Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

স্বাধীনতার ৫৪ তম বছরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:দিনব্যাপি নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতার ৫৪ বছর পুর্তিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি  ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের স্মরণ করেছে  খাগড়াছড়ি জেলার  মাটিরাঙ্গা  উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর ৬টা ১মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির পরে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মিত “স্বাধীনতা সোপানে” পুষ্পমাল্য অর্পণ, 
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা প্রদর্শন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের  কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে স্বাধীনতা সোপানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী। 

এর পরপরই মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী। এরপর মাটিরাঙ্গা সার্কেল, মাটিরাঙ্গা থানা,মাটিরাঙ্গা পৌরসভা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহযোগি সংগঠন,মাটিরাঙ্গা প্রেস-ক্লাব, উপজেলা আনসার ভিডিপি,বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, এনজিও প্রতিষ্ঠান ‘স্বাধীনতা সোপানে’ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় মাটিরাঙ্গা বনশ্রী বিদ্যানিকেতন  মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী। এবং দিবসটির উপর তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক পৃথক ভাষণ দেন। মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর সাথে ছিলেন।

এ সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো.মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। একই সময়ে কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন অতিথীরা। বাংলাদেশ পুলিশের একটি চৌকসদল ছাড়াও আনসার-ভিডিপি, স্কাউটস সদস্যরা অংশগ্রহণ করে।

দিবসটি উপলক্ষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চত্রুবর্তী। 

আরও খবর



কাফরুল থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওসি ফারুকুল আলমের নানামুখী উদ্দ্যোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃপ্রাচীন কালে পুলিশের সৃষ্টি হয়ে ছিলো খাজনা আদায়ের জন্য। যার কারনে প্রাচীন কালে পুলিশ মানুষের ঘাড় ধরে সরকারের খাজনা আদায় করে দিত জনগনের কাছ থেকে। সময়ের পরিক্রমায় সেই পুলিশ আস্তে আস্তে হলেও যথেষ্ট জনবান্ধন পুলিশে পরিণত হয়েছে। জনসেবায় পুলিশের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী, আড্ডাবাজ ও মানবিক ছেলে-মেয়েগুলো দলেদলে এই বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। সুতরাং পুলিশে গুণগত পরিবর্তন এখন সাদাচোখেও দৃশ্যমান, যদিও যথেষ্ট ব্যতিক্রম রয়েছে এবং ব্যতিক্রম সবসময় উদাহরণও নয়।

আজ আপনি ৯৯৯ এ ফ্রি ডায়াল করলেই পুলিশ আপনার দরজায় গিয়ে হাজির হচ্ছে। আপনি গহীন অরণ্য বা মাঝ নদীতে কোনো সমস্যায় পড়ে জাস্ট একটা কল করলেই আপনার পাশে পৌঁছে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। করোনাকালে পুলিশ তার ইতিহাসের সেরা মানবিক ও সাহসী গল্প রচনা করেছে।

আর এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের তত্ত্বাবধান ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি)চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এর দক্ষ নেতৃত্বের ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি)কে ঢেলে সাজাতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের এক অনন্য পথিকৃৎ,জনমনে প্রশংসিত এক কিংবদন্তি,বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর ভাবমূর্তি যিনি উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ডাইনামিক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিরপুর  জোনের আওতাধীন কাফরুল  থানায়  ডাইনামিক ও মানবিক অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফারুকুল আলম ।যোগদানের মাত্র ৮ মাসেই   থানার সেবামূলক বিষয়গুলো করেছেন ত্বরান্বিত,এনেছেন গতি।

এখন পুলিশ টহল দিনরাত সব সময় দেখা যায়। কিশোর গ্যাং আড্ডার জায়গাগুলো এখন পুলিশের নজরদারির মধ্যে আছে,ছিনতাই  কাফরুল এলাকায় নাই বললেই চলে ।দৌরাত্ব কমেছে ছিনতাইকারী, মাদকব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের। 

কাফরুল থানা এলাকার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনকল্যান মুখি পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি ফারুকুল আলম  বলেন,বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সোনার বাংলার অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,তার অংশ হিসেবে ডিজিটাল বাংলার পরে,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন আমরা তার হাতিয়ার হিসেবে দেশ ও দেশের জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার লক্ষ্যে যে কোনো প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে জনগণের মুখে হাসি ফোঁটানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি,যেমন এখন সামাজিক উন্নয়নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে, কিশোর গ্যাং এর উৎপাত, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, মারামারি, রাহাজানি,চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কাফরুল   থানা এলাকায় অনেকটাই কমে গেছে।আমার কাছে কোনো দুষ্কৃতীকারীদের ছাড় নাই,সে ক্ষেত্রে আমি যে কোনো প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে কাকরুল  বাসীদের নিশ্চিন্তে বসবাস করার অভয় দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।

আরও খবর



নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ আমাদেরকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শুভ নববর্ষ’ ১৪৩১। উৎসবমুখর বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’

শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদযাপন আমাদের শেকড়ের সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে যেমন লোকজ-সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমৃদ্ধ হয়, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ পূর্ণপ্রাণ নিয়ে অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়ন। এটি ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পহেলা বৈশাখ আমাদের মনে আনে নতুন তেজ। একারণেই আমরা দুর্বার প্রতিরোধে রুখে দিতে পেরেছি পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তিকে, যারা বাঙালির ঐতিহ্য নস্যাৎ করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের-এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সারাবিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তার মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। একারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল থেকে কালান্তরের পথ পরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়, আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। কবিগুরুর ভাষায়...

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক। এসো হে বৈশাখ এসো, এসো...’


আরও খবর



ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় প্রস্তুত র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঈদুল ফিতরের জামাত উপলক্ষ্যে র‍্যাবের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে,বলেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত র‍্যাব সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, চেকপোস্ট, সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। চেকপোস্ট এমনভাবে করা হবে যাতে ঘরমুখো মানুষদের হয়রানির মুখে পড়তে না হয়।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহসহ অন্যান্য ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের নামাজে ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। যে কোনো হামলা ও নাশকতা মোকাবিলার র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো জঙ্গী হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা সার্বক্ষণিক সময়ের জন্য বজায় থাকবে।

র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ট্রেনে কালোবাজারি রোধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, লঞ্চপথে হয়রানি রোধে র‍্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাসচালকদের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস চেক করাসহ বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আক্কেলপুরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক: অত:পর আত্মহত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়–য়া ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরীক সম্পর্কের পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় ওই স্বুল ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাতে আক্কেলপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত রিয়াদ (১৯) উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের কালঞ্জ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তবে ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন রিয়াদের মা ।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস পূর্বে রিয়াদের সাথে ওই শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থী সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে রিয়াদ। কিছুদিন পর অভিযুক্ত রিয়াদের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হলে সে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরেই ওই শিক্ষার্থী গত সোমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মঙ্গলবার রাতে রিয়াদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে আক্কেলপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।   

শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমার মেয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি ধর্ষক রিয়াদের যথাযথ শাস্তি চাই।

এবিষয়ে অভিযুক্ত রিয়াদের বাড়িতে গেলে তার মা নূর নাহার বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে নেই, কাজে গেছে। এরকম কোন ঘটনা আমাদের জানা নেই।

অভিযুক্ত রিয়াদ ও তার বার সাথে ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ কার জন্য মুঠোফোন নাম্বার চাইলে তা দিতে অপারগতা জানায় অভিযুক্ত রিয়াদের মা।

আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। আইনি পক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



আত্রাইয়ে তীব্র গরম,দুর্ভোগে শ্রমজীবী মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:বৈশাখের শুরুর দিন থেকেই নওগাঁয় আত্রাইয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সকাল থেকে সূর্য যেন আগুন ছড়াচ্ছে চারদিকে।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। তাপমাত্রা বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের।বিশেষ করে গাড়ি চালক ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষদের কষ্ট বেড়েছে অনেক বেশি।

তীব্র গরমে ছন্দপতন ঘটেছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। জীবিকার তাগিদে প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করেও তারা ঘর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘসময় কাজ করতে না পারায় এবং রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম থাকায় ভাটা পড়েছে তাদের আয়ে।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সূর্যের প্রচন্ড তাপে নাজেহাল অবস্থায় রিকশাচালক, পথচারী, হকার, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা বাইরে আছেন। রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা ও কেউবা আবার মাথায় মাথাল ব্যবহার করছেন। আবার গরমে হাঁপিয়ে ওঠা অনেকে ক্লান্তি দূর করতে সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে শরবত পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন।

উপজেলার তারাটিয়া ছোটডাঙ্গা গ্রামের সিএনজি চালক রায়হান আলী বলেন, সকাল ১১টার পর থেকে রোদের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। অন্যদিকে, আগের মতো ভাড়া পাওয়া যায় না।

আবার বেশি সময় ধরে রিকশা চালানোও যায় না। অল্পতেই পানি পিপাসা পায়। এত কষ্টের মধ্যেও আমাদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে রাস্তায় বের হতে হয়। কষ্ট পাচ্ছে প্রাণিকুল। এদিকে কৃষকদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মাঠের কার্যক্রম।উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, কাঠ ফাটা রোদ মাথায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। খুব বেশি সময় মাঠে থাকা যায় না। অন্যদিকে শুকিয়ে যাচ্ছে নওগাঁর নদ-নদীর পানি। ফলে চাষাবাদে ব্যবহারের জন্য পানি পেতে কষ্ট পেতে হবে চাষিদের। সব মিলিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জনজীবন।

শাহাগোলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী মতিউর রহমান তিনি বলেন, আগে এরকম গরম দেখিনি। পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। একটু হাঁটার পরপরই বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। গরমে দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় কমে গেছে।

শনিবার নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর