Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আর্জেন্টিনার গোল উৎসব মেসির হ্যাটট্রিকে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসির শততম আন্তর্জাতিক গোলের দিনে আর্জেন্টিনা খেলল দানবীয় ফুটবল। তাদের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারল না কুরাসাও। এদিন দর্শকদের কাছে এ যেন আরেকটি বিশ্বকাপ জয়োৎসবে মাতার দারুণ উপলক্ষ্য। তবে সেই উচ্ছ্বাস লিওনেল মেসিদের করে তুলছে আরও উজ্জীবিত।

প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ কুরাসাওকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে-খেলাই শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধেই সম্পন্ন হয়েছে মেসির মাইলফলক ছোঁয়া হ্যাটট্রিক। আর আর্জেন্টিনার ৫ গোল।

পানামার বিপক্ষে ৯৯তম আন্তর্জাতিক গোল করেন লিওনেল মেসি। কুরাসাওর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার গোলমুখ খুললেন তিনি, পেয়ে গেলেন শততম গোল। ২০ মিনিটে গোলটি করেন মেসি। বক্সের মধ্যে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে ডানে গিয়ে নিচু শটে এই মাইলফলক ছোন মেসি।

এর আগে, ১২ মিনিটে মনতিয়েল্লের কাট ব্যাক থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। তাকে রুখে দেন কুরাসাও গোলকিপার। চতুর্থ মিনিটে তার পাস থেকে বল নিয়ে খালি জাল পেয়েও লাউতারো মার্তিনেজ গোল করতে পারেননি। মেসির গোল হতেই শুরু হয় গোলবন্যা।

২৩ মিনিটে নিকোলাস গঞ্জালেস কর্নার থেকে পাওয়া বলে শট নিলে গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন কুরাসাও ডিফেন্ডার। হাল না ছেড়ে উঁচুতে লাফিয়ে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

৩৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি, গঞ্জালেসের পাস থেকে জাল কাঁপান তিনি।

দুই মিনিট পর এনজো ফার্নান্দেস বক্সের বাইরে বল পেয়ে চতুর্থ গোল করেন।

৩৭ মিনিটে লু সেলসো খুঁজে পান মেসিকে। প্রতি আক্রমণে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক হ্যাটট্রিক করেন, যা তার নবম।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




খাগড়াছড়িতে ৫দিনব্যাপী বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সাথে আমাদের পার্বত্য মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

 শুত্রুবার (৫এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড  খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. নাজমুল হক,  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.শানে আলম, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলেই পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

জানিয়ে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও এর ধারা অব্যাহত রাখতেই রাজধানী ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। বিগত সময়গুলোতে আমাদের যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তা দুর করতে চাই। আগামিতে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

 পাহাড়ীরা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে বিভিন্ন নামে। কেউ বৈসু, কেউ সাংগ্রাই আবার কেউ বিজু। বর্ষবরণ উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে এবং এগুলি বৈসাবি নামে পরিচিত। নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় খাগড়াছড়ি, রাংগামাটি ও বান্দরবান জেলায়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবী আনন্দ র‌্যালিতে যোগ দেন। বৈসাবি  বাংলাদেশের  তিন পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে বাংলা নববর্ষ।

আরও খবর



মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা সদর উপজেলা কমপ্লেক্স চত্ত্বরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-০১/২০২৪-২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় সদর উপজেলায় বিনামূল্যে উফশী রোপা আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক,  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। মাগুরা সদর  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মো: মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেণ।  অনুষ্ঠানে কারিগরি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  ড. মো: ইয়াছিন আলী, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা এর আয়োজনে উক্ত অনুষ্ঠানে ২৫০ জন কৃষকের মাঝে এ কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলায় ১৯০০ সহ  মাগুরা জেলায় মোট ৬০০০  জন কৃষকের মাঝে ধাপে ধাপে প্রণোদনার এ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বলেন যে, উন্নত জাতের ফসল ফলাতে প্রয়োজন উন্নত জাতের সার ও বীজ যা মাগুরা জেলায় নিয়মিত বিরতিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। উক্ত সার ও বীজের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। প্রচলিত ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি উন্নত জাতের সুপারক্রপ চিয়া সিড, কালিজিরা প্রভৃতি উৎপাদনে কর্ষকদের এগিয়ে আসার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়। আগামীতে মাগুরা জেলার কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধি আনয়নে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।

আরও খবর



ফারদিন খান ফিরছেন ১৪ বছর পর নবাবি মেজাজে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি;নতুনভাবে ১৪ বছর পর ক্যামেরার সামনে ফিরেই চমকে দিলেন অভিনেতা ফারদিন খান। সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’র লুকে তাকে দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। এর আগে গ্ল্যামার দুনিয়ার মূলস্রোতে ফিরেছেন সানি দেওল, ববি দেওল। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হলেন ফারদিন খান।

সোনাক্ষী সিনহা, মণীষা কৈরালা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দরি, সানজিদা শেখ, শর্মিন সেহগালের মতো অভিনেত্রী রয়েছে ওয়েব সিরিজে। এদের সঙ্গেই অভিনয় করেছেন ফারদিন।

সিরিজে ওয়ালি মহম্মদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারকা। চোখে সুরমা লাগিয়ে বেশ নবাবি মেজাজেই দেখা যাচ্ছে তাকে।

বাবা ফিরোজ খানের পরিচালনায় সিনেমার জগতে সফর শুরু করেছিলেন ফারদিন। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘প্রেম আগন’। এর পর ‘জঙ্গল’, ‘প্যায়ার তুনে ক্যায়া কিয়া’, ‘খুশ’, ‘ভূত’, ‘হে বেবি’র মতো একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

চকোলেট হিরো হিসেবে একসময় জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। কিন্তু ২০১০ দশ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দুলহা মিল গ্যায়া’র পর গ্ল্যামার জগৎকে বিদায় জানান অভিনেতা।

রুপালি পর্দা থেকে দূরে চলে যাওয়ার পর যতবারই ফরদিনকে দেখা গিয়েছে, অবাক হয়েছেন তার ভক্তরা। অনেকখানি ওজন বাড়িয়ে ফেলেছিলেন এ অভিনেতা। কিন্তু তার পর আবার চেনা চেহারায় ফিরে চমকে দেন।


আরও খবর



সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাগুরায় পথচারীদের মধ্যে ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তীব্র গরমে,জীবিকা নির্বাহে ব্যস্ত পথচারী,অটোরিকশা ও রিকশা চালকদের মধ্যে বিশুদ্ধ ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। মাগুরায় ৪১° উত্তপ্ত খরার হাত থেকে রেহাই পেতে,পথচারী ও জীবিকা নির্বাহে ব্যস্ত মাগুরা শহরের অটোরিকশা ও রিকশাচালকদের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করে এলাকায় আলোচনায় উঠে এসেছে ফাউন্ডেশন। তারা এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখবে বলে জানান কর্মকর্তারা।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




তিতাস গ্যাসের চাকরি পেয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চাকরীতে সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিতাস গ্যাসে কর্মরত ঐ প্রেমিকের নাম মিজানুর রহমান তৈয়ব। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। তার পিতার নাম মোজাম্মেল হাওলাদার। 

ঘটনা বিবরনে জানা গেছে সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ঢাকায় থাকতো। চাকরির এক পরীক্ষার হলে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানের। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন যাবত প্রেম ও পরে প্রেমিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে মিজান। তিনমাস পূর্বে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকুরি হয় তাঁর। চাকুরির পর থেকে ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে তার মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার ব্লক করে দেয়। কোনভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণী গত ১৭ এপ্রিল প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। মিজানুর রহমান তৈয়ব নামের তিতাস গ্যাসের কর্মীর গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৫ দিন যাবত অনশন করছেন ঢাকা মিরপুর-১০ থেকে আসা সাদিয়া জান্নাত নামের এই তরুণী। এ ঘটনায় প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে প্রেমিক।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আমি অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকুরি করছি। মিজানের চাকরির পূর্বে তার প্রতিমাসের খরচ আমার থেকে নিয়েছে। আমি ওকে বিশ্বাস করে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় মিজান আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমাদের সম্পর্ক অস্বীকার করতেছে।

তরুণী আরও বলেন, আমি বিয়ের দাবিতে মিজানের বাড়িতে এসেছি। আমাদের বিয়ে হবে না হয় আমি লাশ হয়ে এই বাড়ি থেকে যাবো।

মিজানের বাবা ও বড় ভাই বলেন, আমরা মেয়েকে নিরাপদে আমাদের বাসায় রেখেছি। মিজান পালিয়ে আছে। তার সকল মোবাইল নম্বর বন্ধ করে রেখেছে। আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে তাকে এনে বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ওমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়েছি। মেয়ে ও ছেলের পরিবারের বক্তব্য শুনেছি। মিজানকে এনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে তার পরিবারকে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে।

চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরিন হক বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অনশকারী সাদিয়া জান্নাতকে মিজানের বাবার জি

ম্মায় রেখেছেন।


আরও খবর