Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভোট দিলেন সাকিব আল হাসান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন মাগুরা-১ আসেনর নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে মাগুরার একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটট প্রদান করেন সাকিব।

ভোট শেষে ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাকিব। কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও। এরপর সেখান থেকে অন্য কেন্দ্রগুলোর উদ্দেশে রওনা হয়ে যান তিনি।

মাগুরা-১ আসনে সাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী চারজন। তারা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের কে এম মোতাসিম বিল্লা, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ ও তৃণমূল বিএনপির সঞ্জয় কুমার রায়।

মাগুরা-১ আসনে মোট ভোটার ৪০০,৪৮৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২০০,৮৬২ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১৯৯,৬২১। এই আসনে মোট কেন্দ্র ১৫২টি।


আরও খবর



প্রশাসন ও প্রভাবশালির ছত্রছায়ায় রৌমারীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ভেকু চালক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড়, যাদুরচর ও চর শৌলমারী উইনিয়নে দির্ঘদিন থেকে ব্রম্মপুত্র, হলহলিয়া ও সোনাভরি নদীতে প্রশাসনের যোগসাজসে ও প্রভাবশালির ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মহাউৎবে মেতে উঠেছে। এ অভিযোগের অপরাধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজবের নেতৃত্বের এক অভিযানে ভেকু গাড়ি চালক ইউছুফ নামের একজনকে আটক করা হয়। অন্যদিকে দুটি ভেকু গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫ টায় বন্দবেড় ইউনিয়নের রৌমারী টু চিলমারী কুড়িগ্রাম জেলা সদর যাতায়াতের নৌকা ঘাটের দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম খন্ধসঢ়;জনমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দীঘদিন থেকে ব্রম্মপুত্র, হলহিলয়া, সোনাভরি নদী ও জিঞ্জিরাম নদী থেকে প্রশাসন ও কিছু কু-চক্রী প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ড্রেজার ও ভেকু গাড়ি দ্বারা অবৈধভাবে উন্নয়নের নামে বালু উত্তোলন করে (ট্রাক্টর) কাকড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি, পুকুর, ডোবা ভরাট ও ইট ভাটার নামে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। নষ্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন উর্বর শক্তি জমির মাটিও। ক্ষতি করা হচ্ছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের বাড়িঘর, গাছপাড়া ও জমিজেরাত। বন্যা আসলেই তীরবর্তী মানুষকে নদীপার থেকে দ্রুত সরে যেতে হয়। শুধু লাভবান হচ্ছে প্রশাসন ও কিছু কু-চক্রি মহল।তাদেরকে নিশেধ করার শাহসটুকু নাই তীরবর্তী মানুষের।

নদীতীরবর্তী এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বিকাল ৫ টায় ব্রম্মপুত্র নদের ফলুয়ারচর নৌকা ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ছয়লাভের এমন চিত্র দেখা যায়। এমন অবস্থায় সাংবাদিকগণ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানালে সাঙ্গে সঙ্গে

তিনি বন্দবেড় ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলীর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনা স্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তার কথা মতো সরেজমিনে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছয়লাবের চিত্র দেখতে পেলে কুটিরচর গ্রামের আমির খাঁনের ভেকু চালক ইউছুফ নামের একজনকে আটক এবং ভেকুর চাবি জব্দ করে। পরে পশ্চিম খঞ্জনমারা গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সাজেদুলের ভেকু গাড়ির চাবিও জব্দ করা হয়।

এবিষয়ে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার বলেন, গাড়ি চালককে আটক করেছে শুনেছি। দেখিনি। তবে ভেকু গাড়ির চাবি ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলীর কাছে রয়েছে।

ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা রজব আলী বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঘটনাটি সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ভেকু গাড়িরর মালিককে না পেয়ে, ভেকু চালককে আটক করে আনা হয়েছিল। প্র¯্রাবের কথা বলে পালিয়েছিল পরে খুজে এনে তাদের ঠিকানা লিখে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জব্দ করা গাড়ির চাবি আমার কাছে রয়েছে। ইউএনও স্যার এলে তার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস ফের অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে বাতাসের কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু শহরটিতে বৃষ্টি বিদায় নিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৪৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৯৫। আর ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর, ১৬৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার স্কোর ১৬৮।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন।

মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।

সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে।

অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।


আরও খবর



সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির প্রতিবাদে সৈয়দপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় এর দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলা সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদ ওয়ালীউর রহমান রতন। 

বক্তব্য রাখেন, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি জিকরুল হক, সকালের সময় প্রতিনিধি মোতালেব হোসেন হক, প্রভাতের আলোর সাংবাদিক মাসুদুর রহমান লেলিন, সমকালের জেলা প্রতিনিধি আমিরুল হক আরমান, নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি সাদিকুল ইসলাম, তৃতীয় মাত্রা প্রতিনিধি তামিম রহমান, নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন, ভোরের পাতার জয়নাল আবেদীন হিরো, যুগের আলোর রাজু আহমেদ প্রমুখ। 

সাংবাদিক বক্তারা বলেন, সংবাদ কর্মীরা সমাজের বিবেক। তারা অনিয়ম দূর্নীতি তুলে ধরে জাতিকে সচেতন করে। যে কারণে অন্যায়কারী ও দূর্নীতিকারীরা সতর্ক থাকে এবং সরকার দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে দিক নির্দেশনা পায়। ফলে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পায়, দেশ ও জাতি উন্নতি করে।  

তারা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করে অবাধ তথ্য প্রবাহের পথ অবারিত করেছে। অথচ সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় এই তথ্য প্রদানের পরিবর্তে সংবাদ কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে সরকার প্রধানের নির্দেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। যা প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী করতে পারেন না।

বক্তারা আরও বলেন সম্প্রতি সৈয়দপুর শহরের ফাইভষ্টার মাঠে প্রানী সম্পদ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ৫০ ষ্টল বানানো হলেও ২৬ টি ষ্টলই ফাঁকা দেখা যায়। দিনব্যাপী মেলাটি প্রদর্শীত হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘন্টায় তা শেষ হয়ে যায়। এনিয়ে সত্য তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় সংবাদ কর্মীকে হলুদ সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।একই সাথে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকি প্রদান করেন প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ।

একারনে আমরা এর তীব্র প্রডিবাদ জানিয়ে বিচার দাবী করছি। সেই সাথে সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ্যে ও ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে ক্ষমা চাইবেন। নয়তো ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে সৈয়দপুর থেকে অপসারণ করতে হবে। আর যদি তা না করা হয় তাহলে ওই কর্মকর্তার অপকর্মের পেছনে তার খুটির জোর কোথায় তা অনুসন্ধান করে জনসম্মুখে মুখোশ উন্মোচন করা হবে । পাশাপাশি আন্দোলন জোরদার করার হুশিয়ারি সংকেত দেন তাঁরা।এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলার প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শ্যামল কুমার সাংবাদিকদের সাথে কোন কথাই বলবেন বলে জানান তিনি। 

আরও খবর



শপথ নিলেন ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটির মেয়র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শপথ নিয়েছেন ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়ররা। এই দুই সিটিতে নির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও ডা. তাহসীন বাহার সূচনাকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ গ্রহণ করেন তারা।

একই সঙ্গে ময়মনসিংহ সিটির নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পড়ানো হয়।

গত ৯ মার্চ ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ করা হয়। একই দিন উপরোক্ত জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ময়মনসিংহ সিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ডা. তাহসিন বাহার সূচনা।


আরও খবর