Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

স্যামসাং নিয়ে এল সেরা দীর্ঘস্থায়ী স্মার্টফোন – গ্যালাক্সি এ০৫!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২০০জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:[ঢাকা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩] গ্যালাক্সি ‘অসাম’ এ সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন – গ্যালাক্সি এ০৫ বাজারে নিয়ে এসেছে স্যামসাং বাংলাদেশ। দূর্দান্ত ফটোগ্রাফি সক্ষমতা আর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির সমন্বয়ে নতুন এই ডিভাইসটি নিঃসন্দেহে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে কনটেন্ট দেখার ও ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে।

সবধরণের ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যালাক্সি এ০৫ স্মার্টফোনটি কার্যকরী ও নির্ভরযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে, কারণ এতে স্যামসাং যোগ করেছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি। সেই সাথে ডিভাইসটির রয়েছে ২৫ ওয়াট সুপার-ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা, যার ফলে মাত্র ৩০ মিনিটেই ব্যবহারকারীরা ৪৮ শতাংশ চার্জিংয়ের নিশ্চয়তা উপভোগ করতে পারবেন। নতুন এই ‘অসাম’ ডিভাইসটির বিশেষত্বের তালিকায় আরো রয়েছে উন্নত সক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর, সেই সাথে চার বছরের সিকিউরিটি আপডেট ও দুই জেনারেশনের অপারেটিং সিস্টেম আপগ্রেডের দারুণ সুবিধা।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৫-এ রয়েছে ওয়ান ইউআই কোর ৫.১ এবং মিডিয়াটেক জি৮৫ প্রসেসর, সুতরাং ডিভাইসটির পারফর্মেন্স নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। দ্রুতগতির প্রসেসরটি একই সাথে কয়েকটি অ্যাপে কাজ করার ক্ষেত্রেও নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেবে। এছাড়াও ডিভাইসটিতে রয়েছে র‍্যাম প্লাস ফিচার, যা ব্যবহারকারীদের মাল্টিটাস্কিংকে আরো সমৃদ্ধ করবে।

বাজারে নতুন এই স্মার্টফোনটির ৬.৭ ইঞ্চি এইচডি+ ডিসপ্লে’তে যেকোনো বিনোদনমূলক কনটেন্ট দেখা কিংবা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার হবে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যময়, তাছাড়া এই বড় ডিসপ্লেটি প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্যও সেটটির প্রতি আকর্ষণের অনন্য কারণ। যেকোনো সময় যেকোনোখানে মজার মজার সব কনটেন্ট দেখতে যারা ভালোবাসেন, তাদের পছন্দের তালিকায় সেটটি তাই শীর্ষে থাকবে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৫-এর ৫০ মেগাপিক্সেল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা আর ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ-সেন্সিং লেন্সের সাহায্যে স্পষ্ট ও ঝকঝকে ছবি তোলা যাবে। এর ডুয়াল ক্যামেরায় সহজেই প্রিয় মুহুর্তের ছবিগুলো স্মরণীয় করে রাখা যাবে। সেটটির ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরায় তোলা সুস্পষ্ট ছবিগুলোও যে কারো নজর কাড়বেই।

“বর্তমানে প্রাত্যহিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন, আর তাই নিজস্ব ব্যবহারের ডিভাইসটি নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়া সকলের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ”, বলেন স্যামসাংয়ের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো মূয়ীদুর রহমান। ব্যাটারি আর পারফর্মেন্সের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা এমন একটি ডিভাইস বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করি, যা হাতে থাকলে ব্যবহারকারীদের একটুও ছাড় দিতে হবে না। এর ফলাফল গ্যালাক্সি এ০৫, যেটির চমৎকার ইন্টারফেস ও অভিনব সব ফিচার আমাদের ‘অসাম’ ব্যবহারকারীদেরকে উদ্ভাবনীর সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছাতে সাহায্য করবে”।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৫ ডিভাইসটি এখন অসাম সিলভার, অসাম ব্ল্যাক এবং অসাম লাইট গ্রিন – এই তিনটি রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ডিভাইসটির ৪+৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ১৭,৫৯৯ টাকা এবং ৬+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ২২,৪৯৯ টাকা।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারী হাসপাতালের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পৌর শহরের কেন্দ্রিয় মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল মাঠে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রাণীসম্পদে ভরবো দেশ গড়বো স্মাট বাংলাদেশ এপ্রতিপাদ্যের উপর প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না,সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ'লীগ সহ-সভাপতি  সেলিনা জাহান লিটা,আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা,প্রেসক্লাব (পুরাতন) সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, জাতীয় পাটির যুগ্ন সম্পাদক আবু তাহের প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাইদুর রহমান। 

উল্লেখ্য প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় এবার ৫০টি বিভিন্ন পশু পাখির স্টল স্থান পায়। অতিথিবৃন্দ স্টলগুলি পরির্দশ করেন।

আরও খবর



পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে,বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সুপ্রীম কোর্ট জাজেজ লাউঞ্জে পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এই রাবি অধ্যাপক।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে সুপ্রীম কোর্টের বিচারক, পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দসহ রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পাঁচ বছরের জন্য অধ্যাপক প্রদীপ কুমারকে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে পিএসসির সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন বলে গত ১৯ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

এতে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যেটি আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত তিনি পিএসসির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ২০১৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও ১৯৯৫ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর ২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

এরপর ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। অধ্যাপক প্রদীপ পাণ্ডে ২০০৬ সালে নরওয়ে সরকারের বৃত্তির আওতায় অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার কোর্সে অংশ নেন।

২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি রাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, এশিয়া ফাউন্ডেশন, আর্টিকেল নাইনটিনের রিসোর্স পারসন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন জার্নালে তার অর্ধশতাধিক প্রকাশনা রয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫৫জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। 
সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। 

দন্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ির জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামে। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি থেকে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে আসামী আলামের বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় অন্যান্য আসামীরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে বিভিন্ন অস্ত্র দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে ও পা দিয়ে বুকে ও পেটে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন। 

সিংকঃ এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), জজ কোর্ট, জয়পুরহাট।

আরও খবর



আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বিপদাপন্নতা থেকে সহিষ্ণুতা এবং সহিষ্ণুতা থেকে সমৃদ্ধি পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এমসিপিপিতে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের স্বপ্রণোদিত অংশগ্রহণ, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও সমাজের সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক আগেই ১৯৭২ সালে এ বিষয়ে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি উপকূলীয় বনায়নের সূচনা করেন। একই বছর ‘ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’ প্রণয়ন করেন যা ১৯৭৩ সালে উদ্বোধন করা হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষায় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের কাছে ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, ‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫-এ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে যে সকল দেশ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সমাজকে এগিয়ে আসার উপযোগী একটি নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গঠনে বাংলাদেশের বিশেষ স্বার্থ নিহিত রয়েছে। দেশের উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সার্মথ্য অর্জনে তিনি বহুবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। অভিযোজন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯ শত ৬৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সামুদ্রিক বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় বনায়ন ইত্যাদি কর্মসূচিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৫টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭০ সালে মহাপ্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। গত ১৫ বছরে আমরা পার্বত্য ও শাল বনাঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর এলাকায় বৃক্ষরোপণসহ ৮৯ হাজার ৮শ ৫৩ হেক্টর উপকূলীয় বন সৃজন করেছি। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত) প্রণয়ন করেছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কক্সবাজার জেলায় আমরা বিশ্বের বৃহত্তম ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নির্মাণ করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা জলবায়ু উদ্বাস্তু, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভূমিহীন, গৃহহীন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে জমিসহ ঘর প্রদান করেছি এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ৪২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করেছি।


আরও খবর



সেনাবাহিনী বান্দরবানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী,বলেছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

সেনাপ্রধান বলেন, গতকাল (শনিবার) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময়মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার।

শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শনে যান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর