Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
যাত্রাবাড়িতে ছিনতাই হতে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা নবীনগরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তাঁর ছিঁড়ে একজনের মৃত্যু যাত্রাবাড়ীতে অঞ্জাত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার রূপগঞ্জে নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব বাংলাদেশে আবারো শুরু হচ্ছে বার্সা একাডেমির ট্রেনিং ক্যাম্প রেলপথ মন্ত্রী কতৃক মাগুরার নির্মানাধীন রেলপথ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন প্রচারণায় জমে উঠেছে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট

শরণখোলায় ব্যবসায়ী ও হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে সভা বদিউজ্জামান সোহাগের

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

বাবুল দাস শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:শরণখোলা উপজেলা সদরে ব্যবসায়ী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময়সভা করেছেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ, এম বদিউজ্জামান সোহাগ।

সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পূর্ব মাথার টলশেডে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ডিলারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, রায়েন্দা বাজার কমিটির সেক্রেটারী মনিরুজ্জামান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দন বাদশা, আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কালাম, মশিউর মোল্লা, ওয়াদুদ আকন, শাহজাহান জমাদ্দার বাদল, বাদশা আলমগীর আলম, খায়রুল ইসলাম শরীফ, মোঃ লিখন, ব্যবসায়ী আলিম মৃধা, আঃ জলিল প্রমূখ।

এর পূর্বে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যৌথ আয়োজনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে এক মতবিনিময় করেছেন বদিউজ্জামান সোহাগ। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বাবুল দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সোহাগ বলেন, আওয়ামীলীগ সবসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সুখে দুঃখে তাদের পাশে ছিল। আগামীতেও থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে এবং আত্মীয়স্বজন সহ এলাকাবাসীকে নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারী ভোটে অংশগ্রহন করতে হবে। সভায় বক্তৃতা করেন হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আশীষ দাস, সদস্য সচিব তাপস ভৌমিক, তপু বিশ্বাস, এ্যাড. চঞ্চল বিশ্বাস, ভবতোষ হালদার, সরানন শিকদার, বাদল মিত্র, বীরেন মন্ডল ও সুভায় রায়।


আরও খবর



শার্শার সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম, কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শার সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানাগেছে।

একাধিক অভিযোগে জানাগেছে, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু অবৈধ ভাবে জোর করে ক্ষমতার দাপটে পশু হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করে নাম মাত্র টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে। তবে কি কারনে এ বছর এই হাটের ইজারার মেয়াদ ১লা বৈশাখ শেষ হলেও নতুন করে ইজারা দেওয়া হয়নি তা নিয়ে ‌ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।

বিভিন্ন সূত্র হতে জানা গেছে, দক্ষিন বঙ্গের সব থেকে বড় শার্শার সাত মাইল পশু হাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন হাট বসে। দুই দিনের এই হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বেচাকেনা হয়। সরকারী ভাবে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকায় এই হাট ইজারা দেওয়া হয়। গত ১৩২৮ বঙ্গাব্দে সাত মাইল পশু হাটের ইজারা ডাক ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা, ১৩২৯ বঙ্গাব্দে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ও ১৩৩০ বঙ্গাব্দে এই হাটের ডাক ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। তবে নতুন বছর ১৩৩১ বঙ্গাব্দে এই হাটের কোন ডাক বা ইজারা হয়নি।যে কারনে পূর্বের ইজারাদারেরা সরকারী আইন অমান্য করে হাটের খাজনা আদায়
করছে।

সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছর ১৩৩১ বঙ্গাব্দে সাত মাইল পশু হাটের কোন ডাক বা ইজারা না হওয়ায় শার্শা উপজেলা প্রশাসন হাটের খাজনা আদায়ের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি গঠন করে দেয়। যার স্মারক সংখ্যা ০৫.৪৪.৪১১০.০০২. ১৮৫.০০৫. ২০২৪-৩৪৮(ব)। যা স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য,যশোর জেলা প্রশাসক, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান ও শার্শা সহকারী কমিশনার(ভুমি) কে অবহিত করা হয়। উক্ত কমিটিতে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কে প্রধান করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বাগআঁচড়া ইউনিাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শার্শা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, বাগআঁচড়া ইউপি সদস্য আবু তালেব, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আসমা আক্তার, বাগআঁচড়া ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভুমি) শার্শা।

একাধিক সূত্রে আরও জানা গেছে, উক্ত হাটের মেয়াদ গত চৈত্র মাসে শেষ হলেও উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া খাজনা আদায় কমিটি আজও হাটের খাজনা আদায় করতে পারেনি। যে কারনে পূর্বের ইজারা কমিটি অনিয়ম ও সরকারী নিয়ম অমান্য করে ব্যবসায়ী ও সাধারন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হাজার হাজার টাকা পকেট কাটছে। হাটে বিক্রির জন্য প্রতি পশু থেকে ১৫০ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ত মানা হচ্ছে না । যার প্রতিটি পশুর খাজনা আদায় ১৫০ টাকার বিপরীতে আদায় করা হচ্ছে ৫০০/১০০০/১২০০/১৫০০/২০০০/= টাকা করে। এ ছাড়া হাটে ৩ হাজার ব্যবসায়ীকে প্রতি ১ বছরের জন্য ৩ হাজার পাশ দেওয়া হয়েছে। সেখান থে আদায় করা হয়েছে প্রচুর টাকা।

যে কারনে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সাতমাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গদের সাথে নিয়ে অবৈধ ভাবে জোর করে পশু হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খাজনা আদায় করে নাম মাত্র টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছে । প্রতি হাটে প্রায় ১২/১৫ লক্ষ টাকা আদায় হলেও সরকারের কোষাগারে জমা পড়ছে ২লক্ষ টাকা। বাকী টাকা পকেটস্থ করছে পূর্বের ইজারাদারেরা।

হাটের একাধিক সুত্রে জানাগেছে শার্শার একজন শীর্ষ জনপ্রতিনিধির মদদে জোর করে ক্ষমতার জোরে সাত মাইল পশু হাট দখল করা হয়েছে। যে কারনে সাত মাইল পশু হাট থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সাত মাইল পশু হাটের খাজনা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল বলেন সাত মাইল পশু হাট সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। এ ব্যাাপারে কিছু বলতে পারবো না। তবে কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংক বলেন এ বছর সাত মাইল পশু হাট ইজারা হয়নি। আমরা শার্শা উপজেলা প্রশাসনকে হাটের খাজনা আদায়ের ব্যাপারে কিছুটা সহযোগিতা করি। তিনি বলেন হাটের টাকা পয়সার ব্যাপারে আমি জড়িত না।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নতুন বছরে সাত মাইল পশু হাটের ইজারা বা ডাক হয়নি।যে কারনে ৭ সদস্য বিশিষ্ঠ খাজনা আদায় কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারী ভাবে জনবলের অভাবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে খাজনা আদায় করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া হাটে কোন অনিয়ম বা দূর্ণীতির অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে অপরাধীর বিরুরেদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



রৌমারীতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের আনন্দ শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালুর পক্ষে এক বিশাল মটর সাইকেলের আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়েছে। ১২ মে রবিবার সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে চেয়ারম্যানের বাড়িতে এক ভুরিভোজ করা হয়। 

প্রায় দেড় হাজার মোটর সাইকেল ও অটোবাইকযোগে রৌমারী সদর থেকে উপজেলার কর্তিমারী, সায়াদাবাদ, শিবিরডাঙ্গি ভায়া বড়াইকান্দি, দাঁতভাঙ্গা, হাজিরহাট, পাখিউড়া হয়ে চরশৌলমারী ঘুরে চেয়ারম্যানের বাড়িতে মিলিত হয়।

উপস্থিত জনগণের সম্মুখে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, আমি শপথ গ্রহনের পর থেকেই এলাকার রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রীজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাব। মসজিদ, মাদ্রাসা কবরস্থান উন্নয়ন করে যাবো। হতদরিদ্র মানুষে ক্ষুর্দাত মেটানো, বিধবাভাতা, বয়স্ক ভাতা দিতে কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না। কেহ আমার কথা বলে নিতে চাইলে তাকে হাতে নাতে ধরে দিবেন। সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা পরিষদকে কেবল পরিষদ নয় বরং সেবাকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে চাই। কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হবে না। কোন বিশৃঙ্খল ছাড়াই হাজার হাজার লোকের ভুরিভোজ শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হয়।



আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:সোমবার (২৯ এপ্রিল) শুরু হওয়া বন্দুক যুদ্ধে চার আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, আরও চারজন আহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার শার্লটের একটি বাড়িতে পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার অভিযানের সময়।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনেবলা হয়, নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লটে ওয়ারেন্ট বাস্তবায়নের সময় ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই গুলির ঘটনায় আরো ৫ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

পুলিশ জানিয়েছে, একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে একটি ব্যারিকেড দেয়া বাড়ির সামনের উঠানে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গোলাগুলি ও বন্দুক হামলার এ ঘটনা প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপি স্থায়ী ছিল।

পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় দুই বন্দুকধারী জড়িত ছিল। আহত অফিসাররা ইউএস মার্শাল সার্ভিসের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের অংশ।

শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ প্রধান জনি জেনিংস বিবিসিকে বলেন- ‘অফিসাররা সামনের উঠানে একজন আততায়ীর দিকে বন্দুক তাক করে ছিলে। এসময় গুলি চালানো হয়। পরে বাড়ির ভেতরে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ওপার থেকে পাল্টা গুলি চালানো হয়। গোলাগুলি ২ ঘণ্টা ধরে চলছিল।

সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ির ভেতরে থাকা আরো দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

এদিকে শহরের এক পুলিশ কর্মকর্তা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ এখনো এই ঘটনায় হতাহত কোনো কর্মকর্তার নাম বা জড়িত সন্দেহভাজনদের নাম প্রকাশ করেনি।

শার্লট শহরের মেয়র ভি লাইলস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকে শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ অফিসার এবং ইউএস মার্শালদের ওপর গুলির ঘটনায় তিনি গভীরভাবে দুঃখিত।


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সরগরম তানোরের নির্বাচনী মাঠ, এগিয়ে ময়না

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:তীব্র তাপদহে প্রার্থীদের দিনরাত প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। আগামী ৮ মে বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তানোর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। তবে সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিন টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদহের কারনে প্রার্থীরা প্রচারণা তেমন ভাবে করছেন না। কিন্তু শেষ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারন ভোটে ক্ষমতা সীন দলের একাধিক  নেতারাই প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি ও জামায়াত ভোটে অংশগ্রহণ না করার কারনেই তেমন একটা আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আবার তীব্র গরম ও বোরো ধান কাটা মাড়ায় চলছে ভরদমে।
জানা গেছে, গত নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করার কারনে ক্ষমতা সীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন ভোটের মাঠ ।। এরই প্রেক্ষিতে এবারে দলীয় প্রতীক ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।  আগামী ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি  লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে নিয়ে ভোট করছেন। ময়না বিগত ২০১১ সালে উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে উপজেলা বাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের মাঝে নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান করার কারনে ২০১৬ সালে পুনরায় কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে ২০১৯ সালে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দক্ষতার কারনে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

দলীয় নেতাকর্মী জানান, লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত সৈনিক। বিগত স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কখনো নৌকার বিরুদ্ধে বা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন নি। যার কারনে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। 

বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তালন্দ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি তালন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। ইউপির প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। সবার মাঝে ময়নার আলাদা গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে। আসা করছি ময়নার কাপ পিরিচ প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করবে।
সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, তানোরে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিগত ২০০৯ সালে প্রথম উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দল থেকে ওই সময়ের উপজেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী কে চেয়ারম্যান পদে  মনোনায়ন দেয়া হয়। কিন্তু তাকে পরাজিত করতে আব্দুল্লাহ আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করেন। এভাবেই মামুন দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করেছেন। এখন পদ পদবি হারিয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। অথচ মামুন কে তানোরের মাটিতে দেখায় যায় না। যারা গত জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছিলেন তারাও ভুল বুঝতে পেরে ময়নার কাপ পিরিচ কে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে মামুনের গ্রহণ যোগ্য তা কতটুকু। 

কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারন আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে জোরালো ভূমিকা পালন করছেন। মুলত একারনেই আশা করা যায় বিজয়ের ব্যাপারে। তবে কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে উপজেলার আপামর জনতা কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয় করবেন।আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তিনিও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। 

এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে একজন সোহেল রানা। তার বাড়ি তানোর পৌরসভার হরিদেবপুর গ্রামে। সে পৌর মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই। রানা বিগত ২০১৯ সালে চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কলমা ইউপির সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তানভীর রেজা। তার বাড়ি কলমা ইউপির আজিজপুর গ্রামে। তিনি প্রথম বারের মত চমশা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

এদিকে মহিলা  ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সোনিয়া সরদার। সে গত ২০১৯ সালে কলস প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাগরী ভৌমিক। তিনি ফ্যান প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন। নাসিমা নামের আরেক জন সেলাই মেশিন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। 

আরও খবর



কুষ্টিয়ায় রক্তের দাগ না শুকাতেই আবারও রক্তপাত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ ঘটনার সূত্র পাত ১১/০৪/২০২৪খ্রীঃ সকাল ৬ঃ৪০মিনিটের দিকে গোস্ত কিনতে গিয়ে দুপক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামে আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন সাবেক মেম্বার।গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর মধ্যে আজ ঈদের নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব ছিল। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ 'ঘটনাস্থলের কয়েকটি ভিডিও দেখে মনে করেছিলেন, এই সংঘর্ষ পূর্বপরিকল্পিত। ঈদগাহে আসার পথে বাক্কার গ্রুপের লোকদের উপর হামলা করেন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি শোটা দিয়ে সংঘর্ষে বাক্কার গ্রুপের যোয়াদ মণ্ডল, আব্দুল্লাহ, শাহীন ও বাবু এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা ও মিন্টু আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে যোয়াদ মণ্ডলের অবস্থা গুরুতর। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।আহত সবাই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গুরুতর অহত ব্যাক্তিকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। পরবর্তীতে আবু বক্কার সিদ্দিকের সমর্থকরা ২৪/০৪/২০২৪ খ্রীঁঃ তারিখে সন্ধার সময় শহীদ তেল পাম্পের সামনে থেকে আবুল হোসেন মেম্বারের সমর্থিতরা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। মারাত্মক জখম হন ,এতে উভয় পক্ষের থানায় মামলা হয়।পরে উভয় পক্ষ জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায়। গত ১৭ ই মে ২০২৪ইং শুক্রবার দুপুরের দিকে আবু বক্কর প্যানেলের সমর্থক আজিব মন্ডলের ছেলে সিএন জি চালক নাসের (৩৭) কে মাঠে ধানের জমিতে পানি নিতে গেলে এলো পাতারি ভাবে হোসেন মেম্বরের গ্রুপের লোকের হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন। আজ ১৮ ই মে শনিবার সকল ১১ টার দিকে ব্র্যাক নাসর্রী সংলগ্ন ব্রীজ কাছাকাছি স্থান থেকে মৃত জিয়ারত মন্ডলের ছেলে রিয়াজুল(৪২) কে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন মেম্বারের গ্রুপের লোকজন। 
 
স্থানীয় এলাকার সাধারন জনগণ বলেন, দীর্ঘ এই রেশারেশিতে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষেরা খুব কষ্টে আছি । তারা বলেন, দুই গ্রুপের দুই এলাকা দখলে রয়েছে আবু বক্কার সিদ্দিক সমর্থিতরা বাজার দখলে আর আবুল হোসেন সাবেক মেম্বারদের সমর্থিতদের কৃষি মাঠ দখলে। বর্তমানে গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষের যে রুপ তা যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এমন অবস্থার পরিবর্তন চান। তারা আরও বলেন , আমরা বাড়ি ঘরে দাড়াতে পারছি না, বাইরে কোথায় গেলেও আতঙ্কে থাকি কখন কি হয় বাড়ি থেকেই বা কি সংবাদ আসে। আমরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এলাকায় শান্তি শৃংখলায় কঠোর ভূমিকা রাখার জন্য । 
 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, সংঘর্ষে লিপ্তথাকা বেশ কয়জনকে আটক করা হয়েছে। প্রতিটা ঘটনার মামলা হয়েছে, সংঘর্ষে জড়িত থাকা বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।

আরও খবর