Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঈদ উপহার দিয়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় প্রবাসী তরুণের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের আক্কেলপুরে  মালয়েশিয়া প্রবাসী এক তরুণ মোটরসাইকেলে যোগে আত্বীয়র বাড়িতে ঈদ উপহারের জিনিসপত্র পৌঁছানোর পর নিজের বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন। এসময় তাঁর  মোটরসাইকেলটি চলন্ত  ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল। ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর একটি প্ল্যাটফার্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটকে পড়ে। 

শুক্রবার সকাল পৌনে ১১ টায় হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকের রাস্তা পারাপারে সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তি হলেন মিজানুর রহমার ওরফে মুকুল হোসেন (২৮)। তিনি  আক্কেলপুর উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেড় মাস আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,  মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে  শুক্রবার সকালে তাঁর খালার বাড়ি গণিপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। তিনি খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্বদিকে রাস্তা পারাপারের সময় চিলাহাটী ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কায় মিজানুর  রেললাইনের পাশে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর মোটরসাইকেলটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে আটকে যায়।  ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে  জাফরপুর স্টেশনে গিয়ে প্ল্যাটফর্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটক পড়ে। ট্রেনটি সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। স্বজনেরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মিজানুরের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।

হলহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মজিদুল হক  বলেন, আমি হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকে ঘটনাস্থল থেকে দেড়শ গজ দূরে রেললাইনের পাশে গরু চড়াচ্ছিলাম। ঢাকাগামী একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে মোটরসাইকেল আটকে ছিল। লোকজনের চিৎকার শুনে এসে দেখি মোটরসাইকেল চালকের ছিন্নভিন্ন দেহ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে। খবর পেয়ে লোকজন এসে লাশটি হাজরাপাড়া গ্রামের প্রবাসী মিজানুরের বলে শনাক্ত করেন।

নিহতের মিজানুর রহমানের  খালা নাইচ আক্তার কাঁদতে-কাঁদতে  বলেন, মিজানুর শুক্রবার সকালে আমার বাড়িতে এসে ঈদের বাজার দিয়েছে। আমরাও তাকে ঈদের কিছু বাজার দিয়েছিলাম। আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার আধাঘন্টা পর  মিজানুরের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ভাগিনার এমন মৃত্যু সহ্য করতে  পারছিনা।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল লতিফ বলেন, মিজানুর  মালয়েশিয়াতে ছিল। সে প্রায় দেড় মাস আগে আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে এসেছিল। আমরা তার বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজ করছিলাম।  খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে ধাক্কায় মিজানুরের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের ঈদের আনন্দ এখন বিষাদে পরিণিত হয়েছে। 

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, হলহলিয়া ব্রীজ এলাকায় ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী আন্ত:নগর ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

আরও খবর



গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যু,একজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যজন এখনো নিখোঁজ। রোববার গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম উসমান আলী (১৩), সে মহিশালবাড়ি সাগরপাড়া মহল্লার ওমর আলীর ছেলে। অপর নিখোঁজ শিশু সুলতান মুহাম্মদ সাইফ (১৫), সে একই এলাকার প্রবাসী নাসির উদ্দিনের ছেলে। দুজনই মহিশালবাড়ি আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, সকালে আল-ইসলাহ ইসলামি একাডেমির পাঁচ ছাত্র পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় দুজন ডুবে যায়। পরে অন্য তিনজনের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা উসমান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে।

সাইফকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়।রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিনজন ডুবুরি বেলা ১টা থেকে নদীর তলদেশে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ৩ টা) নিখোঁজ সাইফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। এরপরও সন্ধান না পাওয়া গেলে পরদিন অভিযান শুরু হবে।’গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশু উসমানের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।জানা যায়, চলতি মাসে তীব্র গরমে রাজশাহীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার মোহনপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে ২৩ এপ্রিল পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুঘাট এলাকায় পদ্মায় ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। ২১ এপ্রিল একই উপজেলার হরিপুরে নদীতে ডুবে এক কিশোর ও এক তরুণের মৃত্যু হয়। ২০ এপ্রিল বাঘা উপজেলায় নদীতে ডুবে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ১৯ এপ্রিল একই উপজেলায় এক শিশু নদীতে ডুবে মারা যায়। তার আগে ১৪ এপ্রিল আরও দুই শিশু পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যায়। সবশেষ গোদাগাড়ী পৌরসভার রেলবাজার খেয়াঘাট এলাকায় নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে কুলিক নদী থেকে বালু উত্তোলনের অপরাধে ২ ব্যাক্তিকে ১৫ দিনের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুলিক নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে আকাশ আলী (৩৩) ও রাশেল (২৩) নামে দুই বালু ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন, ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান। এ সময় ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী মকলেসুর রহমান ও থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার উমড়াডাঙ্গী কুলিক নদীর ঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনরত অবস্থায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ধারায় তাদেরকে এ কারাদন্ড প্রদান করা হয়। আকাশ উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এবং রাশেল একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে মহেন্দ্র ট্রাক্টরের মাধ্যমে কুলিক নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন,জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকবে। 

আরও খবর



মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে হত্যার ঘটনায় ২৪ জনের নামে মামলা, গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহত কৃষক হাকিম জোমাদ্দারের ভাই হারুণ জোমাদ্দার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২৪ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। যার প্রধান আসামি প্রতিবেশি বারেক হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার বেলা ১০টার দিকে বাগেরহাট কোর্টে সোপর্দ করেছে। এরা হচ্ছেন, আব্দুস সালাম ফকির, হাসান হাওলাদার, নাজমা বেগম, লাইজু বেগম ও জাহানারা বেগম।

এর আগে, শুক্রবার বেলা ৮টার দিকে গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে আব্দুল হাকিম জোমাদ্দারকে(৬২) পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশি শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। মারপিটে আরও ৭ জন আহত হন।

জানা গেছে, বারেক হাওলাদার ও হাকিম জোমাদ্দারের মধ্যে ৩.৪২ একর জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে ৪/৫ বছর ধরে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার বারেক হাওলাদারের ছেলে শহিদুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী হাকিম জোমাদ্দারের বসতঘরের সামনে থেকে বিাবদমান ওই জমির কিছু অংশে ঘেরাবেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। ওই সময় দখলে বাধা দিলে হাকিম জোমাদ্দার ও তার লোকজনদের ওপর হামলা করে শহিদুলের বাহিনী। হামলায় গুরুতর জখমী দুই সন্তানের পিতা হাকিম জোমাদ্দার ঘটনাস্থলেই মারা যান।

হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান ও বাগেরহাট জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন(পিবিআই) এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এ হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। এ পর্যন্ত ৫ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আরও খবর



নীলফামারীতে কৃষি বিষয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীতে জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্পের সহায়তায় কৃষক ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের নিয়ে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নীলফামারী পরিবার পরিকল্পনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক পোরশিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসাবে, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ও গবেষনা কেন্দ্র রংপুর আঞ্চলিক শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, কেয়ার বাংলাদেশ এর পাবলিক এন্ড প্রাইভেট সেক্টর কনসালটেন্ট মাহামুদুল ইফতেখারুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার নিহার কুমার প্রামানিক, প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার শরিফ আহম্মেদ শাহ্ধসঢ়; প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৮০ জন সফল খামারী, কৃষক ও প্রকল্পের উদ্দোক্তাসহ সুধীজন  অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য- জানো প্রকল্পটি ইউরোপিয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে অষ্ট্রিয়ান ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এর সহায়তায় কেয়ার  ইন্টারন্যাশনাল ও প্লান ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরী সহায়তায় জাতীয় পর্যায়ের বে-সরকারী সংস্থা ইকো সোশ্যাল  ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১সেপ্টেম্বর হতে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ, কাউনিয়া,গংঙ্গাচড়া এবং নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী সদর, জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় একযোগে প্রকল্পটি  সরকারের সমম্বিত পুষ্টি কার্যক্রমকে সহায়তা করে এলাকায় ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের ভাবনায় ঈদ-আনন্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন পালন করবেন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। তবে ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ক্লান্তিময় জীবনের শেষে সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে ঈদ পালনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসায় পৌছে গেছে । ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে  নিটার শিক্ষার্থীদের কেমন সময় কাটছে, কেমন উপভোগ করছেন ঈদের আমেজ তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                                                    ‘‘অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রেমে মগ্ন হয়ে ঈদের উৎসবে”
আমার ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এবং কাঁচা আমের সুগন্ধে। আম্মু দেখি এখনো বিভিন্ন রকম খাবার  তৈরিতে ব্যস্ত । আমার ছোট ভাই-বোনেরা এসে বলতে লাগল, “ভাইয়া, আজকে কিন্তু আপনাকেও সালামি দিতে হবে।” বললাম, “আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আগে গোসলটা করে আসি।” আমার নানুর বাড়ি আমাদের বাড়ির মোটামুটি পাশেই। গোসল করার পর কাপড়-চোপড় নিয়ে নানুর বাড়ি গিয়ে মামাদের ডাক দিলাম। বললাম, “চলেন, নদীতে গোসল করতে যাই।” সবাইকে নিয়ে মাতামুহুরি নদীতে একসাথে গোসল করলাম। অনেক মজা করলাম। আমার নানুর বাড়ি যেহেতু কাছে, তাই ঈদ মানে আমার দ্বিগুণ উৎসব দ্বিগুণ আনন্দ। গোসল করে বাসায় গিয়ে তৈরি হয়ে সবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে রওনা দিলাম । ঈদের নামাজ পড়ে সবার সাথে কোলাকুলি করলাম। ধনী-গরিব সবাই একসাথে নামাজ পড়ছে, কুশলবিনিময় করছে এরচেয়ে আর সুন্দর মুহূর্ত কি হতে পারে! পুরাতন বন্ধুদের সাথেও দেখা হয়ে গেল।  নামাজ পড়ে বের হতেই চারিদিকে শুধু  সুঘ্রাণ পাচ্ছি। তর সইছে না। বাড়ি গিয়ে  অবস্হা কাহিল, সালামি নেওয়ার জন্য সবাই ঘেরাও করছে ওদের সালামী দিতে গিয়ে আমার পকেট ফাঁকা।  এরপর  প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে যে  ভোজন শুরু করলাম, শেষ কিন্তু আর হয় না। এমন ভোজন করলাম যে, পেট ফেটে যাবে এমন অবস্হা, তবু ইচ্ছা করতেছে আরও খাই। কেন খাব না বলেন! খাবারে যদি থাকে পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, সেমাই ও বিভিন্ন রকমের পিঠা ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভোজনের সাথে কিন্তু আমিও সালামি নিতে ভুলিনি। এরপর বছরের সব জমানো কথা নিয়ে বিকালে স্কুলের মাঠে পুরাতন বন্ধুরা আড্ডা  দিতে বসলাম। এইভাবে অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং ঘুরে বেড়িয়ে আমার ঈদ কাটালাম।
কবির মোহাম্মদ গালিব তাসপি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                          ‘‘ছোটবেলার সেই চাঁদরাত আর আজকের চাঁদরাত”
ছোটবেলায় বিশ রোজার পর অপেক্ষায় থাকতাম কবে ২৯ রোজা আসবে, চাঁদ উঠবে। দোয়া করতাম যেন, কোন মতেই ঈদ ৩০ রোজায় না হয়। কারণ ২৯ রোজায় চাঁদ ওঠা একটা অনিশ্চয়তার ব্যাপার, আর তাই মজার। ইফতার করতে পারতাম না সেদিন, পানি আর দুই একটা জিনিস মুখে দিয়েই দৌড়। পিছন পিছন আম্মা হয়তো বলত, এই দাঁড়া, দাঁড়া। কে শোনে কার কথা? আমরা থাকতাম কলোনীতে, চাঁদ দেখতাম বড় মাঠে গিয়ে। আমরা এখন আর কলোনীতে থাকি না, সেই মাঠ এখনো আছে, কিন্ত আমরা ঢাকাবাসীরা কতদিন চাঁদ দেখি না। এখন চাঁদ দেখা যায় চুয়াডাংগা, পঞ্চগড় এ।আর দেখা যাবেই বা কেম নে ঢাকাতে এখন আকাশ দেখা যায় নাকি? চাঁদ উঠলে আমরা বাজি ফুটাতাম, তারাবাতি জালাতাম। আরেকটু বড় হলে ভাইরা ডেক সেটে গান ছাড়ত, মসজিদে মসজিদে আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, অসাধারাণ সেই সুর, কিছুক্ষন পর পর হুজুরের জানিয়ে দেয়া ঈদের জামাতের সময়। বাসা বাসা থেকে আসত রান্নার গন্ধ। সব মিলিয়ে আনন্দটা ছিল অনেক বেশি। এখন আর ছোট নেই, আমি বড় হয়েছি। এখন অনেক দায়িত্ব। তবুও মাঝে মাঝে খুব ছোট হতে ইচ্ছা করে আবারো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখনো ঈদে অনেক আনন্দ আছে, অন্যরকম এবং দায়িত্বের। ছোট বেলার সেই বল্গাহীন আনন্দটা নেই। তবে সেজন্য আমি দুঃখিত নই এতটুকুও, মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই এই আর কি! সবাইকে ঈদ মোবারক।
মোঃ আরাফাত হোসেন রাফি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                        ‘‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে পরিবার”
ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে সীমাহীন আনন্দ ও ভালোবাসা। ব্যস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবনে ঈদ নিয়ে আসে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বয়স ভেদে মানুষের কাছে ঈদের সংজ্ঞা বা ঈদের আনন্দের রঙ একটু আলাদা। কেউ সকালে শত আশা-প্রত্যাশা নিয়ে জেগে উঠে ঈদের দিন ভোরে সকলের দোয়া নেওয়ার আশায়, কেউবা শত ত্যাগ এর মাধ্যমে হাসি ফুটিয়ে দেয় পরিবারের ছোটোবড় সকলের মাঝে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়াই ঈদের সার্থকতা। আবার, সকল ছেলেদের কাছে ঈদ স্বপ্নের চেয়ে কোন অংশে কম নয়! কারণ, এই দিনে সে নিজের বাবার সাথে কোলাকুলি এবং সালাম করার মাধ্যমে জীবনের সকল হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে জীবন, যেমন করে ঈদের দিন ভোরে একটু একটু করে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হয় নতুন একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনের আশায়। আবার, শেষ রোজার সন্ধ্যায় সূর্য পশ্চিমে লুকিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে দেখা যায় ছোট্ট একফালি ঈদের চাঁদ। যা সকলের শত ক্লান্তি ও পরিশ্রমের পর স্নিগ্ধ এক হাসির কারণ। ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মোঃ সাদিয়াল হোসেন, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                  ‘‘ঈদ মানে ব্যস্ত জীবনে আনন্দের ছোয়া”
ঈদ হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ হতে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালনের পর ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে আনে। ঈদের আগমন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ে, ছোটবেলায় দাদুবাড়িতেই ঈদ কাটানো হতো। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের নামাজে ঈদগাহে যাওয়া কিংবা নামাজে না গিয়ে চাচাতো ভাইয়াদের সাথে সদাই খাওয়া, খেলনা কিনার দিনগুলো এখন শুধুই সোনালী অতীত। যতই বয়স বেড়েছে ঈদের আনন্দ আসতে আসতে কমে এসেছে। তবুও ঈদ যেন পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেওয়ার সু্যোগ করে দেয়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনা, খেলাধুলা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে সরে যাই। তবে ঈদের সময় বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষেরা খোঁজখবর নেয়। পুনরায় যোগাযোগ করার একটি সুন্দর সুযোগ হয়ে উঠে। এবারের ঈদটি কিছুটা বিশেষ কারন এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ঈদ। ঈদের দিন রাত থেকেই অন্য রকমের অনূভুতি হয়। সকালে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু। আব্বু-আম্মুর থেকে সালামি নিতে ভুল হয় না। তারপর কিছুটা মিষ্টিমুখ করে ঈদের নামাজ শেষ হয়। পেটুক হওয়াতে কিছুক্ষণ পর পরই মুখে কিছু দিতেই হয়। সারাদিন আব্বু-আম্মু আর বোনের সাথে অনেক মজায় সময়গুলো কাটে। বিকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুরতে যাওয়া ঈদ আনন্দের অন্যতম অংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সহপাঠী বন্ধুদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এই ঈদটি আরো বিশেষ হওয়ার অন্যতম কারন হলো এই রমজানের শেষের দিকে অর্থাৎ ঈদের আগ মুহূর্তে ঘটে গেছে সূর্যগ্রহণের মতো বিরল এক ঘটনা যা প্রায় ১২৫ বছরের ব্যবধানে হতে দেখা যায়। এই হলো আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একজনের ঈদ! হয়তো ঈদ উদযাপন খুবই সাধারণ, তবুও ছোটবেলার মতো খুবই জাকজমকপূর্ণ না হলেও এমন বিভিন্ন কারনে এই ঈদ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা ঈদের দিনের মতো বছরের অন্যান্য সময়গুলোও কিছুটা হলেও আনন্দময় করে দিক এবং মুছে দিক সকল বেদনা।
মোঃ আব্দুল হাশেম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর