Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্কুলস নাও!

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :[ঢাকা, ০৪ মার্চ, ২০২৪] দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্কুলস নাও! ২০২৪ সম্মেলন। ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অফলাইনে ও অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন ১ হাজারের বেশি নেতৃস্থানীয় বেক্তিবর্গ। আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্ষেত্রে সেরা

অনুশীলন এবং এ সংশ্লিষ্ট সম্যক জ্ঞান (ইনসাইট) একে অন্যের সাথে আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখে এ সম্মেলন। বাংলাদেশ থেকে ২৮ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল, অ্যাকাডেমিয়া, চেরি ব্লসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডিপিএস এসটিএস স্কুল, আর্থ হাউস অল্টারনেটিভ স্কুল,জুভেনাইল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, প্লেপেন,প্রিমিয়ার স্কুল ঢাকা, স্কলাস্টিকা, স্যার জন উইলসন স্কুল এবং সানিডেল বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ। ‘এনরিচিং ইওর কারিকুলাম’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত স্কুলস নাও! ২০২৪ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ। সম্মেলনে নেতৃত্ব, সুস্থতা, সুরক্ষা ও ডিজিটাল শিক্ষায় প্রযুক্তির একীভূতকরণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন ও সংশ্লিষ্ট কেস স্টাডিজ উপস্থাপন।পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে স্কুল কমিউনিটিতে বিশেষজ্ঞদের ক্ষমতায়নের ওপর

আলোকপাত সম্মেলনে আন্তর্জাতিকীকরণ ও প্রেক্ষাপট-ভিত্তিক পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষা, নেতৃত্ব, সুস্থতা ও সুরক্ষা প্রতিপাদ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে বক্তাদের মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনের পাশাপাশি কর্মশালা এবং প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উদ্ভাবনী শিক্ষাপদ্ধতি, আরও সমৃদ্ধ পাঠ্যক্রম গঠনের কৌশল এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সম্মেলনে নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব গ্লোবাল এক্সামস সার্ভিসেস মার্টিন লোডার বলেন, “স্কুলস নাও! সম্মেলনের উদ্দেশ্য শিক্ষাক্ষেত্রে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে বৈশ্বিক যোগাযোগ স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষায় ভাবনা ও অর্জিত জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং উদ্ভাবনের সুযোগ খুঁজে বের করা।

উদীয়মান বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য শিক্ষাবিদদের ক্ষমতায়ন, যেনো পরিবর্তনশীল শিক্ষাক্ষেত্রে জটিলতা মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক ফল নিশ্চিত করা যায়।” বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামস ডিরেক্টর ম্যাক্সিম রেইম্যান বলেন, “ইউকে অ্যাওয়ার্ডিং বডিজের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ১৭৫ -এর বেশি সহযোগী স্কুলের জন্য ইউকে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কোয়ালিফিকেশনস নিশ্চিতে সহায়তা করে ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুলস প্রোগ্রাম। আমাদের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সহায়তা স্কুলগুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাগ্রহণ অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে এবং শিক্ষাকে আরও ফলপ্রসূ করতে ভূমিকা রাখে।” স্কলাস্টিকার হেড অব অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স সাবিনা মুস্তাফা বলেন, “প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে শিক্ষাখাত ধারাবাহিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল রিসোর্স জ্ঞান অর্জনের সুযোগ ও প্রাপ্যতাকে নতুন করে সঙ্গায়িত করেছে। এ পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং শিক্ষায় সমতা (ইক্যুইটি) নিশ্চিত করতে অংশীজনদের মাঝে অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ। এ সংশ্লিষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতার আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের মতো শিক্ষাবিদদের জন্য ‘দ্য স্কুলস নাও!’ সম্মেলনটি একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম।” সম্মেলনে স্বাগত মূলবক্তব্য প্রদান করেন কারিকুলাম ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ভিক্টোরিয়া পেন্ড্রি।

বক্তব্যে তিনি স্কুলের ক্ষমতায়নে পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের ওপর গুরত্বারোপ করেন। বক্তব্যে মানসম্মত ও ন্যায্য শিক্ষার ভিত্তি হিসেবে ডিজিটাল শিক্ষা, নেতৃত্ব, সুস্থতা ও সুরক্ষার মধ্যে আন্ত:সম্পর্কের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি।সম্মেলনে অন্যান্য বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে ছিলেন ঘানার আল রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হেড অব ওয়েলবিয়িং ডিভিশন ও চাইল্ড প্রোটেকশন লিড ড. ফাঙ্ক বাফোর-আউয়াহ; ব্রিটিশ কাউন্সিল এডুকেশন কনসালটেন্ট ক্যাথলিন ও’হেয়ার; ডেপুটি হেড প্যামেলা ও'ব্রায়েন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কুল মাদ্রিদের ডেপুটি হেড অ্যাকাডেমিক জো পার্কেস।

ভার্চুয়াল ডেলিগেটদের জন্য ‘ডিজিটাল লার্নিং’র ওপর একটি সেশন পরিচালনা করেছেন হেরিটেজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মোলদোভার ডেপুটি অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর ও আইএসসি ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনফ্লুয়েন্সার ২০২৩ তাতিয়ানা পোপা। সেখানে, স্কুলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার এবং শিক্ষামূলক উপকরণ, শিক্ষণ অনুশীলন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কেপ টাউনের স্টেলেনবোশ ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার কুদজাই তারিসাই; মিশরের নারমাইন ইসমাইল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মিডল অ্যান্ড হাই স্কুল এডুকেশন ডিরেক্টর রেহাম আলী এবং জো পার্কেসের অংশগ্রহণে ‘এআই ইন এডুকেশন’ -এর ওপর একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এআই ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের জন্য প্রস্তুত কিনা তা নিশ্চিত করতে স্কুলগুলো যা করণীয় তা নিয়ে মূল্যবান কিছু পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করেন তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভিঙ্গি চিহ্নিত করে প্রায় ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীরা এআই-এর পক্ষে কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের মূল বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন দ্য স্কুলস নাও! এর ওয়েবসাইট: https://www.britishcouncil.org/exam/partner-schools/schools-now-conference


আরও খবর



সুনামগঞ্জ সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়াবাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর ও মধ্যনগর সীমান্তে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী,কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায় না।

খোঁজ জানা গেছে- আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী মাজু মিয়া (৩০) ও রিপন চৌধুরী (৩৬) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। কিন্তু পাশের তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,সুন্দরবন, লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকায় চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া ও তার সহযোগী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামালগং চারাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন কয়লা, চিনি, সুপারী, চুনাপাথর, গরু ও ছাগলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে প্রতিদিন লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করলেও এব্যাপারে নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম, টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন, নয়াছড়া, কড়ইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল, হারুন, জামাল, জম্মত আলী, সাহিবুর মেম্মার, লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই। অন্যদিকে বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর, চিনাকান্দি, ডলুরা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে পেয়াজ, চিনি ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। থেকে নেই দোয়াবাজার ও ছাতক উপজেলা সীমান্ত চোরাচালান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- লাউড়গড় ও চানপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও যাদুকাটা নদী দিয়ে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পেয়াজ, চিনি, কয়লা ও পাথরসহ মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে স্কুল ছাত্র শাকিবুল ইসলামের মৃত্যু হয়। পড়ে এঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য ওই স্কুল ছাত্রের লাশ বালির নিচে চাপা দেয় চোরাকারবারীরা। অনেক খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় যাদুকাটার বালুর ভিতর থেকে শাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে চোরাকারবারী রমিজ মিয়া (৫২) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ও তার ছেলে রুবেল তাদের লোক দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত সীমান্তের অংশে চুনাপাথর ভাংগে। এরপর রাত হলে অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত সেই চুনাপাথর বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজের পাশে নিয়ে মজুত করে। এছাড়া চাঁনপুর ও টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত অবৈধ কয়লা মোটর সাইকেল ও আটোরিক্সা বোঝাই করে বিভিন্ন ডিপুতে নিয়ে তারা মজুত করে। এরপর সোর্স আক্কল আলী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে ১টন চোরাই কয়লা থেকে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি (৫ ফুট) চুনাপাথর থেকে ৩টাকা চাঁদা তুলে। তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়া টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই এএসআই জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চোরাকারবারী রমিজ মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে সোর্স আক্কাল আলী। এঘটনায় ওই চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চাঁনপুর সীমান্তে ২জন, টেকেরঘাট সীমান্তে ৫জন, বালিয়াঘাট সীমান্তে ১৩জন, চারাগাঁও সীমান্তে ২জনসহ লাউড়গড় সীমান্তে এপর্যন্ত শতাধিক শ্রমিক ও চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।

এব্যাপারে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কফিল উদ্দিন বলেন- বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা লাখলাখ টাকা চাঁদা নিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান করছে। আর এই চোরাচালান করতে গিয়ে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়না। তাই চোরাচালানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চোরাকারবারীরা প্রাণনাসের হুমকি দেয়ে।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। এব্যাপারে আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। সীমান্তে এলাকায় থানা পুলিশের কোন সোর্স নাই। মধ্যনগর থানার ওসি এমরান হোসেন বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ আমরা ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



দেশে গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার চালু করল হায়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে “হায়ার গ্রুপ গ্লোবাল লিডিং ডিজিটাল সার্ভিস সিস্টেম গ্লোবাল কাস্টমার কেয়ার (জিসিসি)” প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে গ্লোবালি সেরা অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হায়ার।বুধবার (১৭ এপ্রিল) গুলশান এভিনিউয়ের হায়ার বাংলাদেশ কর্পোরেট অফিসে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কাস্টমার কেয়ারের উদ্বোধন করা হয়।

জিসিসি হচ্ছে হায়ার গ্রুপের সবচেয়ে উন্নত গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্ট ইন্টারেক্টিভ সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ডিজিটালাইজড সিস্টেম। জিসিসি চালু হওয়ার পর, হায়ারের গ্রাহকরা ফোন, ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মতো একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে সহজেই পরিষেবা পেতে পারেন। হায়ার সার্ভিস টিম অন-সাইট সার্ভিস টেকনিশিয়ানদের জন্য আরও ভালো প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেক বেশি দক্ষ এবং প্রতিক্রিয়াশীল পরিষেবা প্রদান করবে, ফলে প্রযুক্তিবিদরা হায়ার গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও দক্ষভাবে পেশাগতভাবে পরিষেবা দিতে  সক্ষম হবে। জিসিসি সিস্টেম পুরো পরিষেবা প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ এবং দৃশ্যমান করে তুলবে, গ্রাহক অভিযোগের পুরো প্রক্রিয়াটি ট্র্যাক করতে এবং সন্তুষ্টি না হওয়া পর্যন্ত রিয়েল টাইমে আপডেট পেতে পারেন।জিসিসি সিস্টেম চালু করে বিশ্বের অনেক দেশে হায়ার গ্লোবালের সেরা গ্রাহক সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হায়ার ইন্ডিয়া, হায়ার পাকিস্তান, হায়ার থাইল্যান্ড এবং আরো অনেক দেশে। সেরা পরিষেবার অভিজ্ঞতা এবং সর্বোত্তম প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার লক্ষ্যে এবার হায়ার বাংলাদেশে জিসিসি চালু করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

হায়ার গ্রুপ ওভারসিজ সার্ভিসের জেনারেল ম্যানেজার মিঃ ওয়াং ইয়ান তার বক্তিতায় বলেন, জিসিসি প্রকল্প হায়ারের পরিষেবার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ এবং পুরো পরিষেবা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। বিদেশে প্রায় বিশ বছরের উন্নয়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, হায়ার ব্যবহারকারীদের দ্রুত এবং উচ্চ-মানের পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ৫০ টিরও বেশি দেশে স্থানীয় বিক্রয়োত্তর পরিষেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরিষেবাটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টাচপয়েন্ট এবং গ্রাহকদেরও হায়ার-এর যত্নের অভিজ্ঞতা  নেওয়ার একটি সুযোগ৷

হায়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ডিএমডি মিঃ ওয়াং শিয়াংজিন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের কোম্পানি কাস্টমার ইজ অলওয়েজ রাইট নীতি মেনে চলে। আমাদের কাছে গ্রাহকের সন্তুষ্টিই প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার এবং আন্তরিক চিরকাল। আমরা ব্যবহারকারীর চাহিদাকে সর্বদা প্রথম অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচনা করি। আমরা ডিজিটালাইজেশন এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে সর্বোত্তম পরিষেবার অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্য রাখছি।হায়ার একটি উদীয়মান বাজার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরে দ্রুত প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।

হায়ার বাংলাদেশ ‘সিনসিয়ার ফরএভার’ কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করে এবং ‘কেন্দ্রিয় গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও ব্র্যান্ডের সুনাম তৈরি পরিষেবা নীতি মেনে চলে। ডিজিটাল পুনরাবৃত্তি এবং আপগ্রেডিংয়ের মাধ্যমে, প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের দ্রুত, দক্ষ,এবং এককালীন পরিষেবা প্রদানের জন্য একটি পেশাদার, ব্র্যান্ডেড, এবং ভিন্নমাত্রার পরিষেবা ব্যবস্থা তৈরি করেছে।হায়ার বাংলাদেশে বিশাল গ্রাহকশ্রেণির জন্য আরও ভাল পরিষেবা নিশ্চিতের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। ফলে ‘গুড কোয়ালিটি’  এবং ‘গুড সার্ভিস’ হায়ারের একটি সমার্থক শব্দ হয়ে উঠছে।


আরও খবর



যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়,তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো: রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলছেন, ১৮ কোটি দেশের মানুষ আমরা একবারও দূর্বল নই। সরকার দূর্বল হতে পারে, আমরা দূর্বল নই। আমাদের যে আত্নশক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে জনগণের লড়াই করার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সবকিছু নিয়েই আমাদের উপর যারা খবরদারী করে আমাদের যারা কৃতদাস বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বো। সরকার কোন অবস্থাতেই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। 

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় দুঃস্হদের মাঝে এক ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মোতালেব হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে তার উত্তরার  ফায়দাবাদের বাসভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা আর নেই। বাংলাদেশের শাসক কে? এটাও আজ আমরা ঠিক বলতে পারি না। একজন শাসক রয়েছেন, তার কাজ হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা, বিরোধী দলেরবকোন কর্মসূচি হলেই তা বানচাল কটা এবং তিনি একজন অবৈধ শাসকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার প্রভু আছে, তারাই মূলত শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। কারন আমাদের দেশের লোকদের সীমান্ত হত্যা করছে, অথচ আমাদের দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বা সরকার তা প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিদিন ১ দিন ২ দিন পরপর হয় লালমনিরহাট, নওগা কিংবা য়শোর, ফেনী,কসবা এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এদের জীবনের কেন নিরাপত্তা নেই। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি বেআইনি কাজ করে চলাফেরা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের ব্যাবস্হা আছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার আছে, নেপালের সাথে বর্ডার আছে, আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, ভূটানের সাথে সীমান্ত আছে, অথচ আপনারা কখনও শুনছেন না যে, তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে তারা সংঘর্ষ করতে সাহস পায় না। কারন তাদের প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ শাসন করছে। তাদের বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, ওরা আমাদের পানি কেড়ে নিবে। ওরা একচেটিয়া বানিজ্য করবে। আমাদের কোন পন্য কিনবে না। বাংলাদেশে ওদের পন্যে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কারখানার মালিকরা, আমাদের যে তাত। কত সমৃদ্ধশালী ছিল তাত। সে তাত ধ্বংস করে ভারতের লুঙ্গি শাড়ী কিনতে হয়। তাদের সকল পন্য আমাদের কিনতে হয়। এটার থেকে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্যই তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো দেশকে আত্মনির্ভরশীল করছেন। জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন। আর শেখ হাসিনা প্রতি নিয়ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করার সকল যড়যন্ত্র তিনি করছেন। 

তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশ কেন অরক্ষিত? 
আজকে কেন বান্দরবানের সারাচি, রুমাসহ বিভিন্ন থানায় ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে কেন? আজকে অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আশ্রয় পায় কি করে? এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না। ঠিকই জানেন, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। কারন তারা নতজানু। ওদের কে যেমন তেমন করে বিদেশি প্রভুদের আশ্রয়েই তাদের থাকতে হয়। কারন ওদের কে ভোটে সরকার গঠন হয়নি। কারন তারা ভোটে সরকার গঠন করেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির  যে ডামী নির্বাচন সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ৯৭% মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের আত্নীয় স্বজনরাই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আর ভোট কেন্দ্র সারাদিন সাহারা মরুভূমির মতো শূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে তারা কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং  যারা আওয়ামী সমর্থক ছিলেন নির্বাচনে  তারাও ভোট দিতে যায় নাই। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন  থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান এক দফার আন্দোলন চলবে। 

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে পুরো রমজান মাস ধরে আমাদের উত্তর মহানগরীর ৭১ টি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং আজকে যে আমরা ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি, এটাও আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ। 

৫ শত অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শাড়ি লুঙ্গি  পেয়ে গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ সময় অসহায়রা বলেন  প্রতিবছরই ঈদ এলে বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ঈদ উপহার শাড়ি লুঙ্গি দেন, এতে আমরা খুব খুশি। 

এ সময় এম কফিলউদ্দিন বলেন, মানুষ আজ খুব অসহায় দিন যাপন করছেন। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন।  তাদের জন্য কিছু করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক,গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি বলেন, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।

সুব্রত কুমার বালা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


আরও খবর



জলঢাকায় তাক্বওয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ভ্যান বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
নিলফামারী,(জলঢাকা),প্রতিনিধি:নীলফামারী জলঢাকায় তাক্বওয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি অ্যালায়েন্স এর অর্থায়নে একজন স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। 
 
রবিবার দুপুরে  পৌরসভার কদমতলী জামে মসজিদের সামনে  শৌলমারী আদর্শ বাজার এলাকার মমিনুর রহমানকে  ভ্যান প্রদান করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তাক্বওয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের কৈমারী শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান, সংস্থাটির দায়িত্বশীল সাদ্দাম হোসেন সহ অন্যন্য সদস্যবৃন্দ।জানা যায় ,মমিনুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানুষিকভাবে  অসুস্থ, একমাত্র উপার্জনকারী  কর্মক্ষমের কারনে অর্থসংকটে ভুগছিলেন তাঁর পরিবার।  এমন সময়ে এই ভ্যান দিয়ে মানবতার হাত  বাড়িয়ে  দিয়েছেন এই সংস্থাটি,এৃমনটাই মনে করছেন মমিনুরের পরিবার। ভ্যানের উপার্জনে অসচ্ছলতা ঘুচবে তাদের । তাক্বওয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের ডাকে সারা দিয়ে  আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, ইন্টান্যাশনাল চ্যারিটি অ্যালায়েন্স ফাউন্ডেশনের  সাইফুল ইসলাম  ও এইচ এম হাবিবুল্লাহ। 

উল্লেখ যে, বিদেশি দাতা সংস্থাটি সারাদেশের বিভিন্ন  অঞ্চলে  মসজিদ-মাদ্রাসা  নির্মাণ  ,সুপেয় পানির জন্য টিউবওয়েল , স্যানিটেশন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণসহ সরকারের  বিভিন্ন উন্নয়নে  সহায়ক ভুমিকায়  কাজ করে যাচ্ছেন দাতা এ সংস্থাটি।

আরও খবর