Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

তালন্দ কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতি মানছেন না আদালতের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ২১০জন দেখেছেন

Image

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ আদালতের নির্দেশনা মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে ডাক্তার না হয়েও কমিটিতে ভূয়া ডাক্তারকে রাখায় মহামান্য হাইকোর্টে রীট দায়ের হলে বিজ্ঞ আদালত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। সেই মোতাবেক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভূয়া ডাক্তারকে বাতিল করে প্রকৃত রেজিস্টার্ড ডাক্তারকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার মুজমদার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ ডক্টর জসিম উদ্দিন সে আদেশ অমান্য করে তাকে কমিটিতে রেখেছেন বলে নিশ্চিত করেন রীট আবেদন কারী সাবেক কাউন্সিলর পিয়ারুল হক।  এতে করে আদালতকে চরম অবমাননা করেছেন বলে মনে করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে চরম অদক্ষতারও পরিচয় দিয়েছেন সভাপতি অধ্যাক্ষ বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। ফলে দ্রুত কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে সভাপতি ও অধ্যাক্ষের পদত্যাগও দাবি করেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, পৌর এলাকার তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডিতে একজন ডাক্তারকে নিযুক্ত করতে হয়। কিন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডাক্তার না হয়েও সুমন কুমার পাল কে চিকিৎসক দেখিয়ে কমিটির সদস্য করা হয়। এর বিরুদ্ধে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পিয়ারুল হাইকোর্টে রীট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভাইস চ্যান্সেলরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। যার রীট পিটিশন নম্বর ৮৪৩২/২০২২।

এনির্দেশের প্রেক্ষিতে ভাইস চ্যান্সেলরের আদেশক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখে  ৫৭৭৫২ নম্বর   স্বারকে ভূয়া ডাক্তার সুমন কুমার পালকে বাতিল করে প্রকৃত রেজিস্টার্ড ডাক্তারের নাম কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। আদালত ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেন নি সভাপতি ও অধ্যাক্ষ।

রীট আবেদন কারী পিয়ারুল জানান, যতটুকু জানি  এখনো কমিটির পদে সুমন কুমার পালকে বহাল রেখেছেন। আদালতের নির্দেশ, ভাইস চ্যান্সেলরের আদেশকে যদি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখায় তাহলে কি বলার আছে। জবাব দিহিতা আইনের সঠিক ব্যবহার না হলে এমনই হয়। কারন সবকিছু  ক্ষমতার কালো পর্দায় বন্দি। 

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ ডক্টর জসিম উদ্দিন জানান, সভাপতি অসুস্থ এজন্য মিটিং করা হয়নি। তবে দ্রুত মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপনি মিটিং করতে পারেন নি সেটা কি আদালত বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে অবহিত করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান মৌখিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। তাহলে কি আদালত বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে অবমাননা করা হয় কিনা প্রশ্ন করা হলে কোন সদ উত্তর না দিয়ে সভাপতি অসুস্থতার দোহায় দিয়ে এড়িয়ে যান।

কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার মজুমদার জানান, এতদিন সিদ্ধান্ত হয়ে যেত, মিটিং দেওয়া যায়নি আমি অসুস্থ এজন্যে। আর সুমন কুমার পালকে মৌখিক ভাবে বাদ দেয়া হয়েছে, শুধু সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সে ডাক্তার না হয়ে কমিটিতে কিভাবে এসেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সভাপতি হওয়ার আগ থেকে আছে বলে তিনিও দায় সারেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানার ০১৭১১৫৬৩৪০০ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখনতো অফিস সময় না, কাগজপত্র না দেখে কিছুই বলা যাবে না। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আপনার স্বাক্ষরিত আদেশে সুমন কুমার পালকে বাদ দিয়ে প্রকৃত চিকিৎসক কে কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলা হয়েছে, কলেজ এতদিনও বাস্তবায়ন করেনি, এত সময় ফেলে রাখতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন এবিষয়ে কোন কিছুই বলা ঠিক হবে না। তবে আদেশ পাওয়ার পর দ্রুত বাস্তবায়ন করা কলেজ কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব। মঙ্গলবার অফিসে গিয়ে ফাইলপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



হিলিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:দিনাজপুরের হিলিতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে ১৭ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি আব্দুল লতিফ মাস্টার,আশরাফ আলী প্রধান,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী,বোয়ালদাড় ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাহাঙ্গির আলম ও মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিদুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



মির্জাপুরে মাদকাসক্ত তরুণের করুন মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:"নেশা খাবি খা, মারা যাবি যা।" মাদকবিরোধী এই সত্য এবং কঠিন স্লোগানের একটি বাস্তব ঘটনা ঘটলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আনাই তারা ইউনিয়নের চামারি ফতেপুর গ্রামের মৃত যুধিষ্ঠির বসাকের বড় ছেলে সুব্রত বসাক (৩৮) এর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক তিন টার সময় সুব্রত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুব্রত বসাক মাদকাসক্ত ছিল। প্রতিদিন সে মাদক সেবন করে গভীর রাতে ঘরে ফিরত। এ নিয়ে তার স্ত্রী পূজা'র (৩০) সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং স্ত্রীকে মারধর করত। পূজা বলে, ঘটনার রাতে সে বারোটার দিকে নেশা করে ঘরে ফিরে। কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে পুনরায় রান্নাঘরে ঢুকে হিরোইন সেবন করে। এরপর ঘরে ঢুকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকে।কিছুক্ষণ পর নিরব হয়ে যায়। শ্রী পূজা ভাবে সুব্রত ঘুমিয়ে পড়েছে। এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে । সকালে সুব্রতর দেহে হাত দিয়ে দেখে নিস্তেজ হয়ে গেছে। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আত্মীয়-স্বজন নিকটস্থ জামুর্কি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, ছয় বছর পূর্বে সুব্রত বিয়ে করে। তার আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। পেশায় সে একজন সিএনজি চালক ছিল। দুই মাস পূর্বে তার সিএনজি বিক্রি করে দেয়। স্ত্রী পূজা আরো জানায়, গত বছর সে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে মানিকগঞ্জে জেল খেটেছে। নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাকে জেল থেকে বের করে আনে। সুব্রত হিরোইন, ইয়াবা এবং গাঁজায় আসক্ত ছিল। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে এক কন্যা সন্তান নিয়ে পূজা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজে মুসল্লীদের কান্নার রোল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:তীব্র গরম দাবদাহ বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরম দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সালাতুল ইস্তিসকার আদায় করা হয়। বুধবার সকাল ৮.১০ মিনিটে ঝিনাইদহ উজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজন করে জেলা ইমাম পরিষদ। নামাজে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওঃ সাইদুর রহমান। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


আরও খবর



ধরা ছোঁয়ার বাইরে চোরচক্র আক্কেলপুরে একই রাতে ৮টি মিটার চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক রাতে চিরকুটে ফোন নাম্বার ও সিরিয়াল লিখে পাশাপাশি দুইটি ফসলী মাঠের ৮টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ও সোনামুখী ইউনিয়নের পাশাপাশি কাদোয়া ও গণিপুর জাফরপুর মাঠে ঘটে। একই কায়দায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ৬টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ফোন নাম্বর থাকা সত্বেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে চোরেরা।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে নলকুপ মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের গভীর নলকুপের দুইটি, মাসুদ রানার একটি, সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের একটি, এনামুল হকের একটি, আবু সালেকের একটি, আব্দুর রহমানের একটি ও রামশালা গ্রামের সিরাজ মৃধার একটিসহ মোট আটটি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। সকল মিটার তালাবদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে নিয়ে যায় তারা। সকল মিটার গুলো চুরির পর সেখানে কাগজের চিরকুটে ০১৯৭৪-১৪৫১০৯ নম্বর লিখে রেখে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। প্রতিটি মিটারে তারা আলাদা একটি সিরিয়াল নম্বরও লিখে রাখে। পরে নলকূপ মালিকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে বিকাশ অথবা নগদ একাউন্টে ৮ হাজার টাকা দাবি করে তারা। অন্যথায় আবারও মিটার চুরি করা হবে বলে হুমকি দেয় চোরেরা। ওই দুটি মাঠে প্রায় ৭০ হেক্টর ইরি বোরো ধানের ক্ষেত রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার শঙ্কায় দিন পার করছেন ওই মাঠের কৃষকরা।

আরও জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়ন থেকে এক রাতে ছয়টি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছিল সিরিয়াল ও ফোন নাম্বার । ফোন নাম্বার থাকা সত্তে¦ও চোর ধরতে না পারায় সেচ পাম্প মালিক ও জনসাধারণের মনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক সংযোগের মিটার নিতে প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ওই অফিসে তিন ফেইজ মিটার মজুদ নেই। এছাড়াও  প্রতিটি বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে চোর শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি আক্কেলপুর জোনাল অফিসে। কিছু গ্রাহক টাকার বিনিময়ে চোরের কাছ থেকে ফেরৎ নিয়েছে মিটার। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই দুইটি ইউনিয়নের আটটি গভীর নলকুপের সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হচ্ছে ইরি বোরো ধান। মিটার চুরির ঘটনায় এই সব জমিতে সেচ বন্ধ থাকায় ধান উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষি দপ্তর ও কৃষকরা।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহা. আব্দুর রহমান বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে গভীর নলকুপের মালিকরা জানিয়েছেন। থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া কোন মিটার উদ্ধার সম্ভব হয়নি।  গভীর নলকূপের সংযোগ তিন ফেইজের হয়। মামলার পাশাপাশি চুরি রোধে গ্রাহকদের স্থায়ীভাবে ট্রান্সফরমার এবং মিটার পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং গ্রাহক সচেতনতায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই চুরি রোধ হচ্ছে না।

তিলকপুর ইউনিয়নের কয়া গোপীনাথপুর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক মাসুদ রানা বলেন, গভীর রাতে বৈদ্যুতিক মিটারের তালা বদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে মিটার চুরি করে সেখানে একটি চিরকুটে বিকাশ মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায়। ওই নম্বরে ফোন করলে চোরেরা বলে ৮ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে আবারও মিটার চুরি করা হবে। 

কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, প্রচন্ড গরমের মধ্যে এমনিতেই ধানের জমিতে পানি শুকিয়ে যায়। এ সময় ধানে দানা ধরতে শুরু করেছে। এখনি পর্যাপ্ত সেচ না দিলে ধান চিটা হয়ে নষ্ট হবে। আমরা উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে দিন পার করছি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, এই সময় ধানের জন্য পানি অতীব জরুরী। সাত দিনের মধ্যে জমিতে পানি সেচ না দিতে পারলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হবে। এছাড়া তীব্র তাপদাহের কারণে জমিতে তিন ইঞ্চি পরিমান পানি রাখতে পরামর্শ দিচ্ছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন হোসেন বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে খবর পেয়েছি। চোর চক্রদের ধরতে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের শনাক্ত করতে দ্রুত আমরা সক্ষম হবো।
মিটার চোরদের এখনো ধরতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাদের বিষয়ে বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও খবর



ডেমরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার দুই ব্যাক্তি !

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার,স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানী ডেমরা থানাধীন বাঁশের পুল এলাকার ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের ভেতরে ভবন নির্মাণে ত্রুটির কথা বলে সংবাদ প্রকাশ করার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি চেষ্টা কালে স্থানীয়দের সাথে বিরোধের জের ধরে দুজনকে গনপিটুনি দেয়া হয়েছে।এ সময় নাম সর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দানকারী শরীফুল ইসলাম ও মাকসুদুল আলম রবি নামে দু'জন  আহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, ইস্টার্ন হাউজিং প্রকল্পটির ভেতরে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় রাজউকের দোহাই দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বেশ কয়েক জন ব্যক্তি। কয়েক দিন আগে অখ্যাত একটি আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে।

এর পর নানা ভাবে এসব ভবন মালিকদের রাজউক দিয়ে বিল্ডিং ভেঙে ফেলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। সোমবার ২২ এপ্রিল দুপুরে ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন ভবনের চিত্রধারণ করতে থাকে।এ সময় শরিফুল ইসলাম প্রকল্প এলাকার ভবন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এর সাথে খারাপ আচরণ করে।পরবর্তীতে আশেপাশের ভবন থেকে লোকজন এসে তাদের কে চ্যালেঞ্জ করলে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যায় পরে দুইজনকে উত্তম মধ্যম দেয় উপস্থিত জনতা।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইষ্টার্ন হাউজিং প্রকল্পের ভিতরের মারা-মারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এরই মধ্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও খবর