Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আলট্রার ডেলিভারি শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:[ঢাকা, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪] দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর অবশেষে শেষ হলো! প্রি-অর্ডার নেয়া গ্যালাক্সি এস২৪ আলট্রার ডেলিভারি শুরু হয়েছে । যার মাধ্যমে আপনার দোরগোড়াতেই পৌঁছে যাবে হালের সবচেয়ে আধুনিক স্মার্টফোনটি। গ্যালাক্সি এআইয়ের সম্ভাবনায় ভরপুর এই ডিভাইসটি স্মার্টফোনের প্রতিদিনকার ব্যবহারে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

প্রি-অর্ডারে স্যামসাং ফ্যানদের অভূতপূর্ব সাড়া পায় ডিভাইসটি; ফলে প্রি-অর্ডার ইউনিটের পরিমাণ লক্ষমাত্রার ১.২ গুণ! আর এখন গ্যালাক্সি এস২৪ আলট্রা ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত স্যামসাং। নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ থেকে শুরু করে অনবদ্য সৃজনশীলতা, প্রতিদিনের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ডিভাইসটিতে সুপার ইন্টারঅ্যাকটিভ গ্যালাক্সি এআই ব্যবহার করা হয়েছে। আগামীর সম্ভাবনা উন্মোচন করবে ফোনটির অনন্য সব ফিচার; ডিভাইসটিতে ১৫ ভাষায় পারদর্শী লাইভ কল ট্রান্সলেশন ও ৩৫টি ভাষায় সহায়তা করবে এমন লাইভ চ্যাট ট্রান্সলেশন সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও, গ্যালাক্সি এআই-নির্ভর স্মার্ট ভয়েস রেকর্ডার রেকর্ডিংয়ের নোট নিতে পারবে, সেগুলো অনুবাদ করা বা সংক্ষেপ করে গুছিয়েও দিতে পারবে। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্যকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে ডিভাইসটিতে ওয়েব অ্যাসিস্ট, সার্কেল টু সার্চ ও ইনটেলিজেন্ট ডিসপ্লের মতো ফিচার রয়েছে।

গ্যালাক্সি এস২৪ আলট্রা ডিভাইসটির আধুনিক ও নান্দনিক ফ্ল্যাট ডিসপ্লেতে স্মার্টফোনে কখনই দেখা যায়নি এমন সরু বেজেল ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, ডিভাইসটিতে ডব্লিউকিউএইচডি+ রেজ্যুলুশন সমৃদ্ধ ৬.৮ ইঞ্চি এলটিপিও অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। গ্যালাক্সি নোটের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এতে একটি বিল্ট-ইন এস পেন দেয়া হয়েছে। এতে কোয়াড রেয়ার ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে, যেখানে ২০০ মেগাপিক্সেল (এফ/১.৭) ওয়াইড, ৫X অপটিক্যাল জুম সহ ৫০ মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো, ৩X অপটিক্যাল জুম সহ ১০ মেগাপিক্সেল (এফ/২.৪) টেলিফটো ও ১২ মেগাপিক্সেল (এফ/২.২) আলট্রাওয়াইড লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটিতে ৫X জুম সহ ৮কে ভিডিও ধারণ করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, এতে ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং ফিচার সহ ১২ মেগাপিক্সেল (এফ/২.২) ওয়াইড লেন্স সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।

এ বিষয়ে স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেকট্রনিকস প্রাইভেট লিমিটেড - বাংলাদেশ শাখা অফিসের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “আমাদের প্রতিদিনকার স্মার্টফোন ব্যবহারে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসতে যাচ্ছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আলট্রা। লাইভ ট্রান্সলেট, ট্রান্সক্রিপ্ট অ্যাসিস্টের মতো উদ্ভাবনী ফিচার, অনবদ্য স্পেসিফিকেশন আর দুর্দান্ত ক্যামেরা সেটআপের মধ্য দিয়ে ডিভাইসটি আপনার দৈনন্দিন সহযোগীতে পরিণত হবে। সব ধরনের কাজকে আগের চেয়ে আরও সহজ করার মাধ্যমে অমিত সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিত করবে স্মার্টফোনটি।”

ডিভাইসটিতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ প্রসেসর এবং ওয়্যারড বা ওয়্যারলেস দুইভাবেই চার্জ হতে সক্ষম শক্তিশালী ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। টাইটানিয়াম ব্ল্যাক ও টাইটানিয়াম গ্রে, এই দুইটি রঙে ১২/২৫৬ জিবির এই স্মার্টফোনটির দাম এখন মাত্র ২,৪৩,৯৯৯ টাকা।  


আরও খবর



ডেমরায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৩১৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করায় প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক এক ব্যক্তি এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের জানান গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছেন। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডেমরা থানাধীন বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, রাস্তাটি আমাদের ৪০টি পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের জন্য বিষয়টি গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার নলেজে নেই তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আসলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিপি আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, জমিটা আমার মায়ের দুই পাশের ফ্যাক্টরির জন্য এতদিন এই রাস্তাটি খোলা ছিল, কিন্তু আমার প্রয়োজনে বর্তমানে আমি রাস্তাতেই বন্ধ করে দিয়েছি, কিছু দিন আগে ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে জোরপূর্বক আমার এই রাস্তার দেয়ালটি ভেঙ্গে দিয়েছিল।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল  ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অবশ্যই স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করব।



আরও খবর



হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ভৈরবনগর গ্রামের ৪ প্রবাসী যুবকের

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২১জন দেখেছেন

Image
মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি:পরিবারের ইচ্ছে পূরণে এবং নিজেদের  স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার  বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ভৈরবনগর গ্রামের, কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লার পরিবারের চার সদস্য কাতার প্রবাসি দুলাল মিয়া , আব্দুলা , আমির হোসেন , নূর মোহাম্মদ ও পারবেছ । 

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কাতার থেকে বিমানে করে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামলেন এই চার প্রবাসী । 

এবার তাদের বাড়ি ফেরার গল্পটি সিনেমার মতোই। শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় হেলিকপ্টার ও তাদেরকে দেখার জন্য। গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠ। সবুজ সমারোহের মাঝখানে তৈরি হেলিপ্যাড। দল বেঁধে ফসলি জমির আইল দিয়ে, সড়ক দিয়ে নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন হেলিপ্যাডের পাশে বাড়ির আঙিনায়।

এমন দৃশ্যটি নবীনগর বিদ্যাকুট ইউনিয়ন ভৈরবনগর গ্রামের, কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লা পরিবারের চার সদস্য কাতার  প্রবাসীর । 

আকাশে ভেসে বেড়ায় হেলিকপ্টারের শব্দ। উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশুরা তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। সকাল ১০ টার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে ভৈরবনগর গ্রামের ফসলি জমির হেলিপ্যাডে মাঠে নামেন তারা। এসময় প্রবাসী চার ভাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীর পক্ষে বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান,ওবায়দুল হক, শহীদ মেম্বার, নজরুল ইসলাম । 

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে কাতার প্রবাসি তিতন মোল্লার পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে কাতার পাড়ি জমান। এর আগে কয়েকবার বাড়িতেও এসেছেন তারা। কিন্তু পরিবারের ইচ্ছা ও নিজেদের শখ ছিল একদিন হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে ফিরবেন। সেই শখ মেটাতে এবং পরিবারের ইচ্ছে পূরণে এবার তারা এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে।

এ সময় তাদের দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। চার ভাইকে দেখতে আসা বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারুল হক এর ভড় ভাই মো. ওবায়দুল হক বলেন, তারা খুব ভালো মানুষ। গ্রামের কারও বিপদ আপদে তাদের শরণাপন্ন হলে সাধ্যমতো সহযোগিতা করতে চেষ্টা করেন।

এ সময় কাতার প্রবাসী তিতন মোল্লা  বলেন, আমরা দীর্ঘদিন কাতারে আছি। আমাদের বাবা-মায়ের ইচ্ছে পূরণে ও নিজেদের শখ মেটাতে এবং গ্রামের মানুষ ও আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমরা ব্যতিক্রমভাবে বাড়ি ফিরি। নিজেদের শখ পূরণের পাশাপাশি আমরা সাধ্য মোতাবেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও এলাকার মানুষের পাশে থাকি। সার্বিক সহযোগিতা করি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবো।

আরও খবর



মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজন-সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৬জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শ্রীপুরে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত, ১২টি মটর সাইকেল এবং নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে জড়িত ৪ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার রাতে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়াত উল্লাহ রাজন এবং মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষ পরবর্তি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়াত উল্লাহ রাজনের একটি নির্বাচনী অফিস চালু করা হয়। এ ঘটনার পর অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রামের কর্মীরা ওই বাজারে উপস্থিত হয়ে মিছিল শুরু করে। এ সময় উষ্কানীমূলক স্লোগানের সূত্র ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিমের নেতৃত্বে মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম সমর্থকরা শরিয়াত উল্লাহ রাজনের ওই বাজারের নির্বাচনী অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। প্রতিবাদে রাজন সমর্থকরা হালিম চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করলে উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় ফিরোজ মন্ডল, মোকতার হোসেন সহ অন্তত ১৫ জন কমবেশি আহত এবং ১০ টি মটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতদের শ্রীপুরের দ্বারিয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সারা শ্রীপুরে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এ ঘটনার জন্যে উভয় চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়াত উল্লাহ রাজন এবং মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম প্রতিপক্ষকে দায়ি করে বক্তব্য দিয়েছেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

আরও খবর



ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস, পক্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৩৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর-এএফপির।

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে পাকিস্তান। পরিষদের ৪৭ সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ।

প্রস্তাবটির বিষয় ছিল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় করা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা। এই প্রস্তাবে ইসরায়েলে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। কারণ গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলে বাহিনী প্রায় ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। এতে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে এবারই প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান নিল মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্ষদ।

যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ইসরাইলকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা এ প্রস্তাবটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কাতারের হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সহকারী অধ্রাপক মার্ক ওয়েন জোনস। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, বাস্তবে এটির খুব বেশি কার্যকারিতা নেই।

এই অধ্যাপক সংবাদমাধ্যম বলেছেন, প্রতীকি অর্থে প্রস্তাবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে গাজায় ত্রাণকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত ত্রাণকর্মী নিহতের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

ইসরায়েলকে বরাবরই সমর্থন দিয়ে এসেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে এই প্রথম সহায়তা ও অস্ত্র বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন। এতে ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে বেশির ভাগ সময় ইসরায়েলের কূটনৈতিক ঢাল হিসেবে ভূমিকা রাখে ওয়াশিংটন।

তবে ইসরায়েল ও গাজায় যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, শিগগিরই ইসরায়েল তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ঘোষণা দেবে বলে ওয়াশিংটন আশা করছে।


আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর