Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
কোনাপাড়া আল আমিন রোডে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শত্রুতা নয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র, অংশীদারত্ব চান শি জিনপিং ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ: কর্মীদের সুরক্ষায় রেলের নির্দেশনা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু

সরিষা উত্তোলন শুরু তানোরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৭৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে সরিষা কাটা মাড়ায় শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। তবে ফলন ও দামে অসন্তোষ চাষীদের। কারন বিগত বছরের তুলনায় চাষাবাদে খরচ বেশি হয়েছে। সার কীটনাশক ও সেচের খরচ আগের চেয়ে বাড়তি। 
কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির বাবুল জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ৬ মন ফলন হয়েছে।

কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, চকপ্রভুরাম গ্রামের জসিমউদদীনের ১ বিঘা, আলমের ৪ বিঘা রহিদুলের এক বিঘা, খোকনের তিন বিঘা, সোবহানের দেড় বিঘা জমিতে সরিষা উত্তোলন করে মাড়ায় করেছেন। বিঘায় কারো ৫ মন, কারো ৬ মন, ঊর্ধ্বে ৭ মন করে ফলন হয়েছে। 
সুমন নামের আরেক চাষী জানান, ২ বিঘা জমিতে সরিষা মাড়ায় করে ১২ মন মত ফলন পেয়েছি। 

আব্দুল ও আইয়ুব নামের চাষীরা জানান, দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে মাত্র ৫ মন ফলন পেয়েছি। কম ফলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, সরিষায় কয়েক বার রোগ হয়েছিল। মুলত একারনে ফলন কম। গতবার ভালো ফলনও পেয়েছিলাম এবং দামও ভাল ছিল। কিন্তু এবারে লোকসান গুনতে হয়েছে। তমিজ এক  বিঘাতে মাত্র ৪ মন ফলন পেয়েছে। 

তারা আরো জানান, এবারে সরিষা চাষ হয়েছে প্রচুর। কিন্তু রোগবালার কারনে ফলন অনেক কম হয়েছে। এজন্য আগামীতে অনেকেই সরিষা চাষ করবেন না। কারন একবিঘা জমি আলু করতে দিলে ১৪/১৫ হাজার টাকা পায়। আর সরিষা ভাল হলেও বিঘাতে ঊর্ধ্বে ৬ মন হবে। বিঘায় খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা করে। বর্তমান বাজারে একমন সরিষা বিক্রি হচ্ছে ১৮/২০ হাজার টাকা। ৬ মনে ২ হাজার টাকা মন হলে ১২ হাজার টাকা আসে। সব বাদ দিয়ে বিঘায় ৫ হাজার টাকা লাভ থাকছে। আর আলু করতে দিলে ১৪ হাজার পাওয়া যাচ্ছে। একারনে সরিষা চাষে অনাগ্রহ চাষীদের। 

তবে তালন্দ এলাকার চাষী মেহেদী জানান, দুবিঘা জমিতে সরিষা মাড়ায় করে ১০ মন ফলন পেয়েছি । ওই এলাকার আরেক চাষী মাহবুব আলম সাড়ে তিন বিঘা জমিতে সরিষা মাড়ায় করে ২১ মন ফলন পেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, উপজেলায় এই প্রথমবারের মত ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যা ইতিপূর্বে কখনো চাষ হয়নি। গত বছর ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। উপজেলার পাড়া মহল্লায় সরিষা চাষে কৃষক দের উদ্বুদ্ধ করন, কৃষক মাঠ দিবস সহ নানা ভাবে আগ্রহ তৈরি করার কারনেই এবারে রেকর্ড ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও চাষীদের মাঝে সার্বক্ষণিক তদারকির কারনে ফলনও ভালো হয়েছে। হেক্টর প্রতি ১ দশমিক ৫ মে;টন ফলন ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ১৫ হাজার ৩০০ মে;টন সরিষার তেল উৎপাদন হবে। অন্য আবাদের তুলনায় সরিষা চাষে খরচ অনেক কম। কোন চাষীর লোকসান হবে না। সরিষা চাষে যেমন তেলের চাহিদা পূরুন হয় ঠিক একই ভাবে গোখাদ্যের প্রধানতম খাবার খৈল তৈরি হয় এবং  জালানি হিসেবেও ব্যবহার হয়। তিনি আসা প্রকাশ করে বলেন আগামীতে উপজেলায় আরো বেশি পরিমাণ সরিষা চাষ হবে।

আরও খবর



"জিম্মি নাবিকদের অল্প কিছুদিনের মধ্যে আনা হবে"

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে অল্প কিছুদিনের মধ্যে ফিরিয়ে আনার আশা প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিককে সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনতে কার্যক্রম চলছে। যদিও কবে উদ্ধার হবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। তবে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের আনা হবে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই চলতি মাসেই একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করছি’, যোগ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।


আরও খবর



মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেই সাথে দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দু’বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক তহিদুল ইসলাম আসামী জাহিদুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের উত্তর উজিলপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ভুক্তভোগী রেবা খাতুন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী সুবাদে আসামী জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হকের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জাহিদুল হক রেবাকে ৫০ 'হাজার টাকায় জর্ডানে ভাল চাকুরীতে প্রেরণের প্রস্তাব দেয়। সরল বিশ্বাস রেবা খাতুন জাহিদুলের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। পরে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর রেবা খাতুনকে জর্ডানে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যান। ০৪ দিন পর রেবাকে রেখে জাহিদুল চলে যায়। পরে রেবা খাতুন টাকা ফেরত চাইলে জাহিদুল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেবার ভাবি গাজু খাতুন আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যার নাম্বার ২৯/২০১৪।

মামলাটি মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই দুলু মিয়া ও এসআই ফারুক হোসেন তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় সরকারী কৌশলী ছিলেন একে এম আছাদুজ্জামান।


আরও খবর



তাহসান-মিথিলা বিচ্ছেদের পর ফের ‘একসঙ্গে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি: ২০০৭ সালে বিয়ের করেন শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। এরপর ২০১৭ সালের মে মাসে আচমকা  বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ। তারপর দুজন দুদিকে। তবে সন্তানের কারণে দুজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এখনও অটুট।

অবশ্য বছর দুয়েক আগে একটি ই-কমার্স সাইটের লাইভ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। তবে কখনও পর্দা ভাগাভাগি করতে দেখা যায়নি। তবে তাহসান মিথিলা ভক্তদের জন্য সুখবর হল- সাত পর্বের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন এই জুটি। ‘বাজি’ শিরোনামে এটি নির্মাণ করছেন ‘মাটির প্রজার দেশ’ খ্যাত নির্মাতা আরিফুর রহমান।

জানা গেছে, ওয়েব সিরিজটির কিছু ধাপের শুটিং হয়ে গেছে। একটি ফোরস্টার মানের হোটেলে মাস দুয়েক আগে হয়েছে শুটিং। তাহসান মিথিলা ছাড়াও সিরিজে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয়শিল্পী। সিরিজটিতে তাহসান অভিনয় করছেন একজন ক্রিকেটারের চরিত্রে। আর মিথিলাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের চরিত্রে।


আরও খবর



ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুলল চীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় আলাদা ভিসা কেন্দ্র চালু করেছে চীন দূতাবাস,বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে প্রাসাদ সেন্টারে চীনের ভিসা সেন্টারের উদ্বোধন করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

চীন দূতাবাস জানিয়েছে, এ কেন্দ্র চালুর পর সাধারণ পাসপোর্টধারীদের আর দূতাবাসে যেতে হবে না। তবে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের দূতাবাসে গিয়েই ভিসার আবেদন জমা দিতে হবে।

এ সময় ইয়াও ওয়েন বলেন, এর মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সর্ম্পক আরও দৃঢ় হবে। বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি যাতে চীনে যেতে পারে, সেজন্যই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে চীন দূতাবাস।

লোকবলের স্বল্পতা ও ভিসা প্রাপ্তিতে বাড়তি সময়ের মধ্যেও গত বছর প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার বাংলাদেশি চীনা ভিসার আবেদন করেছে বলেও তথ্য দেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকাসহ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চীনা ভিসা কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৩টিতে দাড়িয়েছে। যেগুলোর অবস্থান ৫৫ দেশ ও অঞ্চলে।

২০২৩ সালের ১৫ জুন থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনের পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে নিয়ে আসার পর ভালো সাড়া পাওয়া গেছে বলেও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন ইয়াও ওয়েন।

তিনি বলেন, ভিসা ফর্ম পূরণ, আবেদনের সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ জমা এবং অনলাইন সাক্ষাৎকারের মতো সুযোগ তৈরির পর ‘উল্লেখযোগ্য’ ফল পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪৪ হাজার ভিসা ইস্যু করা হয়েছে ১০ মাসেরও কম সময়ে।

চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, দূতাবাস কর্তৃক ধার্যকৃত ভিসা ফি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক্সপ্রেস সার্ভিস ফি’র পাশাপাশি আবেদনের জন্য একটি ফি দিতে হবে। আবেদনের বিস্তারিত জানা যাবে ভিসা কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে (visaforchina.cn)

ছুটির দিন ছাড়া ভিসা কেন্দ্র খোলা থাকবে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার। আবেদন জমা এবং ফি জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

সাধারণ পাসপোর্টধারীদের চীনের ভিসার জন্য শুরুতে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে ভিসা কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে লগ-ইন করতে হবে। পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য যেতে হবে ভিসা কেন্দ্র।


আরও খবর



দুঃস্থদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ ও একসঙ্গে ইফতার করলেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে  জেলা পুলিশের আয়োজনে অসহায়  ও দুঃস্থদের  মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ  ও একসঙ্গে ইফতার করলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

শুত্রুবার (৫এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার  সুপার  মুক্তাধর পিপিএম (বার) এর  সামাজিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমূলক কাজে নিয়মিত অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় পানছড়ি থানায় অসহায় ও দুঃস্থদের  মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং তাদের সাথে একই সঙ্গে ইফতার করেন। 

অসহায়  এবং দুঃস্থ ব্যক্তিরা পুলিশ সুপারের সাথে একসাথে ইফতার করতে পেরে এবং তার থেকে ঈদ উপলক্ষে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন।  এ সময় প্রায় ৩০ জনের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং একসাথে ইফতার করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তাধর পিপিএম (বার)  বলেন,  আমরা চাই সব সময় আমাদের আনন্দ  গুলোকে ভাগাভাগি করে নিতে। এখন সিয়াম সাধনার মাস চলতেছে এবং কিছুদিন পরেই ঈদুল ফিতর, মুসলমানদের অন্যতম  আনন্দের দিন। সমাজের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষজন এই সিয়াম সাধনার সময় একটু ভালো করে সেহরি করবে, ইফতারি করবে, এ সুযোগগুলো খুব কমই হয়। আবার সামনে ঈদুল ফিতরে প্রত্যেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদ আনন্দের জন্য কেনাকাটা করবে। আনন্দগুলোকে উদযাপন করবে। এক্ষেত্র সমাজের অসহায় এবং দুস্থ মানুষ গুলো অনেক পিছিয়ে। সমাজের এ শ্রেণীর মানুষ গুলোর দিকে যদি আমরা একটু তাকাই, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দেই আনন্দ করার জন্য, একটু ভালো করে ইফতার করার জন্য, তাহলে তাদের আর আনন্দের কোন সীমা থাকেনা। এভাবেই আমরা আমাদের আনন্দগুলি তাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারি। 

একজন দুঃস্থ পুরুষ  ঈদ উপহার  সামগ্রী পেয়ে  ও একই সাথে  ইফতার করার পর তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে যেয়ে বলেন,  আজ আমি খুবই খুশি খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মত একজন বড় অফিসারের সাথে ইফতার করতে পেরেছি তিনি আমাদেরকে ঈদ উপহার দিয়েছেন। আমাদেরকে একটু আনন্দ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা এ রমজান মাসে একটু ভালো খাবার মাধ্যমে  ইফতার করতে পারি না। ঈদের সময় পুরাতন জামা কাপড় পড়তে হয়। কিন্তু স্যারের কল্যাণে এতটুকু দুঃখ মুছে গেল। স্যারের আল্লাহ ভালো করুন। 

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর