Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশের বাজারে আসছে রিয়েলমি সি৫১

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তরুণ প্রজন্মের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি আবারও বাজারে নিয়ে আসছে নতুন এক চমক। এই চমকের নাম রিয়েলমি সি৫১। এই ফোনে আছে গ্রাউন্ডব্রেকিং ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জ, নিখুঁত ডিজাইন, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৬৪জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ সুবিধা। সি সিরিজে নতুন এই সংযোজনতরুণ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় যোগ করবে নতুন মাত্রা। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বাজারে ফোনটি অবমুক্ত করা হবে। সি৫১ ফোনে রয়েছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জ। এই সিরিজের সর্বশেষ ফোন সি৩১ (১০ ওয়াট) এর তুলনায় নতুন ডিভাইসটি শতভাগ উন্নত চার্জিং গতি নিশ্চিত করবে। এই ফোনে আরও থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারী ক্যামেরা, যার সাহায্যে যেকোনো জায়গা থেকে তোলা যাবে এইচডি কোয়ালিটির ছবি। যেসব ব্যবহারকারীরা ফোনে নান্দনিকতার ছোঁয়া পছন্দ করেন তাদের জন্য এই স্মার্টফোনে আছে স্টাইলিশ গ্লিটারিং ডিজাইন। ফোনের ডিজাইনকে আরও ফ্যাশনেবল করতে বিভিন্ন টেক্সচারের সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে প্রাণবন্ত লুক। এই ফোনে থাকবে ৬৪জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ সুবিধা ও ৪জিবি ডাইনামিক র‍্যাম। এছাড়া, এই ডিভাইসে একইসাথে দু’টি ন্যানো সিম কার্ড এবং ১টি মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে, যার ফলে ফোনের স্টোরেজ ২ টেরাবাইট পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যাবে। রিয়েলমি ব্যবহারকারীদের জন্য উদ্বেগহীন ও নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবার জন্য ফাস্ট চার্জিং, চমৎকার ডিজাইন ও উন্নত ফটোগ্রাফি ফিচারের মতো সুবিধাগুলো আরও বেশি সহজলভ্য করতে কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় রিয়েলমি এর সি৫১ ডিভাইসটি নিয়ে আসছে।


আরও খবর



মীরার সঙ্গে ডিনার ডেটে মেজাজ হারালেন শাহিদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৮০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় স্ত্রী মীরার সঙ্গে ডিনার ডেটে গিয়েছিলেন শাহিদ কাপুর। দুজনের পরনে ছিল কালো পোশাক।

ডিনার শেষে সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে যখন রেস্তোরাঁ থেকে বের হলেন তারা, ছবি শিকারিরা অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়েন এ জুটির ওপর। হাসি মুখে ছবিও তোলেন শাহিদ-মীরা।

কিন্তু তারা গাড়ির দিকে এগিয়ে যেতেই ঘটে বিপত্তি। পিছু নিতে শুরু করেন ছবি শিকারিরা। তুলতে থাকেন একের পর এক ছবি। ব্যক্তিগত সময়ে এমন হস্তক্ষেপ মানতে পারেননি শাহিদ। রেগে বললেন, ‘আপনারা একটু থামবেন!’ উত্তেজিত হয়ে এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘ঠিকঠাক আচরণ করুন।’

২০১৫ সালে মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেন শাহিদ। এক বছর পরে আগস্টে কন্যা মিশার জন্ম হয়। এরপর ২০১৮ সালে ছেলে সন্তান আসে তাদের জীবনে। নাম জৈন। ‘মীরার সঙ্গে বিয়ে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা’, দাম্পত্য জীবন নিয়ে ‘কফি উইথ করণ ৭’ শোতে বলেছিলেন শাহিদ।

শাহিদ-মীরার রসায়ন বরাবরই নজর কেড়েছে ভক্তদের। স্ত্রীর প্রতি প্রেম নিয়ে কোনো দিনই রাখঢাক করেন না এই বলিউড অভিনেতা। তার কথায়, আমার জীবনে ও অনেক কিছু নিয়ে এসেছে। আমার সবদিকে ভারসাম্য বজায় রাখে। আমার স্বাভাবিক জীবনযাপনের নেপথ্যেও মীরা। আমাদের সুন্দর সন্তানরা রয়েছে। সবকিছুর জন্যই আমি কৃতজ্ঞ মীরার কাছে।


আরও খবর



ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে: র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেছেন, ফরিদপুরে দুই সহোদর হাফেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘পরিচয় পর্ব ও মতবিনিময় সভায়’ সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। তাদেরকে গ্রেপ্তারে এলিট ফোর্স র‌্যাব কি ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র‌্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে সাইবার জগতে। যারা অপচেষ্টা করছেন তাদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা অপরাধ সংঘটনের পর অপচেষ্টা বা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। অপরাধী গ্রেপ্তার হলেই সব বেরিয়ে আসবে।

কোন বিষয়টি কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার পূর্বের যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন। ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন সেটাই আমি বহন করব। র‌্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করব।

গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভালো হয়ে গেলো যে র‌্যাবের সঙ্গে কোনো ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনো চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এই পর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই৷ র‌্যাব কেন আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সব সময় চাই বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্নখাতে আলোচনা হয়।

কিশোর গ্যাং ও অস্ত্র-মাদক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। প্রচুর কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এদের আশ্রয়প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত করে এটা খুঁজে বের করা হবে। কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূলে উৎখাত করব ইনশাআল্লাহ। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র‌্যাব যৌথ বাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু বিষয় গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতোটুকু বলতে পারি, র‌্যাব এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।


আরও খবর



গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃবিদুৎচালিত সেচ পাম্পের সুইচ দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্টে আব্দুল হান্নান(৭৫)নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর দক্ষিন পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। আব্দুল হান্নান ওই গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে।

আব্দুল হান্নানের মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য হিরোক আহমেদ জানান,আব্দুল হান্নান নিজ বাড়ির পাশে নিজের বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সুইস দিতে গিয়ে বিদুৎষ্পৃষ্ট হয়ে সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে হান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

স্থানীয় বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম জানান, বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ওই কৃষকের পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।


আরও খবর



মসজিদ সংস্কারের অভাবে অন্যের গোডাউনে নামাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক গ্রামে গত দুই বছর ধরে অর্থাভাবে বন্ধ মসজিদ সংস্কার কাজ। বছরখানে ধরে পাশে অন্যের গোডাউনে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন পরিস্থিতিতে বিনা ভাড়ায় গোডাউন দিয়ে এক দম্পতি ও অর্থ অনুদান দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ।সরেজমিনে ঘুরে ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব শুয়াপুর গ্রাম। উপজেলার একেবারে শেষ প্রান্তের শেষ গ্রাম এটি। এক সময় এ গ্রামে জনসংখ্যা ছিল অনেক কম। নদী ভাঙ্গনে কবলে পড়ে বিভিন্ন জেলার লোকজন এখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছেন।

বর্তমান এ গ্রামে প্রায় সাত শতাধিক জনসংখ্যা। এখানে বসবাসকারীদের বেশিরভাগ হতদরিদ্র। গত আড়াই যুগেরও আগে জীবিত থাকাবস্থায় ওই গ্রামের চাঁন মিয়া মাতাব্বর মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপর গ্রামের সবাই মিলে মাটি তোলে সেখানে বরাব (শুয়াপুর) জামে মসজিদ স্থাপন করা হয়। কোন রকমে ছাপড়া তোলে মসজিদের কাযক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছিল।

যুগের সাথে তাল মিলিতে গিয়ে উন্নয়নের লক্ষে ওই মসজিদটি ভাঙ্গা হয়। এরপর পাশে ছাপড়া দিয়ে বছর দুয়েক আগে কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করে আসছিলেন। কিন্তু সেটাও অনুপযোগী হয়ে পড়লে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। গত এক বছর ধরে পাশের একটি গোডাউনে মসজিদের কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করা হচ্ছে। এর জন্য ভাড়া না নেয়ায় রিপন রহমান ও নাজমা বেগম নামে এক দম্পতি ওই গ্রামে প্রশংসিত হয়েছেন। মসজিদের পাঁচ তলা ভবনের ফাইন্ডেশন দিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে শুধু নিচ তলার পিলার দাঁড়িয়ে আছে। দুই বছর ধরে অর্থাভাবে ওই মসজিদের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। আর সংস্কারের অভাবে নিরুপায় হয়েই পাশের ওই গোডাউনে মসজিদ কার্যক্রমসহ নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। এমন খবর পান আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ। এরপর তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই মসজিদে মোটা অংকের অর্থ অনুদান দেন। এছাড়াও ওই মসজিদের সংস্কার শুরু হলে নিজের তহবিল থেকে আরো অনুদানের আশ^াস দেন তিনি। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আজাদ। অপর দিকে খুব তাড়াতাড়ি মসজিদের সংস্কার কাজ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন মসজিদ কমিটি। তবে মসজিদ উন্নয়নে সবার সহযোগিতা দাবি করেছেন ওই গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক মানুষ। ওই গোডাউনের মালিক দম্পতি নাজমা বেগম বলেন, গত ২৫ বছর আগে মানিকগঞ্জ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করি। এরও আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। টাকার অভাবে মসজিদের সংস্কার বন্ধ ও নামাজের উপযুক্ত স্থান না থাকায় আমাদের গোডাউন ব্যবহার করতে দিয়েছি। এর জন্য ভাড়া দিতে চাইলেও আমরা নেয়নি। তবে যতদিন মসজিদের কাজ না হবে, ততদিন এটা ব্যবহার করবে। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, বরং আমরাও অনেক খুশি।

বিনা ভাড়ায় ওই গোডাউনে কার্যক্রম ও নামাজ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান,আগে এই পুরো গ্রাম প্রায় খালি ছিল। নদী ভাঙ্গণের শিকার হয়ে আসতে আসতে এখানে মানুষ ভরে গেছে। আর এসব মানুষের কথা ভেবে আমার বাবা জমি ওয়াকফ করে দিলে সবাই মিলে এই মসজিদ নির্মাণ করে। মসজিদের কিছু কাজ করার পর টাকার অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন কিছু অনুদান পেয়েছি, গ্রামের সবাই সহযোগী করছে। এজন্য খুব দ্রুত আবার কাজ শুরু করবো। তবে সকলেও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারোয়ার আলম জানান, ওই মসজিদের এমন অবস্থার কথা আগে জানা ছিল না। তবে আবেদন করলে ওই মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর

মধুপুরে হজ্জ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

বুধবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বও না। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।

আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ‘৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান। এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা। শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করব। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলব। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর