Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

তিতাস গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ (এমডি) প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ'র

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৭৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

অবৈধ গ্যাস ব্যবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করছেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।গত দুই বছরের অধিক সময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেকর্ড গড়েছেন দেশের শীর্ষ গ্যাস বিতরনকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। তার এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ কোম্পানির লোকসানের বোঝা কমিয়ে আনা সহ রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অবৈধ সংযোগ অপসারণের পাশাপাশি অবৈধ পাইপলাইন অপসারণের কারনে নিরবিচ্ছিন্ন বিতরণ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হয়েছে।সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তার এসব সুদূর প্রসারী কর্মকান্ড ইতিবাচক অবদান রাখছে।দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর দুর্নীতি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে ধরেছিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (তিতাস)। গ্যাস খেকোদের ঘনিষ্ঠ তিতাস কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আর বদলির মাধ্যমে শুদ্ধাভিযান চালান কোম্পানির মধ্যে।তাছারাও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জরিমানার মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কারনে পরিস্থিতি বেশ অনুকূলে নিয়ে আসেন।গত এক দশকের মধ্যে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ গ্রহনকারীদের কোণঠাসা করে ফেলেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্। তার নির্দেশে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬৬৮ দশমিক ৫০কিলোমিটার অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব অবৈধ লাইন থেকে ৬ লাখ ৩ হাজার ৯৭৫ টি অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৯৮টি অভিযান পরিচালনা করে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময়ে আবাসিক ছাড়াও অবৈধ ব্যবহারের কারণে ২৫০ টি শিল্প, ৩২৯ টি বাণিজ্যিক, ৫৫ টি ক্যাপটিভ, দশটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব অভিযানে ৬ কোটি ৪৬ টাকা ব্যয় হয় যার বিপরীতে ৩১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল এবং ৯১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয় ।যার মধ্যে ১৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল ও ৩৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন লাইন কেটে দেয়ার পর আবারও লাইন বসলে সে অঞ্চলের লাইন বন্ধ করে দেয়া হবে।এদিকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্যাস বিক্রয় বাবদ তিতাসের বকেয়া ছয় হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া রয়েছে এক হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে পাঁচ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই হাজার ৩৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল, এক হাজার ৫২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এখন বকেয়ার পরিমাণ কমে এক হাজার ৬৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। বেসরকারি খাতে ৩১ হাজার ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল, এখন পাঁচ হাজার ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রয়েছে।তার এই শুদ্ধাভিযানে বিশেষ অবদান রয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধান এবং সাধারন সম্পাদক আয়েজ উদ্দিন সহ অন্যন্য নেতাদের।গ্যাস লুটে জড়িত ভয়ঙ্কর শক্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাজটা খুব কষ্টসাধ্য। তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্।২০২১ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর যোগদানের পর পরই তিতাসের সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে টিম ওয়ার্ক করে কঠোর হাতে দমন করেন এসব অনিয়ম দুর্নীতি।জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী তিতাসের এমডি প্রকৌ. মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ নিজের চাকরি জীবনে সফলতার স্বীকৃতি স্বরুপ সরকার এবং মন্ত্রণালয়ের মন জয় করে টানা তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।


আরও খবর



দেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, বলেছেন সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শিগগিরই এর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে সংসদের অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গিয়েছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ সকল পদে জনবল নিয়োগের বিষয়িটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

তিনি জানান, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও পুলিশ সদস্যদেরকে ৭ পয়েন্ট ৬২ / ৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ইতিমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়েছে।

অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে অ্যালকোটেন ৪০টি, এটিজিডব্লিউ ১২টি, স্নাইপার রাইফেল ১৩২টি, এএএমজি ৩টি, এপিসি আর্মস ২৮টি। যানবাহনের মধ্যে রয়েছে এটিভি ২৫৯টি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল (আরসিভি) ১০টি, আর্মড পার্সোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ৪০টি, মোটরসাইকেল ১ হাজার ৯৬৫টি, পিকআপ ৫৪৭, অ্যাম্বুলেন্স ৬৯, ট্রাক ২১৮, জীপ ৩২৮, বাস ২৫, মাইক্রোবাস ১২, ওয়াটার ট্রেইলার ৭৩।

আকাশযানের মধ্যে হেলিকপ্টার ৩টি। জলযানের মধ্যে স্পিড বোট ৮৭টি, হাই স্পিড ইঞ্জিন বোট ১২টি, এয়ার বোট ৪টি, লজিস্টিক শিপ ১, পল্টুন ৫টি, মটর লঞ্চ ২৫টি, পেট্রল বোট ৪, রেসকিউ বোট ১৫টি, ওয়াটার ক্যারিয়ার ভ্যাসেল ২টি। এছাড়াও জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এবং সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর জন্য প্রাইভেট তহবিলের ব্যবস্থাপনায় ২টি স্পিড বোটের বডি ক্রয় করা হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রথমবারের মত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সাতগ্রাম ব্ল্যাক কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময় ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ দশমিক ৮২৮ কেজি হেরোইন, ১৮৬ দশমিক ৬৩২ কেজি আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হিলি সীমান্তে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার দিয়েছে বিজিবি

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষিবাহিনী (বিএসএফ) কে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বার্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) সদস্যরা।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১ টায় হিলি সীমান্তের ২৮৫ নম্বর মেইন পিলারের ১১ সাব-পিলার সংলগ্ন চেকপোস্ট গেটের শুন্য রেখায় মিষ্টি উপহার দিয়ে দুই বাহিনীর মাঝে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।

বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক সুবেদার দোলোয়ার হোসেন বিএসএফের ভারত হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার বেনার্শি দাসের হাতে ৩ প্যাকেট মিষ্টি তুলে দিয়ে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এসময় উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর নারী ও পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন জানান,উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষিবাহিনী সদস্যরা যাতে সুসম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে লক্ষে প্রতিটি দিবস ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে উভয়ে মিষ্টি উপহার দিয়ে থাকি। আজকেও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তাদের ৩ প্যাকেট মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়েছে।


আরও খবর



আরব আমিরাত গোল্ডেন ভিসা পেলেন শাকিব খান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:বাংলাদেশি প্রথম শিল্পী হিসেবে সুপারস্টার সাকিব খানকে কালচারাল ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাত। শনিবার (৪ মে) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্ট বিষয়টি নিশ্চিত করে করেছেন নির্মাতা-প্রযোজক অনন্য মামুন।

তিনি লিখেন, প্রথমবারের মতো ক্রিয়েটিভ কালচার ক্যাটাগরিতে আরব আমিরাতের কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে গোল্ডেন ভিসার রিকমেন্ডেশন পেল মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।

অনন্য মামুন আরও লিখেন, আরব আমিরাত সাধারণত কিছু বিশেষ ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে। ব্যবসা ও এ ক্যাটাগরি জব ছাড়া শুধুমাত্র সরকারিভাবে রিকমেন্ডেশন দিয়ে ট্যালেন্টেড পেওনির হিসাবে ভিন্ন দুইটা ক্যাটাগরিতে তারা সম্পূর্ণ বিনা খরচে সম্মান স্বরূপ গোল্ডেন ভিসা দিয়ে থাকে।

বিভিন্ন সময় বলিউডের অনেক সেলিব্রিটিকে ক্রিয়েটিভ কালচারাল ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান, সঞ্জয় দত্তসহ অনেক বড় তারকারা ইতোমধ্যেই এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন।

এবার সেই একই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো কালচারাল মিনিস্ট্রি থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার পেলেন বাংলাদেশের একমাত্র মেগা সুপারস্টার শাকিব খান।

এই নির্মাতা লিখেন, এ বিষয়ে আমার টিম দিন রাত কাজ করেছে। সম্প্রতি বাংলা ভাষার সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে বড় আকারে তুলে ধরার যে মিশন নিয়ে আমার টিম কাজ করছে যাচ্ছে, তারই ক্ষেত্র তৈরি করতে এটি একটা মাইলফলক। এখন বাকি সব শিল্পীদের গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করবো। আমরা বাংলাদেশি এটাই আমাদের বড় পরিচয়।

এদিকে শাকিব খানকে নিয়ে ‘দরদ’ নামে নতুন একটি সিনেমা বানিয়েছেন অনন্য মামুন। এই ছবিকে বলা হচ্ছে প্যান-ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি ছবি। যা বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মালায়লাম ভাষায় মুক্তি পাবে বলেও জানিয়েছেন এর নির্মাতা। ছবিতে শাকিবের নায়িকা বলিউডের সোনাল চৌহান। এছাড়াও থাকছেন কলকাতার পায়েল সরকার, রাজেশ শর্মা, রাহুল দেবসহ অনেকে।


আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



হিলি সীমান্ত পরিদর্শন করলেন তিন বাহিনীর ৭৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর ৭৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ঢাকাস্থ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এর এএফডাব্লুসি কোর্সের শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন উর রশিদ এর নেতৃত্বে ৭৮ সদস্যের একটি প্রশিক্ষনার্থী দল হিলি সীমান্তে আসেন।

সোমবার দুপুর দেড় টায় হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটে পৌঁছালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন উর রশিদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জয়পুরহাট- ২০ বিজিবির অধিনায়ক তানজিলুর রহমান। এরপর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মামুন উর রশিদ হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের শুন্য রেখায় ভারতের ৬১ ব্যাটালিয়ানের বিএসএফের সহকারী অধিনায়ক প্রেম বিসোয়াতকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে প্রতিনিধি দলটি সীমান্ত দিয়ে দুদেশের মাঝে আমদানি-রফতানি বানিজ্য,পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারসহ বিজিবি ও বিএসএফের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত হন।এরপর প্রতিনিধি দলটি বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে বিজিবির সাথে বৈঠক করে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।


আরও খবর