মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃজাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গাংনীর রাজনীতি একরকম ঝিমিয়ে পড়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বা প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা একেবারই নেই। প্রতীক না থাকার বিষয়টি ঘোষিত হবার পর আওয়ামীলীগের কোন নেতাকে প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারনা করতে দেখা যায়নি। অন্যান্য দলগুলো কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তাদের প্রার্থী দিবেন না বলে সিদ্ধান্ত জানান।
উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। ইতোপূর্বে নির্বাচনের অনেক আগ থেকেই দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা গেলেও এবার তেমনটি লক্ষণীয় নয়।
শহর কিংবা হাট বাজারেও কোন প্রচার প্রচারণা নেই। আওয়ামীলীগের কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রতীক না থাকার বিষয়টি ঘোষণার পর নেতা কর্মীদের মাঝে নেই নির্বাচনী ইমেজ।এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না।বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে প্রতীক না
থাকলে তারা তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। দলের বেঁধে দেয়া প্রার্থী অনেকেরই পছন্দ হয় না। তখন ইচ্ছের বিরুদ্ধে ভোট দিতে হয়। অনেক সময় পরাজিত হতে হয় তাদের। তার পরও বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হচ্ছেন- মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম
শফিকুল আলম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকে রাশেদুল হক জুয়েল, গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেচুর রহমান মুকুল, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম, যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, নারী নেত্রী নুরজাহান বেগম ও সাবেক এমপি পতœী লাইলা আরজুমান বানু শিলা। এ ছাড়াও কয়েকজন ইউপি
চেয়ারম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে কাথুলূ ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা ও বর্তমান এমপির একান্ত কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যাস সোহেল আহম্মেদ। তবে প্রাথীদের অনেকেই বলেছেন, দলের নেতাকর্মীরা চাইলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ ছাড়াও গাংনী উপজেলা জাকের পার্টির যুগ্ম সম্পাদক সাহান কিবরিয়া নির্বাচনে লড়বেন বলে জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চেয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীগন। আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতা তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরা হচ্ছে- গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মিঠু, রাব্বি আহমেদ, ঠিকাদার ফারুক আহম্মেদ ও যুবলীগ নেতা আল ফারুক। এরা শহর ও গ্রামগঞ্জে জোরে শোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, নাসিমা ও আল্পনা খাতুনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সকলের কাছে পরিচিত হলেও অন্য দুই প্রার্থী সকলেরই অচেনা। গ্রাম গঞ্জে ফারহানা ইয়াসমীন প্রচারণা চালালেও অন্যরা দলের ডাক সাইটে নেতাদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি জাতীয় পার্টি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ঘোষিত হবে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি (দায়িত্ব প্রাপ্ত) কেতাব আলী। অন্যদিকে মেহেরপুর জেলায় নির্বাচনে কোন প্রার্থী দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আব্দুল মাবুদ।