Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আর্জেন্টিনার মার্তিনেজ ঢাকায়, থাকবেন ১১ ঘণ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:ঢাকায় পৌঁছেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় তাকে বহন করা বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে, নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪০ মিনিটে বিমানে উঠেন মার্তিনেজ। তিনি বাংলাদেশে থাকবেন ১১ ঘণ্টার মতো। এরপর বিকেলে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

সংক্ষিপ্ত এ সফরে মার্তিনেজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এদিন দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মার্তিনেজ ও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।

মার্তিনেজকে ঢাকায় আতিথেয়তা দিচ্ছে ডিজিটাল বিজনেস গ্রুপের প্রতিষ্ঠান নেক্সট ভেঞ্চার। যদিও ঢাকায় আসার জন্য কোনো সম্মানি নিচ্ছেন না তিনি। শুধু বিমান ভাড়া এবং হোটেলে বিশ্রাম নেওয়ার খরচ বহন করবে নেক্সট ভেঞ্চার।

নেদারল্যান্ডস থেকে ঢাকায় পা রাখার পর কিছুক্ষণ হোটেলে বিশ্রাম নেবেন মার্তিনেজ। এরপর নেক্সট ভেঞ্চারের কার্যালয় প্রদর্শন করবেন। সেখানে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গেও দেখা হবে বিশ্বকাপজয়ী এ গোলরক্ষকের। সেখানে থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেক্সট ভেঞ্চারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ঢাকা সফর শেষে সোমবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে ভারতের বিমান ধরবেন মার্তিনেজ। সেখানে ৪ ও ৫ জুলাই একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। ৪ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টায় কলকাতার বিখ্যাত ক্লাব মোহনবাগানে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে তার অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




নাসিরনগরে সালীশে কথা কাটা কাটি ছুঁড়ি ঘাতে আহত দুই

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃনাসিরনগরে জমি ও পুকুর নিয়ে সালীশে কথা কাটা কাটির জের ধরে সালীশ কারকদের সামনেই দুই সহোদর পাবেল ও রুবেলকে  ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।আহতরা এখন হাসপতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।ওই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার  পূবর্ভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে।জানা গেছে  গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী ওসমান,জমসু,মারুফ ও ফরুকের পুকুর ও জমি নিয় সংঘর্ষ হয়।এ সংর্ষ শেষ করতে ঘটনার তারিখে গ্রামের ও পাড়ার সর্দার মাতাব্বররা  মিলে একটি সালীশের আয়োজন করে।সালীশের শেষ পর্যায়ে,জমসুর মিয়ার ছেলে এংরাজ মিয়া, এংরাজের ছেলে তারেক মিয়া,আহাদ মিয়া, আহাদ মিয়ার ছেলে সেলিম মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে পাবেল ও রুবেলকে সালীশকারকদের সামনে ধারালো ছুঁড়ি দিয়ে পিটে মারাত্বক ভাবে আহত করে।আহত দুই সহোদর এখন নাসিরনগর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সরে জমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।

হাবিবুর রহমান জানায় তারা প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার জমি ও পুকুর দখল করে রেখেছে।আমি দুর্বল মানুষ।আমার ছেলেরা বাড়িতে থাকে না।তারা ঢাকায় কেউ চাকুরী আর কেউ ব্যবসা বাণিজ্য করে।তারা বড় গোষ্টির লোক ও প্রভাবশালী হওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে।এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।

- খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মেহেরপুরে নার্সিং কলেজ কাজের মেয়াদের সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ২০১৯ সালে নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছরে প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফা। সঙ্গে বেড়েছে ব্যয়ও। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারের মতো বাড়ানো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঢাকার পিয়াস কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, এই নার্সিং কলেজটি নির্মাণের শুরুতে দেশে করোনা দেখা দেয়। ওই অবস্থায় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হয়। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যায় অনেকাংশে। বড় লোকসানের আশঙ্কায় কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও চলতি বছরে শেষ করা হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স তৈরি করতে একটি নার্সিং কলেজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল। সরকার এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ২০১৯ সালে ১৮০ আসন বিশিষ্ট নার্সিং কলেজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থবারের মতো কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এখনো অনেক কাজ বাকি। প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, পরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ব্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে গত ১০ এপ্রিল নির্মাণাধীন কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা কলেজ ভবনের ভেতরের প্লাস্টার করা হয়নি। জানালার ফ্রেম নেই। বাথরুমের কাজ এখনো হয়নি। মেঝেতে ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মাত্র পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন ঢিমেতালে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনের দশা আরও করুন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকার কারণে দেয়ালগুলো স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা কক্ষ করা হয়নি। বাথরুমের কাজও করা হয়নি। প্রকল্প দেখভালের দায়িত্বরত আবদুল মালেক জানান, পিলার ও চারতলা ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, গ্রিলের কাজ, মেঝেতে টাইলসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাসিবুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, একটি কলেজের নির্মাণকাজে যদি পাঁচ বছর লেগে যায়, তাহলে কীভাবে দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব। এত দিন এই এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে কাজে যোগ দিতে পারতেন। জেনারেল হাসপাতাল আরও দক্ষ নার্স পেত।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, তাঁরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সময় বাড়িয়ে নেন। তাঁর আবারও ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার তাগাদা দেবেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাচ্ছে না। দ্রুত কলেজের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছেন।


আরও খবর



সৈয়দ আফজাল হোসেনকে নিয়োগ দিল বিএটি বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএটি বাংলাদেশের কোম্পানি সেক্রেটারি ও সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল হিসেবে সম্প্রতি সৈয়দ আফজাল হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করপোরেট অনুশীলনের (করপোরেট প্র্যাকটিস) ক্ষেত্রে ৭ বছর ও আইন (মামলা-মোকদ্দমা) বিষয়ে তার ১২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া, দীর্ঘ কর্মজীবনে তার টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স, ভ্যাট-ট্যাক্স, করপোরেট, বিদ্যুৎ-জ্বালানি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থানের মতো বিভিন্ন খাতে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। বিএটি বাংলাদেশে ২০১৭ সালে লিটিগেশন এন্ড কমার্শিয়াল কাউন্সেল হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে সৈয়দ আফজাল হোসেন বলেন, “বিএটি বাংলাদেশের বর্ধিত লিডারশিপ টিমের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত; শত বছরের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে আমার আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সবার জন্য সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি আইনের বিধিমালার অধীনে থেকে জটিল আইনি পরিস্থিতির সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।”

আফজাল যুক্তরাজ্য থেকে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন; ইউনিভার্সিটি অব লেস্টার থেকে এলএলবি (সম্মান), ইনস অব কোর্ট স্কুল অব ল থেকে বার ভোকেশনাল কোর্স ও সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেশনাল অ্যান্ড লিগ্যাল স্কিলসে পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিসে দক্ষ।

একইসাথে, তিনি ব্যারিস্টার-এট-ল’ (ইংল্যান্ড ও ওয়েলস), সিইডিআর (যুক্তরাজ্য) এর স্বীকৃত মধ্যস্থতাকারী ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। তিনি অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন, বার অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশন সহ অসংখ্য পেশাদার সংস্থার সদস্য।

সৈয়দ আফজাল হোসেন বিএটি বাংলাদেশে তার সমৃদ্ধ আইনি জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে নিজেকে লিডারশিপ টিম ও প্রতিষ্ঠানের অপরিহার্য সদস্য করে তুলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আইনি শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা ও প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠানের সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,চলমাল রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে, যুদ্ধ কখনও কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধের কারণে যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

সম্মেলনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। একইদিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর

সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪