

রবিবার ২৮ মে ২০২৩
রবিবার ২৮ মে ২০২৩
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম ২০০ মেগাপিক্সেল সুপারজুম ক্যামেরা, সাথে চোখ ধাঁধানো ব্যাককেস ডিজাইন, তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি ১০ মে, ২০২৩ চীনা বাজারে ১১ প্রো ফাইভজি সিরিজের ডিভাইস উন্মোচন করেছে। নতুন এই সিরিজের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজি ও রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি স্মার্টফোন। এর মধ্যে রিয়েলমি’র ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা ফোন অফ দি ইয়ার হিসেবে ১১ প্রো+ ফাইভজি ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে। রিয়েলমি হিরো সিরিজের এ দু’টি স্মার্টফোনেই গুচি প্রিন্ট ও টেক্সটাইলের সাবেক ডিজাইনারের করা লাক্সারি মাস্টার ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।বিশ্বব্যাপী রিয়েলমি নাম্বার সিরিজের ৫০ মিলিয়ন ডিভাইস শিপমেন্ট করা হয়েছে, যা রেকর্ড সময়ের মধ্যে রিয়েলমি’র ১০০ মিলিয়ন ইউনিট ডিভাইস বিক্রির মাইলফলক অর্জন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।প্রতিষ্ঠানটি ‘নো লিপ-ফরোয়ার্ড ইনোভেশন, নো প্রোডাক্ট রিলিজ’ এই উদ্যোগের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বছর যুগান্তকারী ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা ফোন হিসেবে রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজি নিয়ে এসেছে। এই সেগমেন্টের বাকি ফোনগুলোর তুলনায় এই ডিভাইস অনেক উন্নত কারণ এতে রয়েছে ২০০ মেগাপিক্সেল সুপারজুম ক্যামেরা, যা বিশ্বে প্রথম।
ডিভাইসটি জুম সক্ষমতা, হাইয়ার পিক্সেল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের যুগান্তকারী মোবাইল ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাই কেবল দিবে না; পাশাপাশি ডিজাইন, ব্যাটারি লাইফ, মেমোরি ও অন্যান্য ফিচার ব্যবহার করার সময় উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্যামসাং আইএসওসিইএলএল এইচপি৩ সুপারজুম সেন্সর, ১/১.৪ ইঞ্চি আকারের বড় সেন্সর ও এফ/১.৬৯ অ্যাপারচার। ২০০ মেগাপিক্সেলের চমৎকার ছবি তোলা যাবে এই ফোন দিয়ে। ৪X লসলেস জুম ও অটো-জুমে সহায়তা করতে রিয়েলমি ১১ প্রো+ফাইভজিতে ব্যবহার করা হয়েছে ইন-সেন্সর জুম টেকনোলজি।পাশাপাশি, ডিভাইসটিতে রয়েছে সুপারওআইএস, সুপার নাইটস্ক্যাপ, মুন মোড ও স্ট্যারি মোড প্রো’র মতো ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা সেটিংস, যা ছবির মাধ্যমে সব ধরনের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। ব্যবহারকারীরা এখন ৩২ মেগাপিক্সেল সনি সেলফি ক্যামেরা, সুপার গ্রুপ পোর্ট্রেইট মোড, ওয়ান টেক মোড এবং ফ্যানদের পছন্দের স্ট্রিট ফটোগ্রাফি মোড ৪.০ এর মাধ্যমে ফটোগ্রাফির অনন্য অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। ব্যবহারকারীদের জন্য চোখধাঁধানো ডিভাইস নিয়ে এসেছে নতুন এই সিরিজটি।
সানরাইজ বেইজ, ওয়েসিস গ্রিন ও অ্যাস্ট্রাল ব্ল্যাক- এই তিনটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে ডিভাইসটি। গুচির সাবেক প্রিন্ট ও টেক্সটাইল ডিজাইনার ম্যাটিও মেনোটোর করা এই দুর্দান্ত ডিজাইনটি রিয়েলমি ডিজাইন স্টুডিওর সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। সারাবিশ্বের তরুণদের কথা বিবেচনা করে এই দুর্দান্ত ডিজাইনের ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে।মিলান শহরের অপরূপ সৌন্দর্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ফোনের রঙ ডিজাইন করা হয়েছে। সূর্য উদয়ের সময় মিলানের বিভিন্ন স্থাপত্যের নান্দনিক সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়, সেই সৌন্দর্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই ফোনে সানরাইজ বেইজ রঙ নিয়ে আসা হয়েছে। এই ডিজাইন প্রিমিয়াম উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কিউরেট করা হয়েছে এছাড়া, ত্রিমাত্রিক ওয়েভেন টেক্সচারের সাথে লিচি ভেগান লেদার এর সমন্বয়ের কারণে তৈরি হয়েছে খুবই ট্রেন্ডি রঙ।পাশাপাশি, রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজিতে রয়েছে শক্তিশালী ১০০ ওয়াটের সুপারভুক চার্জ ও ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। এই ফোনে ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ২,১৬০ হার্জের ডিমিং ফ্রিকয়েন্সি সহ ১২০ হার্জের কার্ভড ভিশন ডিসপ্লে এবং প্রথমবারের মতো ২০,০০০ মাত্রার অটোমেটিক ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্টমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজির মতো একই রকম প্রিমিয়াম ডিসপ্লে কনফিগারেশন রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি ডিভাইসেও ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটি ইতোমধ্যে ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য টিইউভি রাইনল্যান্ডের দু’টি সম্মানজনক আই প্রোটেকশন সার্টিফিকেট অর্জন করেছে। এতে যুগান্তকারী স্ক্রিন টেকনোলজির পাশাপাশি আরও রয়েছে ১০০ মেগাপিক্সেল সরাসরি আউটপুট, ২X লসলেস জুম, অটো-জুম মোড, সুপার নাইটস্ক্যাপ মোড ও স্ট্রিট ফটোগ্রাফি মোড ৪.০।হাই পারফরমেন্স, বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও সুবিশাল স্টোরেজ এতোসব সুবিধার কারণে রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি সিরিজকে সত্যিকারের ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ডিভাইসটিতে রয়েছে ডাইমেনসিটি ৭০৫০ ফাইভজি চিপসেট, ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম (স্টোরেজ)। ডিভাইস ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে এতে রয়েছে ৬৭ ওয়াটের সুপারভুক চার্জ, ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি, রিয়েলমি ইউআই ৪.০ ও ডলবি প্যানারোমিক ডুয়েল স্পিকার।
রবিবার ২৮ মে ২০২৩
বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩
জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি
তিনি ওয়ার্কাস পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হয়েও শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে বিরামহীন ভাবে কাজ করে চলেছেন। সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আ. লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমি সংসদ সদস্য হয়ে এলাকার উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তায় ইটের সলিং, প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন বাউন্ডারি বিদ্যালয়ের ওয়াশ বøক ক্স বিশুদ্ধ পানির স্থাপন, নতুন নতুন রাস্তা নির্মান রাস্তা পাকা করণ, ড্রেন নির্মাণ, ই সেবা কেন্দ্রে আধুনিক সরঞ্জাম প্রান, ব্রীজ নির্মাণ, বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ তার উদ্যোগে হয়েছে। আর্সেনিক মুক্ত টিউবয়েল স্থাপন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির মাদরাসা, ঈদগাহ ও কবর স্থানে ব্যাপক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে তিনি দুই উপজেলাবাসীর কাছে ইউনিয়নে রুপকার হিসাবে নিজের অবস্থান করে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করে যাচ্ছি এবং প্রতিটি ইউনিয়ন আধুনিক রূপান্তরিত করার জন্য ভবিষ্যতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আসন্ন সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গরম হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। সকাল হতে শুরু করে রাত-দিন পথে ঘাটে, পাড়া, মহল্লা, হাট বাজারে ও চায়ের দোকানে চলে নির্বাচনী মতবিনিময় ও প্রচার-প্রচারণা।
এরই ধারাবাহিকতায় তালা-কলারোয়া-১ আসনের নির্বাচন নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে চলছে জনসংযোগ। তবে এলাকায় উন্নয়নে সাধারণ ভোটারদের মতামত নিয়ে চলে নানা প্রতিক্রিয়া এনিয়ে অনেকের কাছে আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, তালা-কলারোয়ার-১ আসন থেকে আমাকে দুই দুই বার নৌকা প্রতিক দিয়েছে এলাকাবাসি আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমি আমার দুই উপজেলায় মাদকমুক্ত আধুনিক পরিকল্পিত শিক্ষাবান্ধব মডেল উপজেলা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি এজন্য অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের কষ্ট এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুব কাছ থেকে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে করে যাচ্ছি বিশেষ করে সমাজের অসচ্ছল অসহায় গরিব, বিধবা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী মানুষের সহায়তা করে যাচ্ছি। দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করে এলাকায় সাধারণ মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন মূলক কাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। করোনা কালিন সময়ে সরকারি বরাদ্বের পাশাপাশি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী গরিব দুঃখী মানুষের পাশে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের জনগণ মনে করেন সব সময় কাছে পাবার জন্য এমন একজন জনবান্ধব এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলাবাসী চাইলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আবারও আমাকে এমপি নির্বাচিত করবেন। আমি আমার সংসদীয় এলাকাবাসীর পাশে আছি ভবিষৎতে ও পাশে থেকে আধুনিক ডিজিটাল উপজেলা গড়ে তুলবো।
রবিবার ২৮ মে ২০২৩
রবিবার ২৮ মে ২০২৩
রবিবার ২৮ মে ২০২৩
রবিবার ২৮ মে ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক: দেশের আটটি বিভাগের কিছু এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিকুল নেওয়াজ কবির জানান, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
তাপপ্রবাহের বিষয়ে তিনি আরও জানান, রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। এছাড়া আগামী দুই দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
গতকাল সোমবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাজশাহী ও মোংলায় এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ ছিল ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশে সর্বোচ্চ ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কবার্তা নেই এবং কোনো সংকেত দেখা হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার ২৯ মে ২০২৩
রবিবার ২৮ মে ২০২৩
অনলাইন ডেস্ক:ঢাকাসহ আট জেলায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। এ সময় বজ্রপাতও ঘটে। ঝড়ে রাজধানী ঢাকা, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, পটুয়াখালী, পাবনা, শরীয়তপুর ও সুনামগঞ্জে বিপুল গাছপালা উপড়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য কাঁচা বাড়িঘর। ঝড়ের সময় গাছচাপা পড়ে ও বজ্রপাতে এসব জেলায় দুই স্কুলছাত্রসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বজ্রপাতে নরসিংদীতে ৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ ও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শরীয়তপুরের গোসাইরঘাট ও পটুয়াখালীর দশমিনায় একজন করে মারা যান। ঝড়ে গাছচাপায় একজন মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।
রাজধানী ঢাকায় ১০২ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। বিকাল ৫টার পর এই ঝড় শুরু হয়, চলে প্রায় এক ঘণ্টা। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিপাতও হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, বিকালে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ১০২ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায়। তবে আগারগাঁওয়ে ঝড়ের গতি রেকর্ড করা হয়েছে ৭৪ কিলোমিটার। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। এক থেকে দুই ঘণ্টা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হওয়ার পর আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা
বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রায়পুরা, মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে নারী, শিশু ও প্রবাসীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। রায়পুরার শ্রীনগর ইউনিয়ন ও নিলক্ষা ইউনিয়ন এবং মনোহরদীর দৌলতপুর ইউনিয়ন ও শিবপুরে এসব ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- ফকিরের চর গ্রামের সামসুন নাহার, গোপীনাথপুর গ্রামের জাবেদ মিয়া (১২) ও পাতরদিয়া গ্রামের প্রবাসফেরত রায়হান মিয়া, দক্ষিণ সাদারচর গ্রামের খোকন মিয়া, নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়া-মহল্লার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শুপ্তকর (১৪)।
নাসিরনগর ও বাঞ্ছারামপুরে পৃথক বজ্রপাতে দুই কৃষকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। দুপুর ২টার দিকে নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নে বজ্রপাতে মোজাম্মেল হক নামে এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। একই উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নে মেদির হাওরে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান কৃষক মোজাম্মেল হক। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুরে নিজ জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান কৃষক মনু মিয়া। এদিকে নবীনগর পৌর এলাকার কোনাঘাট মোড়ে বেলা ১১টায় ঝড়ে জামগাছ চাপা পড়ে সিএনজি অটোরিকশাচালক আলী হোসেনের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি উপজেলার থোল্লাকান্দি গ্রামে।
সদর উপজেলার পশ্চিম ছোট সুন্দর গ্রামে বজ্রপাতে মো. হাসান মিজি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বিকাল ৩টার দিকে ওই গ্রামের গফুর মিয়াজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্মপাশায় বজ্রপাতে ওমর ফারুক নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কালাচান ও কাসেম নামে আরও দুজন গুরুতর আহত হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জয়শ্রী ইউনিয়নের বরইয়া নদীর শীমেরখাল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্রীপুরে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে বজ্রপাতে শিক্ষকসহ পাঁচজন আহত হয়। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ৩৫ শিক্ষার্থী। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের লাকচতল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৌমিতা নামে এক শিক্ষার্থীকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভৈরবে বজ্রপাতে কাজী জিল্লুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দুপুরে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুইন্দা খলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রানীনগরে ক্ষেত থেকে ভুট্টা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে জামিল প্রামাণিক নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাটাখালী গ্রামে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় গ্রামের আ. রব তার বাড়ির সামনের মসজিদের পাশে থাকা গাভী আনতে যায়। এ সময় বজ্রপাত হলে গরুসহ তার মৃত্যু হয়।
ধান কাটার সময় ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। আহত হয় ১৩ জন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেলে উপজেলার বেতুয়ান গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের বাসিন্দা শাকিল হোসেন ও রমিজ উদ্দিন।
গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নে টিউবওয়েল থেকে আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মাঈনউদ্দিন মান নামে এক কৃষক মারা যান। বিকাল ৩টার দিকে কোদালপুর ইউনিয়নের রসিদ সরদার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার ২৯ মে ২০২৩
রবিবার ২৮ মে ২০২৩