্র হাবিবের পুত্র সন্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:গত বৃহস্পতিবার ২৪ রমজান ১৪৪৫ হিজরী ২১ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ০৪ এপ্রিল ২০২৪ বেলা ১১ ঘটিকায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে  মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান এর পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে । উল্লেখ্য বড় কন্যা হাবিবা নীম (২৩/০৩/২০০৭ ইং)।

আপনারা আমার পরিবার ও শিশু বাচ্চার জন্য দোয়া করবেন যেন বড় হয়ে কুরআনে হাফেজ ও বড় আলেম হতে পারে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সহযোগিতা করতে পারে । সাংবাদিক হাসিনা ৪ এপ্রিল - ৬ এপ্রিল দুপুরে সদর হাসপাতালের ৯ নং ওয়ার্ডের ৯ নং বেড থেকে ছেড়ে দিলে পুত্র সন্তান আব্দুর রহমান মালিথা কে নিয়ে বটতৈল বাড়ীতে চলে এসেছেন।  

সরকারী হাসপাতাল মানেই ফ্রি চিকিৎসা সেবা না , টাকা দিলেই মিলবে সুন্দর সেবা , অন্যথায় সেবা প্রত্যাশিতরা রাগ করেই চলে যায় বাহিরের বে-সরকারী হাসপাতালে ।

আরও খবর