Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২০১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ এ সমতায়। নির্ধারনী ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৮ রানে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

শনিবার (৯ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। দলীয় সর্বোচ্চ ৫৫ বলে ৮৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস। ১৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ বলে ৭ রান করা লিটন দাসকে আউট করেন লঙ্কান স্পিনার ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা।

এরপর থুশারা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে হ্যাটট্রিক করেন । এই লঙ্কান পেসারের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান শান্ত, তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন থুশারা।

এরপর দলীয় ২৪ রানে ১০ বলে ১১ রান করা সৌম্যকে আউট করেন থুশারা। সৌম্যের বিদায়ের পর সাজঘরের পথ ধরেন জাকের আলি অনিক।

এরপর রিশাদ হোসেন ও মাহেদি হাসান মিলে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৭৬ রানে ২০ বলে ১৯ রান করে আউট হন মাহেদি।

ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন রিশাদ তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে । ২৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন রিশাদ। তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন তিনি। তবে দলীয় ১১৭ রানে ৩০ বলে ৫৩ রান করে আউট হন রিশাদ।

এরপর শরিফুলকে আউট করে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন থুশারা। শেষ ব্যাটার হিসেবে তাসকিন আউট হলে ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।


আরও খবর



বাংলাদেশ ঈদ উদযাপন করবে কাল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ বুধবার দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। আজ ইফতারের পর পরই পশ্চিম আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রমজান পূর্ণ হয়েছে।

ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লার ঈদগাহ ময়দান। ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ছাড়াও দুই সিটি করপোরেশন আরও ৩৬০টি জামাতের আয়োজন করেছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম ও মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে প্রধান জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ঈদের দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বরাবরের মতো পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা এবং সকাল ১০টায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জামাত হবে। পঞ্চম জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ রাজনীতিকরা আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


আরও খবর



হামিদপুর ইউনিয়নের পাতরা পাড়ায় সংসদ সদস্যের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির পাতরাপাড়া গ্রামে অবস্থিত মানব কল্যাণ ভোগ্য পণ্য সমবায় সমিতির উদ্যোগে দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পাতরা পাড়া গ্রামে সমবায় সমিতির কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানব কল্যাণ ভোগ্য পণ্য সমবায় সমিতির সভাপতি হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল এর পুত্র নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে শতাধিক গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করেন। দোয়া মাহফিলে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বর্তমানে তিনি ভারতের ভেলোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন, তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন গ্রামবাসী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাতরাপাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সাধারণ গ্রামবাসী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ বিষয়ে নূর মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি আমাদের বাড়িতে অবস্থান গ্রহণ করেন। তখন থেকেই আমাদের পরিবারের সঙ্গে অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এই এলাকার ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক সফল মন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য আ্যডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আমরা তার সুস্থতা কামনা করে আজকে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি, তার জন্য দোয়া করছি আল্লাহ্ধসঢ়;;আলা যেন তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রইস উদ্দিন। এ সময় প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ২ জনের মৃত্যু ॥বিধস্ত অন্তত ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি ॥ আহত- ৩৫

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপরে পড়েছে কয়েক শত গাছপালাসহ বিদু্যুতের খুটি। এ সময় ঘর চাঁপায় ও বজ্রপাতের আঘাতে মোঃ হারিছ (৭০) ও বাচ্চু (৩৫) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-শিশু সহ অন্তত ৩৫ জন। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে জেলার মনপুরা, লালমোহন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এ ঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার মুখভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও লালমোহন। দুই উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় দুই শত ছোট বড় গাছপালা সহ উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাছাড়া বিদ্যুতের তার ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ উপরে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকেই হয়ে ওঠে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। দেখা দেয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস এর সাথে বজ্রপাত। হঠাৎ করে বেড়ে যায় বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমান। এরপর ১১টার দিকে বাতাসের পরিমান বেড়ে গিয়ে রূপ নেয় কালবৈশাখী ঝড়ে। মূহুর্তের মধ্যে জেলার মনপুরা, লালমোহন সহ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়।উপড়ে পড়েছে দুই শাতাধিক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে কয়েক ঘন্টা যাবত বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ঘর চাঁপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে এক ভিক্ষুক নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) বছরের আরো এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে আড়াইশত ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত পঞ্চাশটি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। কৃষি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে প্রাণহানিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।

এদিকে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, ৭ এপ্রিল সকালে আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ব্যাপক ঝড় হয়। উক্ত ঝড়ে দুই উপজেলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ লালমোহন উপজেলায় ১ জন ঘর চাঁপায় ও ১ জন বজ্রপাতে মারা যান। নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত সকল পরিবারের মাঝে নগদ ১০ হাজার করে আমার পক্ষ থেকে অনুদান দেই। সেই সাথে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসন সহ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার নির্দেশ প্রদান করেছি। আমি ওমরা পালনের লক্ষে স্ব-পরিবারে বর্তমানে পবিত্র মদিনায় অবস্থান করছি। ওমরা শেষ করে নির্বাচনী এলাকায় ফিরে ঝড়ে আহত, নিহত ও ক্ষতিগ্রসন্ত পরিবারের মাঝে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ্। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

অপরদিকে ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপাঞ্চল। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শাতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়।

এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ঝড়ের কবলে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা আকাশের নিচে রয়েছে প্রতিটি পরিবার। এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিন সেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে ঝড়ের কবলে অনেকের মাছের ট্রলার ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে শিশু সহ ১১ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৫ জনকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় থেকে ১ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টাব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তান্ডবে এই সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে আহত ১১ জন হলেন, আল আমিন, ফাতেমা, তানভির, লিটন, হেলাল, হানিফ, আরতি বালা, মনির, সানজিদা আক্তার, জরিনা, শাকিল, ফরিদ ও ইব্রাহীম। এদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরের মালিকরা হলেন-উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের সোলেমান, কাশেম বেপারি, রিয়াজ, কৃষ্ণমোহন, তীপাংকর, মাইনুদ্দিন, রবি আলম, হাফেজ সোহরাব, রিয়াজ, সোনারচর গ্রামের কাসেম,ফরিদ, কবির, পূর্ব সোনারচর গ্রামের আবদুল্লাহ, ছলেমান, গোপালচন্দ্র দাস, জসিম, গিয়াস উদ্দিন বেপারি, নিরব, কাসেম মিয়া, হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী কবিরের মুদি দোকান ঘর, চরফৈজুদ্দিন গ্রামের মনির, আবুতাহের, সাহাবুদ্দিন , মাফুল্লা মাঝি। অপরদিকে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলম বাজার সংলগ্ন আবদুল হাশেম,দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজারের হারুন চৌকিদার, বাবুল পিটার, আঃ রহমান হাজারী ও সহিদ হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আধা ঘন্টা ব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টির তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয় উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট, সোনারচর ও চরফৈজুদ্দিন গ্রামে। এই সমস্ত এলাকায় আনুমানিক ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ঝড়ে তান্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের তান্ডবে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়াও চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

উপজেলার ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশত ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়। এমপি মহোদয় তাৎক্ষনিক একলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াইশত থেতে তিনশত ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মাঠে ক্ষয়-ক্ষতির নিরুপন করা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, হাঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আমাদের উপজেলার শতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০টিরও বেশি ঘর পুরোপুরি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো বেশি।

যদিও আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপন করার কাজ করছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে ও উপড়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে মনপুরা, লালমোহনসহ কয়েকটি উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। যদিও পল্লি বিদ্যুৎ এবং ওজোপাডিকোর মাঠ কর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য জেলা প্রশানের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিজিএফ এর চালসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যপারে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমান প্রাথমিক ভাবে বলা না গেলে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে চালসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার ও ঔষধপত্র দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে ঘরের নিচে চাঁপা করে মারা যাওয়া ব্যক্তি ও বজ্রপাতে মারা যাওয়া ২ ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ডেমরায় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ৬৬ নং ওয়ার্ডের ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো একটি রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ব্যানারে শনিবার সকাল ১১ টায় ঐ রাস্তার সামনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের মাঝখানে দেয়াল তুলে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে লিপি আক্তার নামে এক নারী। এতে প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে এই সড়কের মাঝে উত্তোলন করা দেয়াল ভেঙে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। অবিলম্বে এই সড়কটি অবমুক্ত করে দেওয়া না হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ ওয়াসার খাবার পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হবে, সুয়ারেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যতে বৃহত্তম কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দেন তারা।

মানববন্ধন থেকে স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এবং ডেমরা থানা অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ থাকে যে গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটাউনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক একজন এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তারা।


আরও খবর



মধুপুরে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৮জন গ্রামপুলিশকে পুরস্কৃত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃমধুপুরে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৮জন গ্রামপুলিশকে পুরস্কৃতটাঙ্গাইলের মধুপুর থানা ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান, যিনি একের পর এক বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নানাবিধ অপরাধ, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদক, চুরি ডাকাতি সহ বিভিন্ন বার্তার মাধ্যমে অপরাধীদের নতুন নতুন কৌশল সম্পর্কে জনসাধারণকে সতর্ক করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন।যিনি সব সময়ই পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশের কাজের গতি ও জনসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করে থাকেন।

তিনি মধুপুরে এসেই এবং বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে  জনসাধারণের সাথে মিশে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।আর এরই অংশ হিসেবে তিনি গ্রাম পুলিশকে চৌকস করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। যা অতীতে কোনো পুলিশ অফিসার এ বিষয়গুলো নজরে আনেনি।এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থানা পুলিশকে সহায়তা করার জন্য প্রতি ৩ মাস পরপর গ্রামপুলিশকে মধুপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়।

মঙ্গলবার (৯এপ্রিল) সকালে মধুপুর থানা প্রাঙ্গণে ৮জন গ্রামপুলিশকে ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১টি করে পান্জাবি ও শাড়ি ঈদ উপহার হিসাবে প্রদান করেন থানা ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান।এর ফলে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অপরাধ অনেকাংশেই কমে গেছে যা অতীতে কোনো পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে সম্ভব হয়নি। এই ঈদ উপহার প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন এসআই আপেল মাহমুদ সহ আরও অন্যান্য পুলিশ অফিসারগন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর