Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

"বিএনপি নির্বাচনে এলে ভোটের সময় বাড়ানোর চিন্তা করবে ইসি"

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে তাদের সুযোগ তৈরি করে দেবে কমিশন। এমনকি নির্বাচনের সময় বাড়ানোরও চিন্তা করবে ইসি।

সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

এ সময় ইসি রাশেদা বলেন, আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাচন কমিশন কঠোর থাকবে। ইসির সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি নিশ্চিত করা।

এর আগে ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাতিল হলে এর বিরুদ্ধে আপিল ও আপিল নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণার জন্য ২২ দিন সময় রয়েছে। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।

বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




মেহেরপুরে নার্সিং কলেজ কাজের মেয়াদের সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ২০১৯ সালে নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফা। সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারের মতো বাড়ানো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকার পিয়াস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই নার্সিং কলেজটি নির্মাণের শুরুতে দেশে করোনা দেখা দেয়। ওই অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলতি বছরে শেষ করা হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স তৈরি করতে একটি নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ২০১৯ সালে ১৮০ আসন বিশিষ্ট নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থবারের মতো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো অনেক কাজ বাকি। প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গত ১০ এপ্রিল নির্মাণাধীন কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা কলেজ ভবনের ভেতরের প্লাস্টার করা হয়নি। জানালার ফ্রেম নেই। বাথরুমের কাজ এখনো হয়নি। মেঝেতে ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মাত্র পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন ঢিমেতালে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের দশা আরও করুন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষ করা হয়নি। বাথরুমের কাজও করা হয়নি। প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বরত আবদুল মালেক জানান, পিলার ও চারতলা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, গ্রিলের কাজ, মেঝেতে টাইলসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, একটি কলেজের নির্মাণকাজে যদি পাঁচ বছর লেগে যায়, তাহলে কীভাবে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। এত দিন এই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে কাজে যোগ দিতে পারতেন। জেনারেল হাসপাতাল আরও দক্ষ নার্স পেত।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেন। তাঁর আবারও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার তাগাদা দেবেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাচ্ছে না। দ্রুত কলেজের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে ঈদ ও বৈসাবি উপলক্ষ্যে মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,বিশেষ প্রতিনিধি:বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যােগে পবিএ ঈদ উল-ফিতর ও বৈসাবি উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে পাহাড়ী- বাঙ্গালী দুঃস্থ নারী ও পুরুষের মাঝে শাড়ি, পাঞ্জাবী এবং পাহাড়ী ড্রেস বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল)  মাটিরাঙ্গা জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক মানবিক সহায়তা  কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় সকালের দিকে , মাটিরাঙ্গা  সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর- ও বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষ্যে মাটিরাঙ্গা জোনের আওতায় ২০০জন  দু:স্থ,অসহায় হতদরিদ্র  পরিবারের মাঝে ঈদ ও বৈসাবি উপহার সামগ্রী বিতরণ ও পাঁচশতাধিক মানুষের মাঝে  স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, দন্ত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা সহ বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল উপকার ভোগীদের মাঝে ঈদ ও বৈসাবি উপহার সামগ্রী তুলেদেন।

এ সময় মাটিরাঙ্গা জোনের জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো.কামরুল হাসান পিএসসি
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম
সহ সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানবিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে দুই শতাধিক হত-দরিদ্র পাহাড়ি-বাঙ্গালি পরিবারের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, পাহাড়ী ড্রেস বিতরণ, বিদ্যুৎ বিহীন ১০টি পরিবারকে সোলার প্যানেল, সুবিধা বঞ্চিত ৫টি পরিবারকে সেলাই মেশিন, ১০টি পরিবারের মাঝে ১০বান ডেউটিন, ৮ জন অসহায় ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নগদ আর্থিক অনুদান ও ২টি এতিমখানায় ১০টি ফ্যান রয়েছে। এছাড়াও অন্তত পাঁচশতাধিক জনসাধারণের মাঝে  বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল  বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের পাহাড়ি এবং বাঙ্গালীদের মাঝে অত্যন্ত সোহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও সু-সসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যেও মাটিরাঙ্গা জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। আপনারা এই সু-সম্পর্ক বজায় রাখবেন এটাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। সর্বোপরি আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুরু থেকে বিভিন্ন মানবেতর চাহিদা পরিপূরণের মাধ্যমে মানুষের পাশে আছে। তেমনিভাবে মানুষের একমাত্র সঠিক আস্থাভাজন এবং গৌরবের প্রতীক হিসাবে সুদূর ভবিষতেও এই ধারা অব্যহত রাখবে।পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ঈদ-উল-ফিতর ও বৈসাবি,র শুভেচ্ছা জানান।

আরও খবর



মাগুরায় অশ্রুশিক্ত নয়নে মুসল্লীদের ইস্তিস্কার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তির আশায় অশ্রুশিক্ত নয়নে ইস্তিস্কার (বৃষ্টির জন্য) নামাজ আদায় করেছেন এলাকার ধর্ম প্রাণগত মুসল্লিগণ। নামাজ শেষে বৃষ্টি জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯ টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খামার পাড়া এস আই সিনিয়র মাদ্রাসা মাঠে এ নামাজ ও বিশেষ দোয়া  অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে সকলেই মহান আল্লাহ পাকের কাছে মাফ চেয়ে গরম থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা ও বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহ পাকের রহমত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করা হয়। এতে এলাকার বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগণ, ইমাম - মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকসহ এলাকার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নামাজ পড়তে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শ্রীপুর উপজেলার পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোল্লা মিজানুর রহমানে পরিচালনায় নামাজের আগে আলোচনা আলোচনায় অংশ নেন  খামার পাড়া বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম কাজী আবুল হাসান, শ্রীপুর সরকারি এম সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কাদের সিদ্দিকী।  এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খামার পাড়া এস আই সিনিয়র মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, মাওলানা শফিকুর রহমান, জেলা জীব বৈচিত্র্য ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মোঃ সাইফুল্লাহ, শ্রীপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলীনুর মোল্লা, অত্র মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা শাহাদত হোসেনসহ আরো অনেকে।  খামার পাড়া বাজার জামে মাসজিদের পেশ ইমাম কাজী আবুল হাসানের ইমামতিতে ইস্তেস্কার দুই রাকাত নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের নিয়ে অশ্রুশিক্ত নয়নে মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে দু’হাত তুলে মোনাজাত পরিচালনা করেন, শ্রীপুর সরকারি এম সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। 

আরও খবর



ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী বাসন্তী পূজা উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, আরতী প্রতিযোগিতা, প্রসাদ বিতরণ ও বৌ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা হরতকীতলা শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা মন্দির কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার বৌ মেলার মধ্যদিয়ে দিবসটি সমাপ্ত করা হয়। বৌশাখের বসন্ত ঋতু তিথি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার মন্দিরে ভগবত গীতাপাঠ, তুলশি আরতি ও মঙ্গলঘাট স্থাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা আমিনুল ইসলাম রিমুন। এ সময় কমিটির সভাপতি দুলাল চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক সৈরভ অধিকারী, পরিচালক শৈলেন্দ্রনাথ রায়, ইউপি সদস্য আর্শিনী কুমার, জোসনা রানী, সাবেক সদস্য শংকর চন্দ্র রায়, জয় প্রসাদ, হিরম্ব কুমার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উক্ত মন্দিরে বিভিন্ন এলাকার থেকে আগত হাজারো ভক্তবৃন্দের ঢল নামে। মন্দির প্রাঙ্গণ যেনো হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। পূজা পাঠ ও অর্চনা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং আরতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শেষের দিনে বৌ মেলার মধ্য দিয়ে দিবসটি সমাপ্তি ঘটে। মেলায় শতশত মুখরোচড় খাবারের দোকান পরশা সাজিয়ে দোকানীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি বিগত শত বছর যাবত তারা পালন করছে বলে কমিটির পরিচালনক শৈলেন্দ্র নাথ জানান।


আরও খবর



পেঁয়াজের সাদা ফুলে সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:সবুজ কান্ডের ডগায় কদমের মতো দেখতে সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মিরাপুর ফসলের মাঠ। যা প্রকৃতির মায়াজালে আবৃত্ত এক অনন্য দৃশ্য, যেখানে সাদা ফুলের সমারোহ নয়, বরং এক অপার সম্পদের আহ্ধসঢ়;বান। এই ফুলের প্রশান্ত সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’, যা বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনীতিতে এক অপূর্ব সংযোজন। পেঁয়াজের বীজের উচ্চ বাজার মূল্যের কারণে কৃষি জগতে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত। যেখানে কৃষকের পরিশ্রম ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এই অমূল্য ‘কালো সোনা’।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর, মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া গ্রামে চাষ করা হয়েছে পেঁয়াজের বীজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হবে দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে।   

সরেজমিনে উপজেলার মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল।শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। অনেকে আবার পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। 

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান, গত বছর পেঁয়াজ বীজের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আগ্রহ নিয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। তিনি আরো বলেন, “এই এলাকায় আমিই প্রথম দানা চাষ শুরু করি। এই ফসল চাষে যা খরচ হয় তার থেকে দ্বিগুণ লাভ থাকে। বর্তমানে আমার দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষকই এই ফসলের চাষ করছে।” ছেলে-মেয়েকে লেখা-পড়ার খরচ চালাচ্ছি, আল্লাহর রহমতে এই ক্ষেত করে আমি ভালো আছি।” 

ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। এই ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ বছর ১বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছি। 

শাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আমি পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছি। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন রোগবালাইয়ের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড় লাখ টাকার ওপরে বীজ বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জনান, উপজেলায় চলতি অর্থবছওে ২১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা যাতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে পারেন, এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, পিঁয়াজের বীজ চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন পিঁয়াজ চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পিঁয়াজ চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল।কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন।


আরও খবর