নিজস্ব প্রতিবেদক:নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে আসছে রমজানে চাল, চিনি, তেল আর খেজুরে ভ্যাট ও শুল্ক কমিয়েছে সরকার। এর মধ্যে খেজুরে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ, চালে রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ, তেলে মূসক ৫ শতাংশ এবং চিনিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। এরই মধ্যে সারমর্মে অনুমোদনও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআরকে পদক্ষেপ নিতে চিঠি দেয়। শুল্ক বিভাগ চিঠির পর এসব পণ্যে কতটুকু শুল্ক কমালে কত রাজস্ব ক্ষতি হবে ইত্যাদির হিসাব-নিকাশ করেছে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি চূড়ান্ত করে তা অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠায় সংস্থাটি।
জানা যায়, এই কয়দিন তা অর্থমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় ছিল। সেটি সম্পন্ন হয়েছে। এখন এর প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
দেশে নিত্যপণ্যের দাম যখনই লাগামহীন বাড়ে, তখন শীর্ষ মহলের পরামর্শে শুল্ক কমানো হয় এনবিআর কর্মকর্তারা জানান। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হলেও দেশের স্বার্থে তা বরাবরই এনবিআরকে করতে হয়। তবে শুল্ক কমানোর সুফল ভোক্তারা পান কিনা এই নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এনবিআর সব সময় সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে।