Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্র দখলে ব্যর্থ হয়ে পোলিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৮১জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

 ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসরিনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাতলপাড় ইউনিয়নের এক ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে চশমা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান  শেখ হুমায়ুন কবীর ও তার কর্মী সমর্থকরা।


এ ঘটনায় একজন পোলিং অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার পলাশ সরকার। আহত পোলিং অফিসারের নাম মো. ফয়সাল আহমদ। তিনি চাতলপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ হুমায়ূন কবীরের পক্ষের লোকজন পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্র দখল নিতে চায়। সকাল ১০ ঘটিকার সময় কেন্দ্র দখল করতে গেলে পোলিং অফিসার  বাধা দেন।


তখন তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ওই কেন্দ্রের পোলিং অফিসারের উপর। এ ঘটনায় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়।স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল করিম রানা সহ আরো অনেকেই বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে অনৈতিক সুবিধা না নিতে পেরে পোলিং অফিসারকে মারধর করা হয়েছে। এটা খুবই অন্যায়।নাসিরনগর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা শুনেছি। এখন নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মাটিরাঙ্গায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে

বুধবার (১৪ মে )বিকেল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি বনবিভাগের  বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.ফরিদ মিঞা এর দিক নির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তীর সার্বিক সহযোগিতায় লজ্জাবতী বানরটি মাটিরাঙ্গা বন বিভাগের  কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করা হয়।

 লজ্জাবতী বানরটি মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের  ৮নং ওয়ার্ড হইতে স্থানীয় এলাকাবাসীর  সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গা  রেঞ্জের কর্মকর্তা উদ্ধার করেন।গত ছয় মাসে মাটিরাঙ্গা 
রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনে ৪টি লজ্জাবতী বানর
অবমুক্ত করা হয়েছে।

লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা, মো. আতাউর রহমান লস্কর, মাটিরাঙ্গা রেঞ্জের ফরেষ্টার মো. তৌহিদুর রহমান, ফরেস্টার, মো. আক্কাচ আলী, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সহ-সভাপতি মো.জসীম উদ্দিন জয়নাল, মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো.মুজিবুর রহমান ভূইঁয়া সহ বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা  উপস্থিত ছিলেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী বলেন, বনজঙ্গল ও গাছপালা উজাড় হওয়ায় প্রায় সময় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়ে এসে স্থানীয়দের হাতে লজ্জাবতী ধরা পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে। এসব বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও সচেতন করতে হবে।

আরও খবর



সিঙ্গাপুরে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের বিনিয়োগ রোডশো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ রোডশো করেছে। ‌গত ১১ মে, ২০২৪ তারিখে সিঙ্গাপুরের কিচেনার এ হোটেল নভোটেলে এই রোডশো অনুষ্ঠিত হয়। এই রোডশো-এর উপজীব্য ছিল- সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পথ সুগম করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি তরান্বিত করা।

প্রাইমইনভেস্ট প্রবাসী আয়োজিত এই বিনিয়োগ রোডশোতে উপস্থিত ছিলেন- সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম-এনডিসি; বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী; সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের সভাপতি, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশী মেরিন কমিউনিটির সভাপতি, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ এম ওমর তৈয়ব, প্রাইম এক্সচেঞ্জ কোং প্রাঃ লিঃ সিঙ্গাপুরের নির্বাহী পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ সামিউল্লাহ প্রমুখ।

‘প্রাইমইনভেস্ট প্রবাসী’ হলো এমন একটি বিনিয়োগ ব্যবস্থা যেখানে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা কমিটি শেয়ারবাজারে প্রবাসীদের অর্থের সুচিন্তিত ও উপযুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের জন্য এনে দিবে আকর্ষণীয় মুনাফা।

অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব সৈয়দ এম ওমর তৈয়ব গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের অবদান অনস্বীকার্য। প্রবাসীদের জন্য রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ। যার মাধ্যমে তাদের এবং দেশের সামগ্ৰিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থের সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে এসেছে প্রাইমইনভেস্ট প্রবাসী যাতে তারা প্রবাসে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন।’

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের মাননীয় হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম এনডিসি প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে এসেছে। অনেক সময় বিনিয়োগ করে প্রবাসীরা অনেক ধরণের ভোগান্তির স্বীকার হন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত প্রবাসীদের মনে আস্থা জাগ্রত করা যাতে তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সকল পেশা ও শ্রেণীর প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, প্রবাসীদের জন্য বিশেষায়িত ইনভেস্টমেন্ট স্কিম- প্রাইমইনভেস্ট প্রবাসী চালু করার জন্য পিবিআইএলকে স্বাগত জানান। তিনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিটেন্সের অবদান স্বীকার করে প্রবাসীদেরকে বৈধ উপায়ে রেমিটেন্স পাঠানোর বিষয়ে গুরত্বারোপ করার পাশাপাশি দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।


আরও খবর



যশোরে ইজিবাইক ছিনতাইকালে গনপিটুনিতে যুবক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের অভয়নগরে  ইজিবাইক ছিনতাইকালে জনতার গনপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় ছিনতাইকারীর ইটের আঘাতে ইজিবাইকচালক রাজু আহমেদ (৩৫) আহত হয়েছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভুলপাতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। তার বয়স ৩৫- ৪০ বছরের মধ্যে। আহত ইজিবাইক চালক রাজু অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে চার ব্যক্তি রাজঘাট থেকে খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা বাজারে যাওয়ার জন্য রাজুর ইজিবাইক ভাড়া করে। এর মধ্যে তিন জন ইজিবাইকের ভেতরে এবং একজন চালকের পাশে বসে।তাদের কাছে থাকা ব্যাগের মধ্যে ইট ছিল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইজিবাইক ভুলপাতা গ্রামে ঢোকার আগে সড়কের মোড়ে একটি মাছের ঘেরের পাড়ে পৌঁছায়। এ সময় ওই চার ব্যক্তি রাজুকে জামিরা বাজারে যাবে না বলে ইজিবাইক ঘুরিয়ে রাজঘাটে ফিরতে বলে। ইজিবাইক ঘোরানোর সময় পাশে বসে থাকা ব্যক্তি রাজুর  মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। রাজু তখন আঘাত করা ব্যক্তির গলা চেপে ধরে চিৎকার দেন। এসময় সড়ক দিয়ে যাওয়া একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের দুই যাত্রী নেমে আসে। তাদের চিৎকারে আশপাশের মাছের ঘের থেকে লোকজন এসে ছিনতাইকারীদের ধরে পিটুনি দেয়। সুযোগ বুঝে তিন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ছিনতাইকারী ও ইজিবাইকচালকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নিলাদ্রী শেখর কুন্ডু বলেন, রাতে দুই জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এর মধ্যে একজন আগেই মারা যান। রাজুর মাথায় আঘাত ছিল। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, যাত্রী সেজে ইজিবাইক ছিনতাইকালে গনপিটুনিতে এক ছিনতাইকারী নিহত হয়। তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বয়স ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে হবে। পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ-

কারচুপি, অনিয়ম, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী (দোয়াতকলম) ছরোয়ার আলম খান আবু।শনিবার (১১ মে) সকাল ১১টার দিকে তার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মধুপুর-ধনবাড়ি থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সর্বোচ্চ প্রভাব খাটিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নগ্নভাবে প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করেছেন।


বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারগন ব্যাপক জাল ভোট দিতে সহায়তা করেছেন।তিনি আরও জানান, ২০/৩০টি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বান্ডিলে ২০/৩০ করে দোয়াত কলম এবং হোন্ডার ভোট আনারস প্রতিকের বান্ডিলের ভিতর ঢুকিয়ে ভোট গণনা করা হয় এবং ভোট গণনার আগেই ফলাফল শিট তৈরি করে মনগড়া ভাবে লিখে তা ফেইসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। 


তিনি বলেন, ফলাফল শিটে গণনাকারী অফিসারদের সাথে আমার এজেন্টদের কোনো সাক্ষর নেই। ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে ৪টায় কিন্তু ৪টা ১৫ মিনিটের সময় থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হলেও ভাইস চেয়ারম্যানদের ফলাফল রাত সাড়ে ১২টায় প্রকাশ করা হয়েছে।


এতেই প্রমানিত হয় ভোটে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন দোকানপাটের মালামাল লুট করে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন অনিয়মের কারণে অবৈধ ফলাফল প্রত্যাখান ও নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে পুনঃ নির্বাচনের দাবি জানান।এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



তানোরে সেচ অরাজকতা ও প্রচন্ড তাপমাত্রায় কমেছে ধানের ফলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে কৃষি ভান্ডার খ্যাত, খরা প্রবন এলাকা রাজশাহীর তানোর উপজেলাটি। এবারে চলতি বোরো মৌসুমে গভীর অগভীর নলকূপের সেচ অরাজকতা এবং প্রচন্ড তাপমাত্রার কারনে বিঘায় ৬ থেকে ৭ মন করে ধানের ফলন কমেছে বলে নিশ্চিত করেন কৃষকরা। গত মৌসুমে বিঘায় যদি ২৬ মন ফলন হয়েছে,  এবার কমে প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ মন করে ফলন হয়েছে। অথচ গত মৌসুমেের চেয়ে এবারে দ্বিগুণ খরচ হয়েছে প্রতি বিঘায়। অতিরিক্ত সেচ, সার কীটনাশকের বাড়তি দাম এবং শ্রমিক সংকটের জন্য  উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রচুর পরিমানে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কোন রকমে খরচের টাকা উঠেছে, তবে যারা টেন্ডার নিয়ে  জমি চাষ করেছেন  তাদের বিঘায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে।তানোর পৌর সদর এলাকার কৃষক সাহেব আলী বলেন বিল কুমারী বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু সঠিক সময়ে সেচ না পাওয়া এবং তীব্র তাপদহের কারনে বিঘায় ৬ থেকে -৭ মন ধান কম ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে ৬ বিঘায় রোপন করে বিঘায় ৩০ থেকে- ৩২ মন করে ফলন হয়েছিল।  এবার বিঘায়  ২৪-২৫ মন করে ফলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন শাওন বিলে ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করে তারও একই অবস্থা। আব্দুস সালাম সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রোপন করে ফলন কম পেয়েছে । প্রতি বিঘায়  রোপন থেকে মাড়ায় পর্যন্ত ১৯ হাজার টাকা  থেকে ২০ হাজার টাকা  আবার যাদের জমি দূরে তাদের ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কোন রকমে উৎপাদন খরচ উঠে আসছে।তানোর পৌর সদর এলাকায় সাড়ে ২৮ কেজিতে এক মন হিসেব ধরা হয়। আর পৌর এলাকার বাহিরে ৩৮ কেজিতে এক মন হিসাবে সবকিছু হয়।সাহেব জানান, গত সপ্তাহে এক মন ধান বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে। গত দুদিন ধরে কমে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘায় ২২ মন ফলন হলে ৯০০ টাকা মন ধরা হলে ১৯ হাজার  ৮০০ টাকা আসে। আবার যাদের বিঘায় উর্ধ্বে ২৫ ফলন হয়েছে ৯০০ টাকা মনে ২২ হাজার ৫০০ টাকা আসে।

কৃষক মফিজ জানান, ধান কাটার সময় তীব্র তাপমাত্রার সাথে ছিল প্রচন্ড খরতাপ। কোনভাবেই জমিতে টিকে থাকা যেত না। খাবার স্যালাইন পানি খেয়ে কোন কাজ হত না। কিন্তু জমিতে পাকা ধান কাটতেই হবে। এত কষ্ট করার পর যদি দিনের দিন সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমে যায় তাহলে কৃষকরা যাবে কোথায়। মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে ধানের দাম কমছে। অথচ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। তাহলে যে কৃষক ফসল উৎপাদন করে দেশকে খাদ্যে ভরপুর করছে সেই কৃষকদের সাথে কেন এমন প্রতারনা করা হচ্ছে। কার ইশারায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। একদিকে সেচের অভাবে কমেছে ফলন অন্যদিকে দিনের দিন কমতেই আছে ধানের দাম। আর কৃষি দপ্তর ঠান্ডা রুমে বসে রিপোর্ট দিচ্ছেন। যত মরন পা ফাটা কৃষকের। কৃষকের কথা কেউ ভাবেনা। তাহলে সেচ পানি সার কীটনাশক নিয়ে ইচ্ছে মত সিন্ডিকেট হত না।তবে কৃষি অফিসের এমন কাল্পনিক তথ্য মানতে নারাজ কৃষক রা। কারন উপজেলায় দুভাগে মনের হিসাব চলমান। ৩৮ কেজিতে একমন আবার সাড়ে ২৮ কেজি তে একমন হিসেবে ফলন কেনা বেচা হয়ে থাকে। আর কৃষি অফিস ৪০ কেজিতে এক মনের হিসাব করে থাকে। সুতরাং স্থানীয় হিসেবের সাথে কৃষি অফিসের হিসেবে অনেক ফারাক দেখছেন কৃষকরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক ব্যক্তি জানান এবার সেচ এবং প্রচন্ড খরতাপ, অতিরিক্ত তাপদহের কারনে বিঘায় ফলন কম হয়েছে এমন হিসেব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মৌসুমের হিসেব বলবত রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,  এবারে উপজেলায় ১৪ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এপর্যন্ত  ৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন ধরা হয়েছে বিঘায় হাইব্রিড সাড়ে ২৬ মন এবং উপশী বিঘায় ২৩ মন করে।স্বর্ন প্রদক প্রাপ্ত আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, বোরো মৌসুমে সেচ নিয়ে ব্যাপক অরাজকতা চলে। সময় মত সেচ দিতে চায় না। আবার অতিরিক্ত সেচ হার। আবার ছিল রেকর্ড পরিমাণ  তাপমাত্রা একারনে ফলন কম হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

আরও খবর