Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ছাত্রলীগের সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথমে এই সম্মেলনের জন্য ৩ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে পরে তা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্থগিত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান সফরের যাওয়ার কথা ছিল, যদিও পরে বাতিল করা হয়েছে। সেই সফর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ফেরার কথা ছিল ৩ ডিসেম্বর। আর সে কারণেই ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বরের বদলে ওই মাসের অন্য কোনোদিন নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। পরে নতুন করে আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর এই সম্মেলনের আয়োজনের কথাও জানানো হয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে।

গত ২০ নভেম্বর ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনির সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগের সিদ্ধান্ত থেকে দুই দিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলনের নতুন তারিখের কথা জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগে, সংগঠনটির সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ৫০ হাজার হজযাত্রী, মৃত্যু ৪

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৪ জন যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এরমধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৪ জুন) হজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৮৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪০ হাজার ৯২৫ জন।

এদিকে, হজে গিয়ে সর্বশেষ আলী হোসাইন (৬৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো। এরমধ্যে পুরুষ তিনজন এবং মহিলা একজন।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটা খালি রেখেই হজের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

এরপর গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। শেষ হবে ২২ জুন। হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখাসাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ছুটির দিনেও ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনেও ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। এদিন সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে পড়েছে।

একইসময়ে ২৫০ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৮৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালৈর কাঠমান্ডু। ১৭২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি আর ১৬৬ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৬২, ১৫৯ ও ১৩৮ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সাথানে রয়েছে চীনেরই তিনটি শহর যথাক্রমে শাংহাই, বেইজিং ও ইউহান। ১৩২ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে ভারতের মুম্বাই। ১২৩ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে কাজাখস্তানের আস্তানা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



বাংলাদেশের রেকর্ড জয় শান্তর সেঞ্চুরিতে

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: নাজমুল হোসেন শান্তর অভিষেক সেঞ্চুরি এবং তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়তে ৩ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। যেখানে সব মিলিয়ে এটি থাকছে দুই নম্বরে। এর আগে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের দেড়শতম জয়ের মাইলফলক এটি। ৪১১ ম্যাচ খেলে এই কীর্তি অর্জন করেছে তারা। বিপরীতে হেরেছে ২৫২ ম্যাচ। ফল আসেনি বাকি ৯টিতে।

নিরপেক্ষ ভেন্যু ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে দ্বিতীয় ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় ৩টা ৪৫ এর সময়। তবে বৃষ্টির কারণে সেই টস অনুষ্ঠিত হয়েছে সাড়ে ৫টায়। খেলা শুরু হয়েছে ৬টায়। দেরিতে শুরু হওয়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয়েছে। দুই দল ৪৫ ওভার করে ব্যাট করার সুযোগ পায়।

যেখানে প্রথমে ব্যাট করা আইরিশরা নির্ধারিত ৪৫ ওভার শেষে ৩১৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে আয়ারল্যান্ড। হ্যারি টেক্টরের অনবদ্য ১৪০ ও জর্জ ডকরেলের ঝড়ো ৭৪ রানে এই সংগ্রহ তোলে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শান্তর সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ও ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

৩২০ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানের মাথায় আউট হন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওয়ান ডাউনে মাঠে নামেন শান্ত। প্রথমে লিটন দাস, এরপর সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এরই মধ্যে তুলে নেন নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও।

৩২০ রানের লক্ষ্যে ১৩ রানে তামিমের বিদায়ের পর ৪০ রানের মাথায় ফেরেন লিটন (২১)। ১০১ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব (২৬)। চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে এরপরে শান্ত গড়েন অনবদ্য জুটি। এই জুটিই মূলত বাংলাদেশকে জয় পাইয়ে দেয়। যেখানে দুজনে মিলে ১০২ বলে ১৩১ রান তোলেন।

হৃদয় অভিষেক ফিফটির পর ৫৮ বলে ৬৮ রান করে ডকরেলের শিকার হন। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আর বাঁহাতি শান্ত ৯৩ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১৭ করে ক্যাম্ফারের বলে বিদায় নেন। শেষ দিকে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ২৮ বলে ৪টি চারে অপরাজিত ৩৬ রানে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা। এছাড়া ১৯ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আইরিশ বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট পান ক্যাম্ফার ও ডকরেল।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। ব্যাটে নেমে পেসার হাসান মাহমুদের বোলিং তোপে পড়ে আইরিশরা। ১৬ রান তুলতেই হারায় দুই উইকেট। প্রথম ওভারেই আইরিশ শিবিরে আঘাত হানেন হাসান। ওভারের পঞ্চম বলে পল স্টার্লিংকে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। কোনো রান না করেই ফেরেন স্টার্লিং।

সপ্তম ওভারে আবারও হাসানের আঘাত। ওভারের প্রথম বলে হাসানের বল খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয় আইরিশ ওপেনার স্টিফেন ডোহানির। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি শুরু থেকেই দারুণ ফিল্ডিং করতে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ। ১২ রান করেন ডোহানি।

তবে এরপরই পাল্টা আঘাত শুরু করেন বালবির্নি-টেক্টর জুটি। ৯৮ রানের জুটি গড়ে দলকে স্বপ্ন দেখান বড় রানের। প্রথমে ধীরে শুরু করলেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হন এই দুজন। ১৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো আইরিশরা তৃতীয় উইকেট হারায় ১১৪ রানে। তবে শরিফুল এর বেশি আর আগাতে দিলেন না এই জুটিকে। তার বলে আউটসাইড এজ হয়ে ফেরেন বালবির্নি (৪২)। ১৩৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন লোরকান টাকার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কার্টিস ক্যাম্ফারও। তবে একপাশে অবিচল ছিলেন টেক্টর।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তো বাংলাদেশি বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছেন টেক্টর-ডকরেল জুটি। মাত্র ৬৮ বলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। ২৮২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন টেক্টর (১৪০)। টেক্টর ফিরলেও ৪৭ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন ডকরেল। ৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত আরেক ব্যাটসম্যান মার্ক অ্যাডায়ার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৩১৯ রান করে আয়ারল্যান্ড।

বাংলাদেশের হয়ে ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। শরিফুল ইসলামও ২ উইকেট নেন, তবে খরচ করেন ৮৩ রান। একটি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।

অসাধারণ সেঞ্চুরি করা শান্তই ম্যাচ সেরা হন।

আগামী ১৪ মে একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলোর একমাত্র ভরসা বাশেঁর সাকোঁ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৪১জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ পূর্বে ভারত পশ্চিমে ব্রক্ষপুত্রর নদ দ্বারা বিছিন্নজনপদে বসবাস করছেন রৌমারী ও রাজিবপুরের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। এরমধ্যে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চল ছিলো কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলাটিতে হানাদার বাহিনির হায়নাররা প্রবেশ করতে পারেননি। ততকালিন যুদ্ধর সময় রৌমারী সিজি জামান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামক স্থানে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণে অংগ্রহণ করেছিলেন। রৌমারী সিজি জামান মাঠ প্রাঙ্গনে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এমন খবরের পাকিস্থানী হায়নাররা রৌমারী উপজেলায় প্রবেশ করার সাহস পাচ্ছিলনা। ফলে রৌমারী উপজেলাটি ৭১ সালের যুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চল হিসেবে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রশিক্ষনের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জানতেন। এই মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলো এখন পর্যন্ত অসহায় শুধু যাতয়াতের উন্নয়ন না হওয়ার কারনে। উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা আলগারচর , লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বংশির ভিটা,বাগান বাড়ী, চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বিকরিবিল, খেওয়ার চর, বকবান্দা,নামা পাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নিজের তৈয়ারী করা বাঁেশর সাকোঁ। মুক্তাঞ্চলের মানুষ গুলোর ভাগ্যের পরির্বতন কেন হচ্ছেনা জানতে চায় বিছিন্ন এলাকার মানুষ। রাস্তাবিহিন বিছিন্নজনপদের মানুষ গুলোর অভিযোগ আর আর্থনাত কেউ যেন আমলে নিচ্ছেনা এমন অভিযোগ অনেকের। ততসময় রৌমারীর সকলস্থরের জনসাধারনরা মুক্তিযোদ্ধাদের সকলপ্রকারের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আজ স্বাধীন বাংলাদেশ নামে সারাবিশ্বে পরিচিত লাভ করেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাসের বানি দিয়ে ভোটের সময় ভোট নেয়,ভোট নেয়া শেষ হলে আর খবর রাখেনা এটি হচ্ছে বাস্তব চিত্র। ১০টি গ্রামে রয়েছে কয়েকহাজার হেক্টর জমি ওই জমির ফসল গুলোও ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত যোগাযোগ ব্যবস্তা না থাকায়। হাজার হাজার একর জমির ফসল বাশেঁর সাকোঁর উপর ভর করে বহন করতে হচ্ছে ক্ষেতের ফসল। যোগাযোগ ব্যবস্তা ভালো থাকলে একবিঘা জমির ফসল আনতে খরচা হতো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। আর যোগাযোগের ব্যবস্তা না থাকায় বিছিন্নজনপদে একবিঘা জমির ফসল মাথায় করে বাড়ী পর্যন্ত বহন করতে খরচা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। একারনে এঅঞ্চলের মানুষ গুলো দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরেও আলোর মুখ দেখতে পারেননি বলেও অভিযোগ এলাকাবাসিদের। বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন বলেন এই জিঞ্জিরাম নদিতে একটি ব্রীজের দাবীতে দীর্ঘ ৫০টি অতিবাহিত হলেও ব্রীজটি না পাওয়ার বেদনা থেকেই গেলো আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা র, সুদৃষ্টি কামনা করছি। স্কুল শিক্ষার্থী রুবি আক্তার বলেন আমরা স্কুলে যাই যাইতে আসতে অনেক সময় বইসহ ব্রীজ ভাঙ্গে পানিতে পইরা যাই সেদিন আর স্কুলে যাওয়া হয়না, আমি সরকারের কাছে একটি ব্রীজ চাই। নবম ¤্রনেীর স্কুল ছাত্র রফিকুল ইসলাম ব=জানায় প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে এই বাশেঁর সাকোঁর উপর দিয়ে যাতয়াত করতে হয় প্রায়ই সমস্যায় পরতে হয় সরকার যদি এখানে একটি টেকসই ব্রীজ করে দিতেন তাহলে এই এলাকার উন্নয়ন হতো। এমন আবেগের অভিযোগ অনেকের রয়েছে শুধু একটি ব্রীজের দাবীতে ৫২টি বছর এমনিভাবেই পেরিয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত ভাগ্যে জোটেনি এই এলাকার জন্য একটি টেকসই ব্রীজ। উপজেলার চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা জিঞ্জিরাম নদের উপর একটি ব্রীজের দাবীতে ৫২টি বছর চরম দূর্ভোগে ১০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ এবিষয়,কুড়িগ্রাম জেলা প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা ব্রীজের খুবই প্রয়োজন এটি আমার মাথায় আছে। তবে বর্তমান কোন প্রকল্প নেই নতুন বাজেট আসছে প্রকল্প আসলেই ওখানে ব্রীজ করা হবে এমন আশ্বাস দিয়েছে জেলাএলইজিডির প্রকৌশলী


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহ নিরোধে প্রীতি ফুটবল খেলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহ নিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রীতি ফুটবল খেলার মধ্যে দিয়ে কিশোরীদের ছড়িয়ে দিই তারুণ্যের কন্ঠস্বর। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় সোনাদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুইটি কিশোরী ক্লাবের ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, গোদাগাড়ী এপি’র আয়োজনে “মে মোমেন্টাম” ক্যাম্পেন এর অংশ হিসেবে। সোনাদীঘি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে। প্রীতি ফুটবল খেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্ককর্তা(ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন,মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কামরুল ইসলাম,উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগীর কবির তোতা,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ,গোদাগাড়ী এপি ম্যানেজার প্রেরণা চিশিম।

প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন মিল্টন রোজারিও, শ্যামল এইচ কস্তা, এন্ড্রিকাস মুর্মু, ডেভিড সাংমা, ফিলিপ বিশ^াস, সন্তোষ মিত্র, প্রোগ্রাম অফিসার ওর্য়াল্ড ভিশন বাংলাদেশসহ সংস্থার ফ্যসিলিটেটর। উক্ত কর্মসূচীকে ঘিরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ স্থানীয় বিপুল সংখ্যক জনগণের সমাগম ঘটে। এরপর মনোজ্ঞ  গম্ভীরা পরিবেশনার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সচেতনামূলক ম্যাসেজ প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন,বাল্যবিবাহ নিরোধে মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন। তারা আশ^স্ত করে বলেন যে, উক্ত বিষয়ে যেকোন ধরণের সহযোগীতা প্রদান করবেন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুরা অতিথিদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে, তারা নিজেরা কেউ বাল্যবিবাহ করবে এবং অন্যদের বিয়েও শক্তহাতে প্রতিহত করবে। অনুষ্ঠান শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চলনায় ছিলেন যুব ও শিশু ফোরামের সদস্যগণ।


আরও খবর