Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ

ভূমি অফিসের পরিছন্নতা কর্মীর বিরুদ্ধে জমি নামজারি করতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা মাতুয়াইল এলাকায় জমি নামজারি  নামে ঘুষ নিয়েছে এসি ল্যান্ড অফিসের পরিচ্ছন্নতা কর্মী।ঐ পরিচ্ছন্নতা কর্মীর নাম সাইফুল। ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে কর্মরত। ই নামজারি ফাইল জমা দেওয়ার পর বিভিন্ন জটিলতার ভয় দেখিয়ে সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমি অফিসের লোকজন দীর্ঘদিন এমন অভিযোগ করে আসছিলেন সকলেই। নামজারি করতে আসা ভুক্তভোগীরা জানান সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাম জারি চালু করলেও ভূমি অফিসের দুর্নীতি এখনো কমেনি। নানা দোষ ত্রুটি ধরে ফাইল আটকে অর্থ আদায় করা নিত্যদিনের ব্যাপার। এতদিন ভূমি অফিসে নানা কর্মচারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে জানা গেলেও এই অফিসে এবার একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীও নামজারীর নামে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় এমন প্রমাণ পাওয়া গেল। মাতুয়াইল মৌজার ১৬৯৬৫/২০২৩-২৪ নামজারি মোকাদ্দমায় বাদীর কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন পরিছন্নতা কর্মী সাইফুল। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইফুলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে অকপটে ১০০০০ দশ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন পরিছন্নতা কর্মী সাইফুল ইসলাম। সাইফুল ইসলাম বলেন, কামাল নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে নামজারির জন্য ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছি, কিন্তু আমি সেই টাকা একা নেইনি সার্ভেয়ার আনোয়ার এর কাছে বেশিরভাগ টাকা দিয়েছি নামজারির কাজ করার জন্য, আমরা নামজারি করতে টাকা নিলে শতভাগ গ্যারান্টির সাথে কাজ করে দেই।

সারা জমিনে দেখা যায়, জয় কালী মন্দিরে আশেপাশে ভূমি অফিসের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে দালাল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে বড় একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। কোন মানুষ বিনা পয়সায় সেবা পায় না এমনটি বলেছেন ভুক্তভোগীরা। শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারী না নয় এই অফিসের দারোয়ান থেকে শুরু করে ঝাড়ুদার পর্যন্ত আপাদমস্তক দুর্নীতিতে মোড়ানো। প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম দুর্নীতি হয় এই অফিসে। যার ভাগ নিচ থেকে উপর মহল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান মূলক একটি প্রতিবেদন আসছে আগামী সংখ্যায়।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের তেঁতুলবাড়িয়া রাতিন ষ্টোরে চুরি: পাহারাদারের গা ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গভীর রাতে রাতিন ষ্টোর ‘মুদি দোকানে’ এক চুরির ঘটনা ঘটেছে।দুই সপ্তাহেও চুরির রহস্য উদঘাটন হয়নি। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় আঃ ওয়াদুদ হাওলাদার বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। এতে ওই বাজার ব্যসায়ীদের মধ্যে দিনদিন আতংকে বাড়ছে।অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে গত (২৯ রমজান ৯ এপ্রিল) গভীর রাতে রাতিন ষ্টোরের ৪টি তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও মালামাল হাতিয়ে নেয় চোরের দল।

ফারুক মৃধা ও হাকিম মোল্লা নামের দুই জন ওই রাতে বাজারে পাহারাদার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে, ওই রাতে স্থানীয় ভ্যান চালক দক্ষিণ সুতালড়ী গ্রামের বাচ্চু ফরাজী দেখতে পায় পাহারাদার হাকিম মোল্লা খালি গায়ে রাতিন ষ্টোরের সামনে দাড়িয়ে আছে। পরের দিন সকালে তিনি শুনতে পায় রাতিন ষ্টোরে চুরি হয়েছে। সে সুবাধে থানা পুলিশ ভ্যান চালক বাচ্চু ফরাজীকে স্বাক্ষী নিয়েছে ও জড়িত সন্দেহে পাহারাদার হাকিম মোল্লাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হাকিম মোল্লা ১০ দিনের মধ্যে চোরকে সনাক্ত করে নগদ টাকার উদ্ধারে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেন। সে প্রতিশ্রুতির ২০ এপ্রিল তারিখ শেষ হলে পাহারাদার হাকিম মোল্লা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে।

রাতিন ষ্টোরের মালিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আ.ওয়াদুদ হাওলাদার বলেন,তেঁতুলবাড়িয়া বাজারে ১৫২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা আতংকে আছি।এরকম চুরি পাহারাদার হাকিম মোল্লা পূর্বেও ঘটিয়েছে। চুরির ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পাহারাদারের স্ত্রী নারগীস বেগম বলেন, আমার স্বামী গত দুই দিন ধরে বাড়িতে আসেনা। মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে গেছে। ২০ এপ্রিল থানায় বসার তারিখ ছিল। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই অভিযোগের (তদন্তকারি কর্মকর্তা) বিকাশ দত্ত বলেন, তেতুলবাড়িয়া বাজারের চুরির ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাহারাদার গা ঢাকার বিষয়টি শুনেছি। সে পালিয়ে থেকে পার পাবে না।


আরও খবর



নওগাঁয় অধ্যক্ষ-সভাপতির বিরুদ্ধে জাল সনদ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ :নওগাঁর বদলগাছীর ধর্মপুর-গোয়ালভিটা আলিম এম মাদরাসা সভাপতি আবদুল বারেক ও অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানো, সরকারি বরাদ্ধের টাকা, প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় এক ব্যাক্তি এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধর্মপুর-গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদরাসাটি দীর্ঘকাল যাবৎ সুনামের সাথে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসলেও এর ম্যানেজিং কমিটি ও প্রিন্সিপালের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দূর্নীতিতে মাদরাসাটির বর্তমানে নাজেহাল অবস্হা বিরাজ করছে। এই মাদরাসা সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষকে হাত করে তাদের যোগশাজসে তার শিক্ষাজীবনের জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে কয়েক বছর ধরে মাদরাসায় চাকুরী করে সরকারি বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। তার নিবন্ধন সনদ যাচাই করতে চাইলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষ অতি সুকৌশলে তার সনদের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার ভয়ে তাকে চাকুরী হইতে স্বেচ্ছায় অবসরে পাঠিয়েছেন এবং তার অবসর-কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা সরকারি কোষাগার হতে উত্তোলন করে আত্মসাতের পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন। এবং ওই মাদরাসার আইসিটি বিষয়ের শিক্ষিকা আকলিমা খাতুন তিনিও তার (কম্পিউটার সাটিফিকেট) জাল সনদ দিয়ে এখন পর্যন্ত চাকুরীরত আছেন এবং সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতাদি ভোগ করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও ওই মাদরাসার সরকারের পারফরম্যান্স বেজড গ্র‍্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিমের আওতায় ৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের অংশের টাকা বাদে সব টাকা অধ্যক্ষ ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটি আত্মসাৎ করাসহ বিগত কয়েক বছরে শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা করেছে। ওই মাদরাসাঢ যোগদানের পর থেকে তিনি  নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন, নিয়োগ বাণিজ্যের প্রমাণ মিলবে তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নম্বর যাচাই করলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রকল্পের টাকা থেকে শিক্ষকদের অংশের টাকা দেওয়া হয়েছে তবে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

এবিষয়ে জানতে শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন ও আকলিমা খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ না করায় তাদের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

অভিযোগ গুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ও সভাপতি বলেন, এ অভিযোগ গুলো সত্য নয়। সেই শিক্ষিকাদের কাগজপত্রসহ সরকারি প্রকল্পের টাকা ব্যয়ের ভাউচার এবং মাস্টার রোল দেখতে চাইলে তারা সেগুলো দেখাতে অস্বীকার করেন। 

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ওই মাদরাসার অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আরও খবর



আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর ও স্কুল পরিদর্শন করেন রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) তরফদার আক্তার জামীল।বৃহস্পতিবার পরিদর্শণকালে তিনি আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ফলজ বৃক্ষ রোপন করেন।

বৃক্ষরোপন শেষে শিক্ষক ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে আপনারা বেশি বেশি করে দেশীয় প্রজাতির বরই, জাম, আমরা, জলপাই, কামরাঙ্গার গাছ লাগাবেন। কেনোনা ওইসব গাছে ফল ধরলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাতে ঢিল ছুরে,দৌড়ে গিয়ে হুমরি খেয়ে ফল কুরায়। এতে তাদের মধ্যে এক ধরনের উৎফুল্লতা বিরাজ করে। সেইসাথে ভিটামিন সি এর অভাব দুর হবার পাশাপাশি তাদের মাঝে হৃদ্দতার বন্ধন বেড়ে যায়। এছাড়া তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার , উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত শেখ রাসেল শিশু পার্ক পরিদর্শণ করেন এবং সেখানে বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষের চারা রোপন করেন। পরিদর্শণকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার সরকার, আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসের সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি প্রয়াত কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন এর উদ্যোগে ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১ টায় কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে এ স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে সভাপতিত্ব করেন তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.কে.এম কামাল উদ্দিন। স্মরণ সভায় শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এ সময় প্রয়াত সভাপতির স্মরনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তিতাস গ্যাসের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমদ। এ সময় প্রয়াত সভাপতির কর্মময় জীবনের নানান বিষয় তুলে ধরেন সৈয়দ আয়েজ উদ্দিন আহমেদ। স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান,সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম আযম খসরু, সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এইচএম মোতালেব, তিতাস গ্যাস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ সেলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম তারেক, পেট্রো বাংলার সিবিএ নেতা মোঃ লিয়াকত আলী, পেট্রোবাংলা ফেডারেশন লীগের সভাপতি সাহেব আলী মিয়া,তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী রতন বসু, অর্থ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন শেখ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম,  প্রয়াত সভাপতি মরহুম কাজীম উদ্দিন এর বড় ছেলে মোঃ সাজ্জাদ উদ্দিন অপু ।

স্মরন সভায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ সিবিএর প্রয়াত সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সিবিএ সভাপতি মরহুম কাজিম উদ্দিন প্রধান ছিলেন একজন অনন্য চরিত্রে অধিকারী, সিবিএ ম্যানেজম্যান্টের সাথে যে ব্যাবহার করে তিনি তা করতেন না, কখনও আমাকে বলেননি যে এটা করতেই হবে, বিনয়ের সাথে বলতেন স্যার এই কাজটি করলে কোন সমস্যা হবে কি না, আসলে তিনি ছিলেন একজন অমায়িক মানুষ, মানুষ কে তিনি খুব ভালো বাসতেন, আমার আড়াই বছরের তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় তিনি এমন কোন কাজ করেননি যা কষ্টদায়ক,অত্যন্ত ভালো একজন বক্তা ছিলেন তিনি।

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও নেতা কর্মীরা। স্মরণ সভায় প্রয়াত সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ'র যুগান্তকারী পদক্ষেপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৯১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃপেট্রো বাংলার অধীনস্থ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিস্ময়কর প্রতিভা এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যাবহারকারী ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় কোম্পানীর লোকসান কমে এসেছে বহুগুণ।রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শহর এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। তিতাস গ্যাসের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কিছু কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ঠিকাদার।গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর স্থলে প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেন।সেই সময় থেকে অদ্যাবধি তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কৌশলে সিষ্টেম লস কমাতে কাজ করে চলেছেন তিনি।প্রতিনিয়ত তাকে লড়াই করতে হয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালদের সাথে। কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী কখনো রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেগে থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন।অন্যদিকে তিতাস গ্যাসের বিশাল অঙ্কের বকেয়া বিল আদায়ে গ্রাহককে সচেতন করা সহ বকেয়া আদায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।এ কারণে তার শত্রুর কোনো অভাব নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে যাদের স্বার্থহানি হয়েছে, সে সব স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে নানা মাধ্যমে।তবুও থেমে থাকেনি তার অগ্রযাত্রা। এ যাবত কালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্যান জ্ঞান মনে করেন। গত ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে তিতাস গ্যাস কর্মচারীদের পিকনিকের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং তার স্ত্রী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য দেন। একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ কর্মবীর লোক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। কোম্পানিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও শিল্প সেক্টরে ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার রেকর্ড করেছেন তিনি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, বকেয়া আদায়ে,নিয়েছেন নানা যুগান্তকারী উদ্যোগ।সব ধরনের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা, সংস্থার হিসাব যাচাইয়ে অডিটর নিয়োগ সময় উপযোগী নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে,স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগ একটি রোড ম্যাপ তৈরি করবে। ইতোমধ্যেই , ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।হাজার হাজার অবৈধ লাইন, শিল্পেও অবৈধ লাইন। অনেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যে গুলো এখনো বাকি আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। সব সিএনজি স্টেশনের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে অডিট করা হবে। আইন ও বিধি মানছে কি না, তা–ও দেখা হবে। তিতাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে চলে যাবে তিতাস।

এছাড়াও তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব উৎস থেকে তিতাস গ্যাস সংগ্রহ করে, সেখানে মিটার বসানো হয়েছে। এতে সিস্টেম লস কমে আসছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বাধা এসেছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাই কেউ পার পাবে না, কোনো বাধায় কাজ হবে না। গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস। এর মধ্যে ৩৩৬টি শিল্প, ৯৭টি শিল্পের নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ), ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ১৩টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ আছে। ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে তিতাস। একই সঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য।

১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদীর তীরে বিরাট একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর কোম্পানি আইনের আওতায় যৌথ তহবিল কোম্পানি হিসেবে তিতাস গ্যাস আত্মপ্রকাশ করে। শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস ডেমরা সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করে দেয়ার পর১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহার মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের আবাসিক লাইনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশ বলে তিতাস গ্যাসকে জাতীয়করণ করা হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।এই কোম্পানিকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারলে একদিকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


আরও খবর