Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

দৈনিক আজকালের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি আবু কাউসারের উপর সন্ত্রাসী হামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৮৬জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু  রূপগঞ্জ  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকা প্রতিনিধি মোঃ আবু কাউসারের উপর গত ১৩ ই জানুয়ারী বিকেল ৫ ঘটিকায় খিলক্ষেত, থানার পাতিরা গ্রামে হামলা করে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা। ভূমিদস্যু মাহাবুর রহমান খান, তার দুই সন্ত্রাসী ছেলে রিয়াদ খান ও  রানা খান এ হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দুই তিন বছর যাবত ভূমিদস্যু মাহাবুর রহমান, জাল দলিল তৈরী করে আবু কাউসারের স্ত্রী খাদিজার পরিবারের খিলক্ষেত থানার পাতিরা গ্রামের নির্মানাধীন ৪ তলা বাড়ি দখল করে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করে আসছে। 

২০০৩ সালে জমিটি মাহাবুর নিজে দলিলে সিনাক্ত স্বাক্ষী হয়ে তার আপন চাচা মতিউর রহমানের কাছ থেকে খাদিজার বড় ভাই সেলিম ভুইয়াকে উক্ত জমি কিনে দেয়।

২০ বছর যাবত চারতলা বাড়ী করে তারা শান্তিতে বসবাস করে আসছে। ২০১৬ সালে খাদিজার একমাত্র ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার বাবা, মা ও সেলিম ভূইয়ার স্ত্রী মালিক হয়ে, খাদিজাসহ তিন বোনকে বাড়ি রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়। সাম্প্রতি বাড়ীতে থাকা ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছেড়ে দিতেও বিভিন্নভাবে হুমকী ও ভয় দেখাচ্ছে সন্ত্রাসী মাহাবুর।  উক্ত বাড়ী ও জমির বিষয় নিয়ে  খিলক্ষেত থানায় ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একাধিক মামলা করা হয়েছে।

গত ২০শে ডিসেম্বর খুব ভোরে ভূমিদস্যু মাহাবুর রহমান তার কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ২০ বছর পূর্বে বাড়ির সমনে লাগানো বেশ কিছু কাঠ ও ফলের গাছ কেটে ফেলে। প্রতিবাদ করলে মাহাবুর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী খাদিজার বাবা মোজাম্মেল ভূইয়াকে মারতে আসে।

নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা শনিবার বিকেলে সামাজিক বৈঠকে বসেন। বৈঠকে গাছ কাটার ব্যাপারে আবু কাউসার আলোচনা উঠালেই মাহাবুর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় পরে গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সামনে সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পেরে হট্রগোল পাকিয়ে বৈঠক পন্ড করে দেয়।

স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিদায় দিয়ে বাড়ির সামনে আসলেই একা পেয়ে মাহাবুর ও তার দুই সন্ত্রাসী ছেলে রিয়াদ ও রানার হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোঃ আবু কাউসারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, এতে বাম চোখের নিচে সজোরে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখমসহ, শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠির আঘাতে  লিলাফুলা জখম হয়। আবু কাউসারের ডাক চিৎকারে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা প্রান নাশের হুমকী দিয়ে পালিয়ে যায়। 

পরে স্থানীয় সরকারী কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রাতে খিলক্ষেত থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। 

এ ব্যাপারে খিলক্ষেত থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আমিনুল বাশার পিপিএম বলেন, আমরা এ সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হবে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




মতলব থানার ওসি-এসআই বদলির নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চাঁদপুর জেলার মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সাব-ইন্সপেক্টরকেও বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল নির্দেশনাটি পুলিশ মহাপরিদর্শককে পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর মো. আবু হানিফকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পদায়নের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এ অবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



ফিলিস্তিনে শিগগিরই খাদ্য সহায়তা পাঠাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খুব শিগগিরই আবারও ফিলিস্তিনে খাদ্য সহায়তা পাঠাবে বলে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরায়েলি আন্তর্জাতিক লবিস্টদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দলটির নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। কারণ এতে পশ্চিমারা রাগ করতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু ইসলামী দল নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে ভাষণ দিয়েছে। এখন তো নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখি না। তারা আসলে ইসলামের লোক নয়। তারা মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। তিনি আরও বলেন, আমেরিকায়, ইংল্যান্ডে বড় মিছিল হয়। আমাদের যুব মহিলা লীগ বড় মিছিল করে। অথচ ইসলামী দলগুলো যারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে নেমেছিল তারা একটি বড় মিছিল করতে পারে না। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।


আরও খবর



হাকিমপুরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৬ ষ্ঠ প্রথম ধাপে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচনের সকল ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

মঙ্গলবার (০৭ মে) দুপুর ১ টায় হাকিমপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নির্বাচনী সামগ্রী বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা এসব সামগ্রী সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার,পোলিং অফিসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের নিয়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে যাচ্ছেন।

হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসব বিতরণকালে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম,হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়,সহকারী কমিশনার ভূমি লায়লা ইয়াসমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ আরজেনা বেগম,অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার আফতাব হোসেন,সহকারী রিটার্নিং অফিসার শিমুল সরকার, থানার ওসি মোঃ দুলাল হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ ভাবে ভোট গ্রহনের সকল প্রস্ততি গ্রহন করা হয়েছে। আগামীকাল হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ইতিমধ্যে ৩৬ টি কেন্দ্রের মধ্যে কিছু কেন্দ্র আমরা ঝুঁকিপূর্ন মনে করে তালিকা তৈরি করেছি। তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৩৬ টি কেন্দ্রে জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার কোন অবনতি ঘটবে না বলেও  আশা করছেন তিনি। 

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারা হলেন টেলিফোন মার্কার প্রাথী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন,মোটরসাইকেল মার্কার প্রাথী সাবেক মেয়র মো: কামাল হোসেন রাজ ও আনারস মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (অভি)। 

ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহর করে নেওয়ায় হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) শাহীনুর রেজা শাহীন ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পারুল নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

হাকিমপুর উপজেলায় ৮০ হাজার ৪৪৩ পুরুষ ও নারী ভোটার গোপন ব্যালোট এর মাধ্যমে ভোট তাদের পছন্দের মার্কাকে ভোট প্রয়োগ করবেন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।


আরও খবর