Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

টানা দ্বিতীয়বার বর্ষসেরা ক্রিকেটার স্মিথ-মুনি

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৫৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : টানা দ্বিতীয় বছর অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার অ্যালান বোর্ডার মেডেল জিতলেন স্টিভেন স্মিথ। তার মতো দেশটির নারী কিপার-ব্যাটার বেথ মুনিও পরপর দুই বছর জিতলেন নারী ক্রিকেটের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার বেলিন্ডা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড।

পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়ে (২০ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ২১ জানুয়ারি ২০২৩) ১০ টেস্ট, ১৭ ওয়ানডে ও ২০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এই সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৫৫.২৫ গড়ে ১ হাজার ৫৪৭ রান করেছেন স্মিথ। ৯টি ফিফটির সঙ্গে তিনি সেঞ্চুরির দেখা পান তিনবার।

সোমবার সিডনিতে জমকালো ‘অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।বিজয়ীরা নির্বাচিত হয়েছে খেলোয়াড়, আম্পায়ার ও সংবাদ মাধ্যমের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে।

স্মিথ আরও একটি রেকর্ড গড়লেন। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো অ্যালান বোর্ডার মেডেল জিতলেন এই ব্যাটার। এর আগে ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২১ সালে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্কের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে চারবার এই মেডেল পেলেন স্মিথ। ২০০০ সালে এই পুরস্কার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ পাঁচ বার এই সাফল্য পায়নি।


ডানহাতি ব্যাটার স্মিথ ১৭১ ভোট পেয়ে বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ট্রাভিস হেড (১৪৪ ভোট) ও ডেভিড ওয়ার্নারকে (১৪১ ভোট) পেছনে ফেলেছেন । যেখানে সেরা পাঁচে আরও ছিলেন মার্নাস লাবুশেন (১৩৮) ও উসমান খাওয়াজা (১৩২)।


বেলিন্ডা ক্লার্ক পুরস্কার পাওয়া মুনি। ১২৯ ভোট নিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন অধিনায়ক মেগ ল্যানিং (১১০) ও অলরাউন্ডার তাহলিয়া ম্যাকগ্রা (৯৫)। বিবেচিত সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৬৯.৩১ গড়ে ১ হাজার ১০৯ রান করেছেন মুনি। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৯টি ফিফটি করেন তিনি। তার চেয়ে বেশি রান করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার আর কোনো নারী ক্রিকেটার। তার হাতে উঠেছে মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কারও।


এদিকে ছেলেদের ক্রিকেটে উসমান খাজা শেন ওয়ার্ন বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। ২২ ভোট নিয়ে পেছনে ফেলেছেন লাবুশেন (২০) ও স্মিথকে (১৮)। বিবেচিত সময়ে ৭৮.৪৬ গড়ে ১ হাজার ২০ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া কমিউনিটি ইমপ্যাক্ট পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।


বর্ষসেরা ছেলেদের ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। স্মিথের সমান ২৫ ভোট পেলেও টাইব্রেকারের মাধ্যমে ওয়ার্নারের হাতে ওঠে এই পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন মার্কাস স্টয়নিস। আর এই সংস্করণের সেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন তাহলিয়া ম্যাকগ্রা।


ছেলেদের তরুণ উদীয়মান সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘ব্র্যাডম্যান ইয়াং ক্রিকেটার’ নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী পেসার ল্যান্স মরিস। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মাইকেল নেসার।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪




মাগুরার শ্রীপুর থানায় আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:র‍্যাব ফোর্সেস  মাতৃভূমির  অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করত এবং  নাগরিকদের  টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে র‍্যাব  ৬, সিপিসি- ২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রাপ্ত হয় যে, মাগুরার শ্রীপুর থানার কালিনগর গ্রাম এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া উধর্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারনাসহ অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়বিক্রয় করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে উক্ত আভিযানিক দলটি মঙ্গলবার বিকেলে জেলার শ্রীপুর থানার কালিনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া উধর্বতন কর্মকতা পরিচয়ে প্রতারনাসহ স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী আসামী-  মোঃ সাইফুল ইসলাম(৩২), পিতা- মৃত আরব আলী, সাং- কালিনগর, থানা- শ্রীপুর, জেলা- মাগুরাকে গ্রেফতার করে। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ২০০ পিস ইয়াবা,০১ টি ভুয়া র‍্যাব আইডি কার্ড, ০১ টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড,০১ টি বাংলাদেশ পুলিশের আইডি কার্ড,০২ টি ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র, ০১ সেট র‍্যাবের ইউনিফর্ম, ১ সেট সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মসহ উদ্ধার করে।
জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে  শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করে আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করে।

আরও খবর



রানা প্লাজা ধস: সাক্ষ্যগ্রহণেই পার ১১ বছর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১১ বছর ধরে সাক্ষ্যগ্রহণেই ঘুরপাক খাচ্ছে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির অবহেলাজনিত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় । এ মামলায় মোট ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে সর্বোচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া ৬ মাসের মধ্যে মামলা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় আইনজীবীদের।

রানা প্লাজার দুর্ঘটনা পুরো বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর কারখানার কর্মপরিবেশ ঠিক করতে চাপ পড়ে দেশের পোশাক শিল্পের ওপর।

এ ঘটনায় অবহেলায় হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলে। ২০১৫ সালে সিআইডি ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। বিচার শুরু হয় পরের বছর। এরপর একের পর এক আসামি হাইকোর্টে যাওয়ায় মামলাটির বিচার থমকে থাকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার জানান, মূল আসামি রানা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকেন। আবার তাকে জেলখানা থেকে আনলে তার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে চিৎকার-হট্টেগোল করেন।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৮৫ জন। ফলে বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। কবে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে কেউ জানে না।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার আরও জানান, সাক্ষী যদি না আসে তাহলে বিচারকের কিছু করার থাকে না। এখানে আদালত নিরূপায়। তারপরও আমরা সবরকম চেষ্টা করছি, যতো দ্রুত সম্ভব মামলা শেষ করতে।

এদিকে গেলো ১৫ জানুয়ারি রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার পক্ষে আপিল বিভাগে জামিন চান তার আইনজীবী। সেখানে আপিল বিভাগ সাফ জানিয়ে দেন জামিন হবে না রানার। তবে এ মামলা ৬ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

সঠিক বিচারে সবার সাজা হবে জানিয়ে অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, এখানে জড়িত মালিক থেকে শুরু করে দেখভালের দায়িত্বে থাকা পৌরসভা সবার বিচার হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তাদের গাফিলতিতে এতো মানুষের প্রাণ গেছে।

রানা প্লাজা মামলায় আসামিদের পক্ষে কথা বলতে রাজি হয়নি কোনো আইনজীবী। গেলো ২১ এপ্রিল এ মামলায় সবশেষ ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়। ২৮ জুন এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৬৯ জন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যান। এ ঘটনায় মোট মামলা হয় ২০টি। এর মধ্যে তিনটি হচ্ছে ফৌজদারি মামলা। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। অন্যদিকে ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুনের মামলা ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ইমারত আইনের মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণসংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে।


আরও খবর



বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের কবরে গার্ড অফ অনার ও পুষ্পস্তবক অর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একাত্তরের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের কবরে ২৬ মার্চ সকালে গার্ড অফ অনার, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা ও দোয়ার অনুষ্ঠান অংশ নেন শার্শা উপজেলা প্রশাসন। সমাধিস্থলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। অনূষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।

যশোর ৪৯ বিজিবির পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। গার্ড অফ অনার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির উপঅধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা। দিনটি উপলক্ষে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এর সমাধিতে সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ৮৫ যশোর, শার্শা ১ আসনের সাংসদ, উপজেলা প্রশাসন, বিজিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ এর পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর-১ এর সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু,  যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর সেলিমুদ্দোজা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন, সরকারী বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছানুজ্জামান সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের সমাধিতে এদিন শ্রদ্ধা জানান, শহীদের সন্তান এসএম গোলাম মোস্তফা কামাল, মেয়ে হাসিনা খাতুন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৫৯ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন নূর মোহাম্মদ শেখ। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পর ১৯৭০ সালের ১০ই জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরবর্তীতে ল্যান্সনায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান।

১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন নূর মোহাম্মদ শেখ। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিন সঙ্গীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার অনন্য নজির স্থাপন করেন তিনি। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে শহীদ হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।


আরও খবর



ওদের পরিবারে ঈদ আনন্দ ম্লান

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃদেড়শ’ মুরগি বিক্রি করে ঈদের নতুন জামা কাপড় কেনা কাটা করা ছাড়াও স্কুলের বেতন দেয়ার কথা ছিল। আর বাকি টাকা দিয়ে আবারো নতুন করে মুরগির বাচ্চা কিনে ফার্মটাকে চালু রাখতাম কিন্তু সেটি হলো না। আমাদের পরিবারে সকলেরই ঈদের আনন্দ ম্লান। ঘুরে দাঁড়াতেও অন্ততঃ ছয় মাস সময় লাগবে। অশ্রুসিক্ত নয়নে এমনি ভাবে আক্ষেপ করে কথা গুলো বলছিলেন স্কুল ছাত্র রিদয়। সে মেহেরপুরের গাংনীর পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের টেপি পাড়ার হামিদুল ইসলামের ছেলে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে পূর্ব শত্রতার জেরে ফার্মের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেড় শতাধিক মুরগি পরিকল্পিতভাবে মেলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এমনি দাবী করেছেন রিদয়।

রিদয়ে বাবা হামিদুল ইসলাম জানান, নিজে ও ছেলে রিদয় মিলে বাড়ির ছাদে একটা মুরগির ফার্ম দেয়া হয়। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারের খরচাদি ও ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ দেয়া হতো। বাড়ির প্রাচিরের সাথেই রয়েছে ফার্মের বৈদ্যুতিক সংযোগ। দৃর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে সেই বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। সেই সাথে কোন গ্যাস ছেড়ে দেয় ফার্মে। ফলে গরমে সব মুরগি ক্রমান্বয়ে মারা যায়। মধ্যরাত থেকে মরতে থাকে মুরগি। মৃতপ্রায় কিছু মুরগি প্রতিবেশিদেরকে দেয়া হয়েছে। বাকি মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রিদয়ে মা বেলি খাতুন জানান, অন্যান্য দিনের মতো মধ্যরাত পর্যন্ত ছাদে মুরগির ফার্মে কাজ করা হয়েছে। তার পর ঘরে আসার কিছুক্ষণ পর মুরগির সাড়া শব্দ না পেয়ে গিয়ে মুরগি মরতে দেখা যায়। কারো সাথে শত্রুতা নেই, তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে একজনের সাথে। তিনিই এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি। গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর

গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহে একই পরিবারের তিন জনসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে ও দুপুরে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

হতাহতরা সকলেই পিকআপভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতরা ঈদের ছটিতে বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানা গেছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন জানান, ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের ল্যাংড়াবাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাস ও মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে শিশুপুত্র মাহিত এবং গুরুত্বর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর স্বামী-স্ত্রী মারা যান। তাদের অপর পুত্র মোজাহিদকে (৬) আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার লুৎফর রহমান (৩০), তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) ও ছেলে মাহিত (৪)। নিহত স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ভালুকার মাস্টারবাড়ী এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।

এদিকে ত্রিশাল সদর ও বালিপাড়া এলাকায় পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

ওসি কামাল হোসেন ত্রিশাল থানার জানান, বেলা ১২টার দিকে ত্রিশাল-বালিপাড়া সড়কে শালবন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষ মারা গেছেন। এদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ত্রিশাল সদরে মঙ্গলবার ভোরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে আপেল মিয়া (৩০) ও মারুফ (১৮) নামে দুইজন মারা গেছে। এদের বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া তারাকান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারী বৃদ্ধ।


আরও খবর