Logo
আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

বুধবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, তিনি যদি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হন, তাহলেও তাকে আমরা ছাড়ি না, ছাড়বও না। সরকার চায়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। তাই আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততোবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। কারখানা বা প্রতিষ্ঠান মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখারও আহ্বান জানান।

আমি এক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাস করলাম, ‘৮০০’ টাকা বেতনে একজন শ্রমিক চলে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী, আবারও মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার কথা বলেন। মালিকদের মুনাফা বাড়াতে হলে, অবশ্যই শ্রমিকদের দিকে তাকাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় আমাদের শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছি। বিলাসিতা একটু কমিয়ে মালিকরা শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেবেন সেটাই আমরা চাই। কিছু ভাড়াটে লোক কথায় কথায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামায় আন্দোলন করানোর জন্য। কারখানা ভাঙচুর করায়। কারখানায় আগুন দিলে শ্রমিকদের নিজেদেরই ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে, দেশের মালিকদের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো অসুবিধা হলে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য আমার দুয়ার খোলা। আপনারা যোগাযোগ করবেন। কারও প্ররোচণা বা উসকানিতে নিজের রুটি-রুজি যেখান থেকে আসে, সেখানকার ক্ষতি করবেন না।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পণ্যের ক্রয় মূল্য বাড়ালে আমিও মালিকদের বলতে পারি, তারা যেন শ্রমিকদের সুবিধা বাড়ান। এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে বাসে ট্রাকে-আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে তারা। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিককে আমরা সহায়তা দিয়েছি। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব বলে মনে করি। মানুষের কল্যাণ করাই আমাদের প্রচেষ্টা। শ্রমিকদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আমরা যতটা আইএলও কনভেশন বা প্রটোকল সই করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ততটা করেনি। আমি যদি এখন জিজ্ঞাস করি, তারা কতটা সই করেছে? তারা জবাব দিতে পারবে না। খুব বেশি হলে দুটা করেছে। আর সেখানে কেউ আন্দোলন করলে, সাথে সাথে চাকরি চলে যায়। আর আমাদের এখানে কেউ আন্দোলন করলে আমরা তার সাথে কথা বলি, আলোচনা করি, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ আমাদের ওপর খবরদারি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যা করণীয়, আমরা করব। সে জন্য কারও দুয়ারে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না। দেশ আমাদের। আমরা চাই, শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করবেন। সব ধরনের সুবিধা পাবেন। এখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলব। আর গরমে সাবধানে থাকবেন, নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখবেন।


আরও খবর



বাঁধের কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড়! হুমকিতে পরিবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:বাঁধের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে অপরিপক্ক কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। রাজশাহী তানোর সীমান্তবর্তী বিল কুমারী বিলের বাঁধে ঘটে রয়েছে গাছ কাটার ঘটনাটি। এক সাথে এত পরিমান গাছ কাটার কারনে মরু প্রান্তরে পরিনত হয়ে পড়েছে বাধটি। সেই সাথে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশ বীদরা। এতে করে ওই এলাকা মরু প্রান্তরে পরিনত হয়ে পড়েছে। এভাবে অপরিপক্ক গাছ কাটায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন পরিবেশ বীদরা।

জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার বিল কুমারী বিলের বাধটি মোহনপুর সীমানার মধ্যে পড়ে। পৌর এলাকার বুরুজ ব্রীজ ঘাটের উত্তরে বাধের প্রায় দেড় কিলোমিটার এবং ব্রীজ ঘাট থেকে কালিগঞ্জ যাওয়ার বাধের প্রায় আড়াই কিলোমিটার বাঁধে রোপনকৃত কয়েক হাজার গাছ কেটে সাবাড় করেছেন বন বিভাগ। এসব এলাকা প্রচন্ড খরা প্রবন হওয়ার কারনে পরিবেশ বীদরা বেশি বেশি গাছ রোপন করতে বলছেন। কিন্তু বন বিভাগ সেই নির্দেশনা অমান্য করে ছোট বড় কয়েক হাজার গাছ কেটে মরু প্রান্তরে পরিনত করে ফেলেছেন।

গত এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ থেকে টানা তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ৪০ থেকে ৪২ ও ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজমান ছিল। তীব্র তাপদহের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তাপপ্রবাহের মধ্যেই বাঁধের গাছ কেটেছে বন বিভাগ।পরিবেশ বিদদের দাবি উন্নয়নের কথা বলে পাইকারি ভাবে গাছ নিধন করা হয়েছে। গাছ নিধনের কারনেই পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে। আর বাধের গাছ কাটার কোন প্রয়োজন ছিল না।  অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের অন্যতম কারন গাছ নিধন বলে মনে করেন তারা।

বাধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা জুয়েল, মাসুদ সৈকত, সোহেলসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিকরা কাজ করে বাধের গাছের ছায়াতলে বসে আরাম করত। ছোট বড় মাঝারি কয়েক হাজার গাছ কর্তন করেছে। এখন বাধ না মরু ভূমিতে পরিনত হয়েছে। গাছ কাটার পর বাধের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে পড়েছে। অযথা গাছগুলো কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা হয়েছে। তাপমাত্রা থেকে বাচতে এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকার ও পরিবেশ সংগঠন গুলো বেশি বেশি গাছ রোপন করতে বলছেন। কিন্তু বন বিভাগ তার উল্টো পথে চলছে।

মোহনপুর বন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের সামাজিক কর্মসূচির আওতায় গাছগুলো রোপন করা হয়েছিল। রোপনের পর দশ বছর হলে গাছ কাটতেই হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটা হয়েছে। কত কিলোমিটার বাধের কত হাজার গাছ কাটা হয়েছে এবং টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা কে ছিল জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিভাগীয় অফিসে গিয়ে তথ্য নিতে হবে, আমার এমুহূর্তে সরন নাই বলে এড়িয়ে যান তিনি । 

বিভাগীয় অফিসের বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামানের সাথে যোগাযোগ  করে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিসে চা খেতে আসেন সব তথ্য দেয়া হবে।মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, বন বিভাগের সামাজিক কর্মসূচি থেকে গাছ রোপন করা হয় এবং ওই গাছের দশ বছর বয়স হলে কাটার নিয়ম আছে বলে আমাকে অবহিত করেছে। আরো কিছু তথ্য নিতে হলে বিভাগীয় বন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন ইউএনও।

আরও খবর



মাগুরার মহম্মদপুর ও শালিখা উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে  মাগুরার মহম্মদপুর এবং শালিখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে । সকাল ৮ টা থেকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ভোটকে নির্বিঘ্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।  
 
মহম্মদপুর উপজেলায় ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আব্দুল মান্নান আনারস এবং কবিরুজ্জামান কবিরের শালিক পাখি মার্কার মধ্যে মূল  প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার আশা করছেন ভোটাররা। 
অন্যদিকে শালিখায় ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে শ্যামল কুমার দে এবং রেজাউল ইসলামের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দিতা হওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলছেন ভোটাররা । 

মহম্মদপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৬৪ টি ভোট কেন্দ্রে  এক লাখ ৮১ হাজার ৩৬২ জন ভোটার এবং শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫৪ টি ভোট কেন্দ্রে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটারের জন্য ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

আরও খবর



চেয়ারম্যান ফরাদের জানাযার নামাজ ও দাফন সম্পন্ন, বিভিন্ন মহলের শোক

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) চেয়ারম্যান ও ইউপি দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদ মিয়ার জানাযার নামাজ ও পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী ১-(তানোর -গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী, নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন,   উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।

জানাযার নামাজে অংশ গ্রহন করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার,  থানার  অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাবেক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান, তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক, জেলা বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, সরনজাই ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক খাঁন, বাধাইড় ইউপির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, পাচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, কলমা ইউপির চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, শিক্ষক নেতা জিল্লুর রহমান, কামারগাঁ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক, ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ হ্নদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা ধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। 

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এমপি ফারুক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল বাসার সুজন। শোক বার্তায় তারা বলেন, সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটাই বাস্তবতা। মরহুমের জীবদ্দশার গোনাহগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা মাফ করে তাঁকে যেন জান্নাতবাসী করেন এবং মরহুমের পরিবারকে যেন মহান রব ধৈর্য ধারন করার তৌফিক দান করেন। 
আরো শোক জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যানরা।

আরও খবর



নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ১১৯জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ:দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনসহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে উঠছে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ থেকে ৩৮ ও ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। প্রচন্ড গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণীকুল। ফসলি জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বহুলাংশে কমে গেছে। রোদ থেকে বাঁচতে মোটা কাপড় পরিধান করছেন। কেউ কেউ রোদে চশমা ও ছাতা ব্যবহার করছেন। স্বস্থি পেতে বার বার পানি করতে হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সুখকর কোন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এ মাসে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা ও নেই। তাই আজ বৃহস্পতিবার সকালে বৃহত্তর কৃষি প্রধান  নওগাঁ জেলার সদর,রাণীনগর,সাপাহার ও পত্মীতলা সহ ৪ উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়  এ দিন সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান এবং দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।

পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মুকিম।

সাপাহারের সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসার আয়োজনে মাদ্রাসা মাঠে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশ গ্রহণে বিশেষ এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন ওই মাদরাসার হিফযু বিভাগের পরিচালক ও উক্ত মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক।

রাণীনগর উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। এ নামাযে ইমামতি করেন, ঐতিহাসিক কুসুম্বা শাহী মসজিদের খতিব ও বেলঘরিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মোস্তফা আল আমিন।

এছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলার পাহাড়পুর বাজার মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। 

সাপাহার সরফতুল্লা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্থি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়েছে। 


আরও খবর



তানোরে কৃষি প্রণোদনায় অনিয়ম, হয়না আউশ চাষ, পেল কারা?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিগত ২০২৩ সালের ২০ মার্চ সোমবার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে কৃষকেরা মৌখিক অভিযোগ করেন। এদিকে ২০২৪ সালের কৃষি প্রণোদনার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগের তীর কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের দিকে। তবে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কারন উপজেলায় আউশ চাষ হয়না তাহলে কাদের দেয়া হল প্রণোদনা এমন প্রশ্ন প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকদের। 

জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে উপশী আউশ আবাদ  বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৭ হাজার ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের  মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে।এদিকে প্রণোদনা বঞ্চিত কৃষকদের অভিযোগ তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এমনকি জমি নাই বা কখানোই আউশের আবাদ করে না। এমন কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হলেও অনেক প্রকৃত আউশ চাষি প্রণোদনা সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। অথচ কৃষি বিভাগ থেকে তালিকা প্রণোয়নে কৃষকদের যাচাই-বাছাই করার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত ১১মে শনিবার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব রাখেন সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। 

এদিন উপজেলার  ৭ হাজার ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি পটাশ ও ৫ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ দেয়া হয়েছে। কিন্ত্ত তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের কারনে অবস্থা সম্পন্ন এবং (ভুয়া) কৃষক প্রণোদনা পেলেও প্রকৃত কৃষকেরা বঞ্চিত হয়েছে। আবার একই পরিবারের একাধিক সদস্য প্রণোদনার কৃষি উপকরণ পেয়েছে। কতিপয় কৃষি কর্মকর্তার মদদে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রকৃত কৃষককে বঞ্চিত করে (ভুয়া) কৃষকের তালিকা করেছেন বলে কৃষকদের মাঝে আলোচনা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন অধিকাংশ (ভুয়া) কৃষক প্রণোদনার উপকরণ পেয়ে বাজারের এক সার ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সরকারের মহতী উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে চলেছে। কৃষকদের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের দায়িত্ব  অবহেলার কারণে সরকারের দেয়া সহায়তা থেকে প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি এখানে দায়িত্ব নেবার পর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ডালপালা মেলেছে। এদিকে কৃষি কর্মকর্তার কাছে প্রণোদনার কৃষকের তালিকা চাইলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তালিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে এসব কৃষকের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করলেই তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাঠপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইতিপুর্বে উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেয়াঁজ চাষের জন্য ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই ধাপে মোট ১৫০ জন কৃষককে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫০ টাকা প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কৃষক প্রতি নগদ ২ হাজার ৮০০ টাকা করে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং কৃষক প্রতি উপকরণ ২ হাজার ৪৪৯ টাকা করে মোট ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্ত্ত সেখানেও কৃষি কর্মকর্তা নানা অনিয়ম করেছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।এসব নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।

উপকারভোগী একাধিক কৃষকের অভিযোগ, প্রণোদনার তালিকায় কৃষক নয় এমন ব্যক্তিসহ স্বজনপ্রীতি, এবং অল্প কিছু কৃষককে নামেমাত্র প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল। তারা বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনার প্রকল্পে যেখানে কৃষক প্রতি বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২৪৯ টাকা। বরাদ্দের টাকা কৃষকদের বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রতিটি কৃষককে বিকাশে ২৮০০ টাকা করে পাঠানোর কথা থাকলেও তালিকার অনেক কৃষক সে টাকা পায়নি। আর তালিকায় নেই প্রকৃত কৃষক। কৃষকরা বলছেন, বরাদ্দের বাকী ২৪৪৯ টাকার মধ্যে বালাইনাশক বাবদ ২১০০ টাকা, নায়লন সুতলি বাবদ ১৫০ টাকা, অন্যান্য খরচ বাবদ ১৪৪ টাকার ভাউচার প্রদান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কৃষককে দেওয়া হয়, ৫০০ টাকার পলিথিন, ৮০ টাকার বালাইনাশক (৫০ গ্রাম অটোষ্টিন), ৪৫ টাকার সুতলি। প্রতিটি কৃষক পায় ৬২৫ টাকার মালামাল। বাঁকী টাকা আত্মসাৎ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা বলেও কৃষকের মাঝে আলোচনা রয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কীটনাশক ব্যবসায়ী বলেন, 

কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের জন্য সরকারিভাবে দুলাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু তার পরেও প্রতিটি কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে আনুঃপাতিকহারে চাঁদা আদায় করা হয়েছিল। অথচ তারা দায়সারা আয়োজন করে অতিথিদের নাস্তাও ছিল নিম্নমাণের যা অত্যন্ত দুঃখজনক।  এমনকি উপজেলার দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল না।
 এছাড়াও 

অফিস সময় মেনে অফিস না করা, স্টেশনে না থাকা, সরকারি গাড়ী ব্যবহার করে রাজশাহী থেকে যাতায়াত, অফিসে এসি ব্যবহার ও বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনীতে নানা অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়েছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, আমি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অথচ কৃষি প্রযুক্তি মেলায় আমাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল না, এটা শুধু আমাকে নয়, যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের সকলকে অবজ্ঞার সামিল ছিলো। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। তিনি বলেন, কেউ সুবিধা না পেলেই নানা অভিযোগ করেন।

আরও খবর