Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রেট স্কলারশিপ ২০২৪- এ আবেদন গ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ২৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:[ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪] ব্রিটিশ কাউন্সিলের গ্রেট স্কলারশিপ বৃত্তি পেতে এখন আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাজ্য সরকারের গ্রেট ব্রিটেন ক্যাম্পেইন – দ্য গ্রেট স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অটাম ২০২৪ সেশন থেকে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাবেন।

এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ফাইন্যান্স, মার্কেটিং, বিজনেস, সাইকোলজি ডিজাইন, হিউম্যানিটিজ ও ডান্স সহ অন্যান্য বিষয়ে এ বছর যুক্তরাজ্যের ৭১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর করার ক্ষেত্রে ১৫টি গ্রেট স্কলারশিপের সুযোগ দিচ্ছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এক বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে টিউশন ফি হিসেবে প্রতিটি গ্রেট স্কলারশিপের জন্য ১০ হাজার পাউন্ড অনুদান দেওয়া হয়।

এছাড়াও, মিনিস্ট্রি অব জাস্টিসের অংশীদারিত্বে গ্রেট স্কলারশিপ ২০২৪ প্রোগ্রামে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আইন ও বিচার বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য তিনটি বৃত্তি দেয়া হবে, যার মাধ্যমে এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লিখিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন বৃত্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী মানবাধিকার, সম্পত্তি আইন, ফৌজদারি বিচার ও বাণিজ্য আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী তারা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। পাশাপাশি, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে যুক্তরাজ্যের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাওয়া যাবে এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এ বৃত্তির অধীনে এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের যেকোনো একটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাসটেইনেবল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোবিজ্ঞানের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্জন উদযাপনের লক্ষ্যে কাজ করে গ্রেট স্কলারশিপ ক্যাম্পেইন। এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সুযোগ প্রদান করে। প্রতিবছর সহস্রাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা অর্জনে যুক্তরাজ্যে বেছে নেয়; এক্ষেত্রে, গ্রেট স্কলারশিপের লক্ষ্য হল যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সকল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ধারাবাহিক সহায়তা করা।

যেসব শিক্ষার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করে আগ্রহী তাদের অবশ্যই এ বৃত্তি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার অব এন্ট্রি পেতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোর্সে অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। গ্রেট স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে ভিজিট করুন: https://study-uk.britishcouncil.org/scholarships-funding/great-


আরও খবর



ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ২ জনের মৃত্যু ॥বিধস্ত অন্তত ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি ॥ আহত- ৩৫

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপরে পড়েছে কয়েক শত গাছপালাসহ বিদু্যুতের খুটি। এ সময় ঘর চাঁপায় ও বজ্রপাতের আঘাতে মোঃ হারিছ (৭০) ও বাচ্চু (৩৫) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-শিশু সহ অন্তত ৩৫ জন। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে জেলার মনপুরা, লালমোহন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এ ঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার মুখভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও লালমোহন। দুই উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় দুই শত ছোট বড় গাছপালা সহ উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাছাড়া বিদ্যুতের তার ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ উপরে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকেই হয়ে ওঠে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। দেখা দেয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস এর সাথে বজ্রপাত। হঠাৎ করে বেড়ে যায় বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমান। এরপর ১১টার দিকে বাতাসের পরিমান বেড়ে গিয়ে রূপ নেয় কালবৈশাখী ঝড়ে। মূহুর্তের মধ্যে জেলার মনপুরা, লালমোহন সহ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়।উপড়ে পড়েছে দুই শাতাধিক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে কয়েক ঘন্টা যাবত বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ঘর চাঁপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে এক ভিক্ষুক নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) বছরের আরো এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে আড়াইশত ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত পঞ্চাশটি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। কৃষি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে প্রাণহানিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।

এদিকে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, ৭ এপ্রিল সকালে আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ব্যাপক ঝড় হয়। উক্ত ঝড়ে দুই উপজেলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ লালমোহন উপজেলায় ১ জন ঘর চাঁপায় ও ১ জন বজ্রপাতে মারা যান। নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত সকল পরিবারের মাঝে নগদ ১০ হাজার করে আমার পক্ষ থেকে অনুদান দেই। সেই সাথে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসন সহ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার নির্দেশ প্রদান করেছি। আমি ওমরা পালনের লক্ষে স্ব-পরিবারে বর্তমানে পবিত্র মদিনায় অবস্থান করছি। ওমরা শেষ করে নির্বাচনী এলাকায় ফিরে ঝড়ে আহত, নিহত ও ক্ষতিগ্রসন্ত পরিবারের মাঝে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ্। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

অপরদিকে ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপাঞ্চল। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শাতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়।

এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ঝড়ের কবলে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা আকাশের নিচে রয়েছে প্রতিটি পরিবার। এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিন সেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে ঝড়ের কবলে অনেকের মাছের ট্রলার ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে শিশু সহ ১১ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৫ জনকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় থেকে ১ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টাব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তান্ডবে এই সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে আহত ১১ জন হলেন, আল আমিন, ফাতেমা, তানভির, লিটন, হেলাল, হানিফ, আরতি বালা, মনির, সানজিদা আক্তার, জরিনা, শাকিল, ফরিদ ও ইব্রাহীম। এদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরের মালিকরা হলেন-উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের সোলেমান, কাশেম বেপারি, রিয়াজ, কৃষ্ণমোহন, তীপাংকর, মাইনুদ্দিন, রবি আলম, হাফেজ সোহরাব, রিয়াজ, সোনারচর গ্রামের কাসেম,ফরিদ, কবির, পূর্ব সোনারচর গ্রামের আবদুল্লাহ, ছলেমান, গোপালচন্দ্র দাস, জসিম, গিয়াস উদ্দিন বেপারি, নিরব, কাসেম মিয়া, হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী কবিরের মুদি দোকান ঘর, চরফৈজুদ্দিন গ্রামের মনির, আবুতাহের, সাহাবুদ্দিন , মাফুল্লা মাঝি। অপরদিকে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলম বাজার সংলগ্ন আবদুল হাশেম,দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজারের হারুন চৌকিদার, বাবুল পিটার, আঃ রহমান হাজারী ও সহিদ হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আধা ঘন্টা ব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টির তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয় উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট, সোনারচর ও চরফৈজুদ্দিন গ্রামে। এই সমস্ত এলাকায় আনুমানিক ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ঝড়ে তান্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের তান্ডবে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়াও চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

উপজেলার ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশত ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়। এমপি মহোদয় তাৎক্ষনিক একলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াইশত থেতে তিনশত ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মাঠে ক্ষয়-ক্ষতির নিরুপন করা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, হাঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আমাদের উপজেলার শতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০টিরও বেশি ঘর পুরোপুরি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো বেশি।

যদিও আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপন করার কাজ করছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে ও উপড়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে মনপুরা, লালমোহনসহ কয়েকটি উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। যদিও পল্লি বিদ্যুৎ এবং ওজোপাডিকোর মাঠ কর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য জেলা প্রশানের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিজিএফ এর চালসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যপারে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমান প্রাথমিক ভাবে বলা না গেলে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে চালসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার ও ঔষধপত্র দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে ঘরের নিচে চাঁপা করে মারা যাওয়া ব্যক্তি ও বজ্রপাতে মারা যাওয়া ২ ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



শিগগির আসছে আরিফিন শুভর ‘নীলচক্র’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। গতবছর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা মুক্তির পর দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছেন প্রশংসা। আর এবারে নতুন সিনেমার খবর দিলেন শুভ।

আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন সিনেমার ফাস্টলুক পোস্টার প্রকাশ করেছেন তিনি। সিনেমার নাম ‘নীলচক্র’।

পোস্টারে প্যাজেলের মাঝে দেখা গিয়েছে শুভর মুখ। কালো শার্টে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তালিয়ে আছেন তিনি। তার এক পাশে অসংখ্য খবরের কাগজ, তবে সেগুলো ঝাপসা। 

কী রহস্য আছে সিনেমাটি ঘিরে- তা অবশ্য এখনই বলছেন না অভিনেতা। নতুন সিনেমার খবর দিয়ে শুভ একটু রহস্য রেখে দিলেন। কারণ পোস্টারের সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘নীলচক্র কি নীল হবে না রক্তের রঙ লাল হবে সেটা দেখার অপেক্ষায়। শিগগির আসছে নীলচক্র।’ 

গতবছরই সিনেমাটির খবর জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন তিনি। ‘নীলচক্র’ পরিচালনা করেছেন মিঠু খান। চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা ও মিঠু খান। 

বরাবরই শুভ চুপচাপ কাজ করতে পছন্দ করেন। তাই গতবছর শুটিং শুরুর আগে নতুন সিনেমার খবর দিলেও এর বেশি কিছু বলেননি।

অভিনেতা বলেন, ‘দর্শক সমসাময়িক একটি গল্প দেখতে পাবেন। গল্পের প্যাটার্ন ডার্ক, সঙ্গে আরো কিছু আছে।’

ফিল্ম ফায়োস প্রোডাকশন প্রযোজিত ও ফিল্ম লাইফ প্রোডাকশন নিবেদিত এই সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান, ডলার প্রমুখ।


আরও খবর



কোনাপাড়া আল আমিন রোডে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃডেমরায় অসহনীয় গরম থেকে বাঁচতে বৃষ্টির আশায় আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন কোনাপাড়া  আল-আমিন রোড এলাকার মুসল্লিরা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ডেমরা থানা এলাকার কোনাপাড়া  আল-আমিন রোড প্রধান সড়কে সালাতুল ইসতিসকারের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় ইসতিসকার সালাত আদায় ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কোনাপাড়ার দোতলা মসজিদ খ্যাত বাইতুল তাকওয়া জামে মসজিদের  ইমাম ইমামুল হাসান।

সালাত আদায়ের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দলে দলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজে অংশগ্রহণ করতে আল আমিন রোড প্রধান সড়কে একত্রিত হন।সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়ের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রধান সড়ক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ আগত মুসল্লিদের জন্য সুপেয় পানি ও শরবতের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় কোনাপাড়া, ডগাইর এলাকাসহ আশপাশের মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও মুসল্লিরা সালাতুল ইসতিসকার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জন জীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীদের মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের সহযোগিতায় ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব ২০২৪ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, দেশের কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সকলে আন্তরিকতার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, সকল সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী বৈসু এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্ধতার মেল বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দুর করবে, শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আদর্শ নাগরিক হিসেবে কোনো বিভেদ নয়, কোনো হানাহানি নয়, শান্তি, শৃঙ্খলা, সৌহার্দ্র সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের সকলেরই দেশের উন্নয়নে কাজ করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

পরে রঙীন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। তিনি বর্ণাঢ্য এক র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালিটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তা উপস্থিত সকলের সাথে উপভোগ করেন।

এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর,পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  মোঃ শানে আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  মোঃ দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



গাংনীতে পুলিশি অভিযানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০ গ্রাম গাঁজা। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে নগদ ১৫০০ টাকা ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশের পৃথক পৃথক টীম কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

এরা হচ্ছে- গাংনীর করমদি গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে স্বপন(৩৮) ও আয়ুব আলীর ছেলে লিটন(৪০), পলাশী পাড়ার মৃত সুজা উদ্দীনের ছেলে টেফেন ওরফে খালিদ মাহমুদ(৩০), আলমডাঙ্গার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনর রশীদ(৩০) ও ছাতিয়ান গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে স্বজল(২৭)। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মাদক পাচার রোধে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় করমদি গ্রাম থেকে স্বপন ও লিটনের কাছ থেকে ১০৫ বোতল ফেনসিডিল, হিন্দা গ্রামের রাস্তায় টেফেনের কাছ থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি জনসেন মোটরসাইকেল ও মাদক বিক্রির ১৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও বাওট গ্রামের রাস্তা থেকে মামুনর রশীদ ও বামন্দী বাজারের রাস্তায় স্বজলের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলাসহ ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর