Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সৌদি আরবস্থ রিয়াদে মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার:সৌদি আরবে উদ্‌যাপিত হলো মহান বিজয় দিবস। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানী রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে দিবসটি উদ্‌যাপিত হয়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও রিয়াদস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনও।
 
বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রধান কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেন। আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
 
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, সৌদি আরবে বসবাসরত নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি ভালোবাসা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানা ও জানাতে হবে।
 
রাষ্ট্রদূত মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান উল্লেখ করে বলেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাঙালিদের বীরত্বগাঁথা সম্পর্কে জানাতে হবে। এছাড়া নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি ভালোবাসা অনুধাবনের জন্য শেকড়ের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
 
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার নেতৃত্ব ও নিহত ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও নির্যাতিত দুই লক্ষাধিক মা-বোনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
 
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সারাজীবন উৎসর্গ করেছিলেন একটি সুখী সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের কাছে এক রোল মডেল বলে বিবেচিত।
 
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,রিয়াদ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সৌদি আরবস্থ ফেনী প্রবাসী ফোরাম এর সভাপতি,কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী
বক্তব্যে কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন,দীর্ঘ ৯ মাস হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো এক শক্তিমান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধ করেছিলেন দেশের সব ধর্ম, বর্ণ, ভাষার বীর সন্তানেরা।৩০ লাখ মানুষের প্রাণ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল সম্পদহানির ভেতর দিয়ে মুক্তির সংগ্রামে সফল হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ছিনিয়ে এনেছিলেন চূড়ান্ত বিজয়।জাতিকে মুক্ত করেছিলেন পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে।জাতি আজ এই বিজয়ের আনন্দের দিনে গভীর কৃতজ্ঞতা ও পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি  স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর সন্তানদের।ও ধন্যবাদ জানাই সৌদিআরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী’কে উক্ত অনুষ্ঠানে আমাকে কিছু বলার সুযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য ।

আরো উপস্থিত ছিলেন,প্রকৌশলী তানভীর সিকান্দার, ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব ও মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন। বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় অর্জন ও দেশের সার্বিক উন্নতির ওপর আলোকপাত করেন।

বক্তব্যে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য প্রবাসীদের আহবান জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বর্তমানে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
 
আগামী দিনে সৌদি আরব বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা বানিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের বিজনেস ফোরাম গঠিত হয়েছে, যার আওতায় ইতোমধ্যে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় চোরাই মটর সাইকেল ও চোরাই মালামাল উদ্ধার ৩ চোর আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরায় অভিযান চালিয়ে  চোরাই মটর সাইকেলসহ  ৩ চোরকে আটক করেছে মাগুরা থানা পুলিশ।

মাগুরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ এক প্রেস রিলিজে জানান, ২৮ শে মার্চ বৃহস্পতিবার মাগুরা সদর থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার ও চুরি প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা সদর থানার ইছাখাদা গ্রাম থেকে চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয় করাকালে মোঃ কদর মোল্যা (২৪), পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর মোল্যা, সাং-ইছাখাদা, থানা-মাগুরাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আসামীর নিকট থেকে চোরাই  এ্যাপাচি  ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।  গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বীকারোক্তি মতে চুরির সাথে জড়িত আসামী  মোঃ ইলিয়াস হোসেন (৪২), পিতা- জয়েন উদ্দিন ওরফে জয়নাল, সাং-মৌলি, থানা-মহম্মদপুর, জেলা-মাগুরাকে মহম্মদপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে চোরাইকৃত আর  ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল উদ্ধার  করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ চোর এবং চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের অন্যতম সদস্য মোঃ হাসু খান (৪০), পিতা-মোঃ গোলাপ খান, সাং-খানপাড়া, থানা-মাগুরা সদর, থানা-মাগুরাকে  পৌর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থানসহ আশপাশ জেলা হতে মোটর সাইকেল চুরি করে। নারায়নগঞ্জ/নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলার চোরদের সাথে আসামীদের যোগাযোগ রয়েছে। চুরি এবং চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয় করার ক্ষেত্রে তাদের সাথে একত্রে কাজ করে বলে জানা যায়। আসামীরা সংঘবদ্ধ চোর এবং  চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সক্রিয় সদস্য। এ ঘটনায় ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।


আরও খবর



ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী বাসন্তী পূজা উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, আরতী প্রতিযোগিতা, প্রসাদ বিতরণ ও বৌ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাগডোকরা হরতকীতলা শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা মন্দির কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার বৌ মেলার মধ্যদিয়ে দিবসটি সমাপ্ত করা হয়। বৌশাখের বসন্ত ঋতু তিথি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার মন্দিরে ভগবত গীতাপাঠ, তুলশি আরতি ও মঙ্গলঘাট স্থাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা আমিনুল ইসলাম রিমুন। এ সময় কমিটির সভাপতি দুলাল চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক সৈরভ অধিকারী, পরিচালক শৈলেন্দ্রনাথ রায়, ইউপি সদস্য আর্শিনী কুমার, জোসনা রানী, সাবেক সদস্য শংকর চন্দ্র রায়, জয় প্রসাদ, হিরম্ব কুমার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত উক্ত মন্দিরে বিভিন্ন এলাকার থেকে আগত হাজারো ভক্তবৃন্দের ঢল নামে। মন্দির প্রাঙ্গণ যেনো হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। পূজা পাঠ ও অর্চনা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং আরতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শেষের দিনে বৌ মেলার মধ্য দিয়ে দিবসটি সমাপ্তি ঘটে। মেলায় শতশত মুখরোচড় খাবারের দোকান পরশা সাজিয়ে দোকানীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি বিগত শত বছর যাবত তারা পালন করছে বলে কমিটির পরিচালনক শৈলেন্দ্র নাথ জানান।


আরও খবর



কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বান্দরবানের বাসা থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় রোয়াল লিন বম নামে আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিন সকালে বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছিলেন। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরপরই চেওশিম বমকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, রোয়াল লিন বম (৫৫) এবং চেওশিম বম (৫৫) বান্দরবানে প্রথম কেএনএফ গঠন করে। তাদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের সঙ্গে কেএনএফের যে চুক্তি হয়েছিল সেটি হয়েছিল চেওশিম বমের বাসায়।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



প্রচন্ড তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ চলছে কোচিং সেন্টার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:প্রচন্ড গরমের তাপমাত্রায় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও এক প্রকার দাপটের সাথেই চলছে কোচিং সেন্টার। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলেও কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় ব্যবস্হা নেয়ার দাবী জানান অনেকেই।নিত্যদিনের ন্যায় গতকালও শহরের ৮ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার চিত্র চোখে পড়ে।

দেখা গেছে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীরা গদাগদি করে বসে আছে। অনেকের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। অনেক অভিভাবক বলছেন,এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে ভালো হতো। কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে না থেকে কোচিং সেন্টারে ছুটছে।

৮ নং ওয়ার্ডে কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা অনেক শিক্ষার্থী বলছেন,গরমে বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। এরপরেও মেধার বিকাশ করতেই যেতে হচ্ছে সেখানে। এমনিতেই প্রচন্ড গরম এরপর কোচিং সেন্টারে গদাগদি করে বসলে সারা শরীর থেকে ঘাম ঝরে। কোচিং সেন্টারের সারেরা যদি এই প্রচন্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতেন, তাহলে খুব ভালো হতো।আবার কেউ কেউ বলছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। কোচিংয়ের কারনে পড়াশোনা অনেকটা এগিয়ে গেছে। স্কুল কলেজ খোলার সাথে সাথে পরিক্ষা। কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা না করলে পরিক্ষায় লিখতে পারবো না।

গরমে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টার কেন খোলা রেখেছেন জানতে চাইলে সৈয়দপুর শহরের ডাক বাংলা সংলগ্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জাবেদ আকতারি জানান, সৈয়দপুরের অনেকেই তো কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন। গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে তা জানা ছিল না। তাছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক।  সকলের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে আমি ও বন্ধ রাখবো। তবে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সাথে সাথে যদি কোচিং সেন্টার ও বন্ধ থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেই।

সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম  জানান,যারা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন তারা নীতিবহির্ভূত কাজ করছেন। সরকারের নির্দেশ কে সম্মান জানিয়ে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রচন্ড গরমের দিন গুলোতে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবী জানান তিনি। এরপরেও যদি কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রাখেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

আরও খবর