Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

এলপিজির দাম আবারও বাড়ল

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের দাম ২৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে দাম ছিল ১ হাজার ৩৮১ টাকা।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. নরুল আমিন এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ মূল্য ঘোষণা করেন। এসময় বিইআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে জানিয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারদর অপরিবর্তিত থাকলেও ডলার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দাম বেড়েছে।

বাজারে নির্ধারিত মূল্যে এলপিজি পাওয়া যাচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজিতে ১১৭ টাকা ২ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজিতে ১১৩ টাকা ২০ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। আর ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারে ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে।

এর আগে, গত মাসে ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়াও ভোক্তাপর্যায়ে বোতলজাতকৃত ৫.৫ কেজি এলপিজির দাম ৬৪৪ টাকা, ১২.৫ কেজি ১ হাজার ৪৬৩ টাকা, ১৫ কেজি ১ হাজার ৭৫৫ টাকা, ১৬ কেজি ১ হাজার ৮৭২ টাকা, ১৮ কেজি ২ হাজার ১০৭ টাকা, ২০ কেজি ২ হাজার ৩৪০ টাকা, ২২ কেজি ২ হাজার ৫৭৫ টাকা, ২৫ কেজি ২ হাজার ৯২৬ টাকা, ৩০ কেজি ৩ হাজার ৫৫১ টাকা, ৩৩ কেজি ৩ হাজার ৮৬২ টাকা, ৩৫ কেজি ৪ হাজার ৯৬ টাকা এবং ৪৫ কেজির বেতলজাতকৃত এলপিজির দাম ৫ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃপ্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপন্ন। মানুষের জীবন গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষেরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায়। প্রচুর গরমে তাদের কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সামান্য কাজ করেই হাপিয়ে পড়ছে তারা। অনাবৃষ্টিতে গ্রাম গঞ্জের রাস্তাঘাট ধুলোবালুতে ভরে গেছে।

এ থেকে নিস্তার পেতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ডিগ্রী কলেজ মাঠে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাইয়্যেদুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত ইমাম ওলামা মাশায়েখের আয়োজনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান,উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লবসহ ২ শতাধিক মুসল্লি অংশ গ্রহণ করে। এ নামাজে ইমামতি করেন উত্তরবঙ্গের খ্যাতি সম্পন্ন মাওলানা আব্দুল্লাহীল বাকী।

সহকারী শিক্ষক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান বলেন,প্রচন্ড দাবদাহ থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে  অংশ হিসাবে এ নামাজ আদায় করা হলো। হাদিসে আছে আমাদের নবী রাসুলেরা বৃষ্টির জন্য এ নামাজ আদায় করতো। সেই ধারাবাহিকতায় এ নামাজ পড়েছি। একইভাবে ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটে লোকজন কমে যায়। এ জন্য বেচাকেনাও কম। সূর্যের তাপদাহে মানুষ বাড়ী থেকে তেমন বের হতে পাড়ছে না। তাই বৃষ্টির প্রার্থনায় এ নামাজে অনেকেই অংশ গ্রহণ করেছি।

আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




বৃষ্টি চেয়ে গাংনীতে ইসতেসকার নামাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মেহেরপুরের গাংনীর জনজীবন। প্রকৃতির বুক চিরে বের হচ্ছে গরম হাওয়া। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় ইসতেসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে আয়োজিত এ নামাজে অংশ গ্রহণ করেন বিভিন্ন বয়সী মুসল্লি ও আলেম ওলামারা। দুই রাকাত নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করে গুনাহ মাফের জন্য তওবা পড়ানো হয় মুসল্লিদের। এর পরে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা। আল্লাহর কাছে স্বস্তির পানি চেয়ে চোখের পানি ফেলেন অনেকে। এসময় কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে রহমতের বর্ষণ এবং বিশ্বমুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সায়েফ উল্লাহ মোহাম্মদ খালেদ এবং দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রুহুল আমিন।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:একটা চাদর হবে’- ইথুন বাবুর কথা, সুর ও সঙ্গীতে এই গান গেয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান জেনস সুমন। এর আগে-পরে বেশকিছু মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছিলেন তিনি। মাঝে এক যুগের বিরতি। এরপর আবার ব্যস্ত হয়ে যান।

আবারো নতুন গান নিয়ে হাজির হলেন এই গায়ক। শিরোনাম ‘আসমান জমিন’। গানটির কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন এস আই এনজেল। ঈশা খান দূরের তত্ত্বাবধানে ভিডিও পরিচালনা করেছেন এআর খান।

দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গান-ভিডিও মুক্তি পেয়েছে।নতুন গান প্রসঙ্গে সুমন বলেন, আসমান জামিন একটি রোমান্টিক ঘরানার গান। সর্বশেষ ২০০৮ সালে গান করেছি। এরপর গান করা হয়নি। দীর্ঘদিন পর নতুন গান নিয়ে ফিরছি। আশা করছি, আমার নতুন গানটি সবার পছন্দ হবে।

জেনস সুম‌নের প্রথম একক অ্যালবাম ‘আশীর্বাদ’ প্রকাশ হয় ১৯৯৭ সা‌লে। তারপর একে একে আসে ‘আকাশ কেঁদেছে’, ‘অতিথি’, ‘আশাবাদী’, ‘একটা চাদর হবে’, ‘আয় তোরা আয়’, ‘চেরী’ ইত্যাদি। আর ২০০৮ সা‌লে প্রকাশ হয় তার সবশেষ অ্যালবাম ‘মন চ‌লো রূপের নগ‌রে’।  এরপর থেকে গানে অনিয়মিত তিনি।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে আমগাছের ডালে কলেজছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের গাজীরহাট-পাঁচপীর এলাকা থেকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে শানু(২৫) নামে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শানু গাজীরহাট-পশ্চিমপাড়া গ্রামের তাহের হোসেনের ছেলে এবং ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছাত্র। থানার ওসি সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে গাজীরহাট-পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষকরা
ধান ক্ষেতে পানি সেচ দিতে এসে পাশের পাঁচপীর কবরস্থানের একটি আমগাছের ডালে শানুর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক তারা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, ওসি সোহেল রানাসহ সঙ্গীয় পুলিশফোর্স  ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। 

এদিকে নিহত শানুর চাচাত ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, শানুকে আমরা গতকাল বাড়িতেই দেখেছিলাম তবে রাতে সে বাড়িতে ফিরেছিল কিনা তা জানিনা। স্থানীয় কেউ কেউ শানুর মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা বলে মন্তব্য করেন। 

এ বিষয়ে ওসি আরো বলেন,এ ব্যাপারে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় নি। লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। 
রিপোর্ট পেলে এ মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।

আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৮৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪