Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

উত্তাল তরঙ্গ ফ্যাসিবাদী সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে জনসমুদ্রের মধ্যে যে উত্তাল তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে তা এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। আসুন, আজকে আমরা তারেক রহমানের কারাবন্দি দিবসে সবাই শপথ নেই, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। যেদিন আসবেন সেদিন সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ উত্তাল তরঙ্গের মতো সুনামিতে এই সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের জনগণ সেই অবস্থা তৈরি করবে যে অবস্থার মধ্য দিয়ে তিনি দেশে ফিরে আসবেন।’

আজ সোমবার এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের যৌথ উদ্যোগে তারেক রহমানের ১৭তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

১/১১-এর সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমেদ সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমান হন ১৮ মাস কারাগানে থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য স্বপরিবারে লন্ডন যান। সেই থেকে লন্ডনেই আছেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘পরিস্কার করে বলতে চাই- কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন একটি নির্বাচন কমিশনের গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হবে যে নির্বাচনে জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই সময়ে তারেক রহমান দেশে এসে আমাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে এবং বাংলাদেশকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান একজন অসাধারণ মেধাবী একজন নেতা। তিনি আজ থেকে নয়, যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন সেই সময়ে প্রমাণ করেছেন তার অসাধারণ দক্ষতা. অসাধারণ দূরদৃষ্টি এবং জনগনকে সংগঠিত করবার তার একটা অসাধারণ যোগ্যতা।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা সেই (১/১১) ষড়যন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বরঞ্চ তারা সেই ষড়যন্ত্রের বড় অংশীদার। আওয়ামী লীগ সব সময়ই গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, আওয়ামী লীগ সব সময়ই বাংলাদেশের স্বাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, আওয়ামী লীগ সব সময়ই জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, ১৯৭৫ সালে যখন আওয়ামী লীগ মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে সংসদে গণতন্ত্রকে ধবংস করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেদিন থেকেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করবার, তার জাতীয়তাবাদীকে বিনষ্ট করবার সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ১৯৮১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয় সেটা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ফসল। একইভাবে ১/১১-তে সামরিক বাহিনীর সমর্থনে একটি অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করল সেই সময়ের ফখরুদ্দিন (ফখরুদ্দিন আহমেদ) শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেখানে যোগ দিয়ে আজকে আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থন দিয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেদিন তারেক রহমানের গ্রেপ্তার বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এই গ্রেপ্তার ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গ্রেপ্তার করা, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে গ্রেপ্তার করা, বাংলাদেশের মানুষের বিকশিত হওয়ার, তাদের যে নিজেদের তৈরি করবার, অর্থনৈতিক-সমৃদ্ধি সৃষ্টি করবার যে ভিশন ছিল সেটাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আজকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচুর ক্যাম্পেইন হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সেই অপপ্রচারের মূল্যটা কী? লক্ষ্যটা হচ্ছে তারেক রহমানকে খলনায়ক হিসেবে দেখানো, তার নেতৃত্বে যোগ্যতা নাই এক ধরনের একটা কথা প্রচার করতে চায়। এই প্রচারের সঙ্গে কারা যুক্ত হয়েছে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যারা বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তারাই এই প্রচারগুলোর সঙ্গে জড়িত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কুৎসা যতই রচনা করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে- কোনোটাই লাভ হবে না। মামলা করেও লাভ হবে না। ৪০ লাখ মানুষের্ বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে তাতে কি বিএনপিকে ঠেকাতে পেরেছে? ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে তাতে কি ঠেকাতে পেরেছে? কোনো কিছুই ঠেকাতে পারবে না।

উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ বক্তব্য দেন।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইল হতে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার, গ্রেফতার দুই

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে  মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইল হতে  উদ্ধার,  ২  অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১মার্চ)দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) জানান, অপহৃত ছাত্রী ভিকটিম খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বাদশ ১ম বর্ষের ছাত্রী। সে তার বড় বোনের বাসায় থেকে পড়ালেখা করে। গত ২৪ মার্চ সকালে বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পরবর্তীতে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে বাসায় না ফেরায় বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের পিতা তার বড় মেয়ের নিকট হতে জানতে পেরে চারদিকে ভিকটিম-কে খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় হাজির হয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং সাক্ষীদের নিকট হতে ভিকটিমের পিতা জানতে পারেন যে, ভিকটিম কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালে তার বড় মেয়ের বাসা থেকে বের হয়ে মাটিরাঙ্গা হাসপাতাল মোড়ে গাড়ির অপেক্ষায় থাকার সময় মো. রাকিব হোসেন (২০) ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহায়তায় জোরপূর্বক সিএনজি গাড়ি যোগে ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।

পরে ভিক্তিমের বাবা বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করলে তার লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার মামলা রুজু করা হয় ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার পরে বাদীর মামলার তদন্তের প্রারম্ভে আধুনিক তদন্ত কৌশল ও বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ করে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর  সার্বিক তত্ত্ববধানে ও সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একটি অভিযানিক টিম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা কারে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানা এলাকা থেকে অপহরণকারী আসামি মো. রাকিব হোসেন (২০) ও আমিনুল ইসলাম (২৫)-কে গ্রেফতার করা হয় এবং ভিকটিম-কে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ এবং ভিকটিম কে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।

আরও খবর



তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ সভায় যোগদান করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস প্রধান কার্যালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক বিশেষ সভায় অংশ গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়াণ বাজারে এই বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে এই সভা আয়োজন করা হয়। এসময় বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল আলম,পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গ্যাসের ব্যবহারে আমরা অনেক বড় বড় পরিকল্পনা নিয়েছি, ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে আমরা টেন্ডারে চলে যাব, ফলে তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগকে আমরা বলেছি একটি রোড ম্যাপ তৈরি করার জন্য। 

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



ইসরাইলে ইরানের হামলা, প্রতিক্রিয়ায় যা বলল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রোববার (১৪ এপ্রিল) ইসরায়েলে ইরানের রকেট হামলা এবং সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টি একেবারে পরিষ্কার। আমরা যেকোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা চাই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, সব যুদ্ধ বন্ধ হোক।

গাজায় অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বিচারে নারী ও শিশু, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হচ্ছে, সেটি অবিলম্বে বন্ধ হোক।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে আক্রমণ করার প্রেক্ষিতেই ইরান এই আক্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে। আমরা আশা করি, দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধে ভূমিকা রাখবে।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকেও হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েল বলছে, তিনশর বেশি ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

রোববার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ইরানের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। ইসরাইলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে সেগুলো ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। তবে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।


আরও খবর



সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করার বিষয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে,বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আমরা যোগাযোগের মধ্যে আছি। নাবিকদেরকে রিলিজ করার করার জন্য আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নাবিকদের আনহার্ট (কোনো ক্ষতি যেন না হয়) অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একইসঙ্গে জাহাজটা উদ্ধার করা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে করা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংকট অতীতে যখন জাহাজ হাইজ্যাক হয়েছে তখনও হয়নি। তিন বছর ছিল তখনও হয়নি, ১০০ দিন ছিল তখনও হয়নি। আশা করি এক্ষেত্রেও হবে না।

এদিকে, সীমান্ত হত্যা বন্ধে আগেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২ বাংলাদেশি ভারত সীমান্তে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছিল, তাই বিএসএফ গুলি করে। বিজিবি এর প্রতিবাদ জানিয়েছে, পতাকা বৈঠক হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।


আরও খবর



নাবিকদের মুক্তির পর গ্রেপ্তার ৮ জলদস্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণে যুক্ত ৮ জলদস্যুকে আটক করেছে সোমালিয়ার পুলিশ। জাহাজটিকে মুক্তি দিয়ে উপকূলে যাওয়ার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য পান্টল্যান্ডের পুলিশ তাদের আটক করে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম  গারোই

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। রোববার দুপুরে মুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রামের এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিমের কাছে একটি বার্তা আসে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের কাছ থেকে। বার্তায় বলা হয়, জিম্মি জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা দুবাইয়ের পথে রওনা হয়েছে।

গারোইয়ের এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার পরপরই ৮ জলদস্যুকে আটক করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

পান্টল্যান্ডের একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ৮ জনই এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি মুক্ত করা হলে জলদস্যুদের অন্য গ্রুপগুলো উৎসাহিত হতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়।


আরও খবর

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪