Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

২১০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই তেল-গ্যাস আমদানিতে

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশকে জ্বালানি তেল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে সৌদি আরবের বিনিয়োগ কোম্পানি ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)।

বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি ঋণচুক্তি সই হয়। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইটিএফসির পক্ষে সিওও এম নাজিম নুরদালি এবং বাংলাদেশের পক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম চুক্তিতে সই করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি খাতের জন্য চুক্তিটি মাইলফলক। জ্বালানি তেল আমদানির জন্য অনেক দিন ধরে আইডিবি থেকে ঋণসহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এবারের ঋণ থেকে ৫০ কোটি ডলার পাওয়া গেছে এলএনজি আমদানির জন্য। বাকি ১৬০ কোটি ডলার জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যবহার করা হবে।

ঋণচুক্তিটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য করা হয়েছে। নতুন এই ঋণচুক্তির মাধ্যমে জ্বালানি খাতের সংকট অনেকটা দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে জ্বালানি তেল এবং বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি অর্থায়নের জন্য এ চুক্তি হয়।


আরও খবর



পোরশায় ৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

ডিএম রাশেদ,পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় ৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার নোচনাহার বাজারে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৩লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানাগেছে। জানা গেছে, ঘটনার সময় হঠাৎ করে দোকান ঘরে আগুন দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। এ ঘটনায় বাজারের একটি কাপড়ের দোকান, একটি সুতার দোকান, একটি আতরের দোকান, একটি তেলের দোকান ও একটি পাটর্স এর দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মাসুদ রানা জানান, তারা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, অপরাধী এবং আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০এপ্রিল) বেলা ৩ টার সময় কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার সামনে কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুস্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি আল আসাদ রেমন, সাধারন সম্পাদক শেখ শুভিন আক্তার, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহাবুব হোসেন মিলন, সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম তৌফিকুল কবির তুহিন, অর্থ সম্পাদক তৌফিক আহম্মেদ শাওন , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, সদস্য হাবিবা, নীম, নজরুল ও আরিফ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কুষ্টিয়া সদরের বটতৈল আনসার ক্যাম্প মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রহমানের (পুলিশ) মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের বাড়ীর সামনে তার মেসার্স ফাহিম ট্রেডার্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানে গত ৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারটার সময় হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এলাকার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী। এদিন থানায় অভিযোগ দিলেও তা নিতে বিলম্ব করেন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। মামলা নং-১৮ , তাং-১১/০৪/২০২৪ইং । এরই মধ্যে উল্টো হামলাকারীদের অভিযোগ এজাহার নিয়ে পুলিশ তার হীন মানুষিকতার পরিচয় দেন । নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে লুটপাট ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অপরাধী ও আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানে পুলিশের প্রতি আহবান জানান। নতুবা আগামীতে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ আরো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।

আরও খবর



পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সমপ্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার সাপছড়ি এলাকার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ৭ম মহাসম্মেলন ও ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০২৪ অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে  প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন। 

তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় সবদিকেই অনেক দূর এগিয়েছে। আধুনিক সমাজেও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় তাদের কৃষ্টি, কালচার এবং ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এটি প্রশংসার দাবীদার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসন হতে রাঙ্গামাটির তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায়ের জ্বরতী তঞ্চঙ্গাকে  সংসদ সদস্য হিসেবে পার্বত্যবাসীকে  উপহার দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পার্বত্য অঞ্চলে  বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সহাবস্থানকে আরো গতিশীল করবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নব নিযুক্ত সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
 
এর আগে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন ও রঙীন বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। 

সম্মেলনের ১ম পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মফিজুল হক প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সদস্য সচিব উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্মেলন এর দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যান সংস্থার শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় কাউনসিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে প্রশাসনের ব্রিফিং অনুষ্টিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:৮ মে অনুষ্টিতব্য প্রথম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি,র মাটিরাঙ্গায়  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ করতে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গায় উপজেলায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ব্রিফিং  অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী,র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান।

এসময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিেম (বার),জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ কামরুল  আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যের মাঝে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)মো.মিজানুর রহমান,মাটিরাঙ্গা সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ,মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার মুহাম্মদ হাসান, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর সহ ভোটগ্রহন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), বিশেষ অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ, ভোট নিশ্চিত করতে  প্রশাসন, ভোটার, প্রার্থী  সকল কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করার জন্য এবং খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা  পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলা  পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত আছে।তাই ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে এবং নির্ভয়ে  নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান। 

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোটারদের নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।ভোট কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম দেখা দিলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য আহবান জানান।

মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৩৬টি ভোটকেন্দ্রে ৩৬জন প্রিজাইডিং, ২শত ২৬ জন সহ-প্রিজাইডি এবং ৪শত ৫২পোলিং অফিসার ভোট গ্রহন করবেন। ১টি পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা  ৯০হাজার ৩শত ৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪৬হাজার ১শত২০জন।  মহিলা ভোটারের সংখ্যা  ৪৪হাজার ২শত ৬২জন। 

আরও খবর