Logo
আজঃ শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

তানোরে পরপর চার দিনে খড় ও ধানের পালায় আগুন!আতংক

প্রকাশিত:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৩৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর:রাজশাহীর তানোর পৌর সদরে পূর্ব শুক্রতার জেরে পরপর চার রাতে একই সময়ে পাঁচজন কৃষকের খড় ও ধানের পালা পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ উঠেছে। পৌর সদর ধানতৈড় গ্রামের বাসিন্দা পাড়ায় গত  সোম ও মঙ্গল এবং বুধ ও বৃহস্পতিবার  দিবাগত রাত ১২ টার পরে ঘটে আগুন লাগার ঘটনাটি। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস এসে নিয়ন্ত্রণ করেছেন।এঘটনায় ওই গ্রামের কৃষকরা চরম আতংকে পড়েছেন। সেই সাথে রাত জেগে পাহারা দেওয়া শুরু করেছেন। ফলে একের পর এক আগুন লাগা, ছিনতায় ও চুরির ঘটনায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে জনমনে। এতে করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন, বিরাজ করছে অসন্তোষ,উঠেছে সমালোচনা।জানা গেছে, গত সপ্তাহে সোমবার পৌর সদর ধানতৈড় দক্ষিনপাড়া বা বাসিন্দা পাড়া গ্রামের আকতারের দুবিঘা খড়ের পালা ও তার ভাই বাক্কারের পরদিন মঙ্গলবার দুবিঘা জমির খড়ের পালায় আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। চার বিঘা জমির ধানের খড়ে নিম্মে হলেও ২২ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।এর পর দিন বুধবার হানিফ নামের দরিদ্র কৃষকের দেড় বিঘা ধানের পালা পুড়িয়ে দেয়। ধানের পালার আগুনের খবরে হানিফ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কারন দেড় বিঘা জমির ধান তার শেষ সম্বল। এতে করে তার প্রায় ৬০ হাজার টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কৃষক বেলাল ও ভাই হারুর ৫ বিঘা ধানের পালা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মত।ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বাক্কার, আকতার জানান, কারো সাথে কোন দ্বন্দ্ব ফাসাদ নাই। অথচ খড়ের পালা পুড়িয়ে দেওয়া হল। গরু লালন পালন করি এবং খড় বিক্রি করে রোপা আমনের বীজ কিনে বপন করতাম। কিন্তু সবকিছুই ছাই হয়ে গেল।দরিদ্র কৃষক হানিফ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ধানের পালায় আগুন না দিয়ে আমাকে পুড়িয়ে মারত। কারন সারা বছরের জীবিকা দেড় বিঘা জমির ধান। এত রোদ খরতাপ হল শ্রমিক না নিয়ে চাষাবাদ করলাম। পালা দেওয়া ধান পুড়ালো। তারা তো মানুষ রুপি জানোয়ার। এচিন্তায় খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। 

বেলাল হারু জানান, প্রতি বছর এমন ঘটনা ঘটতেই আছে। আমাদের দু ভায়ের ৫ বিঘা জমির ধানের পালা পুড়িয়ে দিয়েছে। এক ছটাক ধান পাওয়া গেল না। ধান রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত প্রচুর কষ্ট করতে হয়। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান তুলে সেই ধান পুড়িয়ে দিলে কি অবস্থা ঘটে যার হয় সে জানে।ওই গ্রামের বাসিন্দা আনারুল জানান, লাগাতর চার রাতে একই সময়ে আগুন লাগিয়ে দরিদ্র কৃষকদের পথে বসানো হয়েছে। বিশেষ করে হানিফের শেষ সম্বল ছিল দেড় বিঘা জমির ধান। পুড়িয়া যাওয়ার পর থেকে সে মানষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আগুন দেওয়ার আতংকে রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারী ভাবে সহায়তা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। তানাহলে দু:শ্চিন্তায় মারাও যেতে পারেন।আগুন লাগার ঘটনা নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস জানায়, আমরা রিপোর্ট দিয়েছি। এটা আক্রোশ মুলুক ভাবে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি। তবে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।থানার তদন্ত ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ হয়েছে কিনা আমার জানা নেই, ওসি স্যার ট্রেনিংয়ে আছে।সদ্য যোগদান কারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে থানায় অভিযোগ বা জিডি করতে হবে। এরপরে আমার পক্ষ থেকে যাযা করনীয় করা হবে।

আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ইউনূসের বিচার স্থগিতের দাবির প্রেক্ষিতে ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে দেয়া খোলা চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশের ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী। 

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘খোলাচিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত চলমান মামলাসমূহের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। 

দেশের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, ‘উল্লিখিত খোলাচিঠির প্রেক্ষিতে বেশ কিছু আইনি ও নৈতিক প্রশ্ন সামনে চলে আসে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪(৪) অনুযায়ী বিচারকগণ তাদের বিচারিক কাজে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রপরিচালনায় যুক্ত কারোরই বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার নেই। 

উল্লিখিত চিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) স্বীকৃত শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। এই চিঠিতে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারকের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিচারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার সামিল বলে আমরা মনে করি।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকই আইনের দৃষ্টিতে সমান। লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই সংবিধানে সকলেরই আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারকার্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ও স্বাধীনভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে ‘বিচারিক হেনস্তা’র অভিযোগ অমূলক ও অনভিপ্রেত। পাশাপাশি ড. ইউনূস বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সবসময়ই দেশে ও বিদেশে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সকল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন।

বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা বলেন, ‘প্রেরিত খোলাচিঠিতে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিবর্গের নিজ নিজ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমরা প্রত্যাশা করি, বিবৃতিদাতাগণ তাদের নিজ নিজ দেশের মতো বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকেও নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলার সুযোগ দেবেন এবং সম্মান করবেন।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন-নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক বুলবন ওসমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি নির্মলেন্দু গুণ, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল বায়েস, সাবেক বিচারপতি মমতাজউদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এ. কে এম মনোয়ার উদ্দিন আহমদ, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি, মানবাধিকার কর্মী অ্যারমা দত্ত এমপি, নারীনেত্রী রোকেয়া কবীর, সাংবাদিক আবেদ খান, কবি ও লেখক নূহ আলম লেনিন, সাংবাদিক হারুন হাবীব, প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শামীম বসুনিয়া, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, লাকী ইনাম, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদ, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, নাট্যজন ম. হামিদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি মফিদুল হক, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাঈমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত, অজয় দাশগুপ্ত, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দীন ফকির, মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুর রশীদ, মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার, মেজর জেনারেল (অব:) নাসির উদ্দিন, লেখক শাহরিয়ার কবির, কবি তারিক সুজাত, কবি অসীম সাহা, নাট্যজন পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, কবি ও চিকিৎসক হারিছুল হক প্রমুখ।


আরও খবর

এডিসি হারুন রংপুরে যোগ দিলেন

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নাসিরনগরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২৩৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃমাদ্রাসাছাত্রীকে ‘জান্নাতে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ’টানা দুই দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মো. শিহাব উদ্দিন (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ শনিবার দুপুরে পাশের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থেকে ওই শিক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের একটি মাদ্রাসায়।শুক্রবার রাতে ওই মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মা নাসিরনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মো. শিহাব উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সালেহ আহম্মদের ছেলে। তিনি নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।এদিকে ধর্ষিতা ছাত্রী ওই মাদরাসারই শিক্ষার্থী। পুলিশের কাছে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তিনি কাজটা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

ভুক্তভোগীর মায়ের দাবী মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক শিহাব ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার মেয়ে এতে রাজি ছিল না। প্রায় এক সপ্তাহে আগে তার মেয়েকে মাদরাসার একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শিহাব। এর পর গত শুক্রবারও ওই শিক্ষক দ্বীতিয় বারের মত এ ঘটনা ঘটান। এ সময় তার মেয়েকে জান্নাতে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।তিনি জানান।

ধর্ষণের কারণে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং তার মেয়েকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মাদরাসা শিক্ষককে তার নিজ এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা তিনি স্বীকার করেছেন। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক মাওলানা শিহাব উদ্দিন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে কভার্ডভ্যান নিহত ২ আহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে কাভার্ডভ্যানের নিচে চাপা পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার দড়িরামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধনবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিস মিয়া জানান, ঢাকা থেকে জামালপুরগামী একটি কাভার্ডভ্যান ভাইঘাট নামক স্থানে পৌঁছালে সেটির চাকা ফেটে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়।  এসময় কাভার্ডভ্যানের নিচে চাপা পড়ে এক মোটরসাইকেলের আরোহী ও কাভার্ডভ্যানের একজন নিহত হন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




খুলনার রূপসায় কয়লা চুল্লির বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ জনস্বাস্থ্য হুমকিতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image
ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ খুলনা জেলার রুপসা উপজেলায় শ্রীরামপুর গ্রামে মানুষের বসতবাড়ি ও ফসলি জমির ভিতর রুহুল আমিন.জিয়া ও বেল্লাল অবৈধ ভাবে মেতে উঠেছে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানোর এক মহা উৎসবে। এতে করে এলাকার জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বারবার সংবাদটি প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ।
সরকার নিষিদ্ধ এ কর্মকান্ডে রুহুল আমিন, জিয়া ও বিল্লাল কিছু ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গের ছত্রছায়ায় গ্রামের ভিতর ৮ টি কাঠ কয়লা চুল্লি জ্বালিয়ে এলাকার পরিবেশের ব্যাপকভাবে ক্ষতি সাধন করছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা তথা জীববৈচিত্র্যের শ্বাস-প্রশ্বাসের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে গাছ। আর এই কুচক্রী মহল এলাকার ছোট বড় গাছ থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কেটে আনছে ফলজ ও বনজ বৃক্ষরাজি। শুরু হয়েছে এই গাছ কেটে বন উজাড় করার এক মহা প্রতিযোগিতা। আর এই গাছ দিয়ে মহা উৎসবে চালাচ্ছে তাদের ধ্বংসযজ্ঞ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানোর চুলা। কাঠ পোড়ানোর সময় নির্গত হয় দূষিত কালো ধোঁয়া আর এসব চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এতে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে বনজ সম্পদ অপরদিকে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে শ্বাস প্রশ্বাসজনিত নানা মরণব্যাধি দেখা দিচ্ছে এ অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি মানুষের মধ্যে তাছাড়া নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমির ফসল, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জমির উর্বরতা শক্তি। অত্র অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা কষ্ট বিরাজ করছে। এ ধরনের চুল্লি গুলো এলাকার ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী লোকদের দারায় পরিচালিত হওয়ায়, ভয়ে কেউই মুখ খুলতে পারেনা। এসব চুল্লিতে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন বৈধ অনুমতি না থাকলেও দিদারচে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এ অবৈধ কর্মকাণ্ড। রোগ শোক জরাজীর্ণতা ক্ষুধা দারিদ্রতায় এলাকায় দেখা দিয়েছে হাহাকার। এ পরিবেশ থেকে বাঁচার কি কোন উপায় নাই দেখার কি কেউ নাই। সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই অবৈধ কয়লা পোড়ানোর মালিকেরা প্রভাবশালী তাছাড়া তারা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে থাকে। শ্রীরামপুর নিবাসী জৈনক বাবুল নামক এক ব্যক্তি বলেন আপনারা লিখে কি করবেন ওদের ক্ষমতার হাত খুব বড় তা না হলে জনবসতির ভিতর প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ কর্মকাণ্ড চালাতে পারে।
অত্র অঞ্চলের সচেতন মহল এ ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসকারী কর্মকাণ্ডের হাত থেকে বাঁচার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।

আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রোপা আমন আগাছায় দ্বিগুণ খরচ হতাশায় ভুগছেন তানোরের কৃষকরা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫৭জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:বরেন্দ্র অঞ্চল ও কৃষি ভান্ডার ধান উৎপাদনে বিখ্যাত এব  সুপরিচিত রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি, রোপা আমন খেতে আগাছা পরিস্কারে দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে কৃষকের। এমনকি রয়েছে শ্বরমিক সংকটও। আবার যদিও পাওয়া যাচ্ছে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। আশপাশের জেলা উপজেলার চেয়ে এউপজেলায় রোপা আমন চাষ হয় প্রচুর। কিন্তু এবারে প্রথম থেকেই ভাগড়া পড়েছে কৃষকের কপালে। রোপনের পর সঠিক সময়ে পায়নি বৃষ্টির পানি। ধানী জমি থেকে শুরু করে খাল বিল শুকে চৌচির হয়ে পড়েছিল।  অবশেষে পানির দেখা পাওয়ার কারনে জমিতে প্রচুর পরিমানে আগাছা হয়ে পড়েছে। প্রতিটি মাঠে আগাছা পরিস্কারে কোমর বেধে মাঠে কৃষক শ্রমিকরা।

তানোর পৌর সদর গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক মশিউর জানান, চারবিঘা জমির আগাছা বা ঘাষ পরিস্কার করতে বাহির থেকে শ্রমিক আনতে হয়েছে। এক বিঘায় নিম্মে ৮ জন শ্রমিক থেকে ১২ জন শ্রমিক লাগছে। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে লাগছে।আরেক প্রবীন কৃষক এমাজউদ্দীন জানান দুবিঘা জমির ঘাস পরিস্কার করতে ২০ জন শ্রমিক লেগেছে। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে ৮ হাজার টাকা লেগেছে। অতীতে কখনো এরকম ঘাস আগাছা হয়নি। এত পরিমান আগাছা কল্পনাতীত। শুধু আমার না প্রায় কৃষকের একই অবস্থা।শ্রমিক মোস্তফা জানান, ধানতৈড় গ্রামের কৃষক হামিদের আগাছা পরিস্কারের কাজ করেছি। সে ৩০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন। এক বিঘায় ১১ জন করে শ্রমিক লেগেছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করা হয়। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা মজুরি। 

কৃষকরা জানান,  রোপনের সময় অনেকে বৃষ্টির পানি পেয়েছে আবার অনেকে পাননি, সেচের পানি দিয়ে রোপন করা হয়েছে। রোপনের পর থেকে পানির জন্য হাহাকারের শেষ ছিল না। গভীর অগভীর নলকূপ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সেচ দিতে হয়েছে। প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত প্রচুর খরচ গুনতে হয়েছে।  আগাছা পরিস্কারে এক বিঘায় যে পরিমান টাকা লেগেছে, সেই টাকা দিয়ে চাষাবাদ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আলু উত্তোলনের পর ধান রোপন করা হয়েছিল। ধান কাটার সময় ন্যাড়া ব্যাপক হারে রাখা হয়েছিল। পানির অভাবে ন্যাড়াগুলোতে পচন ধরানো যায়নি। মুলত এজন্য আর সময়মত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এত পরিমান আগাছা হয়েছে। এক বিঘায় ১০ জন করে শ্রমিক লাগছেই। শ্রমিক প্রতি ৪০০ টাকা করে হলে বিঘায় ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা করে লাগছে।এখন দেখার বিষয় আবারো যদি আগাছা হয় তাহলে কৃষকের কপালে ভাজের শেষ নেই। কারন বাড়তি দামে সার কীটনাশক কিনতে হয়েছে হচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়,  উপজেলার যেদিকে তাকাই চোখ যায় যতদূর শুধু সবুজের সমারোহ আর সবুজের সমারোহ। মাঠ জুড়ে আমন ধানের ক্ষেত পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল আমন ধান। অন্য বছরের তুলনায় এবছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমন চাষের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাসেও ছিলনা আকাশের বৃষ্টির পানির দেখা। যার জন্য সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি  প্রায় কৃষক। তবে অসময়ে হলেও বাদ পড়ে নি আমন ধান চাষ করতে কোন কৃষকরা। 

 উপজেলার প্রকাশনগর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন,তিনি ২৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এতে করে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৭হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, ধান উঠা পর্যন্ত বিঘা প্রতি আরো খরচ হবে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মতো। এতে করে এক বিঘা আমন ধান কাটা পর্যন্ত মোট খরচ হবে  ১২ হাজার  টাকার ঊর্ধ্বে ।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, রোপা আমনের লক্ষমাত্রা ২২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোপা আমন ধানে কোন রোগ বালা নেই। সবাই মাঠে কাজ করছে। আশা করছি বরাবরের মত এবারো ভালো ফলন হবে। তবে সময়মত বৃষ্টির পানি না পাওয়া, জমি শুকে যাওয়ার কারনে আগাছার পরিমানটা বেশি।  এজন্য কৃষকদের কিছুটা হলেও বাড়তি খরচ হচ্ছে। 


আরও খবর

সৈয়দপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের ধুম

শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩