Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী আগুন নেভাতে সুন্দরবনে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটাচ্ছে বিমানবাহিনী মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ডিএমপি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রার্থীদের নেই কোন প্রচার প্রচারনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃজাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গাংনীর রাজনীতি একরকম ঝিমিয়ে পড়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বা প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা একেবারই নেই। প্রতীক না থাকার বিষয়টি ঘোষিত হবার পর আওয়ামীলীগের কোন নেতাকে প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারনা করতে দেখা যায়নি। অন্যান্য দলগুলো কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তাদের প্রার্থী দিবেন না বলে সিদ্ধান্ত জানান।

উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। ইতোপূর্বে নির্বাচনের অনেক আগ থেকেই দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা গেলেও এবার তেমনটি লক্ষণীয় নয়।

শহর কিংবা হাট বাজারেও কোন প্রচার প্রচারণা নেই। আওয়ামীলীগের কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রতীক না থাকার বিষয়টি ঘোষণার পর নেতা কর্মীদের মাঝে নেই নির্বাচনী ইমেজ।এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না।বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে প্রতীক না

থাকলে তারা তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। দলের বেঁধে দেয়া প্রার্থী অনেকেরই পছন্দ হয় না। তখন ইচ্ছের বিরুদ্ধে ভোট দিতে হয়। অনেক সময় পরাজিত হতে হয় তাদের। তার পরও বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হচ্ছেন- মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম

শফিকুল আলম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকে রাশেদুল হক জুয়েল, গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেচুর রহমান মুকুল, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম, যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, নারী নেত্রী নুরজাহান বেগম ও সাবেক এমপি পতœী লাইলা আরজুমান বানু শিলা। এ ছাড়াও কয়েকজন ইউপি

চেয়ারম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে কাথুলূ ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা ও বর্তমান এমপির একান্ত কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যাস সোহেল আহম্মেদ। তবে প্রাথীদের অনেকেই বলেছেন, দলের নেতাকর্মীরা চাইলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ ছাড়াও গাংনী উপজেলা জাকের পার্টির যুগ্ম সম্পাদক সাহান কিবরিয়া নির্বাচনে লড়বেন বলে জানিয়েছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চেয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীগন। আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরা হচ্ছে- গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মিঠু, রাব্বি আহমেদ, ঠিকাদার ফারুক আহম্মেদ ও যুবলীগ নেতা আল ফারুক। এরা শহর ও গ্রামগঞ্জে জোরে শোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, নাসিমা ও আল্পনা খাতুনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সকলের কাছে পরিচিত হলেও অন্য দুই প্রার্থী সকলেরই অচেনা। গ্রাম গঞ্জে ফারহানা ইয়াসমীন প্রচারণা চালালেও অন্যরা দলের ডাক সাইটে নেতাদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন।

নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি জাতীয় পার্টি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ঘোষিত হবে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি (দায়িত্ব প্রাপ্ত) কেতাব আলী। অন্যদিকে মেহেরপুর জেলায় নির্বাচনে কোন প্রার্থী দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আব্দুল মাবুদ।


আরও খবর



টিফিনের টাকায় পথচারীদের শরবত খাওয়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:দেশ জুড়ে চলছে দাবদাহ । জনজীবনে নেমেছে অস্থিরতা। এই গরমে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্নের মানুষরা । যাদের জীবিকার তাগিদ রাস্তায় বের হতেই হচ্ছে । সেই মানুষদের এতটুকু প্রশান্তি দেওয়ার জন্য টিফিনের টাকা জমিয়ে শরবত পান করাচ্ছে কয়েকজন শিক্ষার্থী।

গত ১ মে বুধবার  সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রূপগঞ্জ উপজেলার  তারাবো পৌরসভার বরপা এলাকায়  শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইশিকা, চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসান ভূঁইয়া, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের এর নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্ণব ভুইয়া মুসলিম মডার্ন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিণ ভূঁইয়া ও লিটল ফ্লাওয়ার এডুকেয়ার স্কুলের নার্সারি শিক্ষার্থী অবন্তী ভুইয়া জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে তৃষ্ণার্ত রিক্সা, অটোরিক্সা ও সিএনজি চালক এবং পথচারীদের মধ্যে নিরাপদ সুপেয় পানি, স্যালাইন পানি ও শরবত বিতরণ করা করে। 

শিক্ষার্থী ঈশিকা বলেন, তীব্র গরমে মানুষ খুব কষ্টে আছে।  এ কারণে আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে টিফিনের টাকা জমিয়ে মানুষের কষ্ট কমানোর জন্য পথচারীদের শরবত ও সুপেয় পানি পান করাচ্ছি। 

তীব্র তাপদাহে ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত মানুষ বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি ও শরবত পান করতে পারায় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান পথচারীরা।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ডিএমপির নতুন পরিকল্পনা ঈদে ঢাকায় অপরাধ দমনে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় ঈদের ছুটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়িসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতি রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় সোনার দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। তবে, এবার অপরাধীরা সেই সুযোগ পাবে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে কোনো নিরাপত্তাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভবনা আছে কিনা সেটাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদরদপ্তরের উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে চুরি ও ছিনতাইসহ ঈদ কেন্দ্রিক সব ধরণের অপরাধ দমনে ৩৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির প্রতিটি বিভাগকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।

ঈদ ও ঈদ পরবর্তী মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় করণীয় নির্দেশা হলো–

১. নিরাপত্তা পরিকল্পনায় মোতায়েন সব অফিসার ও ফোর্স সন্দেহজনক ব্যক্তির দেহ ও অন্যান্য বস্তু সৌজন্যতার সঙ্গে তল্লাশি করবেন।

২. ঈদগাহ প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় যেন কোনো ভিক্ষুক ও হকার প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করবেন।

৩. সন্দেহজনক বা জরুরি কোনো বিষয় অবগত হলে তা অতি দ্রুত সময়ে হাইকোর্ট অভ্যন্তরে সাব-কন্ট্রোলরুম বা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে জানাতে হবে।

৪. ঈদের ছুটির সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিনই এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে কার্যকর চেকপোস্ট পরিচালনা করতে হবে। এসব চেকপোষ্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৫. মোটরসাইকেল বিরোধী অভিযান এ সময় জোরদার করতে হবে। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবেন। তিনজন আরোহী কোনক্রমেই চলাচল করতে পারবে না।

৬. ঈদের ছুটিতে রাজধানী খালি হয়ে যায়। যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। এ সুযোগে কিছু যুবক উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক চেকপোষ্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৭. ছুটিকালীন সময়ে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিধ কেটে চুরি, ডাকাতির আশংকা থাকে বিধায় ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করে তাদের প্রতি বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. ছুটিকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে সংঘবদ্ধ চক্র দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে বিধায় অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা প্রতিরোধে সিকিউরিটি গার্ডদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

৯. বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, মার্কেট, ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রাইভেট সিকিউরিটি দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে।

১০. প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্টসহ দৃশ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাতে থানার মোবাইল প্যাট্রোলসমূহ হুটার বাজিয়ে টহল দিবে। ছুটিকালীন সময়ে বাসা পরিবর্তনের নামে বাসাবাড়ির মালামাল যাতে চুরি না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ছুটিকালীন সময়ে বেপরোয়া যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১২. প্রতিটি থানা থেকে প্রতিদিন তিনটি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম টহল ডিউটি করবে। প্রতিটি টিমে এক সঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল থাকবে। প্রতিটি মটরসাইকেলে একজন এসআই, একজন এএসআই অস্ত্রসহ ও একজন কনস্টেবল শর্টগানসহ মোতায়েন করতে হবে।

১৩. ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ ও বাহির পথসমূহে ২৪ ঘণ্টা চেকপোস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঈদ পরবর্তী সময়ে সকল থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

১৪. নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত যেকোন ফোর্স মোতায়েন হওয়ার পূর্বে ইনচার্জ অফিসার তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যথাযথ ব্রিফিং প্রদান করবেন।

১৫. ঈদের দিন থেকে সব বাণিজ্যিক বিপনীবিতান ও স্বর্ণের মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। মার্কেট মালিক সমিতির মাধ্যমে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মালিক সমিতি কর্তৃক তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। এ সংক্রান্তে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সভা করে তাদেরকে নিরাপত্তা টিপস প্রদান করতে হবে।

১৭. আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রল গমনা-গমন নিশ্চিত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফুট প্যাট্রলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত গাড়ি প্রয়োজন হলে উপকমিশনার (পরিবহন) সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।


আরও খবর



তানোরে দুই শতাধিকের অধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের চেষ্টা! উত্তেজনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে দুই শতাধিক আম গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী হাসানের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার জিওল গ্রামে ঘটে ঘটনাটি। এঘটনায় জমির মালিকের ছেলে জিওল গ্রামের আলি হোসেন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গাছ কেটে জমি দখলের ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলে আশঙ্কা গ্রামবাসির। 

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার জিওল মৌজার অন্তর্গত আরএস ৩৩ নম্বর খতিয়ানে আরএস ২৫৩ দাগে জমি রয়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ। জমিটির মালিক ওই গ্রামের মুন্তাজের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। তার নিজ নামে খাজনা খারিজও রয়েছে। যার খারিজ কেস নম্বর ৩৫৬০/1x-1/২০০৫-২০০৬ ইং, প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ১৯৭, হিসাব নম্বর ২০৩। কিন্তু জমিটি নিয়ে বারবার ঝামেলা ও দখল করার পায়তারা করে আসছেন জিওল গ্রামের প্রভাবশালী হাসান আলী। 
সরেজমিনে দেখা যায়, জিওল গ্রামের ধানী মাঠে পোল্ট্রি খামারের পূর্ব দিকে জমিটির অবস্থান। জমিটিতে গত মঙ্গলবার মালিক আনোয়ারা বেগমের ছেলে আলী হোসেন প্রায় আড়াই শত মত আম গাছ রোপন করেন। আমের জাত আমরুপালি। গাছ রোপনের পরদিন বুধবার  দখলদার হাসান গংয়ের নেতৃত্বে তরতাজা আম গাছ কর্তন ও ত্যারের বেড়া ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। গাছগুলো কাটা অবস্থায় নিথর ভাবে পড়ে রয়েছে। 

সেখানেই ছিলেন, জমির মালিকের ছেলে আলী হোসেন তিনি জানান, বিগত ১৯৮১ সাল থেকে জমিটি আমাদের দখলে ছিল। মাঝে মধ্যেই হাসান দলবল এনে দখল বাজী ও আবাদের ক্ষতি করে থাকে। আমার মা বিগত ১৯৮১ সালের দিকে  এজমিসহ আরো জমি কিনেন। কিনার পর খাজনা খারিজ করা হয়েছে। হাসান খারিজ বাতিলের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিন্তু তার লাঠি ও টাকার জোরে দখলের চেষ্টা করে থাকেন। তিনিই থানায় অভিযোগ করেন, তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় বসার কথা হয়। অথচ বসার আগেই আমার রোপনকৃত গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এতে করে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চায়। জমি তার হলে অবশ্যই ছেড়ে দিব।

দখলদার হাসান বলেন, আমি জমিটি বিগত ২০০৫ সালে কিনেছে। কিন্তু তারা কিভাবে খাজনা খারিজ করে ফেলেছে আমি জানিনা। আমার দলিল আগে। আপনার দলিল আগে হলে তো মিস কেস করলে খারিজ বাতিল হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এডিসিতে আবেদন করেছিলাম, সে রায় ভূমি অফিসে আছে। রায় থাকলে তো জমি খারিজ হয়ে যাবে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদ উত্তর না দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বসে মিমাংসা করা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 
জমির মালিক আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মুন্তাজ আলী বলেন, কাগজ যার জমি তার। আমার নামে খাজনা খারিজ আছে। হাসানের কাগজ যদি সঠিক থাকে  ও খারিজ বাতিল করতে পারলে এবং আমাদের বিপক্ষে রায় গেলে আমরা জমি ছেড়ে দিব। কিন্তু বারবার লাঠিয়াল বাহিনী এনে সব নষ্ট করে ফেলা কোন কাজ। এতগুলো আমগাছ কেটে ফেললো এর ক্ষতি পূরুন কে দিবে। তার লোকজন ও টাকা পয়সা আছে বলেই সবকিছু করবে এটা কোন ধরনের কথা। আমরা এসবের ন্যায্য বিচার চাই।  গাছ কাটার পর থানা পুলিশ তদন্ত করেছেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃগ্রাম্য এলাকাগুলোতে নববর্ষ উপলক্ষে রংমাখানো, নদী বা পুকুরে মাছ ধরা, গোসল করার প্রচলন রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় কুলিক নদীতে দুই শিশু গোসল করতে যায়। গোসলের একপর্যায়ে দূজনে পাতিতে তলিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নববর্ষ উপলক্ষে কুলিক নদীতে রবিবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নে খঞ্জনা গ্রামের ইব্রাহিমের কন্যা ইয়াসমিন (১০) দিনাজপুর সদর উপজেলার রেল স্টেশন এলাকার ইউসুফ আলী’র কন্যা তসলিমা (৮) গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা তসলিমা ইয়াসমিনের সাথে দুপুরে কুলিক নদীতে গোসল করতে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে কুলিক নদী পানিতে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। 

এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, থানা পুলিশসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর



৮ হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল-মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইতিমধ্যে ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কেউ যদি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পরে তাহলে সাথে সাথে সেই মৃক্তিযোদ্ধার সনদ ও বাতিল করা হবে। দ্রুততম সময়ে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি নির্মান কাজের প্রতিশ্রতি দেন  তিনি।

আজ বুধবার সকালে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকানে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এর আগে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মন্ত্রী।

মুজিবনগরের উন্নয়নের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন,   মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কেন্দ্রের নির্মান কাজ শুরু হবে।

এদিকে সকাল সাড়ে নয়টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও মন্ত্রীপরিষদ সদস্যবৃন্দ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, আওয়ায়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দীন নাছিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এর পরে আম্রকাননে জাকজমকপূর্ণ কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, আনছার, বিএনসিসি ও ছাত্রছাত্রীদের  একাধিক দল কুজকাওয়াজ প্রদর্শন করে।


আরও খবর