Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

মাগুরায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:'স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট দেশ' স্লোগানে মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে মাগুরায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।

২৮ এপ্রিল, রবিবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে একটি র‍্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও অবিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) (অতিরিক্ত দায়িত্ব)প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ রোকুনুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল কাদের। মাগুরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর মোঃ‌মিজানুর রহমান, শালিখা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মশিউর রহমান সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।  প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

আরও খবর



রাণীশংকৈলে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৪জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গতকাল শনিবার (১১ মে) রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে সোখিনা বেগম (২৬)নামে এক গৃহবধূ মৃত্যু বরণ করেছেন। মৃত সোখিনা উপজেলা নন্দুয়ার ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী হটাৎ পাড়া গ্রামের ভ্যান চালক সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার ওসি সোহেল রানা। 

পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, সাইফুল একজন ভ্যান চালক সে প্রতিদিনের ন্যায় খেয়ে দেয়ে সকালে ভ্যান নিয়ে চলে যায়। তাদের পরিবারে ২ ছেলে এক জন স্থানীয় মার্দাসায় পড়া লেখা করে সে মাদ্রাসায় থাকে। অপর জন নানির বাড়ি মেহমান খেতে যায়।বাসা ফাঁকা পেয়ে স্ত্রী সোখিনা সকলের অগোচরে  নিজ ঘরের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দেয়। সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী সাইফুল বাসায় এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে। আশেপাশের লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থান লাশ দেখতে পায়।পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

এ দিকে সোখিনার বাবা সেকেন্দার মিয়া জানান, পারিবারিকভাবে তার মেয়ের সঙ্গে সাইফুলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ২ সন্তান আছে। কিছু দিন আগে একটি বিষয় নিয়ে তার স্বামী তাকে গালমন্দ করেন। আমরা গিয়ে সেটা মিটমাট করে দেয়।  তবে হটাৎ কী কারণে সোখিনা এমনটি করেছেন, এ বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে পারেনি।

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা আরো বলেন,গৃহবধূর মৃত্যুর পারিবারিক ভাবে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর আসল রহস্য জানা যাবে।পরবর্তী অভিযোগ পেলে আইন আইনু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ১৭৫জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



নাসিরনগরে কৃষকলীগের প্রতিষ্টা বার্ষিকি উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৯৬জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ১৯ এপ্রিল ২০২৪ রোজ শুক্রবার বেলা এগারো ঘটিকার সময় বাংলাদেশ কৃষকলীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এন আর ভবনে এক দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হাজী অলি মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম নুরের সঞ্চালনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কেন্দীয় কৃষকলভগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া।

বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রোমা আক্তার,শেখ আব্দুল আহাদ,রেবা খানম,এম এ  কাসেম,এডঃ মিজানুর রহমান,নাজমুর রশীদ সবুজ।

অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আমজাদ হোসেন,আলী রাজ সহ আরো অনেকেই।

আলোচনা সভায় প্রধান ও বিষেশ অথিতি বৃন্দ কৃষকলীগ গঠনের কারন ও কৃষকলীগের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব



আরও খবর



ফকিরহাটে ট্রাক কাভার্ডভ্যানের সংর্ঘষে ১জন নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১২জন দেখেছেন

Image

ফটিক ব্যানার্জী,ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে কাকডাঙ্গা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানের সাথে গ্যাস ডিলিন্ডার বাহী ট্রাকের সংর্ঘষে ট্রাক চালকের সহকারির ঘটনা স্থালে মৃত্যু হয়েছে। রাবিরার সকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত রইচ কাজী (২২) রাজবাড়ী সদর উপজেলার বড় ভবানীপুর গ্রামের মালাম কাজীর ছেলে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ ও স্থানীয়রা  ওই ট্রাকের চালক মোঃ আজিজকে উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করে। অপরিকল্পিত ভাবে কাভার্ডভ্যান পার্কিং করায় এ দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী স্থানীয়দের।

মোল্লাহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ শেখ নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের পেছনে খুলনাগামী ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে ট্রাকের হেলপার নিহত হয়। আহত হয় চালক। মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর কারা হবে।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে সংগীতশিল্পি ইতির বাবার ইন্তেকাল সাংস্কৃতিক কর্মিদের গভীর শোক প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল( ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের বাসিন্দা জনপ্রিয় সংগীতশিল্পি ইতি আকতারের বাবা নজরুল ইসলাম(৫৮) রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ইন্তেকাল করেন।( ইন্না লিল্লাহি....রাজিউন) তিনি পেশায় শ্রমিক ছিলেন,নজরুল ইসলাম ২ স্ত্রী, ৬ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ অনেক আত্মীয় শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। 

উল্লেখ তিনি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ এ সংগীত প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে লোকসংগীতে ১ম স্থান অধিকারী ইতি আকতারের বাবা। ইতি আকতার রাণীশংকৈল পাইলট হাইস্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্রী, রাণীশংকৈল সংগীত বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও ঠাকুরগাঁও বেতারের নিয়মিত শিল্পি। তার বাবার মৃত্যুতে রাণীশংকৈল সংগীত বিদ্যালয়ের সদস্যরা ও সাংস্কৃতিক কর্মিরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

আরও খবর