Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আরাভ বিয়ে করে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;বিয়ে করে ফাঁদে ফেলে তরুণী ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার পলাতক এই আসামি দেশে অন্তত ২০টি বিয়ে করেছেন। মেডিক্যাল ছাত্রী থেকে কিশোরী অনেকেই তার প্রলোভনে পা দিয়েছে। এদিকে, পলাতক এই অপরাধীকে ধরতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ।

গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে রবিউলের অন্তত ৫/৭টি সালিশ করেছেন গণমান্য ব্যক্তিরা। বিয়ের পর স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার পাশাপাশি শ্বশুরদের ভয় দেখিয়েও টাকা আদায় করতেন তিনি। আট বছর আগে সেকেন্দার আলী নামে তার এক শ^শুরকে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতে গিয়ে গুলিভর্তি রিভলবারসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আরাভ খান

সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখানোর ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের উপপরিদর্শক সুজন কুমার কু-ু। মামলার এজাহারে আরও অনেকের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায়ের কথা উল্লেখ করা হয়। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি সেকেন্দার আলীর বাসার সামনে থেকে তাকে গুলিভর্তি পিস্তলসহ আটক করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, আরাভ এর আগে একাধিক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তিনি ভয়ভীতি ও প্রভাব খাটিয়ে শ্বশুরের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায় করতেন। এ ঘটনায় রবিউল ওরফে আরাভের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

আরাভ খান যাদেরকে বিয়ে করেছিলেন, তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসাবিদ্যায় পড়াশোনা করতে ঢাকায় আসা সুরাইয়া আক্তার কেয়া। আরাভ খানের ফাঁদে পড়ে কেয়ার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন থেমে যায়। অপরাধজগতে জড়িয়ে আরাভকে বিয়েও করেন। মেহেরপুরের কৃষকের মেয়ে কেয়া আরাভের সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

কেয়ার বাবা আবুল কালামের অভিযোগ, আরাভ নিজেকে ধনীর ছেলে দাবি করে তার মেডিক্যাল পড়–য়া মেয়েকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর আরাভ ওরফে আপনের আরও স্ত্রীর খবর তারা জানতে পারেন। আরাভের সঙ্গে অপরাধে জড়িয়ে কেয়া কারাগারে যান। পরে কারাগার থেকে বেরিয়ে মেয়ে আরেক প্রবাসীকে বিয়ে করে এখন মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। এখন মেয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গেছে ৯টি। তার গ্রামের এক জনপ্রতিনিধি জানান, আরাভের ৫/৭টি বিয়ের বিচার-সালিশে স্থানীয় জনিপ্রতিনিধিরা অংশও নিয়েছেন।

কোটালীপাড়ার হিরণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাজহারুল আলম পান্না গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয়ে রবিউল প্রায় ২০টি বিয়ে করেন। পরে তার স্ত্রীরা মামলা করেছেন, এ নিয়ে এলাকায় বিচার-সালিশও হয়েছে একাধিকবার।

এদিকে, আরাভ খানের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করতে ইন্টারপোলে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ওই চিঠি ইন্টারপোল ‘অ্যাকসেপ্ট’ করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় এ আসামির যে নাম আছে, সেই ‘রবিউল ইসলামের’ নামে নোটিশ জারি করতেই পাঠানো হয়েছে চিঠি।

পুলিশ বলছে, ২০১৮ সালে ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের একজন পরিদর্শক মামুন ইমরান খান খুন হন। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। দেশ থেকে পালিয়ে প্রথমে ভারত যান। সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাই চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। একটি স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ তারকাদের দাওয়াত দেওয়ার পর তিনি আলোচনায় আসেন। এর পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ ও প্রশাসন।


আরও খবর



নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪১জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ):নওগাঁর হাঁপানিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক আল আমিনের (৩৮) মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গত বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় হাঁপানিয়া সীমান্তের ২৩৬নং মেইন পিলার এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

১৬ বিজিবি’র সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বার বার বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। এরপর বুধবার রাতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ তাদের নিকট হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাতেই স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় আল আমিনের মরদেহ। বিএসএফ’র গুলিতে নিহত আল আমিন নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউপির বিষœপুর গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে। গত ২৬ মার্চ ভোরে হাঁপানিয়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন।


আরও খবর



খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলার সকল ইউনিটের ইনচার্জদের নিয়ে জেলা পুলিশের এপ্রিল মাসের কীট প্যারেড, মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ( ২২ এপ্রিল)  জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে কীট প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে মার্চ মাসের আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।কীট প্যারেড পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) ফোর্সদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা ও কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিকট থেকে পুলিশ লাইন্সের আবাসন, রেশন, পরিবহন, ডিউটি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যাসহ তাদের নিকট হতে সমস্যা সমূহের সমাধানের বিষয়ে সকলের ব্যক্তিগত মতামত সমূহ শুনেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি সকল অফিসার ও ফোর্সকে পুলিশের অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা, সদাচরণ, পেশাদারিত্ব এবং আইন ও বিধি মেনে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। জেলার অভ্যন্তরীণ আভিযানিক ও দাপ্তরিক  বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের ০৫ জন পুলিশ অফিসারকে সার্বিক মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে মার্চ মাসের জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে অত্র মাসের কল্যাণ সভায় সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান এর মাধ্যমে পুরষ্কৃত করা হয়।

পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন-শ্রেষ্ঠ সার্কেল- মাটিরাঙ্গা সার্কেল,সহকারী পুলিশ সুপার  আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ, , শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ –মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) – মাটিরাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. শরীফ, শ্রেষ্ঠ এসআই –মাটিরাঙ্গা থানার এস আই মো. মাসুদ আলম পাটোয়ারী, শ্রেষ্ঠ এএসআই -মাটিরাঙ্গা থানার এএসআই শাহ নেওয়াজ (পিপিএম),।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) অপরাধ সভায় জেলার সকল অফিসার ইনচার্জদের উদ্দেশ্য মাদক ও চোরাচালান এর বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে তৎপরতার সহিত পুলিশিং কার্যক্রম করার নির্দেশ দেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে প্রকৃত জড়িত আসামীদের গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত বা চোরাইকৃত সম্পত্তির দ্রুততম সময়ে উদ্ধারের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন।কোন ঘটনায় নিরীহ কোন ব্যাক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখার জন্য সকল সার্কেল অফিসার, সকল অফিসার ইনচার্জ ও সকল ফাঁড়ী ইনচার্জদের  নির্দেশ প্রধান করেন।

আরও খবর



মেহেরপুরে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী(মেহেরপুর:মেহেরপুরে লিচু বাগানগুলোতে মুকুলের সমারোহ। চারদিকে মুকুলের মিষ্টি মৌ মৌ গন্ধ। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে লিচুর মুকুল। গাছের প্রতিটি ডাল থেকে মুকুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। মুকুলের সুগন্ধে পাখা মেলে গুণ গুনিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে ছুটছে মৌমাছিরা। লিচু চাষিরা যেমন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে গাছের পরিচর্যায়। অন্যদিকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহে শ্রম ব্যয় করছে দিনরাত। মধু সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন মৌচাষিরা। গাছের ফাঁকে ফাঁকে বাক্স বসিয়ে সংগ্রহ করছেন সুস্বাদু মধু।

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুরে লিচুবাগানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে গাছের মুকুল ভালো হওয়ার মধু সংগ্রহে খুশি মৌচাষিরাও। মার্চ মাসের শুরু থেকে মধু সংগ্রহ করার ধুম পড়ে। দূর থেকে আসা মৌচাষিরা বিভিন্ন স্থানীয় বাগান মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মৌ চাষ শুরু করে। একটি বাগানে মধু সংগ্রহ করার কাজে ২-৩ জন শ্রমিক কাজ করে। দেখা যায়, লিচুর উৎপাদন বাড়াতে বাগানে বাগানে চাষিরা মৌমাছির ’মৌ বাক্স’ বসিয়েছে। পাশেই নিজেদের তৈরি ছোট কুঁড়েঘর থাকে বাক্সের তদারকি করছে মৌ চাষিরা।

লিচু গাছের নিচে সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন কাঠের তৈরি বাক্সগুলো। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছির ঝাঁক বসছে লিচুর মুকুলে। মুকুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল নিজ নিজ বক্সে মৌচাকে মধু এনে জমা করছে। ৭-৮ দিন পর পর প্রতিটি বাক্স থেকে চাষিরা মধু সংগ্রহ করছেন। লিচুর বাগান থেকে সংগ্রহ করা মধু যেমন খাঁটি তেমনই সুস্বাদু। মানের দিক থেকে ভাল হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছর দেশের নানান প্রান্ত থেকে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করতে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাগানে আসে। এদিকে বাগান থেকেই সুস্বাদু মধু ক্রয় করছেন স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা।

মধু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, মধু চাষিরা এখানে মধু সংগ্রহের পাশাপাশি বিক্রিও করছেন। আমরা বাজারে যে মধু কিনি, সেগুলোয় কেমিক্যাল বা ভেজাল থাকে। তবে এখানকার মধু খাঁটি। এক মাস সময় নিয়ে দিনাজপুর থেকে এখানে এসেছেন মৌ চাষি রনি হাসান ও তার দল। রনি হাসান দীর্ঘ ১৪ বছর এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, বছরে ৬ মাস আমাদের কাজ হয়। আমরা মাসে ৩-৪ বার মধু সংগ্রহ করতে পারি।

মৌ চাষি রনি হাসান আরো বলেন, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আরো বেশিও সংগ্রহ করা যায়। এখানে ১৫০টি বক্স রয়েছে। প্রতিটি বক্সে ৪টি-১৬টি ফ্রেম আছে। প্রতিটি ফ্রেম থেকে ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত মধু আমরা সংগ্রহ করে থাকি। ইতোমধ্যে আমরা ২’শ ৯০ কেজি মধু সংগ্রহ করেছি। আরও ২শ কেজি মধু সংগ্রহের সম্ভবনা রয়েছে। এখানে সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আবার অন্যত্র মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে প্রতি কেজি মধু ৬শ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। মধু সংগ্রহ করা শেষ হয়ে গেলে তারা সাথে করে মৌমাছিদের নিয়ে যায় বলে জানান মৌ চাষিরা। প্রতিটি বাক্সে একটি রানী মৌমাছি, একটি পুরুষ মৌমাছিসহ অসংখ্য এপিচ জাতের কর্মী মৌমাছি রয়েছে। কর্মী মৌমাছিরা ঝাঁকে ঝাঁকে লিচুর মুকুলে ছুটে গিয়ে মধু সংগ্রহ করে।কৃষিবিদ শফিউল ইসলাম বলেন, মৌমাছির মাধ্যমে মুকুলের পরাগায়ণ ঘটানোর মাধ্যমে লিচুর ফলন ভাল হয়।

ফলে যে গাছে মৌমাছির বেশি আগমন ঘটে সে গাছে লিচুর যেমন বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে, তেমনই মৌ চাষিরা বেশি মধু সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়।


আরও খবর



ডেমরায় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ৬৬ নং ওয়ার্ডের ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো একটি রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ব্যানারে শনিবার সকাল ১১ টায় ঐ রাস্তার সামনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের মাঝখানে দেয়াল তুলে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে লিপি আক্তার নামে এক নারী। এতে প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে এই সড়কের মাঝে উত্তোলন করা দেয়াল ভেঙে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। অবিলম্বে এই সড়কটি অবমুক্ত করে দেওয়া না হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ ওয়াসার খাবার পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হবে, সুয়ারেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যতে বৃহত্তম কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধন থেকে স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এবং ডেমরা থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ থাকে যে গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটাউনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক একজন এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।


আরও খবর



ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফরিদপুরের কানাইপুরে দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, একটি পরিবারের লোকজন পিকআপ ভাড়া করে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন।


আরও খবর