Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

চোর ভেবে ভ্যারসাম্যহীনকে থানায় স্থানান্তর

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

 বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৭) নামে একজনকে চোর সন্দেহে দোকানদাররা ও নাইটর্গাড আটক করে বিরামপুর থানায় স্থানান্তর করে।

গত সোমবার (২৭ র্মাচ) দিবাগত রাতে বিরামপুর পৌর শহরের কলেজ বাজারস্থ (বটতলী) নামক স্থান থেকে দোকানদাররা ও নাইটর্গাড তাঁকে আটক করে । পরে তাঁকে চোর ভেবে বিরামপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন । থানায় নিয়ে গিয়ে বিরামপুর থানার এএসপি গোলাম মোর্শেদ (শিক্ষানবিস) ও অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত প্রাথমিক তদন্তে তাঁর লক্ষণ দেখে তাঁকে চোর না ভেবে বেরিয়ে এলো ভ্যারসাম্যহীন রোগী।

বিরামপুর থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে তাঁর নাম ঠিকানা কিছুই বলতে পারে না। ওসি সুমন কুমার মহন্ত তাঁর পরিচয় জানার জন্য দুইদিন ধরে বিভিন্ন থানায় খোঁজখবর নেন। কিন্তু, কোনো ভাবেই তাঁর পরিবারের কোন সন্ধান না পেয়ে তিনি বিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় তাঁর হাতের ফিংগার প্রিন্টের মাধ্যমে তাঁর জাতীয় পরিচয় পত্র বাহির করতে সক্ষম হয়। তাঁর হাতের ফিংগার প্রিন্টে বেরিয়ে আসে তাঁর আসল পরিচয়।

জানা যায়, দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের নোনা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান(৩৭)। পরে তাঁকে বিরামপুর থানার সুযোগ্য অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত তাঁর নিজ অর্থায়নে ও পুলিশের সহযোগিতায় বুধবার (২৯ র্মাচ ) দুপুরে  তাঁকে তাঁর পরিবারে নিকট ফিরিয়ে দেন।





আরও খবর



মোরেলগঞ্জে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্পের কর্মকর্তা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি, মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই শতাধিক মানুষকে প্রলোভনে জড়িয়ে কখেক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন মো.এবাদুল ওরফে সাজ্জাদ শেখ নামে এক এনজিও কর্মকর্তা। সাজ্জাদ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন ভূক্তভোগীরা। ব্যানার-ফেষ্টুনের লেখামতে রেজিষ্ট্রেশবিহীন ওই এনজিওটির নাম "শেখ ফজলুর রহমান সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্প"। 

জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ইন্দুরকানি উপজেলার ফজলুর রহমান শেখের ছেলে সাজ্জাদ ওই এনজিওটির পরিচালক পরিচয় দিয়ে দু’বছর পূর্বে মোরেলগঞ্জের চর হোগলাবুনিয়া গ্রামে কিছু জমি কিনে স্থায়ী বাসিন্দা হন। এর পরে তিনি সেখানে বিভিন্ন লোকের জমি লিজ নিয়ে ‘শেখ ফজলুর রহমান ফাউন্ডেশন সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্প’ নামে এনজিও কার্যক্রম শুরু করেন। প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি ক্লিনিক, ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক দুটি মাদরাসা, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, হেফজখানা, গরু-ছাগলে খামার, হাস-মুরগীর খামার, মৎস্য চাষ ও ধান চাষের প্রকল্প প্রতিষ্ঠিত করেন। এসব প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দিয়ে দুই শতাধিক নারী পুরুষের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়াও মসজিদ, গৃহ নির্মাণ, লোন দেওয়া ও বিদেশে পাঠানোর কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয়দের নিকট থেকে। রাস্তা নির্মাণের জন্য একটি ভাটা থেকে কয়েক লাখ টাকার ইট, বালু বাকিতে নিয়েছেন।

এলাকাবাসির কাছে আস্থাভাজন হবার লক্ষে এই ‘সাজ্জাদ শেখ’ ওই গ্রামের একটি বেহাল সড়কে উন্নয়নমূলক কাজও শুরু করেছেন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে রাস্তার কাজ উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতায় অতিথির আসনে বসিয়ে সম্মানিত করেন। বিভিন্ন সময়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ব্যানারগুলোতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা, স্থানীয় এমপি ও শেখ পরিবারের লোকদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

সুচতুর সাজ্জাদ এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে মুহা.বাহ্া আল-দিন(সৌদি নাগরিক) বলে প্রচার করেছেন। নিজেকে দেখিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে। প্রকল্পগুলোর আওতায় ৬টি পরিবারকে পাকা ঘর নির্মান করে দিয়েছেন এসব স্থাপনা দেখে মোরেলগঞ্জ ও ইন্দুরকানি উপজেলার ৮ গ্রামের ২৫০ টি পরিবারের লোক বিদেশ যাওয়া, লোন পাওয়া ও চাকুরির আশায় গত দুই বছরে ৩০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত সাজ্জাদ ও তার প্রতিনিধিদের হাতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি চাকুরি পাওয়া লোকজন বেতনের জন্য চাপ দিলে সে পালিয়ে যায়। ভূক্তভোগীরা সাজ্জাদ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গতকাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন প্রকল্প এলাকায়। এর আগে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে কথিত ওই এনজিও কর্মকর্তা সাজ্জাদ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি পরিস্থতির শিকার। সরোয়ার মাষ্টারসহ কয়েকজনে আমার নাম করে টাকা নিয়েছে। আমি কারো টাকা আত্মসাৎ করিনি। দোকানে আমার কাছে কিছু টাকা পাবে তা দিয়ে দেব। আমি বসে নেই। আইনের আশ্রয় নেব। পরিস্থিতির কারনে আমি একটু অন্য জায়গায় আছি।

এ সম্পর্কে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও খবর



নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা ইসির দায়িত্ব: চুন্নু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘সিটি নির্বাচনে খুব ভালো পরিবেশ বজায় থাকলে আমাদের নির্বাচন কমিশনে আসতে হতো না। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমাদের মনে অনেক শঙ্কা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না। বরিশালে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা শাসক দলের পক্ষে কাজ করছেন। নির্বাচনে যেনো সব দল সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়। নির্বাচন কমিশনের মনোভাব ভালো থাকলে এবং সাহসী হয়ে কাজ করে তাহলে একটি সুন্দর নির্বাচন সম্ভব হবে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহায়তা করতে চাই।

আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘৫টি সিটি নির্বাচন যেনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। চলমান সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে কিছু অভিযোগ আমরা জানিয়েছি।

চুন্নু আরও বলেন, ‘গাইবান্ধায় একটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন সেই নির্বাচনটি বাতিল করেছিল। তাদের তদন্তে কিছু মানুষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল কিন্তু তাদের বিরুদ্ধ কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কেউ জানে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনের প্রতি আস্থা ফিরে আসবে না। নির্বাচন চলাকালীন কমিশনের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কমিশনের আদেশ না মানলে যেনো নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে এমন একটি আইনের দাবি আমরা আগে থেকেই জানিয়ে আসছি। নির্বাচন কমিশনের এই ক্ষমতা থাকলে নির্বাচন কমিশন আরও শক্তিশালী হত।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে জাতীয় পার্টি মহাসচিবের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল সভা করেন। সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. আহসান হাবিব খান এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান।


আরও খবর



টানা ৩ ঘন্টার বৃষ্টিতে শার্শায় বোরো ধানের ‘ব্যাপক ক্ষতি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : ৩ মে বুধবারের টানা ৩ ঘন্টার বৃষ্টিতে শার্শার বিভিন্ন গ্রামে ফসলের মাঠে পানি জমে গেছে, তলিয়ে গেছে জমির পাকা ধান। এ অবস্থায় ফলন কম হওয়ার পাশাপশি উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। শার্শার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মণ্ডলের কাছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে মোবাইল ফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিভিন্ন সুত্রের খবরে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। কৃষকের ঘরে পৌঁছেছে ৪০ ভাগ জমির ধান। বাকি ৪০ ভাগ কাটা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বলে সুত্র মতে জানা যায়।

শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমান ৬ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করেছেন। শ্রমিক না পেয়ে সব ধান সময়মত ঘরে তুলতে পারেননি তিনি। আমাদের প্রতিনিধিকে আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের মাঠের ৪০ ইরি-বোরো ধান পানিতে তলায়ে রয়েছে। কেউ কেউ ধান কেটে জমিতে স্তুপ করে রাখছে। সেই স্তুপের অর্ধেক পরিমান ধান বৃস্টির পানিতে ডুবে গেছে। এবারের বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। পুজি হারিয়ে সামনে ফসল করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে।

দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের আনারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকের অভাবে সময় মত জমির ধান কাটতে পারিনি। দুই বিঘা জমির ধান বাড়িতে এনেছি। বাকি ৯ বিঘা জমির ধান পানিতে ভাসছে। কি হবে আল্লাহ ভাল জানেন। শ্যামলাগাছী গ্রামের আব্দুল মজিদ ছয় বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ৬৫ বছর বয়সী এ কৃষক বলেন, মাঠের ধান এখনও পুরোটা কাটা হলেও বাড়িতে আসেনি। এই বৃষ্টিতে এখন সে ধান পানিতে ভাষছে। বৃষ্টি একদম শেষ করে দিল। কি করব এখন বুঝতে পারছিনে।

কৃষি অফিসের একটি সুত্র জানান স্যারের অনুমতির বাইরে আমরা বক্তব্য দিতে পারি না, তবে ধান দ্রুত পানি থেকে শুকনো স্থানে তুলে মাড়াই করে ঘরে তুলে ফেলতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এবার শার্শায় প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সুত্রটি জানান।


আরও খবর



অভিনেত্রীর শিরিন শিলার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেন সেই ভক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:প্রিয় তারকাকে কাছে পেলে মাঝেমধ্যেই নানা কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ভক্তরা। আর তাদের আবদার মেটাতে গিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তারকাদের। গত সোমবার এমনই এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী শিরিন শিলা। শুটিং সেটে এক ভক্ত তাকে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়েছেন। এই ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত অভিনেত্রী।

বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শিরিন শিলা। এতে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমু দেওয়া সেই ভক্তকে অভিনেত্রীর পা ধরে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে।

ভিডিওতে শিরিন শিলা বলেন, ‘আজ আমি তাকে আনতে লোক পাঠিয়েছিলাম। তার বাসায় বউ আছে, মা আছে। পুরো ফ্যামিলির সবাই আছে। ইভেন সে রিকশা চালায়। ওর মাথায় নাকি সমস্যা। ও সুস্থ স্বাভাবিক। ও বড় অ্যাক্টিংবাজ, মিথ্যাবাদী, প্রতারক।

কেন এ কাজটা করেছ জানতে চাইলে- ওই ভক্ত শিরিন শিলার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। আমার মাথায় সমস্যা।

এর আগে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শিরিন শিলা বলেন, ‘নতুন একটি সিনেমার শুটিং স্পটে একটি ছেলে আমাকে দেখে এগিয়ে এসে কথা বলতে চায়। আমিও তাকে কাছে ডেকে কথা বলতে শুরু করি। তখনই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমিও ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি। 

‘কিন্তু বিদায় নিয়ে চলে আসতে চাইলে ও আমাকে বলে, কখনো গাড়িতে চড়েনি, তাই আজকে আমার সঙ্গে গাড়িতে উঠবে। এই কথা বলেই সে আমাকে আবার জড়িয়ে ধরে। এরপরেই আচমকা আমার গালে চুমু খেয়ে বসে। এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যাই। এ সময় শুটিং সেটের লোকেরা ছেলেটিকে সরিয়ে দিলে আমি গাড়িতে উঠে পড়ে,’ বলেন এই অভিনেত্রী।

শিরিন আরও বলেন, ‘আমরা অভিনেত্রী। দর্শকদের আনন্দ দেওয়াই আমাদের কাজ। দর্শকদের ভালোবাসায় আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, কিন্তু আজকের ঘটনা আমার জন্য চরম বিব্রতকর। ছেলেটিকে দেখে মায়া হওয়ায় কাছে টেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু সে যে কাজ করল, এতে মানুষের ওপর থেকে বিশ্বাসটাই উঠে গেল।

কয়েকদিন আগেই একই রকম এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন ভারতের অভিনেত্রী অহনা কুমার। ছবি তোলার সময় এক ভক্ত তার কোমর জড়িয়ে ধরেছিলেন। পরে সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এবার একই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হন শিরিন শিলা।

প্রসঙ্গত, ‘দ্য রাইটার’ সিনেমাটি নির্মাণ করছেন অপূর্ব রানা। এতে শিরিন শিলার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক আদর আজাদ। থ্রিলারধর্মী এই সিনেমার কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য পরিচালনা করেছেন এ এইচ এম এনামুল হক। পর্দায় এক পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যাবে শিরিন শিলাকে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০তম বছর আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীদের জন্য ১৯৫০ সাল থেকে চালু হয় জুলিও কুরি শান্তি পদক। সোভিয়েতপন্থি বিশ্বশান্তি পরিষদের এই পদকটি অন্যদের মধ্যে পেয়েছেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, চিলির গণ-আন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের জনদরদি নেতা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ বঙ্গবন্ধুর এই শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ১৪০ দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকে এই পদকে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভা। এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করা হয়। পরের বছর ২৩ মে, এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র।

মুক্তিযুদ্ধের কালপর্বে ভারত-সোভিয়েত শান্তিমৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি-১৯৭১ এবং বাংলাদেশ-ভারত শান্তিমৈত্রী ও সহযোগিতা-চুক্তি-১৯৭২ সইয়ের মাধ্যমে এই উপমহাদেশে উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তি স্থাপনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সরকারের জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ এবং শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের নীতির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় একটি ন্যায়ানুগ দেশের মর্যাদা লাভ করে। সবার প্রতি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে, সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে।’

বঙ্গবঙ্গুকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করতে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় প্রস্তাব তোলেন বিশ্বশান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশচন্দ্র। পরে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্বশান্তি পরিষদের পুরস্কারটি ১৯৫০ সালে চালু হলেও এর জুলিও কুরিও শান্তি পদক নামকরণ হয় ১৯৫৯ সালে। আগের বছর মারা যাওয়া ফরাসি বিজ্ঞানী জ্যঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরির নামে পদকটির নাম রাখা হয়। নোবেল পুরস্কারজয়ী এই বিজ্ঞানী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়ে এবং তাদের জন্য হাতিয়ার তৈরি করেও অবদান রাখেন। তার অবদানের কারণেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি সহজতর হয়। তিনি নিজেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিশ্বশান্তি পরিষদের সভাপতিও ছিলেন।


আরও খবর