Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস। ‘রাজনীতিতে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক’ উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলায়’।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আজ ১৭ মার্চ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৭ মার্চ একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯২০ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে এসেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছি এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আর এজন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।’

তিনি জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, গ্রামের কাদা-জল, মেঠো পথ আর প্রকৃতির খোলামেলা পরিবেশে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদি। কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। পরোপকার আর অন্যের দুঃখকষ্ট লাঘবে তিনি ছিলেন সদা তৎপর। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ-নির্যাতন দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ব্রিটিশ বিরোধী সভা-সমাবেশে অংশ নেন তিনি। এছাড়া গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ পরিচালনা করেন। চল্লিশের দশকে এই তরুণ ছাত্রনেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের কিছুদিন পরই তরুণ নেতা শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন, ব্রিটিশ পরাধীনতার কবল থেকে মুক্তি পেলেও বাঙালি নতুন করে পশ্চিমাদের শোষণের কবলে পড়েছে। শাসকগোষ্ঠী প্রথম আঘাত হানে বাঙালির মায়ের ভাষা ‘বাংলা’র ওপর। বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু সচিবালয় গেট থেকে গ্রেফতার হন। এভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাভোগের মধ্যদিয়েই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের পথে এগিয়ে চলেন। ১৯৪৮ সালে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন’, ‘৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন’, ‘৫৮’র সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন’, ‘৬৬’র ৬-দফা’, ‘৬৯’র গণঅভ্যূত্থান’, ‘৭০’র নির্বাচন’সহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি (বঙ্গবন্ধু) কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপস করেননি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির আবেগ ও আকাঙ্খাকে ধারণ করে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার ডাকই দেননি বরং মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ চালালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ‘আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি অবস্থায় শাসকগোষ্ঠী তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির হুকুম দিয়েছিল। অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা’। দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আজ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে।

মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। দেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। কিন্তু হায়েনার দল বুঝতে পারেনি জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে লোকান্তরের বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জলে-স্থলে-আকাশে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে শত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছা যায়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। সকল আশঙ্কা ও নেতিবাচক ধ্যানধারণাকে ভুল প্রমাণ করে জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আজ ‘আমরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভিমুখে’।


আরও খবর



বৃষ্টি চেয়ে গাংনীতে ইসতেসকার নামাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মেহেরপুরের গাংনীর জনজীবন। প্রকৃতির বুক চিরে বের হচ্ছে গরম হাওয়া। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনায় ইসতেসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে আয়োজিত এ নামাজে অংশ গ্রহণ করেন বিভিন্ন বয়সী মুসল্লি ও আলেম ওলামারা। দুই রাকাত নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করে গুনাহ মাফের জন্য তওবা পড়ানো হয় মুসল্লিদের। এর পরে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা। আল্লাহর কাছে স্বস্তির পানি চেয়ে চোখের পানি ফেলেন অনেকে। এসময় কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে রহমতের বর্ষণ এবং বিশ্বমুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সায়েফ উল্লাহ মোহাম্মদ খালেদ এবং দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রুহুল আমিন।


আরও খবর



নওগাঁয় ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর আত্রাইয়ে প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলায় শিমুলিয়া গ্রামের মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত দুলাল উদ্দিন সরদার ওই গ্রামের কশরত আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুলাল উদ্দিন সরদার সকাল ৮টার দিকে তার বাড়ির কাছে মাঠে ধান কাটতে যান। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাঠের মধ্যে পড়ে যান।তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রওশন হ্যাপি বলেন, কৃষক দুলালকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি মাঠের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। তবে তার লো প্রেশার ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এদিকে, গত তিন সপ্তাহ ধরে চলমান তাপদাহে জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অফিসে বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর



কুষ্টিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, অপরাধী এবং আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০এপ্রিল) বেলা ৩ টার সময় কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার সামনে কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুস্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি আল আসাদ রেমন, সাধারন সম্পাদক শেখ শুভিন আক্তার, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহাবুব হোসেন মিলন, সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম তৌফিকুল কবির তুহিন, অর্থ সম্পাদক তৌফিক আহম্মেদ শাওন , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, সদস্য হাবিবা, নীম, নজরুল ও আরিফ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কুষ্টিয়া সদরের বটতৈল আনসার ক্যাম্প মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রহমানের (পুলিশ) মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের বাড়ীর সামনে তার মেসার্স ফাহিম ট্রেডার্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানে গত ৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারটার সময় হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এলাকার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী। এদিন থানায় অভিযোগ দিলেও তা নিতে বিলম্ব করেন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। মামলা নং-১৮ , তাং-১১/০৪/২০২৪ইং । এরই মধ্যে উল্টো হামলাকারীদের অভিযোগ এজাহার নিয়ে পুলিশ তার হীন মানুষিকতার পরিচয় দেন । নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে লুটপাট ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অপরাধী ও আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানে পুলিশের প্রতি আহবান জানান। নতুবা আগামীতে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ আরো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।

আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রার্থীতার বৈধতা হরিয়েছেন সেলিম প্রধান, পাচ্ছেন না প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধানের প্রার্থীতা ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য দেয়া উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থিতি অবস্থা জারি হয়েছে। ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতার বৈধতা হারিয়েছেন সেলিম প্রধান।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত উচ্চ আদালতের আদেশের উপর এই স্থিতি অবস্থা জারি করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহিন এম রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহিন এম রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন সেলিম প্রধান। গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করে। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন।
৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরদ্দ চেয়ে রীট করেন সেলিম প্রধান। রীটের প্রেক্ষিতে সেলিম প্রধানের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত সেলিম প্রধানের করা রীটের বিষয়বস্তুর উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে। আগামী ৫ মে এবিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

হাবিবুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এসময় তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে। আগামী ৫ ই মে এ বিষয়ের পরবর্তী শুনানির অপেক্ষায়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর